অর্থ মন্ত্রণালয়
পরিচালন ব্যয় সংকোচনের পরিকল্পনা সরকারের
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন বৈশ্বিক ও দেশীয় চ্যালেঞ্জের কারণে যেসব পরিচালন ব্যয় বেড়েছিল, আগামী বছরগুলোতে তা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সরকারি নথি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সরকারি ব্যয়ের ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ২০২৬-২৭ অর্থবছরে ৫৮ দশমিক ৪ শতাংশ হবে পরিচালন ব্যয়।
চলতি অর্থবছরে মোট সরকারি ব্যয়ের ৫৯ শতাংশ পরিচালন ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।
পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও মজুরি, পণ্য ও সেবা ক্রয়, ভর্তুকি ও স্থানান্তর পেমেন্ট, দেশীয় ও বৈদেশিক ঋণের সুদ পরিশোধ এবং 'খাদ্য হিসাব পরিচালনা' সংক্রান্ত ব্যয়।
নথি অনুসারে, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালের পরিচালন ব্যয় ৫৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৬২.৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
বর্ধিত ব্যয়ের মূল চালিকাশক্তি
ক্রমবর্ধমান ঋণ পরিশোধের বাধ্যবাধকতায় সুদ পরিশোধ ক্রমাগত বেড়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পদক্ষেপের উপর জোর দিয়ে ২০১৯ সালে মোট সরকারি ব্যয়ের ভর্তুকি এবং স্থানান্তর সংক্রান্ত ব্যয় ২.৯ শতাংশ থেকে ২০২৪ সালে বেড়ে প্রায় ৪ শতাংশ হয়েছে।
২০১৯ অর্থবছর থেকে ২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পরিচালন ব্যয় গড়ে জিডিপির ৭ দশমিক ৬ শতাংশ বজায় রেখেছে।
২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই অঙ্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮.৬ শতাংশে।
দেশীয় সুদের হারের ঊর্ধ্বগতি এবং বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিনিময় হারের অস্থিরতা থেকে এটি বেড়েছে এবং এটি একই সঙ্গে সুদ পরিশোধ ব্যয়ও বাড়িয়েছে।
এইসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, সরকার কৌশলগত সমন্বয় ও আর্থিক শৃঙ্খলার মাধ্যমে মধ্যমেয়াদে পরিচালন ব্যয় জিডিপির ৮.৩ শতাংশে স্থিতিশীল রাখার প্রত্যাশা করছে।
২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে খাদ্য ভর্তুকি ১৪.১ শতায়শ বেড়েছে। এটিও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির একটি কারণ।
বেতন ও পণ্য ব্যয় ব্যবস্থাপনা
বেতন ও ভাতা সংক্রান্ত খাতে ২০১৯ সালে জিডিপির ১.৮ শতাংশ এবং ২০২৩ সালে ১.৪ শতাংশ কমে গেছে। তবে তা বেতন কমানোর কারণে নয়, বরং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণেই হয়েছে।
২০২৫ সালে বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে; যা ২০১৯ সালের ১ দশমিক ৮ শতাংশের চেয়ে কম।
নথিতে বলা হয়েছে, দক্ষ সরকারি সেবা প্রদান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বেতন-ভাতা বাবদ ব্যয় বাড়াতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
কোভিড-১৯ মহামারির বছরগুলোতে আরও গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে সম্পদের পুনর্বিন্যাস এবং ২০২২ সাল থেকে গৃহীত সাশ্রয়ী নীতির কারণে পণ্য ও সেবার উপর ব্যয় ২০২৯ সালের মোট ব্যয়ের ৭.৩ শতাংশ ছিল। ২০২৩ সালে সেখান থেকে কমে দাঁড়ায় ৫.৯ শতাংশে।
২০২৪ অর্থবছরের সংশোধিত প্রাক্কলনে দেখা যায়, এ অর্থবছরে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ছিল মোট ব্যয়ের ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
মধ্যমেয়াদে পণ্য ও সেবা খাতে ব্যয় ৬ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে বলে প্রাক্কলন করেছে অর্থ বিভাগ।
ভর্তুকি যৌক্তিকীকরণ এবং সামাজিক সমর্থন জোরদার করা
সরকার ভর্তুকি বরাদ্দসমূহ যুক্তিসঙ্গতভাবে নির্ধারণের জন্য একটি কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ জনগণের জন্য জীবনযাত্রা সহায়তা কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয় ব্যয়ের মধ্যে কৃষি, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে রয়েছে।
জ্বালানি খাতে ধীরে ধীরে ভর্তুকি কমানো হবে। নিয়মতান্ত্রিক মূল্য সমন্বয় এবং ফর্মুলা ভিত্তিক জ্বালানি মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।
তবে পূর্ববর্তী অর্থবছরের তুলনায় বকেয়া ভর্তুকি দীর্ঘায়িত করার জন্য চলমান মনোযোগ প্রয়োজন।
প্রবৃদ্ধি ও স্থায়িত্ব বাড়ানো
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সরকার রপ্তানি বহুমুখীকরণ, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি, কৃষি উন্নয়ন এবং তৈরি পোশাক খাতে সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য আর্থিক প্রণোদনা প্রদানের পরিকল্পনা করেছে।
হাইব্রিড প্রযুক্তি, বৈদ্যুতিক যানবাহন এবং আইসিটি পরিষেবা রপ্তানির উপরও জোর দেওয়া হচ্ছে।
দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি কৃষি ও রপ্তানিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে বলে নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
৩ সপ্তাহ আগে
কোনো পরিবর্তন ছাড়াই চলবে সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প: অর্থ মন্ত্রণালয়
কোনো পরিবর্তন ছাড়াই সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা-গ্রেপ্তার নয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বৈঠকে কর্মকর্তারা জানান, সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় ৩ লাখ ৭২ হাজারের বেশি ব্যক্তি নিবন্ধন করেছেন, যা সব মিলিয়ে ১৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ হয়েছে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এসব বিনিয়োগ থেকে প্রাপ্ত মুনাফা চলতি মাসে উপকারভোগীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। পেনশনের সুবিধাভোগীরা অ্যাকাউন্টে আমানত ও অর্জিত মুনাফা দেখতে পাবেন।
গত বছরের ১৭ আগস্ট চালু হওয়া ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিমের লক্ষ্য একটি সুসংগঠিত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা দেওয়া। এটি প্রাথমিকভাবে জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশকে লক্ষ্য করে চারটি মূল প্রকল্প- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা নিয়ে শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত অভিযানে কমতে শুরু করেছে ডিমের দাম
২ মাস আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে ২০২.২৫ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা চুক্তি ইউএসএআইডির
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (ইউএসএআইডি) মধ্যে 'দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট'-এর ষষ্ঠ সংশোধনী সই হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই সংশোধনীতে সই করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ কে এম শাহাবুদ্দিন ও ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড জে এসচলিম্যান।
এর আগে ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ও ইউএসএআইডি নতুন করে ২০২১-২০২৬ মেয়াদে 'দ্য ডেভেলপমেন্ট অবজেক্টিভ গ্রান্ট এগ্রিমেন্ট' সই করে। এই চুক্তি বাস্তবায়নে মোট ৯৫৪ মিলিয়ন ডলার দেবে ইউএসএআইডি।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফর: ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠকে 'বহুমাত্রিক' আলোচনা
পঞ্চম সংশোধনী পর্যন্ত ইউএসএআইডি ৪২৫ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে। ষষ্ঠ সংশোধনীর আওতায় (ক) সুশাসন, (খ) সামাজিক, মানবিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ এবং (গ) কঠিন অবস্থা থেকে উত্তরণ- এই তিন খাতে ২০২.২৫ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে ইউএসএআইডি।
১৯৭২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৪ সালের 'ইকোনমিক, টেকনিক্যাল অ্যান্ড রিলেটেড অ্যাসিস্ট্যান্স' চুক্তির আওতায় গণতন্ত্র ও সুশাসন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি অবদান রেখেছে দেশটি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার বেশিরভাগ উন্নয়ন সহায়তা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএআইডি), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসডিএ) এবং আরও কিছু সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করে।
আরও পড়ুন: নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধিতে কাজ করছে ইউএসএআইডি, পিভিএইচ ও কেয়ার বাংলাদেশ
৩ মাস আগে
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
বিকল্প নতুন কোনো পদ্ধতি চালু না হওয়া পর্যন্ত সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বৈঠকও করেছেন। বৈঠকে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের সার্বিক বিষয় ও চলমান কার্যক্রম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টার কাছে উপস্থান করা হয়। অর্থ উপদেষ্টার সম্মতিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যেভাবে চলছে, সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে।
অর্থ সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে অর্থ উপদেষ্টা সোমবার একটি বৈঠক করেছেন। এসময় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করা হয়। সর্বজনীন পেনশন স্কিম এখন যেভাবে চালু আছে , সেভাবেই চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সরকার বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে, শিগগিরই ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন
সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা ইউএনবিকে বলেন, সর্বজনীন পেনশন বিষয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা সামনের দিকে কি করব, সে বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আমাদের যে চারটি স্কিম রয়েছে, সেই চার স্কিম সম্পর্কে এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে জানিয়েছি এবং এখন পর্যন্ত আমরা কি করেছি সেগুলো সম্পর্কে অর্থ উপদেষ্টাকে অবহিত করেছি। তার আলোকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু রাখার সিদ্ধান্ত দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা।
তিনি আরও বলেন, সর্বজনীন পেনশনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখব। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা নতুন কোনো স্কিম ঘোষণা না করি, এই স্কিমগুলো যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে।
পেনশন স্কিমের চাঁদা বিনিয়োগের বিষয়ে জানতে চইলে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছি। সম্পূর্ণই সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
দেশের সর্বস্তরের জনগণকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত বছরের ১৭ আগস্ট সাবেক প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করেন। এর পর পরই আবেদন শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা, এই চারটি স্কিম নিয়ে সরকার সর্বজনীন পেনশন চালু করে। পরে সকল স্ব-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামে নতুন স্কিম চালু করার ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সংশোধিত ড্যাপ বাতিলের দাবি আবাসন ব্যবসায়ীদের, আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে মনে করছেন পরিকল্পনাবিদরা
গত ১ জুলাই থেকে এই স্কিম কর্যকর হয়। তবে শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল করা হয়। সে হিসেবে বর্তমানে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা এই চারটি স্কিম চালু রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চাঁদা পরিশোধ করে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৩ লাখ ৭২ হাজার ৯৪ জন। আর তাদের জমা দেওয়া চাঁদার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২৩ কোটি ৫৬ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১১৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা সরকারি ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
এদিকে পেনশন স্কিমে আগের মতই নিবন্ধের ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছেন দরিদ্র মানুষরা। যাদের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬০ হাজার টাকা। এই আয়ের মানুষদের জন্য চালু করা হয়েছে সমতা স্কিম। এই স্কিমের মাসিক চাঁদার পরিমাণ ১ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০০ টাকা স্কিম গ্রহণকারী দেবেন এবং বাকি ৫০০ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত এই স্কিমে নিবন্ধনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার জন। আর জমা পড়া চাঁদার পরিমাণ ৪০ কোটি ৪৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। অর্থাৎ পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের ৭৭ শতাংশই দরিদ্র মানুষ।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী সরকার পতনের পর সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের গতি কিছুটা কমে গেছে—
এ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের কাজের গতি অনেকটাই কমেছে। কারণ হিসেবে বলা হয়, ছাত্র আন্দোলনের সময় এবং সরকার পতনের পর পেনশন স্কিমে নিবন্ধনের কাজ অনেকটাই কম ছিল, ফলে গতি অনেক কম থাকাটা স্বাভাবিক।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কার্যক্রম আরও সম্প্রসারিত হলে এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম নিয়ে বর্তমান সরকার যখন প্রচারণা চালাবেন তখন গতি আবার আগের পর্যায়ে চলে আসবে। নিবন্ধনের হারও অনেক বাড়বে।
আরও পড়ুন: আমদানিতে অনিচ্ছা, দাম কমানোতে আগ্রহী মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
১০ হাজার দক্ষ কর্মী তৈরি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়-রিহ্যাবের চুক্তি সই
আবাসন খাতে ১০ হাজার শ্রমিকের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (সিএসআইপি) সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এই চুক্তি সই হয়। রিহ্যাবের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংগঠনটির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি-৩ আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক এবং এসইআইপি-রিহ্যাব প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ২৪ দিনে দেশে ঢুকেছে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
সিসিআইপির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সিসিআইপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিংস, মেশিনারি অ্যান্ড স্টিল বাইন্ডিং, টাইলস অ্যান্ড মার্বেল ওয়ার্কস- এই চারটি কোর্সে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
চার মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে নিয়মিত সময়সূচিতে ফিরছে ব্যাংকও
৪ মাস আগে
কম রাজস্ব আদায় ঋণ ব্যবস্থাপনাকে বাধাগ্রস্ত করে: অর্থ মন্ত্রণালয়
কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় বাধা হিসেবে কম রাজস্ব আদায়কে চিহ্নিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর ফলে অবকাঠামো ও উন্নয়ন প্রকল্পে সরকারের বিনিয়োগের সক্ষমতাও সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
ঋণের স্থায়িত্বের ওপর রাজস্ব ও জিডিপি অনুপাত কম হওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়ে বলে মন্ত্রণালয়ের এক নথিতে বলা হয়েছে।
নথিতে আরও বলা হয়, ‘২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের সময়সীমার কারণে এই সমস্যা আরও বেড়েছে। এটি বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক উৎস থেকে রেয়াতি অর্থায়ন পাওয়ার সুযোগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
আরও পড়ুন: স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য 'প্রত্যয়' পেনশন প্রকল্প চালু : অর্থ মন্ত্রণালয়
'মধ্যমেয়াদি সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি বিবৃতি (২০২৩-২৪ থেকে ২০২৫-২৬)' শীর্ষক নথিতে উচ্চ সুদের হারের পরিবেশকে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই আরেকটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এই পরিস্থিতি ঋণ নেওয়ার খরচ বাড়াচ্ছে এবং সরকারি অর্থের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
এর প্রভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী এবং অন্যান্য উন্নয়ন উদ্যোগে সরকারি তহবিলের প্রয়োজনীয়তা ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।
অন্যদিকে বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে ঋণ অফিসের বিভক্তি ঋণ ব্যবস্থাপনায় সমন্বয়ের বিষয়ে ঝুঁকি তৈরি করছে, যা দেশের আর্থিক স্থায়িত্বের ওপর প্রভাব ফেলছে।
উন্নতির লক্ষ্যে সুপারিশ
অর্থ মন্ত্রণালয় এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঋণ ব্যবস্থাপনা, উন্নত রাজস্ব আদায় এবং ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে বিকল্প অর্থায়ন পদ্ধতি অন্বেষণে একটি বিস্তৃত ও সমন্বিত পদ্ধতির সুপারিশ করেছে।
নথিতে বলা হয়েছে, দেশের সরকারি ঋণ যাতে টেকসই থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য অবিলম্বে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আর্থিক দক্ষতা বাড়ানোর পদক্ষেপ
অর্থ বিভাগ এরই মধ্যে আর্থিক ব্যবস্থার দক্ষতা ও স্বচ্ছতা বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) এবং সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সইয়ের মাধ্যমে সরকারি সিকিউরিটিজের সেকেন্ডারি মার্কেট (স্টক, বন্ড, অপশন এবং ফিউচার ক্রয়-বিক্রয়) লেনদেন চালু করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেটের সুযোগ এবং গভীরতা বাড়ানো, প্রাতিষ্ঠানিক ও গৃহস্থালি উভয়ক্ষেত্রের বিনিয়োগকারীদের সরকারি সিকিউরিটিজ লেনদেনে অংশ নেওয়ার অনুমতি দেওয়া।
এই পদক্ষেপ সরকারের ঘাটতি অর্থায়নে ও পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত সংস্কার
চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় নেওয়া আরেকটি উদ্যোগ হলো জাতীয় সঞ্চয়পত্র (এনএসসি) ইস্যু করার পদ্ধতির স্বয়ংক্রিয়করণ এবং কাগজের ব্যবহার কমানো।
এই পদক্ষেপটি স্ল্যাব-ভিত্তিক সুদের হার এবং স্বতন্ত্র বিনিয়োগের মতো নীতিগত পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন, সরকারের অর্থায়ন কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্য করে এনএসসিতে বিনিয়োগ কমায়।
এছাড়াও ঋণ বুলেটিন প্রকাশনার মাধ্যমে ঋণ তথ্যের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। এছাড়াও এটি অন্যান্য মন্ত্রণালয়, গবেষণা সংস্থা, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সাধারণ জনগণসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের কাজে আসছে।
মাঝারি ঋণের মাত্রা, উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ
নথিতে বলা হয়েছে, শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি ও বিচক্ষণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে বাংলাদেশ সরকারি ঋণের পরিমিত স্তর এবং বৈদেশিক ঋণ সংকটের ক্ষেত্রে কম ঝুঁকি বজায় থাকলেও উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জগুলো রয়ে গেছে।
টেকসই সরকারি ঋণ বজায় রাখা এবং দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যকে সমর্থন করার জন্য এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করা অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন: এ কে আজাদ
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
স্বায়ত্তশাসিত ও সংবিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য 'প্রত্যয়' পেনশন প্রকল্প চালু : অর্থ মন্ত্রণালয়
স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন, সংবিধিবদ্ধ এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থায় নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য ইউনিভার্সাল পেনশন স্কিম (ইউপিএস) -এর অধীনে ‘প্রত্যয়’ নামে একটি নতুন স্কিম চালু করেছে সরকার।
বুধবার(২০ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এই প্রকল্প কার্যকর হবে।
চলতি বছরের ১৩ মার্চ জারি করা এসআরও (নং-৪৭-আইন/২০২৪) অনুযায়ী সকল স্বা-শাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ সংস্থার কর্মকর্তা বা কর্মচারী যারা চলতি বছরের ১ জুলাই এবং পরে যোগদান করেছেন তারা নতুন স্কিমের আওতায় আসার যোগ্য হবেন।
এছাড়া এসআরও'র মাধ্যমে এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য সার্টিফিকেশন স্কিমের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশ করুন: এ কে আজাদ
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, 'প্রত্যয়' স্কিম প্রবর্তনের ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান কর্মকর্তা/কর্মচারীদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হবে না এবং তাদের বিদ্যমান পেনশন/গ্র্যাচুইটি সুবিধা অক্ষুণ্ন থাকবে।’
তবে যাদের ন্যূনতম ১০ বছর চাকরি বাকি আছে তারা আগ্রহ প্রকাশ করলে নতুন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এই বছরের ১ জুলাই এবং তার পরে নতুন যোগদানকারী কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ভবিষ্যতের আর্থিক সুরক্ষা ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে। কারণ তারা অবসরকালীন মাসিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।’
এই ধরনের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বেশিরভাগ কর্মচারী গ্র্যাচুইটি এবং কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) এর আওতাভুক্ত। সেই ব্যবস্থায়, কর্মচারীরা চাকরি শেষে অবসর সুবিধা হিসাবে সামান্য পরিমাণ অঙ্কের অধিকারী, তবে কোনও মাসিক পেনশন নেই।
ফলে অবসর পরবর্তী জীবনে তারা প্রায়ই আর্থিক অনিশ্চয়তার সম্মুখীন হন। অবসর পরবর্তী জীবনে কর্মীদের আর্থিক ও সামাজিক সুরক্ষা দিতে বিদ্যমান ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে সরকার 'প্রত্যয়' প্রকল্প চালু করেছে।
'প্রত্যয়' স্কিম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর মূল বেতনের ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা, যেটি কম, কর্তন করা হবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা ইনস্টিটিউট কর্তৃক স্কীমে অংশগ্রহণের জন্য প্রদান করা হবে।
এরপর উভয় অর্থ জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় ওই কর্মকর্তা/কর্মচারীর নামে অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
যেমন, সংশ্লিষ্ট ইন্সিটিটিউট বা প্রতিষ্ঠান থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত টাকা জমা দিলে ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের পর প্রতি মাসে ৬২ হাজার ৩৩০ টাকা পেনশন পাবেন।
এক্ষেত্রে ৩০ বছর মেয়াদে কর্মচারীর নিজস্ব বেতন থেকে পরিশোধিত মোট জমার পরিমাণ ৯ লাখ টাকা (প্রতি মাসে ২৫০০ টাকা জমা) এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিশোধিত চাঁদার মোট পরিমাণ ৯ লাখ টাকা।
প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের জন্য মোট চাঁদার পরিমাণ হবে ১৮ লাখ টাকা। উপকারভোগী ৭৫ বছর বয়সে মারা গেলে ওই ব্যক্তি ১৫ বছরে ১ কোটি ১২ লাখ টাকা বা তার বেশি পেনশন পাবেন, যা কর্মচারীর নিজস্ব আমানতের ১২ দশমিক ৪৭ গুণ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে চীনা অর্থ ছাড় আগের চেয়ে সহজ হবে: অর্থমন্ত্রী
৯ মাস আগে
মঙ্গলবার বাজারে আসছে ২ ও ৫ টাকার নতুন নোট
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাজারে এই ধরনের নোটের চলমান ঘাটতি মেটাতে মঙ্গলবার ২ টাকা ও ৫ টাকার নতুন নোট আসছে।
জ্যেষ্ঠ অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত নতুন মুদ্রিত নোটগুলো মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ছাড়া হবে।
আরও পড়ুন: ঈদে ২৩০০০ কোটি টাকার নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি শাখা, এই নোটগুলো প্রকাশের আনুষ্ঠানিক আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে।
প্রস্তুত করা এসব নোট মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস থেকে ইস্যু করা হবে।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও তফসিলি ব্যাংকের অন্যান্য অফিস থেকে পর্যায়ক্রমে নতুন নোট ইস্যু করা হবে।
নতুন নোটের রং, মাত্রা, ওয়াটারমার্ক, ডিজাইন এবং অন্যান্য নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য বর্তমান নোটের মতোই থাকবে। নতুন ছাপানো নোটের পাশাপাশি দুই ও পাঁচ টাকার কাগজের নোট এবং ধাতব মুদ্রাও ব্যবহার করা হবে।
আরও পড়ুন: ২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
নতুন নোট বাজারে ছাড়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
২ বছর আগে
এলএনজি আমদানিতে জিডিএফ থেকে ২০০০ কোটি টাকা পাবে পেট্রোবাংলা
তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) থেকে পেট্রোবাংলাকে ২০০০ কোটি টাকা দিতে অনুমতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ইউএনবির পাওয়া একটি অফিসিয়াল আদেশের অনুলিপি থেকে জানা যায়, জ্বালানি বিভাগের প্রস্তাব অনুসারে অর্থ মন্ত্রণালয় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলাকে ঋণ হিসেবে এই তহবিল সরবরাহ করতে রাজি হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধির কারণে পেট্রোবাংলার তীব্র তহবিল সংকটের প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয় এই অনুমোদন দিয়েছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এলএনজির দাম ১০ মার্কিন ডলার এর কম থেকে বেড়ে ৩৯ মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সহসভাপতি এম শামসুল আলম বলেন, এ থেকে বোঝা যায় যে সরকার জ্বালানি খাত নিয়ন্ত্রণে গুরুতর সংকটে রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে: জ্বালানি বিভাগ
দাম বৃদ্ধির কারণে সম্প্রতি জ্বালানি বিভাগ আন্তর্জাতিক স্পট মার্কেট থেকে কোনো এলএনজি আমদানি না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
তাই গ্যাস-চালিত কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাস করতে হবে, যার কারণে বিদ্যুৎ সংস্থাগুলো পরিকল্পিত লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে।
পেট্রোবাংলা এখনও দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির অধীনে ওমান ও কাতার থেকে এলএনজি আমদানি অব্যাহত রেখেছে। সেখানে মূল্য নির্ধারিত রয়েছে, তবে বিভিন্ন শর্তে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
এখন পেট্রোবাংলা আবার নতুন তহবিল ব্যবহার করে স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানি করা শুরু করবে, নাকি দীর্ঘমেয়াদী সরবরাহকারীদের কাছ থেকে গ্যাস আমদানিতে এই তহবিল ব্যবহার করবে; তা এখনও স্পষ্ট নয়।
কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) আদেশে গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) তৈরি করা হয়েছিল। এটির মাধ্যমে দেশে গ্যাস অনুসন্ধানে এ তহবিল তৈরির জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে গ্যাস বিলের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ নেয়ার অনুমতি পায় পেট্রোবাংলা।
এই ধরনের তহবিলের সব টাকা জ্বালানি বিভাগের খরচ করার কথা। কিন্তু পেট্রোবাংলা কয়েকটি ভিন্ন খাতে এই তহবিল ব্যবহার করে এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশে সরকারি কোষাগারে বেশ কিছু টাকা জমা রাখে।
বর্তমান ব্যবস্থা অনুযায়ী জ্বালানি বিভাগ বা পেট্রোবাংলা কোনো কাজে তহবিল ব্যবহার করতে চাইলে অর্থ বিভাগের অনুমতি নিতে হবে।
তবে বিইআরসি জ্বালানি বিভাগের এই ধরনের তহবিল পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকগুলোকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খরচ কমানোর নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
বিইআরসি জুন মাসে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলাকে তার দুটি মূল তহবিলে- জ্বালানি নিরাপত্তা তহবিল (ইএসএফ) এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) মোট ১২ হাজার ২২৭ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়।
জ্বালানি নিয়ন্ত্রকের সর্বশেষ নির্দেশিকায় এ নির্দেশ দেয়া হয়। যা বিইআরসি অর্ডার নং-২০২২/৭ নামে ২৭ জুন বিস্তারিতভাবে প্রকাশিত হয় এবং একই দিনে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে এটি আপলোড করা হয়।
বিইআরসির রায় অনুসারে, পেট্রোবাংলাকে ইএসএফ তহবিলে ৯ হাজার ২২৭ দশমিক ৪৪ কোটি টাকা এবং জিডিএফ তহবিলে তিন হাজার কোটি টাকা সুদসহ ফেরত দিতে হবে। কারণ ইতোপূর্বে এই পরিমাণ অর্থ সংস্থাটি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করেছিল।
তবে পেট্রোবাংলাকে কখন টাকা ফেরত দিতে হবে সে বিষয়ে রায়ে কোনো নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ করা হয়নি।
রাজধানীর বিয়াম অডিটোরিয়ামে গত ২১ মার্চ গ্যাসের দামের ওপর গণশুনানির ফলোআপ হিসেবে এই আদেশ দেয়া হয়। যেখানে কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) সহ বিভিন্ন ভোক্তা অধিকার গ্রুপ ইএসএফ এবং জিডিএফ তহবিলকে ভোক্তাদের অর্থ বলে অভিহিত করেছে। কারণ ভোক্তারা তাদের বিলের অতিরিক্ত এ টাকা গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে দিয়ে থাকে।
ক্যাব এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো মূল তহবিলে অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য এবং ভোক্তাদের প্রতিনিধিদের দ্বারা পর্যবেক্ষণ করা একটি স্বচ্ছ উপায়ের মাধ্যমে শুধুমাত্র গ্যাস ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও গ্যাস সেক্টরের নিরাপত্তার উদ্দেশ্যে এর ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য বিইআরসি’র কাছে অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত গভর্নর ছাড়া চলবে বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে ছয় বছরেরও বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর রবিবার থেকে অবসরে যান ফজলে কবির।
তার উত্তরসূরি আবদুর রউফ তালুকদার আগামী ১২ জুলাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পদে যোগ দেবেন।
তালুকদার সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী অর্থসচিব হিসেবে দ্রুত অবসর নেন।
ফলে এই অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরবিহীন থাকে। অর্থ মন্ত্রণালয় একটি অফিস আদেশে ডেপুটি গভর্নরদের তাদের নিজ নিজ বিভাগের কর্তৃপক্ষের প্রধান হিসাবে দেখাশোনা করার নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, গভর্নরের অনুপস্থিতিতে ডেপুটি গভর্নররা নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) উপ-সচিব জিহাদ উদ্দিন রবিবার এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংককে পাঠান।
আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নররা ৪ জুলাই থেকে নতুন গভর্নর যোগদান না করা পর্যন্ত দৈনিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার স্বার্থে নিজ নিজ ক্ষেত্রে তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
ডেপুটি গভর্নর-১ আহমেদ জামাল গভর্নরের দৈনিক নোটিশ/ফাইলগুলো দেখবেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠাবেন।
আরও পড়ুন: সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
শ্রমিকদের বেতন দিতে শিল্পাঞ্চলে ৮ ও ৯ জুলাই ব্যাংক খোলা
২ বছর আগে