রিফাত
কুমিল্লা সিটি মেয়র রিফাত আর নেই
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) মেয়র আরফানুল হক রিফাত আর নেই।
বুধবার(১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল নির্বাচিত
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।
২০২২ সালের ১৫ জুন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুকে পরাজিত করে জয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত।
আরও পড়ুন: খুলনা সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র সিরাজুল ইসলাম আর নেই
প্রবীণ সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই
১ বছর আগে
কুমিল্লা সিটি নির্বাচন: আওয়ামী লীগের রিফাত মেয়র নির্বাচিত
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মনিরুল হক সাক্কুর জয়ের ধারা পাল্টে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
দুইবারের মেয়র সাক্কুকে মাত্র ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন রিফাত।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটিসহ অন্যান্য স্থানীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হয়েছে: সিইসি
নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুসারে, রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাক্কু ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়েছেন।
পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে রিফাত নৌকা প্রতীক নিয়ে এবং সাক্কু টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
২ বছর আগে
সাক্কুর হ্যাটট্রিক নাকি রিফাতের প্রথম?
কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে বুধবার বহুল আলোচিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের (সিসিসি) মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অন্যতম বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে প্রথম বড় নির্বাচনও এটি।
এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো বিরতি ছাড়া ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নগরবাসীর মতে, কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সদ্য সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এগিয়ে রয়েছেন।
এছাড়া মেয়র পদে আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান বাবুল ও মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন।
ইউএনবির সাথে আলাপকালে কুমিল্লা সিটির দুইবারের মেয়র সাক্কু সুষ্ঠু নির্বাচন হলে হ্যাটট্রিক জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ বরেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু করতে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী: পুলিশ সুপার
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও স্থানীয় প্রভাবশালী দলের নেতারা ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী ফলাফল প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটি বিশ্বাসযোগ্য পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন সাক্কু।
এদিকে, আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রিফাত সুষ্ঠু ভোট এবং জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।
তিনি বলেন, নগরীর উন্নয়নে ভোটাররা একজন সৎ ও যোগ্য প্রার্থী হিসেবে আমাকে নির্বাচিত করবেন। দুর্নীতি থেকে মুক্তি ও নগরীর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জনগণ মেয়র পদে পরিবর্তন চায়।
উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন এবং সকল ভোটার নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রিফাত।
নগরীর ২৭টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের অধীনে প্রায় দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন মানুষের ভোটাধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি থেকে কুমিল্লা সিটি মেয়র সাক্কু আজীবন বহিষ্কার
এছাড়া নির্বাচনে ২৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১০৬ জন এবং সংরক্ষিত ৯টি আসনে ৩৬ জন নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
১৬ সদস্যের একটি নিরাপত্তা দল প্রতিটি ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। তবে এসব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ বলছে ইসি। এছাড়া ১৫ সদস্যের আরেকটি নিরাপত্তা দল প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্র পাহারা দেবে।
নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ও নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে মোবাইল ফোর্স হিসেবে ২৭টি টিম (পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে), স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ৯টি দল এবং সংরক্ষিত বাহিনী হিসেবে দুটি দল রয়েছে।
এছাড়া নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে ২৭টি ওয়ার্ডে র্যাবের ২৭টি টিম রয়েছে। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের শাস্তি নিশ্চিতে ৯ জন বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট এবং ২৭ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন।
গত ২৫ এপ্রিল ইসি এ সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে এবং গত ১৭ মে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সময়সীমা শেষ হয়।
২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। ২০১১ ও ২০১৭ সালে প্রথম দুটি নির্বাচন হয়। এ দুই নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।
এছাড়া বুধবার সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় একটি উপজেলা পরিষদ, পাঁচটি পৌরসভা এবং ১২৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে হবে বলে মঙ্গলবার ইসি থেকে দেয়া তথ্যপত্রে জানানো হয়েছে।
একই দিনে একটি উপজেলা পরিষদ, একটি পৌরসভা ও ৪৪টি ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকটি পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২ বছর আগে