গণমিছিল
রাজধানীতে গণমিছিল, সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে
সম্প্রতি শিক্ষার্থী ও নাগরিক হত্যা, গ্রেপ্তার ও নিপীড়নের প্রতিবাদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের' ব্যানারে হাজার হাজার মানুষ শুক্রবার রাস্তায় নেমে আসেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত প্রার্থনা ও গণমিছিল কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শত শত শিক্ষার্থী রাজধানীতে মিছিলের নগরীতে পরিণত করে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাদের সঙ্গে যোগ দেন শিক্ষক ও সংস্কৃতিকর্মীরাও।
গণহত্যা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রাখার আহ্বানে সাড়া দিয়ে শাহবাগ ও জাতীয় প্রেস ক্লাবে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে।
বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম মসজিদে মিছিল নিয়ে পল্টন, প্রেস ক্লাব ও মৎস্য ভবন হয়ে শাহবাগের দিকে রওনা হন বিক্ষোভকারীরা।
উত্তরা, সায়েন্সল্যাব মোড়, উত্তর বাড্ডা, রামপুরা, আফতাবনগর, শাহবাগ এলাকায় সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
দুপুর ১টার দিকে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী সায়েন্সল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিক্ষোভ
ঘটনাস্থল থেকে আমাদের ফটো সাংবাদিক জানান, প্রিজন ভ্যানসহ ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার সকাল ১০টায় উত্তরার রাজউক উত্তরা মডেল কলেজের সামনে থেকে মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
তাদের সঙ্গে যোগ দেন কলেজের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক ও অভিভাবকরা। দুই ঘণ্টার বিক্ষোভের কারণে কলেজের সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
'আর্টিস্ট অ্যাগেইনস্ট জেনোসাইড অ্যান্ড অপ্রেশন’ প্লাটফর্মের শিল্পীরা শুক্রবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সমাবেশ করেন।
তারা সাত মসজিদ রোডের আবাহনী মাঠের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন বলে ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন ইউএনবির ফটো সাংবাদিক।
আরও পড়ুন: খুলনায় বৈষম্যবিরোধী সমাবেশে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ
তারা দমন-পীড়ন ও গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং কারফিউ তুলে নিয়ে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা এবং সব হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে সরকারের পদত্যাগের দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, চলমান রাষ্ট্রীয় অন্যায়, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো শিল্পী সমাজের কর্তব্য বলে মনে করেন তারা।
৯ দফা দাবিতে শুক্রবার দেশব্যাপী প্রার্থনা ও গণমিছিল ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল কাদেরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এতে বলা হয়, যারা শহীদ, আহত, গ্রেপ্তার বা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাদের স্মরণে এ ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হচ্ছে।
বরিশাল, খুলনা ও চট্টগ্রাম থেকে ইউএনবির সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও মিছিল করেছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে গণহত্যা-নিপীড়নবিরোধী শিল্পীদের প্রতিবাদ সমাবেশ, সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ
৩ মাস আগে
ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবিতে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শান্তিপূর্ণ গণমিছিল করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শুক্রবার (২ আগস্ট) পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সারা দেশে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' ক্যাম্পেইন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
৩ মাস আগে
রাজধানীর শান্তিনগরেই থেমে গেল ইসলামী আন্দোলনের গণমিছিল
পুলিশের বাধায় রাজধানীর শান্তিনগর মোড়ে শেষ হয়েছে ‘দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা তফসিল জনগণ মানে না’ ব্যানারে শুরু হওয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণমিছিল।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটক থেকে শুরু হয়ে নাইটেঙ্গেল মোড়, কাকরাইল হয়ে শান্তিনগর চৌরাস্তায় পুলিশের বাধার মুখে পড়ে গণমিছিলটি।
মিছিলটি শুরু হওয়ার পর থেকে এ সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে বিকাল সোয়া ৪টা থেকে এসব সড়ক দিয়ে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
এক দফা আন্দোলন: রাজধানীতে কালো পতাকা নিয়ে বিএনপির গণমিছিল শুরু
১১ মাস আগে
ঢাকায় শনিবার গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দল
বিএনপি ও তার সমমনা বিরোধী দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে তাদের যৌথ কর্মসূচি গণমিছিল ও গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের এটি হবে ষষ্ঠ কর্মসূচি।
বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখাসহ অন্যান্য দল ও জোট পৃথকভাবে মিছিল করবে।
দুপুর ২টায় কমলাপুর রেলস্টেশনের কাছে থেকে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা একটি মিছিল বের করবে যা নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি নেতা খন্দকার মোশাররফ
এদিকে মহানগর উত্তর শাখা একই সময়ে রামপুরা থেকে একটি মিছিল শুরু করবে যা নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বম ঐক্য, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ সদর ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবেন।
এ বছরের ১২ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক রাজবন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সব ‘মিথ্যা ও সাজানো মামলা’ প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত ডিসেম্বরে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: অনির্বাচিত ও দায়িত্বজ্ঞানহীন মেয়র-কমিশনারদের উদাসীনতায় ডেঙ্গুর খারাপ পরিস্থিতি: বিএনপি
এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
১ বছর আগে
এক দফার আন্দোলন: শনিবার ঢাকায় গণমিছিল করবে বিএনপি
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে দলের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে গণমিছিল করবে বিএনপি।
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, একদফা দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী শনিবার ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর শাখার উদ্যোগে পৃথক গণমিছিল করা হবে।
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ছোট-বড় সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান ফখরুলের
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ মহানগর শাখার নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর কর্মসূচির সময় ও রুট ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম জানান, শনিবার বিকালে বিএনপির ঢাকা মহানগর শাখা পৃথক মিছিল বের করবে এবং বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হবে।
রিজভী বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট যারা বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে তারাও একই দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই কর্মসূচি পালন করবে।
এটি হবে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের ষষ্ঠ কর্মসূচি।
গত ৯ আগস্ট বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও গায়েবী মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল করা।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ এবার আর পার পাবে না: ফখরুল
১ বছর আগে
এক দফা আন্দোলন: রাজধানীতে কালো পতাকা নিয়ে বিএনপির গণমিছিল শুরু
বিএনপির একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর নয়াপল্টন ও শ্যামলী এলাকায় কালো পতাকা হাতে পৃথক দুটি মিছিল করেছেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখার নেতা-কর্মীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।
এদিন বিকাল ৪টা ২০মিনিটে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শোভাযাত্রাটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দয়াগঞ্জে গিয়ে শেষ হবে।
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত ভাষণে এই নেতা বিএনপি নেতা-কর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তারের জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তিরস্কার করেন।
তিনি বলেন, কিছু অশিক্ষিত লোক যারা দেশকে নয়, অর্থকে ভালোবাসে, তারা তাদের অপকর্ম ও দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীরা জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে রাস্তায় নামলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের ওপর গুলি চালায় এবং তাদের হত্যা করে। ‘আপনারা কেন এমন করেন? আপনারা কি বিদেশি?’
তিনি বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও ইউটিলিটি সেবার দাম কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে, কিন্তু সরকার তা করতে পারছে না। কারণ তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আর ক্ষমতায় থাকলে মানুষের টিকে থাকা খুবই কঠিন হবে এবং দেশের স্বাধীনতা ও অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
ভারতের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশটি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়। আমি তাদের বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করার আহ্বান জানাতে চাই, কোনো সরকার বা দলের সঙ্গে নয়।
আব্বাস বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে আগামী নির্বাচন একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে হতে হবে।
এদিকে, বিকাল ৪টার দিকে নগরীর শ্যামলী রিং রোডে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেষ হবে।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে খসরু বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার শপথ নিয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ গণতন্ত্রের পক্ষে তাদের অবস্থান থেকে কখনো পিছু হটেনি এবং তারা সব সময় বিজয়ী হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
১ বছর আগে
শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা মিছিল করবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকায় কালো পতাকা নিয়ে গণমিছিল বের করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের এটি পঞ্চম কর্মসূচি।
শনিবার এক দফা দাবিতে সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোট পৃথকভাবে কালো পতাকা নিয়ে গণমিছিল বের করবে।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মিছিল বের করবে মহানগর দক্ষিণ শাখা। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস গণমিছিলের উদ্বোধন করবেন এবং এটি শেষ হবে দয়াগঞ্জে।
মহানগর উত্তর শাখার মিছিলটি শ্যামলী রিং রোড থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ডে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, গণঅধিকার পরিষদের দুই অংশ, এবি পার্টি, জনতার অধিকার পার্টি ও এনডিপি পৃথকভাবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
এর আগে, ১৮ আগস্ট (শুক্রবার) বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা দাবি আদায়ে রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
চলতি বছরের ১২ জুলাই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
দলটির এই দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন, অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দির মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা’ ও ‘বানোয়াট’ মামলা প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল।
আরও পড়ুন: এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
১ বছর আগে
এক দফা আন্দোলন: বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর ইউনিটের গণমিছিল
একদফা আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার রাজধানীর দয়াগঞ্জ ও গুলশান এলাকায় পৃথক দুটি মিছিল করেছে বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর শাখা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ এক দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টির জন্যই এই কর্মসূচি পালন করছে দলটি।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে দয়াগঞ্জে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক ঘুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
কর্মসূচি শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি নেতা চলমান আন্দোলন দমন করতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর নিপীড়ন চালানোর জন্য সরকারের সমালোচনা করেন। তিরি বলেন, ‘গোটা দেশ দৃশ্যত জেলখানায় পরিণত হয়েছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে তারা আমাদের অনেক নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ অর্জনকারী নয়জন পুলিশ কর্মকর্তা এখন সেখানে যেতে পারবেন না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রকে আরও নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানাচ্ছে।
একটি নিরপেক্ষ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মর্যাদার সঙ্গে পদত্যাগ করার আহ্বান জানান ফখরুল।
পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কোনো শর্ত ছাড়াই মুক্তি দিয়ে বিদেশে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপির এ নেতা বলেন, সরকার জনগণের টাকা চুরি করে আগামী নির্বাচনে ব্যবহার করতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছে।
এদিকে বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর গুলশান এলাকায় ডিসিসি মার্কার কাছে ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির মিছিলের উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
সমাবেশে বক্তৃতায় আব্বাস বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় থাকতে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার ক্ষমতা আঁকড়ে ধরার জন্য বিরোধীদের দমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে।
বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধ করতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বিএনপি নেতা।
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিতেও তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কারাগার থেকে তার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা তীব্র আন্দোলন করবেন।
পরে বিএনপির নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এ মিছিল মহাখালী বাসস্টেশনে গিয়ে শেষ হবে।
দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্রতিকৃতি নিয়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী দুই মিছিলে যোগ দেন।
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মঞ্জু), এনডিএম, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের দুই পক্ষ পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করছে।
আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর লক্ষ্য নিয়ে বিরোধী দলের এক দফা আন্দোলনের এটি চতুর্থ কর্মসূচি।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান “ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ” আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব ‘মিথ্যা ও সাজানো’ মামলা প্রত্যাহার এবং সব ‘মিথ্যা সাজা’ বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল এবং জোট একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
বিএনপি ও সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে বিরোধী দলগুলোর এক দফা আন্দোলনের চতুর্থ কর্মসূচি এটি।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখাসহ অন্যান্য দল ও জোট পৃথকভাবে রাজধানীতে জুমআর নামাজের পর গণমিছিল করবে।
বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখা দয়াগঞ্জ থেকে একটি মিছিল শুরু করবে, যা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিকাল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হবে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর কর্মসূচির সূচনা করবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা গুলশান-২ ডিসিসি মার্কেট থেকে মিছিল বের করে বিকাল ৩টার দিকে মহাখালী বাস স্টেশনে গিয়ে শেষ হবে। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
আরও পড়ুন: স্বৈরাচারী এ সরকারের আমলে কেউই নিরাপদ নয়: রিজভী
বিএনপি ছাড়াও গণতন্ত্র মঞ্চ, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণফোরাম ও পিপলস পার্টি, পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি, এনডিএম, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এবং গণঅধিকার পরিষদের দুটি অংশ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।
এ ছাড়া সব মহানগরে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে- বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটেরা ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, বিদ্যমান সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন (ইসি) পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সব রাজনৈতিক বন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং সব মিথ্যা সাজা বাতিল।
গত বছরের ডিসেম্বরে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার অভিন্ন লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনের চেষ্টা করবেন না: মির্জা ফখরুল
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
১ বছর আগে
এক দফা আন্দোলন: শুক্রবার সব মহানগরে গণমিছিল করবে বিএনপি
বিএনপি তাদের এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়কের সরকারের অধীনে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি আদায়ে ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করবে।
এছাড়া অসুস্থ চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে ১৭ ও ১৯ আগস্ট কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সোমবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে কর্মসূচি চূড়ান্ত করে।
তিনি বলেন, বর্তমান অবৈধ, লুটেরা ও ফ্যাসিবাদী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকাসহ সব মহানগরে গণমিছিল করা হবে।
আরও পড়ুন: এবার অবশ্যই শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন হবে: ফখরুল
রিজভী বলেন, বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনকারী অন্যান্য বিরোধী দল ও জোট একই দিনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে একই কর্মসূচি পালন করবে।
গত ৯ আগস্ট বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো তাদের এক দফা আন্দোলনের শেষ কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে গণমিছিল করে।
গত ১২ জুলাই বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো দাবি আদায়ে এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেয়।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে বর্তমান ‘ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী, জনগণের ভোট লুটকারী ও অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেওয়া, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন এবং নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ সকল রাজনৈতিক রাজবন্দীর মুক্তি, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল ভূয়া ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল মিথ্যা সাজা বাতিল করা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করতে গত বছরের ডিসেম্বরে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে বিএনপি ও সমমনা দল ও জোট একযোগে আন্দোলন শুরু করে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ৭৯ বছরে পা দিলেন
খালেদার চিকিৎসার জন্য কর্মসূচি
রিজভী বলেন, খালেদার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে তার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে তাদের দল ১৭ আগস্ট সারাদেশে লিফলেট বিতরণ করবে এবং ১৯ আগস্ট মহানগর ও জেলা পর্যায়ে মিছিল করবে।
এছাড়াও, তিনি বলেন, খালেদার দ্রুত রোগমুক্তির জন্য তাদের দলের পক্ষ থেকে বুধবার তাদের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
২০২০ সালের ২৫ মার্চ তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তার বয়স এবং মানবিক কারণে কিছু শর্তে একটি নির্বাহী আদেশে বিএনপি প্রধানকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে বিএনপির শোক
১ বছর আগে