গৃহগণনা
জনশুমারি দেশের সঠিক চিত্র তুলে ধরবে: শিক্ষামন্ত্রী
দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার বাস্তবতার সঠিক চিত্র প্রদানে জনশুমারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার চাঁদপুরের নিজ বাসভবন থেকে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, জনশুমারির মাধ্যমে শিক্ষার সঠিক হার জানা যাবে এবং আমরা দেশের প্রকৃত চিত্র দেখতে পাবো।
বুধবার সারাদেশে ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মঙ্গলবার মধ্যরাতে জনশুমারি শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আজ রাত থেকে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু
তিনি বলেন, কত মানুষ নিরক্ষর থেকে গেছে, কতজন শিক্ষিত এবং তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থা আদমশুমারির মাধ্যমে জানা যাবে, যা বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা প্রণয়নে সহায়তা করবে।
বাংলাদেশে এই প্রথম সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে জনগণনা শুমারি করছে।
এর আগে মঙ্গলবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় তিন দশমিক ৭০ লাখ গণনাকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন।
বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি ১৯৭৪ সালে পরিচালিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ এবং ২০১১ সালে এটি পরচালিত হয়।
আরও পড়ুন: জনশুমারি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
২ বছর আগে
বাংলাদেশে আজ রাত থেকে ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা শুরু
বাংলাদেশের ষষ্ঠ জনশুমারি ও গৃহগণনা আজ রাত ১২টা থেকে শুরু হতে যাচ্ছে যা দেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জাতিসংঘের নির্ধারিত তিন ধরনের গণনা পদ্ধতি অনুযায়ী সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দেশের পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য ১৫ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার গণনাকারী তথ্য সংগ্রহ করবেন।
আরও পড়ুন: জনশুমারি উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন রাষ্ট্রপতি
জনশুমারিতে নথিভুক্ত করার জন্য গণনাকারীদের সহযোগিতা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ৩৫টি মাপকাঠিতে মানুষের তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে যাতে সরকার এই তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পরিষেবার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব নাগরিকের তথ্য নিরাপদে সংরক্ষণ করা হবে এবং বিবিএস ছাড়া কেউ ডেটার সার্ভারে প্রবেশ করতে পারবে না বা ডেটা বিকৃত করতে পারবে না।
বিবিএস বিভিন্ন পর্যায়ে গণনাকারীদের জন্য তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়ার একটি ট্রায়াল সম্পন্ন করেছে এবং প্রতি ১০০ পরিবারের জন্য একটি শুমারি এলাকা প্রণয়ন করেছে।
দেশজুড়ে নির্ধারিত সময়ে বিশাল কাজ করার জন্য ডিজিটাল উপাত্ত সংগ্রহের জন্য প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি অভিযোজনও সম্পন্ন হয়েছে। এটি মোবাইল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট (এমডিএম) ও কম্পিউটার অ্যাসিস্টেড পার্সোনাল ইন্টারভিউয়ের (সিএপিআই) মাধ্যমে ডিজিটালভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
আরও পড়ুন: জনশুমারি শুরুর প্রাক্কালে ১৪ জুন জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
বিবিএস জানিয়েছে, জনশুমারি ও গৃহগণনার মূল উদ্দেশ্যগুলো হলো- প্রতিটি বাড়ি ও পরিবারের সদস্য গণনা করে মোট জনসংখ্যা গণনা করা; দেশে বাড়ি-ঘরের সংখ্যা নির্ধারণ করা; সার্বিক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য তথ্য সংগ্রহ; স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণের জন্য তথ্য প্রদান এবং জাতীয় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে তথ্য প্রদান করা।
বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি হয় ১৯৭৪ সালে। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১ ও ২০১১ সালে জনশুমারি ও গৃহগণনা অনুষ্ঠিত হয়।
২ বছর আগে