বিলিয়ন ডলার
আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ ২০.৪৬৭ বিলিয়ন ডলার: বাংলাদেশ ব্যাংক
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) কাছে গত মে ও জুন মাসের জন্য ১৪২ কোটি ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই লেনদেনের ফলে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ১৭১ বিলিয়ন ডলার। তবে আইএমএফের বিপিএম৬ নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৪৬৭ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স বাড়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯.৫৩ বিলিয়ন ডলার
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক লেনদেন নিষ্পত্তি ব্যবস্থা এসিইউ’র সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে লেনদেনের সুবিধা দেয়। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো প্রতি দুই মাস অন্তর আমদানির পরিমাণ র্নিধারণ করে থাকে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ ১৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল
৫ মাস আগে
বাংলাদেশ জুলাইয়ে আরএমজি রপ্তানি করে ৩.৯৫ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে: বিজিএমইএ
বাংলাদেশ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে তৈরি পোশাক (আরএমজি) রপ্তানি করে মোট ৩ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। যা ২০২২-২৩ অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ একবছরে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাইয়ে ওভেন পোশাক থেকে আরএমজি রপ্তানি আয় ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২২-২৩ সালের জুলাই মাসে ১ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার থেকে ১ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিজিএমইএ গভীরভাবে শোকাহত
বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান রবিবার (১৩ আগস্ট) এক চিঠিতে জানিয়েছেন, একই সময়ে নিটওয়্যার রপ্তানি বছরে ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উল্লেখিত সময়ের মধ্যে ২ দশমিক ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘এই বৃদ্ধি অবশ্যই চিত্তাকর্ষক। তবে বৈশ্বিক অর্থনৈতিতে এর বিপরীত চিত্র দেখা যাচ্ছে। যদিও আমাদের প্রধান রপ্তানি বাজারগুলোতে মুদ্রাস্ফীতি কমতে শুরু করেছে এবং অর্থনৈতিক সূচকগুলো স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে।
তবুও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানি একটি বড় নিম্নমুখী প্রবণতা দেখাচ্ছে।
তাই বাজারের পূর্বাভাস দেওয়া বেশ চ্যালেঞ্জিং এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি ২০২৩ সালের বাকি সময়ের জন্য আমাদের সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে, কারণ পোশাক এবং সামগ্রিক বৈশ্বিক বাণিজ্য গত বছরের তুলনায় কিছুটা হ্রাস পেতে পারে।’
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিজিএমইএ হাসপাতালের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান বিজিএমইএ সভাপতির
১ বছর আগে
২০২৩’ অর্থবছরে ২১.৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছে, এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ
২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে সরকারি চ্যানেলের মাধ্যমে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স এসেছে, যা এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে রেকর্ড ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল, তখন কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ২০২২ সালে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ৩.১৭% হ্রাস পেতে পারে: আরএমএমআরইউ
রবিবার (২ জুলাই) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সিপিডিসহ বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা মনে করে, হুন্ডির মতো অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমেও বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে।
২০২৩ সালের জুন মাসে, বিদায়ী অর্থবছরের শেষ মাসে প্রবাসীরা ঈদুল আযহার সময় ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ২০২৩’ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ রেমিটেন্স সংগ্রহ ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২’ অর্থবছরে ছিল ২১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। প্রায় তিন বছরের মধ্যে এক মাসে এটাই সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়।
এর আগে, ২০২১’ অর্থবছরের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় ছিল ২ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার।
এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডলার সংকটসহ নানা কারণে সরকার আইনি মাধ্যমে বেশি রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয় আনতে নানা উদ্যোগ নেয়।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রত্যাশিত হারে রেমিটেন্স বাড়েনি।
আরও পড়ুন: কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বেড়েছে রেমিটেন্সের গতি
দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের হুন্ডি পরিহার করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় ১.৭ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ৭৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখন ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত। আর সক্রিয় রয়েছে ১৮২ দশমিক ৫৩ মিলিয়ন মোবাইল সিম। এসব মাধ্যমে দুই হজার ১৭৮টি সরকারি সেবা মিলছে ডিজিটালি। আইসিটি খাত থেকে রপ্তানি আয় এক দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার
রবিবার (স্থানীয় সময়) লন্ডন ম্যারিয়ট হোটেলে যুক্তরাজ্যে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে চারদলীয় জোট সরকারের শাসনামলের সঙ্গে নিজের সরকারের ১৪ বছরে অর্জিত উন্নয়নের পরিসংখ্যান তুলে ধরে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারাদেশে হাইটেক পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার তৈরি করে দিচ্ছি। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আর ইনকিউবেশন সেন্টার ইনস্টিটিউশন গড়ে তোলার আইন কেবিনেটে পাশ হয়েছে। আগামীতে পার্লামেন্টে আমরা পাশ করে দেবো। সমস্ত বাংলাদেশ হবে ডিজিটালাইজড। গড়ে তুলবো স্মার্ট বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্প কার্যকর করার ফলে আজকে গ্রামে বসে বিদেশে কাজ করে পয়সা কামাই করতে পারছে। এখন ছয় লাখ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
বাংলাদেশে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন: নসরুল
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ১৭০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রয়োজন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত ‘ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনোমিক পার্টনারশিপ: শেয়ারড ভিশন ফর স্মার্ট গ্রোথ’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা সভায় ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ভবিষ্যৎ শক্তিশালীকরণ’ শীর্ষক সেশনে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মার্চে আদানির বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তা নেই: নসরুল
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এলএনজি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট ডিস্ট্রিবিউশন, বৈদ্যুতিক যানবাহন অবকাঠামো, উপকূলীয় এবং অফশোর হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানের মতো বিভিন্ন খাত এবং উপ-খাতে লাভজনক বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্যাসের অবকাঠামো উন্নীতকরণ, পেট্রোকেমিক্যাল শিল্প স্থাপন, জিএইচজি নির্গমন কমানো, স্মার্ট গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন হচ্ছে এমন খাতগুলোর মধ্যে যেখানে মার্কিন কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করতে পারে এবং সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশেষ প্রণোদনা দেবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ভিশন বাস্তবায়নের জন্য আর্থিক বিনিয়োগের পাশাপাশি প্রযুক্তিগত এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
তিনি আরও বরেন, বিনিয়োগ শুধুমাত্র বহুপক্ষীয় উন্নয়ন সংস্থা থেকে নয়, সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকেও আসা উচিত।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, শেভরনের বাংলাদেশ অফিসের প্রেসিডেন্ট এরিক ওয়াকার এবং এক্সন মবিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. জন আরডিল।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন প্রায় ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে: নসরুল
জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতে দিনাজপুরে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন: নসরুল হামিদ
১ বছর আগে
এশিয়ায় খাদ্য সংকট মোকাবিলায় ১৪ বিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) মঙ্গলবার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান খাদ্য সংকট কমাতে এবং দীর্ঘমেয়াদী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২০-২০২৫ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১৪ বিলিয়ন ডলার দেয়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে।
এই অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য এডিবি আগে থেকেই বিভিন্ন সহযোগিতামূলক কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। কেননা এ অঞ্চলের প্রায় ১.১ বিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্য ও খাদ্যের দামের কারণে স্বাস্থ্যকর খাবারের অভাব রয়েছে, চলতি বছর যা রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
এডিবি জানায়, খামার স্থাপন, খাদ্য উৎপাদন ও বন্টন, সামাজিক নিরাপত্তা, সেচ এবং পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনার মতো প্রকৃতি-ভিত্তিক বিভিন্ন খাতে চলমান ও নতুন প্রকল্পগুলোতে এ অর্থায়ন করা হবে।
সংস্থাটি আর জানায়, তারা এ অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তায় অবদান রাখে এমন অন্যান্য কার্যক্রমেও বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে। যেমন- জ্বালানি স্থানান্তর, পরিবহন, গ্রামভিত্তিক বাণিজ্যে প্রবেশাধিকার, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা।
আরও পড়ুন: আ.লীগের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যেও হাজারীবাগে বিএনপির সমাবেশ
এডিবি’র ৫৫তম বার্ষিক সভায় বক্তব্য দেয়ার সময় সংস্থাটির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, ‘এই ধরনের সংকটের জন্য এটি একটি সময়োপযোগী ও জরুরি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’
ইউক্রেনের পরিস্থিতির কারণে খাদ্যের প্রধান উপাদান এবং সারের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও মহামারির প্রভাবে আগে থেকেই খাদ্য সরবরাহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া টেকসই চাষের অনুশীলনের অভাবে ইতোমধ্যেই দুর্বল হয়ে পড়া খাদ্য ব্যবস্থা আরও চাপে পড়েছে।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল খাদ্য সংকটের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ এ অঞ্চলের কিছু দেশ খাদ্য আমদানি ও সারের ওপর নির্ভরশীল।
ইউক্রেন সংকটের আগেও এডিবির অনেক স্বল্প-আয়ের সদস্য দেশে জনসংখ্যার উল্লেখযোগ্য অংশের জন্য পুষ্টিকর খাবার ছিল না।
নাজুক লোকেদের সহায়তার পাশাপাশি এডিবি’র খাদ্য নিরাপত্তা সহায়তা উন্মুক্ত বাণিজ্য, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের ফসল উৎপাদন ও জীবিকা উন্নত করবে এবং সারের ঘাটতি কমাবে। সেইসঙ্গে এর দক্ষ ব্যবহার বা জৈব বিকল্পগুলোকে উন্নত করবে, খাদ্য উৎপাদন ও বন্টনে বিনিয়োগে সহায়তা করবে, পুষ্টি বৃদ্ধি করবে এবং সমন্বিত ও প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধানের মাধ্যমে জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি করবে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি থেকে এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশকে রক্ষা করা একটি মূল লক্ষ্য হবে। যার ফলে মাটি, মিঠা পানি ও সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের অবনতি হয়েছে।
মি. আসাকাওয়া বলেছেন, ‘আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করা এবং কৃষক ও কৃষিব্যবসাকে সহায়তা করা। যারা এই অঞ্চলের বেশিরভাগ খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণ করে। এবং তা নিশ্চিত করার জন্য মুক্ত বাণিজ্যকে উৎসাহিত করা, যাতে এটি সঠিকভাবে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছায়।’
এই প্রোগ্রামের অধীনে সহায়তা এই বছর শুরু হবে এবং ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলবে।
এটি এডিবি-এর সার্বভৌম ও বেসরকারি খাতের কার্যক্রম থেকে নেয়া হবে এবং খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বেসরকারি খাতের সহ-অর্থায়নে অতিরিক্ত পাঁচ বিলিয়ন ডলার লাভের চেষ্টা করবে।
এডিবি ২০০৭-২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকটের সময় এবং পরবর্তী বছর তার খাদ্য নিরাপত্তা অপারেশনাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে, তার সদস্যদের সমর্থন থেকে শেখা অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করবে।
তারপর থেকে এডিবি খাদ্য নিরাপত্তায় বার্ষিক বিনিয়োগে দুই বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছে এবং ২০১৮ সালে এডিবি খাদ্য নিরাপত্তাকে একটি মূল অপারেশনাল অগ্রাধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন: পাটখাতের উন্নয়ন,আধুনিকায়ন ও রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে: পাটমন্ত্রী
পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যাবে দেশের পর্যটন শিল্প: প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
১১ মাসে রেকর্ড ৮.৪১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) এ-১১ মাসে ৮ দশমিক ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ।
বর্তমান টাকার বিনিময় হারে এর পরিমাণ ৭৮ হাজার ২২১ কোটি টাকা, যা এক অর্থবছরে এ যাবতকালের সর্বোচ্চ ঋণ। আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ঋণের পরিমাণ ৪৭ শতাংশ বেশি।
ইআরডি কর্মকর্তাদের ধারণা, ২০২২ সালের ৩০ জুন অর্থবছরের শেষ নাগাদ বৈদেশিক ঋণ ৯ বিলিয়ন ছাড়িয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে।
তবে অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা দুই দেশের মধ্যে তুলনা নাকচ করছেন। তারা বলছেন, বৈদেশিক ঋণ এখনো বাংলাদেশের জিডিপির ১৩ শতাংশের নিচে। শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে তা ৫০ শতাংশের কাছাকাছি।
অর্থনীতিবিদ ও গবেষক আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘দুই বছরের মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক এবং এডিবিসহ বিভিন্ন দাতা দেশ ও সংস্থার কাছ থেকে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ঋণ পাওয়ায় এ উল্লম্ফন হয়েছে।
পড়ুন: ২৯ জুন বাজারে নতুন নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
ইআরডি তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিগত অর্থবছর ২০২০-২০২১-এ বাংলাদেশ উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ৭ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার ঋণসহায়তা পেয়েছিল বাংলাদেশ।
এর আগে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ পেয়েছিল যা ২১ অর্থবছর পর্যন্ত দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ছিল।
২০১৭-১৮ অর্থবছর থেকে বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে। একই বছরে এটি এক লাফে ৬ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত হয়। তারপর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে।
পড়ুন: ব্যবসায়িক গ্রুপ থেকে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি কিনবে টিসিবি
২ বছর আগে