পুলিশের সাইবার টিম
ভুক্তভোগী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছে পুলিশের সাইবার টিম
ভুল নম্বরে চলে যাওয়া টাকা ও প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া অর্থ ফিরিয়ে দেয়া এবং চুরি বা হারিয়ে যাওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করছে খুলনা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল।
তথ্যপ্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে এবং নিজেদের ঐকান্তিক চেষ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে ভুক্তভোগী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে কাজ করছে পুলিশের এই টিম।
খুলনা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ মে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানা এলাকার তাজমুল হক একটি নম্বরে বিকাশে ১০ হাজার টাকা ক্যাশ ইন করতে গিয়ে একটি ডিজিট ভুল করলে ওই টাকা অন্য নম্বরে চলে যায়। তার এলাকার বিট পুলিশিংয়ের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন যে খুলনা জেলার সাইবার সেল এ বিষয়ে কাজ করে ভুক্তভোগী লোকজনকে সহায়তা করে থাকে। তখন তিনি বিষয়টি নিয়ে বটিয়াঘাটা থানায় একটি জিডি করেন।
আরও পড়ুন: গরমে ঠাকুরগাঁওয়ে কদর বেড়েছে তালশাঁসের
একই রকম ঘটনায় মো. শরিফুল ইসলামের সাত হাজার টাকা ভুল নম্বরে চলে যাওয়ার বিষয়ে তিনি ফুলতলা থানায় ২১ মে একটি জিডি করেন। সাইবার টিমের চেষ্টা ও তথ্যপ্রযুক্তির যথোপযুক্ত ব্যবহারের মাধ্যমে বটিয়াঘাটা ও ফুলতলা থানার সহায়তায় তাজমুল ও শরিফুলের মোট ১৭ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তারা উদ্ধার হওয়া টাকা পেয়ে উচ্ছ্বসিত হন এবং পুলিশের এই কাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
পুলিশের খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা রেঞ্জের আওতাধীন খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর এই ১০ জেলায় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কাজ করছে। ১০টি ইউনিটে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন ৯৪ জন সদস্য। ২০২১ সালের ৪ নভেম্বর থেকে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল চালু হয়।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) সুশান্ত সরকার জানান, খুলনা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল উদ্বোধনের পর থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত মোট প্রাপ্ত অভিযোগ বা জিডির সংখ্যা ৪৭৩টি। এর মধ্যে ২৭৯টি নিষ্পত্তির সংখ্যা। বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন।
তিনি বলেন, খুলনা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী সাইবার টিম মানুষের সেবা প্রদানে কাজ করে চলেছেন। তাদের অভিযোগ বা জিডি আমলে নিয়ে দৈনন্দিন এসব কাজ করে যাচ্ছে। গত ৬ জুন রূপসা, পাইকগাছা, ডুমুরিয়া ও দিঘলিয়া থানা এলাকা থেকে হারানো ১৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে ভুক্তভোগীদের হস্তান্তর করা হয়েছে। এভাবে প্রতিনিয়ত কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হচ্ছে শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফাহিম রহমান রাফি নামে এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। তিনি থানায় জিডি করার পর খুলনা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম অফিসে এসে অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তার মোবাইল ফোনটি কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে উদ্ধার করা হয়।
২ বছর আগে