কেএনএফ
বান্দরবানে কেএনএফের ২ সদস্য নিহত
বান্দরবানের রুমা উপজেলার সৈকত পাড়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে ওই এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে কেএনএএফের দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
এ সময় বেশ কিছু অস্ত্র, গোলাবারুদ ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনা অভিযানে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত: আইএসপিআর
বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
৩ মাস আগে
বান্দরবানে অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার: আইএসপিআর
বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বান্দরবানে সাম্প্রতিক ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
গত ২ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা উপজেলা শাখার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে ওই শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটপাটের চেষ্টা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী। কিন্তু তারা টাকা নিতে ব্যর্থ হয়।
পরদিন বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় লুটপাট করে তারা।
পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ পর্যন্ত রুমা ও থানচি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৭ এপ্রিল পার্বত্য এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান শুরু হয় এবং তখন থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়কারী চেওসিম বমসহ অর্ধশতাধিক সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফের ৫৩ সদস্য আটক
৭ মাস আগে
কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
বান্দরবানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) তৎপরতাকে কেন্দ্র করে ঢাকায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘ডিএমপি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেএনএফ যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল তাদের এখন আর কোনো তৎপরতা নেই। ঈদকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত জঙ্গি তৎপরতার কোনো আগাম তথ্য নেই।’
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
ঢাকায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, কূটনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এখানে ঈদের নামাজ আদায় করবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও জানান, ঈদের জামাতে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ঈদগাহের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঈদগাহ ও এর আশপাশের এলাকায় স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে।
পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রোলিং ও ওয়াচ টাওয়ার দিয়ে নজরদারি চালানো হবে বলেও জানান তিনি।
মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে প্রবেশপথে তল্লাশি চালাবে পুলিশ। গোয়েন্দা ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পুলিশসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ঈদের প্রধান জামাতকে কেন্দ্র করে ১০টি স্থানে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করেছে এবং মুসল্লিরা যাতে নির্বিঘ্নে জামাতে অংশ নিতে পারেন সেজন্য ৮টি সড়ক ডাইভারশন হিসেবে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্পেশাল উইপনস অ্যান্ড ট্যাকটিকস (সোয়াট) এবং বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত সকাল ৭টায়
রাজধানীতে ১৮৪টি ঈদগাহ ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়কালীন নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি পৃথক ব্যবস্থা রাখবে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কাউকে দাহ্য পদার্থ বহন করতে দেওয়া হবে না।
ঈদযাত্রায় যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা অতিরিক্ত ভাড়া নেবেন না। মেট্রোপলিটন এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশ পাহারা দিচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার বদ্ধপরিকর: অতিরিক্ত আইজিপি
৭ মাস আগে
বান্দরবানে কেএনএফের আরও ২ সদস্য গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার
বান্দরবানের রুমা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সোমবার উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, ল্যাপটপ ও ইউনিফর্ম উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
এর আগে রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালোকের বাসা থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে তোলার কথা সংগঠনটি গঠন করেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
৭ মাস আগে
বান্দরবানে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ক গ্রেপ্তার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) প্রধান সমন্বয়ক চেওসিম বমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।রবিবার বান্দরবান সদর উপজেলার সুলকের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক কর্নেল সাজ্জাদ এ তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, এই অভিযান কেএনএফের কার্যক্রম মোকাবিলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেএনএফ প্রধান নাথান বমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের নাম করে সংগঠনটি গড়ে তুলেছিলেন রোয়াল লিন বম ও চেওসিম বম।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
এর আগে অস্ত্রসহ দুই সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদের বিবৃতিতে জানানো হয়।
শনিবার রুমা ও থানচি উপজেলায় শতাধিক সদস্য অভিযান চালায়। বান্দরবানে সন্ত্রাসবিরোধী বৃহত্তর উদ্যোগের অংশ হিসেবে র্যাব এই অভিযান চালায়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এই অভিযান শুরুর বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান। সংবাদ সম্মেলনে সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে সফলভাবে উদ্ধারের পর থানচি উপজেলায় সম্প্রতি ব্যাংক ডাকাতিসহ কেএনএফ এর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়।
এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত উপজেলাগুলোতে উত্তেজনাকর পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসব কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি থানায় আটটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
৭ মাস আগে
বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
বান্দরবানের সদর উপজেলার একটি পাহাড়ি এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহভাজন ৫ সদস্যকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা। এ সময় দুটি আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার করা হয়।
তবে জব্দ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো গত ২ এপ্রিল রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের কাছ থেকে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র কি না তা এখনো জানা যায়নি।
এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গত শনিবার থেকে বান্দরবানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে শতাধিক র্যাব সদস্য অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে জাল নোট জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন এ অভিযানের কথা জানান। শনিবার থেকে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় এ অভিযান শুরু হয়।
এর আগে কেএনএফ সদস্যদের অপহরণের ৪৮ ঘণ্টা পর গত বৃহস্পতিবার র্যাবের মধ্যস্থতায় সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনকে বান্দরবানের বাথেলপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখার ভল্ট থেকে দেড় কোটি টাকা লুটের চেষ্টা চালায় বিচ্ছিন্নতাবাদী দলটি। টাকা নিতে না পেরে তারা ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে।
এ ছাড়া বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করে তারা।
ঘটনার পর উপজেলায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, নিরাপত্তা বাহিনী ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ পর্যন্ত রুমা ও থানচি থানায় ৮টি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোংলায় ১৫ কেজি গাঁজা জব্দ, নারী গ্রেপ্তার
৭ মাস আগে
বান্দরবানের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের অঙ্গীকার সেনাপ্রধানের
বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় বড় আকারের যৌথ অভিযানের ঘোষণা দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সমন্বয়ে এই অভিযান জননিরাপত্তা বজায় রাখার প্রচেষ্টার একটি বড় অগ্রগতির চিত্রায়ন করছে।
রবিবার বান্দরবান সেনানিবাসে সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আহমেদ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা এই অপারেশনে সফল হতে প্রকাশ্য ও গোপন উভয় কৌশল প্রয়োগ করছি।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: খাগড়াছড়ির সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার
সাম্প্রতিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড স্থানীয় জনগণকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে জনগণকে আশ্বস্ত করতে জেনারেল আহমেদসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা বান্দরবান সফর করেছেন।
শুক্রবার রাতে বেশ কয়েকজন সশস্ত্র সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তারের পর এই অভিযানের আরও অগ্রগতি হয়। জেনারেল আহমেদের মতে, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করে এমন দলগুলোর বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দৃঢ় সংকল্পের ইঙ্গিত হলো তাদের গ্রেপ্তার করা। তিনি বিশেষভাবে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) কথা উল্লেখ করে জানান, এই দল আগে শান্তি আলোচনায় জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘শান্তির সম্ভাবনা সত্ত্বেও কেএনএফ অপরাধমূলক আচরণে ফিরে গেছে।’
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সোনালী ব্যাংক শাখায় সশস্ত্র ডাকাতি, ম্যানেজার অপহৃত ও দেড় কোটি টাকা লুট
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুনে কোণঠাসা হওয়ার পর তারা আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক বলে মনে হয়েছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখায় বোঝা যায় শান্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার দৃঢ় ছিল না।’
এর আগে সেনাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনকল্যাণে এই মিশনের গুরুত্ব তুলে ধরে অপরাধ দমনে সাহসিকতা ও সতর্কতার আহ্বান জানান জেনারেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সন্দেহভাজন ৫ কেএনএফ সদস্য গ্রেপ্তার, ২টি আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
৭ মাস আগে
ধারণা করা হয় কেএনএফ সদস্যরা থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে, পাল্টা গুলি চালায় পুলিশও
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনাপূর্ণ সংঘর্ষ হয়েছে। যা সহিংসতার একটি উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধিকে তুলে ধরে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাত পৌনে ৮টার দিকে থানচি বাজারের কাছে গুলি বিনিময় শুরু হয়। সশস্ত্র দলটি থানচি থানায় হামলার চেষ্টা করে বলে খবর পাওয়া যায়। এসময় পুলিশও প্রায় ৫০০ রাউন্ড গুলি চালিয়ে পাল্টা জবাব দেয়।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিমউদ্দিন চলমান সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতের অন্ধকারের কারণে হামলাকারীদের শনাক্ত করতে অসুবিধার কথা প্রকাশ করেন। থানচি বাজারের প্রান্তে বিজিবি ক্যাম্প ও সেনা তল্লাশি চৌকির নিকটবর্তী এই থানাটি সংঘর্ষের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
থানচি বাজার কমিটির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামল্লাই ম্রো জানান, যৌথবাহিনী ও কেএনএফ জঙ্গিদের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মামুন আরও জানান, কেএনএফ সদস্য, পুলিশ ও বিজিবি বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো হতাহতের ঘটনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: সোনালী ব্যাংকের অপহৃত ব্যবস্থাপক উদ্ধার
মঙ্গলবার রাতে রুমা উপজেলার সোনালী ব্যাংকে অস্ত্রের মুখে দেড় কোটি টাকা ও ১০টি অস্ত্র লুট করে কেএনএফ আগ্রাসী তৎপরতা শুরু করে।
উপরন্তু, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজহাদ উদ্দিনকে একটি মসজিদে নামাজের সময় অপহরণ করা হয়েছিল, যদিও পরে বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছিল যে ব্যাংকের ভল্ট থেকে কোনও টাকা নেওয়া হয়নি।
বুধবার বিকালে থানচি উপজেলায় কেএনএফ জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে দুটি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতি করলে আরও সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-৭ এর কর্মকর্তারা এই অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার চলমান প্রচেষ্টার কথা তুলে ধরে অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে উদ্ধারের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি: প্রয়োজনে পুলিশ-বিজিবির সঙ্গে যোগ দেবে সেনাবাহিনী, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে
অপহৃত সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপকের মুক্তির জন্য ১৫ লাখ টাকা দাবি কেএনএফের
সোনালী ব্যাংকের বান্দরবান রুমা উপজেলা শাখার অপহৃত ব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনের মুক্তিপণ হিসেবে তার পরিবারের কাছে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেছে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)।
গত মঙ্গলবার ব্যাংকে ডাকাতির সময় তাকে অপহরণ করা হয়েছে।
কেএনএফ থেকে ফোন পাওয়ার কিছুক্ষণ পর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক নাজমুন নাহার।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) সকালে বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজারকে মুক্তি, লুট হওয়া ১৪টি অস্ত্র ও অর্থ ফেরত দেওয়াসহ সব ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম বন্ধ না করা পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনায় বসার কথা নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: কেএনএফ-সেনাবাহিনীর গোলাগলিতে আহত ১, আটক ১
জেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার অবস্থান পরিষ্কার করেন।
জেলা শান্তি কমিটির সভাপতি ক্যশৈ বলেন, গত বছরের ২৯ মে কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার সুবিধার্থে বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে একটি মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
গত ৩০ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্যের শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। পরে জেলায় শান্তি ফেরাতে শান্তি কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও জানান, গত বছরের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ এই গ্রুপের সঙ্গে কয়েকটি ব্যক্তিগত আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং দুটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয় এবং কেএনএফ সমস্ত সশস্ত্র কার্যক্রম স্থগিত করার আশ্বাস দিয়েছিল।
অপরদিকে জেলা থানচি উপজেলা শাখায় বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম বুধবার থেকে বন্ধ রয়েছে।
রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে এবং সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে গত ২ এপ্রিল সোনালী ব্যাংকের রুমা শাখা থেকে দেড় কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যায় বিচ্ছিন্নতাবাদী চক্রটি।
তারাবিহর নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা ব্যাংকের পাহারারত আনসার সদস্যদের কাছ থেকে ১৪টি অস্ত্র লুট করে এবং ব্যাংক প্রাঙ্গণে মসজিদ থেকে ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করে।
বুধবার বান্দরবানের থানচি উপজেলায় সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের একটি শাখায় একই ধরনের ঘটনা ঘটায় কেএনএফ।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফ’র আইইডি বিস্ফোরণে সেনাসদস্য নিহত, আহত ১
৭ মাস আগে
কেএনএফ-সেনাবাহিনীর গোলাগলিতে আহত ১, আটক ১
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্যদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর গোলাগুলিতে একজন কেএনএফ সদস্য আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় রুমা বাজারসংলগ্ন জিঅং পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত কেএনএফ সদস্যের নাম বয়রাম বম (২৫)। তার বাড়ি উপজেলার ব্যাথেল পাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে কেএনএফ এর ৬/৭ জনের একটি সশস্ত্র দল জিঅং পাড়া এলাকায় চাঁদাবাজির জন্য যায়। সে সময় সেখানে সেনাবাহিনীর রুমা জোনের একটি টহল দল সেখানে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফ নেতা গ্রেপ্তার
এ সময় সেনাবাহিনীর সদস্যরা গুলিবিদ্ধ কেএনএফ সদস্যকে অস্ত্রসহ ধরে ফেলে। বাকিরা পালিয়ে জঙ্গলে ঢুকে পড়ে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানিয়েছেন, আহত ব্যক্তির পায়ে ও পেটে গুলি লেগেছে। আহত কেএনএফ সদস্য এখন রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় জনগণ আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে এলাকায়।
তিনি আরও বলেন, এদিকে কেএনএফ তাদের ফেসবুক পেইজে এ ঘটনার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়ী করেছে এবং আহত ব্যক্তি তাদের কোনো সদস্য নয় বলেও তারা জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে কেএনএফের সদর দপ্তর দখল, ১ সেনা সদস্য নিহত
১ বছর আগে