জিরো-টলারেন্স নীতি
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা ভারতের
ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন। যা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা এনেছে৷
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুদৃঢ় হওয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার নয়াদিল্লিতে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থার ওপর নির্ভর করে এবং ভারতের বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিভঙ্গিতে বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ উভয় দেশই যৌথ ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে সম্পৃক্ত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বৈঠকের জন্য সময় দেয়ার জন্য উপ-রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় পররষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ভারতকে নিকটতম প্রতিবেশি হিসেবে বিবেচনা করে এবং দুই দেশ অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার মতো খাতে সহযোগিতার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ গত এক দশকে অর্জিত অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য ভেঙ্কাইয়া নাইডু বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনে আরও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের গৃহীত উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ‘পদ্মা সেতু সৌদি কোম্পানিসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের চোখ খুলে দেবে’