নৌ বন্দর
‘শতকোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে আধুনিক নৌ বন্দর নির্মাণ হবে’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা বলেছেন, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চাঁদপুরে তিনশ’ ফুট দৈর্ঘের আধুনিক নৌ-বন্দর নির্মাণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকা-চাঁদপুর নৌ-রুট ব্যবস্থাপনা অনেক ভালো। খুব অল্পসময়ের মধ্যেই আসা-যাওয়া করা যায়। এই নৌপথের যাত্রা অনেক নিরাপদ ও সাশ্রয়ী। নিরাপদ ও বিলাস বহুল নৌযান থাকার কারণে এই অঞ্চলের যাত্রীরাও এই রুটে বেশি আসছে।’
শুক্রবার (২৬ মে) দুপুরে চাঁদপুর শহরের মাদরাসা রোডে অস্থায়ী বিকল্প লঞ্চঘাট ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবিত আধুনিক নৌবন্দর ভবন নির্মাণের স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশে এখন সদরঘাটের পরে যাত্রী সংখ্যা বিবেচনা করে চাঁদপুর একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। দীর্ঘদিন যাবত এ বন্দরের কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার এ বন্দরকে উন্নয়ন করতে যথেষ্ট উৎসাহী। চাঁদপুরবাসীর দিকে তাকিয়েই এ সরকার ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের উদ্যোগে একটি আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আশাকরি অতি শিগগিরই আমরা নৌবন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব।’
আরও পড়ুন: আবারও ভাঙন ঝুঁকিতে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ
তিনি জানান, ‘বিশ্বব্যাংক চাঁদপুর নৌ বন্দর নির্মাণের জন্য প্রায় একশ’ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। দরপত্র আহ্বানের পর আগামী জুন মাস থেকে এর নির্মাণ কাজ শুরু করবে। এই জন্য ভারতীয় দুটি এবং বাংলাদেশের আরো একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ শুরু করে আগামী দুই বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে।’
পরিদর্শনকালে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. মাশহাদ উদ্দিন নাহিয়ান, চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন, বিআইডাব্লিউটিসি হরিণা ফেরিঘাটের ম্যানেজার (বাণিজ্য) ফয়সাল আলম চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএর সিপিএস আব্দুল্লাহিল বাকী, চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফরিদা ইলিয়াছ, নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামানসহ বিআইডাব্লিউটিএর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, বিআইডাব্লিউটি চেয়ারম্যান চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি রুটের শরীয়তপুর অংশের আলু বাজার ও চাঁদপুর অংশের হরিণা ঘাট এবং হাইমচরের নায়ারহাট লঞ্চঘাট পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: চাঁদপুর রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
চাঁদপুরের জেলেরা ইলিশ ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছে
১ বছর আগে
চট্টগ্রাম বন্দরে যুক্ত হচ্ছে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট
চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টাগবোট যুক্ত হচ্ছে। বিদেশি বড় জাহাজের বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বাড়াতে ১৪৫ কোটি ২২ লাখ ৫৬ হাজার টাকায় ব্যয়ে কেনা নতুন দুটি শক্তিশালী টাগবোট বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বন্দরে ভিড়বে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চীনে তৈরি ‘কাণ্ডারী-৩’ ও ‘কাণ্ডারী-৪’ নামের টাগবোট দুইটি বুধবার রাতে চীন থেকে বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছেছে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, ৫০০০ বিএইচপি/৭০ টন বোলার্ড পুলের উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন দুটি নতুন টাগবোট কেনার লক্ষ্যে চলতি বছরের চীনের চিঅয় লি শিপইয়ার্ড লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তির কাজ সম্পন্ন করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কন্টেইনার ওঠানামায় চট্টগ্রাম বন্দরের রেকর্ড: চেয়ারম্যান
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা জাহাজের নিরাপত্তা বৃদ্ধি, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জাহাজগুলোকে সহায়তা দেয়া, কর্ণফুলী চ্যানেলের নৌ-সংরক্ষণে সহায়তা দেয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম এগুলো ব্যবহার হবে। এছাড়া বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তুলনামূলক বড় জাহাজ ভেড়ানোর সুবিধা সৃষ্টি করা, চট্টগ্রাম বন্দর/মহেশখালী/কুতুবদিয়া এলাকায় গৃহীত প্রকল্প ও জেটিগুলোতে অধিক সংখ্যক বড় জাহাজ বার্থিং, আনবার্থিং এবং কার্গো হ্যান্ডলিং ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই টাগবোট সংগ্রহ প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী টাগবোট দুটি বৃহস্পতিবার বন্দরের জেটিতে পৌঁছবে। এ লক্ষ্যে বন্দরের ১ নম্বর বার্থের নবনির্মিত সার্ভিস জেটিতে টাগবোট দুইটির জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন টাগ দুইটির অপারেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য বন্দরের নৌ বিভাগের ২০ জন মাস্টার, লস্কর, ইডিএল, ইডি নিয়ে ডেক সাইড ও ইঞ্জিন সাইডের টিম তৈরি করা হয়েছে। তাদের প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী গতিপথ হারালে বন্ধ হয়ে যাবে চট্টগ্রাম বন্দর: বক্তারা
প্রসঙ্গত, সাগর থেকে বন্দর জেটিতে সমুদ্রগামী জাহাজ আনা-নেওয়ার কাজে টাগবোটের সহায়তা নেয়া হয়। এছাড়া এক জেটি থেকে আরেক জেটিতে জাহাজ স্থানান্তরের সময়ও সাহায্যকারী জাহাজ হিসেবে টাগবোট ব্যবহৃত হয়। জাহাজ আনা-নেয়া ছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণ, নদী ও সমুদ্রদূষণ রোধে এটি ব্যবহারের সুযোগ আছে।
২ বছর আগে