পৃথক ঘটনা
চট্টগ্রামে পৃথক ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু
চট্টগ্রামে আকবরশাহ থানা এলাকায় মো. ওয়াহিদুজ্জামান রিপন (৩৭) ও মো. জামাল (৩৪) নামে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রিপন রহস্যজনকভাবে ও জামাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সাপের কামড়ে নারীর মৃত্যু
নিহত ওয়াহিদুজ্জামান রিপন ওই এলাকার মো. খাইরুল আলমের ছেলে এবং নিহত জামাল একই এলাকার মো. বদিউল আলমের ছেলে।
সিএমপির আকবরশাহ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন বলেন, সকালে উত্তর কাট্টলী চৌধুরী বাড়িতে মো. ওয়াহিদুজ্জামান রিপন নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যু রহস্যজনক মনে হচ্ছে। স্বজনরা বলেছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে তার গায়ে কোনো আঘাত নেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছি। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
অপরদিকে আকবরশাহ থানার বাংলা বাজার এলাকায় বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করতে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মো. জামালের মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে।
রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টোল রোড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক অপারেটর বলেন, ওই যুবক বিদ্যুতের খুঁটিতে কাজ করতে উঠে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন।
বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে খবর পেয়ে বন্দর ফায়ার স্টেশনের একটি ইউনিট গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা, চালকের মৃত্যু
রিকশায় বোরকা পেঁচিয়ে মায়ের কোল থেকে ছিটকে পড়ে শিশুর মৃত্যু
৫ মাস আগে
জয়পুরহাটে পৃথক ঘটনায় নিহত ২
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় পৃথক ঘটনায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
নিহতরা হলেন- কাউছার মণ্ডল ও মাহবুব হোসেন।
উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কাউছার মণ্ডল নামে এক মাছচাষির মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে বয়লার বিস্ফোরণে চীনের নাগরিক নিহত
শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে ইউনিয়নের রহমতপুর গ্রামের নয়া পুকুরে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত কাউছার মণ্ডল ওই গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, পুকুরের পানি সেচে মাছ ধরা জন্য পুকুরে বৈদ্যুতিক মোটর স্থাপন করেন কাউছার।
কিন্তু মোটরের সুইচ দিলেও পানি উঠছিল না। বৈদ্যুতিক তার পরীক্ষা করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
অপরদিকে, একই উপজেলায় মেসি ট্রাক্টর (মালবাহী মিনি ট্রাক্টর) ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মাহবুব হোসেন নামের এক দুধ ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার পাঁচবিবি-কামদিয়া সড়কের দানেজপুর এলাকার এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুধ ব্যবসায়ী মাহবুব হোসেন উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের জয়হার গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মাহাবুব মোটরসাইকেলযোগে বিভিন্ন গ্রাম থেকে দুধ সংগ্রহ করেন।
প্রতিদিনের মতো শনিবারও মোটরসাইকেলে করে পাঁচবিবি বাজারে দুধ বিক্রি করতে যাচ্ছিলেন তিনি। দানেজপুর এলাকায় পৌঁছলে সামনের দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা মেসি ট্রাক্টরের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মাহবুব।
ঘটনার পর চালক পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ট্রাক্টরটি জব্দ করেন।
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মৌয়াল নিহত
চট্টগ্রামে বাস ও সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৪
৮ মাস আগে
যশোরে পৃথক ঘটনায় ছুরিকাঘাতে নিহত ২
যশোরে পৃথক ঘটনায় এক যুবক ও এক কিশোর ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছে। শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার ঘুরুলিয়া গ্রামে ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড়ভাই নিহত হয়েছেন।
নিহত যুবক ইউনুস (২২) যশোর সদরের ওই গ্রামের সাদ্দামের মোড় এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে।
অপরদিকে শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় এক কিশোর ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে।
নিহত নাহিদ হাসান (১৭) শহরতলী শেখহাটি তরফ নওয়াপাড়া এলাকার মোহাম্মদ বাচ্চু মোল্লার ছেলে।
তাদের লাশ যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফটিকছড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রবাসী খুন, গ্রেপ্তার ২
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ইউসুফের সঙ্গে বড় ভাবী সুরাইয়ার ঝগড়া হয়। এই ঝগড়ার এক পর্যায়ে ইউসুফ বড়ভাই ইউনুসের বুকে ছুরিকাঘাত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বজনরা ইউনুসকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, হামলাকারী ইউসুফ মাদকসেবন করতেন। তার বিরুদ্ধে এলাকায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সে সুরাইয়াকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এর জের ধরে ঝগড়া ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
অপরদিকে, কিশোর গ্যাংয়ের বিরোধে যশোর শহরের বারান্দি নাথপাড়ায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে নাহিদ হাসান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাহিদ তার বড়ভাই বোরহানের সঙ্গে শহরের আরএন রোডে মোটরপার্টসের দোকানে ব্যবসা করতো। শুক্রবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে পূর্ব পরিচিত হাসানকে নিয়ে বারান্দি নাথপাড়া এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিল। এ সময় সিনিয়র-জুনিয়র নিয়ে অজ্ঞাত কিশোর গ্যাং গ্রুপের সঙ্গে তাদের বিবাদের সৃষ্টি হয়। আর এই বিবাদের জের ধরে ওই কিশোররা নাহিদকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
এ সময় ছুরিকাঘাতে হাসানও আহত হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক নাহিদকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হাসানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
যশোর জেলা পুলিশের মুখপাত্র ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপন কুমার সরকার জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পারিবারিক বিরোধে ঘুরুলিয়ায় ছোটভাইয়ের ছুরিকাঘাতে বড় ভাই নিহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন যে অন্যদিকে বারান্দি নাথপাড়ায় কিশোর গ্রুপের ছুরিকাঘাতে আরেক কিশোর নিহত হয়েছে। দু’জনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ঘটনা অনুসন্ধান ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের অভিযান শুরু করেছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: তুরাগে পুলিশকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় ৩ মাদক ‘ব্যবসায়ী’ গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় নিহত ৩
পঞ্চগড়ে পৃথক ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সদর ও তেঁতুলিয়া উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-তেতুঁলিয়া উপজেলার শালবাহানহাট ইউনিয়নের লোহাকাচি গ্রামের জহিরুল ইসলাম (৫০), সদর উপজেলার আজাদপুর এলাকার মৃত কানজু মোহাম্মদের ছেলে শহীদুল ইসলাম (৪০) এবং একই উপজেলার বুড়িমুটকি এলাকার মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে শহিদ (৪০)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের ট্রাক টার্মিনাল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী জহিরুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এ সময় তার ছেলে এনামুল হক (৩৫) গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। আহত এনামুলকে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বড় ভাইয়ের ইটের আঘাতে ছোট ভাই নিহত!
পঞ্চগড় সদর উপজেলার আজাদপুর এলাকায় ডিস-ক্যাবলের সংযোগ বিছিন্ন করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শহীদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। বিদ্যুতায়িত হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে তেতুঁলিয়া উপজেলার বুড়িমুটকি এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শহীদ নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ সময় শহীদের ভগ্নিপতি সাদ্দাম আহত হন।
পুলিশ জানায়, তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের বুড়িমুটকি এলাকার শান্তি রানী নামে এক নারীর বাড়িতে সলিম উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির যাতায়াত ছিল। এ নিয়ে সোমবার রাতে সলিমের সঙ্গে শহীদ ও সাদ্দামের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সলিমের লোকজনের মারধরে শহীদ ও সাদ্দাম আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের তেতুঁলিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শহীদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শহীদের স্ত্রী ফেন্সি আক্তার বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে তেতুঁলিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মাছধরা নিয়ে বিরোধে ২ ভাই নিহত
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ মিয়া ও তেতুঁলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া পৃথক পৃথক ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২ বছর আগে