লোকসভা
লোকসভায় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন জাতীয় গণতান্ত্রিক জোট (এনডিএ) সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সন্ধ্যায় লোকসভায় খারিজ হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লোকসভায় এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কণ্ঠভোটে বাতিল হয়েছে।
বিরোধীরা গত ২৬ জুলাই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা সেটি গ্রহণ করেছিলেন।
প্রস্তাবের তিন দিন মণিপুর সহিংসতা এবং অন্যান্য উত্তেজনাপূর্ণ ইস্যুতে সরকার ও বিরোধী জোটের মধ্যে তীব্র বাকযুদ্ধ চলে।
এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি হলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
অন্ধ্রপ্রদেশকে একটি বিশেষ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে ২০১৮ সালে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে প্রথম এই প্রস্তাব আনা হয়েছিল। তবে সেটি খারিজ হয়ে যায়।
৩৩১ জন সংসদ সদস্যের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে এনডিএ সরকারের। এর মধ্যে বিজেপির ৩০৩ জন সংসদ সদস্যে রয়েছে। এছাড়া বিরোধী জোট ইন্ডিয়া’র ১৪৪ জন সংসদ সদস্য এবং নিম্নকক্ষে এই দুই জোটের বাইরের দলগুলোর সংসদ সদস্য সংখ্যা ৭০ জন।
আরও পড়ুন: ভারতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলের আইনপ্রণেতাদের বিক্ষোভ মিছিল
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের বিতর্কের জবাব দেওয়ার সময় কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন।
এসময় কংগ্রেসের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা নেই বলেও তিনি বিদ্রুপ করেন।
মোদি বলেন, “কংগ্রেসের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা নেই। অহংকারের কারণে তারা বাস্তবতা দেখতে পাচ্ছে না। তামিলনাড়ুতে তারা ১৯৬২ সালে জিতেছিল এবং ১৯৬২ সাল থেকে তামিলনাড়ুর মানুষ বলছে ‘নো কংগ্রেস’। পশ্চিমবঙ্গে তারা ১৯৭২ সালে জিতেছিল, পশ্চিমবঙ্গের মানুষও বলছে ‘নো কংগ্রেস’। ইউপি, বিহার ও গুজরাটে তারা ১৯৮৫ সালে জিতেছিল এবং এই রাজ্যগুলোর মানুষও বলছে ‘নো কংগ্রেস’।’’
বিরোধীদের অনাস্থা সবসময়ই এনডিএ সরকারের জন্য সৌভাগ্যজনক বলেও মন্তব্য করেন মোদি।
তিনি আরও বলেন, ‘একঅর্থে বিরোধীদের অনাস্থা সবসময়ই আমাদের জন্য সৌভাগ্যজনক। আজ, আমি দেখতে পাচ্ছি, আপনারা (বিরোধীরা) ভাবছেন, আগের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়ে ২০২৪ সালের নির্বাচনে এনডিএ ও বিজেপি দুর্দান্ত জয় নিয়ে ফিরে আসবে।’
তিনি বলেন, আমাদের সরকারের প্রতি দেশের মানুষের আস্থা বহুবার পরীক্ষিত।
আরও পড়ুন: জি২০ অর্থমন্ত্রীদের 'সবচেয়ে নাজুক মানুষদের' দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান মোদির
মোদির তথ্যচিত্র প্রকাশের পর বিবিসির দিল্লি অফিসে তল্লাশি
১ বছর আগে
লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন রাহুল গান্ধী
ভারতের পার্লামেন্ট তথা লোকসভার সদস্যপদ ফিরে পেলেন প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা রাহুল গান্ধী।
দেশটির শীর্ষ আদালত প্রধানমন্ত্রীর উপাধি নিয়ে ‘বিদ্রুপ’ করার অভিযোগে তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। তবে রায় স্থগিত করায় সোমবার (৭ আগেস্ট) তাকে সংসদ সদস্য হিসেবে পুনর্বহাল করেছে লোকসভা।
দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুরে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ভয়ংকর জাতিগত সহিংসতা চলছে। এই সহিংসতা উসকে দেওয়া ও দমনে ব্যর্থ হওয়ায় মোদি সরকার বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা মুখে পড়েন।
চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে পার্লামেন্টে একটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপিত হওয়ার করার কথা রয়েছে। এই মুহূর্তে রাহুলের সংসদ সদস্যপদ ফিরে পাওয়ায় নরেন্দ্র মোদির সরকার আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাহুল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।
এর আগে গত শুক্রবার (৪ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট তার সাজা স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় রায় ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে বহাল
আদালতের এই আদেশের অর্থ হলো আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে না গেলে রাহুল আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
নামে ‘মোদি’ উপাধি আছে এমন একজন ব্যক্তি রাহুলের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে এক জনসভায় দেওয়া বক্তৃতায় মানহানির অভিযোগে মামলা করেন।
সেই বক্তৃতায় রাহুল কৌতুক করে বলেছিলেন, ‘সব চোরের নামে কেন মোদি উপাধি থাকে?’
রাহুল তার বক্তৃতায় তিনজন মোদির কথা উল্লেখ করেন- একজন হলেন পলাতক ভারতীয় হীরা টাইকুন, দ্বিতীয়জন ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) থেকে নিষিদ্ধ ক্রিকেট নির্বাহী এবং তৃতীয়জন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
যে আবেদনকারী মামলাটি করেছেন তিনি গুজরাটে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য।
কিন্তু রাহুলের উল্লেখিত অন্য দুই মোদি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার অন্য কোনো সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধীর জামিন মঞ্জুর, সাজা স্থগিত
চলতি বছরের ২৩ মার্চ গুজরাটের একটি আদালত রাহুলকে মানহানির মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পরের দিনই তাকে সংসদ সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।
কিন্তু গত এপ্রিল মাসে তার আপিলের ভিত্তিতে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। এরপর গত মাসে তিনি দেশের সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন।
ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর প্রপৌত্র ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে এই কারাদণ্ড ও লোকসভার সদস্যপদ প্রত্যাহারের তীব্র নিন্দা করেছেন মোদি বিরোধীরা।
তারা এটিকে ক্ষমতাসীন সরকারের করা গণতন্ত্রের উপর সর্বশেষ হামলা এবং ভিন্নমতকে দমন করার পদক্ষেপ বলে সমালোচনা করেছেন।
১ দশমিক ৪ বিলিয়ন জনসংখ্যা নিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্র।
মোদির সমালোচকরা বলছেন, ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে ভারতের গণতন্ত্র বাধার মুখে পড়েছে। তারা মোদি সরকারের বিরুদ্ধে হিন্দু জাতীয়তাবাদী এজেন্ডা বাস্তবায়নের অভিযোগ তুলেছেন।
যদিও সরকার এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সরকারের দাবি, তাদের নীতিগুলো জাত-পাত নির্বিশেষে সব ভারতীয়দের জন্য নেওয়া হয়।
রাহুলের পরিবার থেকে দুইজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তার দাদি ইন্দিরা গান্ধী ও বাবা রাজীব গান্ধী দুজনই গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন: এবার কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করবেন রাহুল গান্ধী
১ বছর আগে
পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পর খুলল ভারতের সংসদ
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সতর্কতা হিসেবে পাঁচ মাসেরও বেশি সময় পরে সোমবার থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে ভারতের সংসদ অধিবেশন।
৪ বছর আগে
রাহুলের বিকল্প না পেয়ে সোনিয়ার কাঁধেই কংগ্রেসের ভার
ঢাকা, ১১ আগস্ট (ইউএনবি)- গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির দায় কাঁধে নিয়ে সভাপতির পদ ছেড়ে দেয়া রাহুল গান্ধীর বিকল্প পেল না কংগ্রেস।
৫ বছর আগে