বিদ্যালয় ভবন
সিলেটে বিদ্যালয় ভবন থেকে লাফিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
সিলেটে বিদ্যালয় ভবন থেকে লাফিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে নগরীর বিমানবন্দর থানাধীন সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে খারাপ ফলাফলে কিশোরীর আত্মহত্যা!
পরে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রিয়াংকা গোয়ালা রিংকি (১৩) বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী সে লাক্কাতুরা এলাকার নিরেন গোয়ালার মেয়ে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার সুদীপ দাস বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার প্রকাশিত বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলে প্রিয়াংকা গোয়ালা রিংকি দুই বিষয়ে ফেল করে। সেদিন বিদ্যালয়ে ছিল রিংকি। দুই বিষয়ে ‘ফেল করার বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে’ সেদিন বেলা ২টার দিকে সে বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মারা যায় রিংকি।
এদিকে, রিংকির লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রহণের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর আবেদন করেন তার মা। সে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
ফলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ কুমার চন্দ্র সরকার জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফারদিন আত্মহত্যা করেনি, তাকে খুন করা হয়েছে: বাবার দাবি
সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়ে ফারদিনের আত্মহত্যা: ঘটনা বর্ণনায় র্যাব
১ বছর আগে
মানিকগঞ্জে চারতলা বিদ্যালয় ভবন পদ্মায় বিলীন
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলের একমাত্র এমপিওভুক্ত আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের চারতলা ভবনটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে বিদ্যালয় ভবনটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আওলাদ হোসেন চৌধুরী জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, পদ্মায় পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙন শুরু হয়। গত কয়েকদিনের ভাঙনে ভবনের সামনের অংশের মাটি সরে যায়। দুপুরে আকস্মিকভাবে ভবনটি নদীতে পড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গত বছর বর্ষায় বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের হুমকিতে থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে। ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হচ্ছিল।
হরিরামপুর উপজেলার চরাঞ্চলের তিনটি ইউনিয়নের একমাত্র এমপিওভুক্ত বিদ্যালয় আজিমনগর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়। সাড়ে চার শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে বিদ্যালয়টিতে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে ৬৬ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ব্যয়ে চারতলা ফাউন্ডেশনে এক তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৯-২০ অর্থবছরে এক কোটি ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বাকি তিন তলা নির্মাণের অনুমোদন পায়।
এদিকে, স্কুলের কাছাকাছি হাতিঘাটা এলাকায় পদ্মা ভাঙনে গত এক সপ্তাহে পূর্ব পাড়ার আশ্রয় প্রকল্পের ১০টি ঘরসহ পাঁচটি বাড়ি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে।
আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আজ (মঙ্গলবার) স্কুল ভবনটি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। আপাতত হাটিঘাটা এলাকায় স্কুলের ক্লাস নেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে বসন্তপুর এলাকায় স্থায়ীভাবে স্কুল তোলা হবে।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, স্কুল ভবনটি আজ দুপুরে পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সুবিধামত জায়গায় নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন, ভাঙনরোধে গত বছর কিছু কাজ করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগেও ভাঙন এলাকায় পরিদর্শন করা হয়েছে। স্কুলটি ভাঙন ঝুঁকিতে থাকায় আমরা দেড় বছর আগেই স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে উপজেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরকে রিপোর্ট দিয়েছিলাম। স্কুল ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধও ছিল।
পড়ুন: পদ্মায় পানি বৃদ্ধি, ভাঙন ঝুঁকিতে ৩৫০ পরিবার
বন্যা: কিশোরগঞ্জে পানিবন্দি লাখো মানুষের দুর্ভোগ চরমে
২ বছর আগে