বেনাপোল
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আরও ১৯০০ টন আলু আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেনে আরও এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে ৪২টি ওয়াগানে ভারতের পাঞ্জাব থেকে বেনাপোল রেলস্টেশনে এই আলুর চালানটি পৌঁছায়।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার জানান, মঙ্গলবার রাতে পণ্য চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট বাংলাদেশ লজিষ্টিক সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মালদার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিসের প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল ডাবলু বলেন, ‘ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম শেষ করে বুধবার সকালে আলুবাহী ট্রেন নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সেখানে আনলোডের পর আলুগুলো ঢাকা এবং চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে ৩৮ হাজার ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ১৯ লাখ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজি আলুর মূল্য দেখানো হয়েছে সাড়ে ২৮ টাকা। পণ্যের চালানটি দ্রুত ছাড়করণের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
৪ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ১০৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ৯ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারকেরা জানান, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিনা শুল্কে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব চাল আমদানি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩৩টি ট্রাকে ভারত থেকে মোট ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সর্বশেষ আমদানি হয়েছে ১০৫ মেট্রিক টন স্বর্ণা মোটা চাল। শুল্কায়ন শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল বন্দর থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অর্ক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই হাজার মেট্রিক টন আতপ ও তিন হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১০৫ মেট্রিক টন সেদ্ধ স্বর্ণা চাল এরই মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে। যা পরিবহন ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে ৫৩ টাকা।’
শার্শার চৌধুরী অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার হাইব্রিড মোটা চাল ৪৬ টাকা ও স্বর্ণা মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে। নতুন আমন ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এখন থেকে চালের দাম কমতে থাকবে। যদিও এবার অতিবৃষ্টির কারণে চালের উৎপাদন কমেছে। সে কারণে চাল আমদানির প্রভাবও বাজারে থাকবে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে একসপ্তাহে ৯ চালানে ৩৩ ট্রাকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও চালের চালান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আমদানি এভাবে অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজিব জানান, ৯ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার রাতে ১০৫ টনের একটি চালের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে বৃহস্পতিবার সকালে চালের চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
৩ সপ্তাহ আগে
তৃতীয় দিনের ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
তৃতীয় দিনের মতো বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। কোনো সমঝোতা না হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অনেকে অতিরিক্ত খরচ করে বাড়ি ফিরছেন।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘটের ডাক দেয়। এছাড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বাস মালিকদের আলোচনা সভা হলেও কোনো সমাধান হয়নি।
স্থানীয় প্রশাসন বলছে, তারা কেন যে ধর্মঘট ডেকেছে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেনি।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা জানান, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সকল পরিবহনের বাসগুলো পৌরসভার নির্দেশনা মতো চলছিল। ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো যাত্রীদের বেনাপোল চেকপোস্টে নামিয়ে দিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে চলে যাচ্ছিল। হঠাৎ করে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীদের জোরপূর্বক পৌর টার্মিনালে নামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং নানা ধরনের হয়রানি শিকার হন। পরে তাদের লোকাল বাসে করে চেকপোস্টে পাঠান টার্মিনালের থাকা পৌরসভার লোকজন।
প্রশাসনের এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে পরিবহন মালিক সমিতি তিনদিন ধরে পরিবহন ও দূরপাল্লার বাস বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ধর্মঘটে শ্রমিকরা, পণ্য পরিবহন বন্ধ
এদিকে রবিবার (২৪ নভেম্বর) সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে দুই পক্ষই তাদের সিদ্ধান্তে অটল থাকায় কোনো সমঝোতা হয়নি।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যানজট নিরসনে নৌপরিবহন উপদেষ্টার নির্দেশে এটা করা হয়েছে। উপদেষ্টার নির্দেশ ব্যতিত আমাদের পক্ষে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়। পৌর টার্মিনাল থেকেই যাত্রী ওঠাতে এবং নামাতে হবে।
অপরদিকে পরিবহন মালিক সমিতি থেকে বলা হয়েছে, আগের নিয়মে বাস চলাচল করতে হবে। তা না হলে তারা বাস চলাচল বন্ধ রাখবেন।
পরিবহন মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, কয়েকদিন আগে শার্শা ইউএনও ও সুধী সমাজের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। সেখানে যানজট নিরসনে নতুন পৌর বাস টার্মিনাল ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী আমরা এই টার্মিনাল ব্যবহার করছি। তবে, যাত্রী হয়রানি ও নিরাপত্তার জন্য শেষ রাতের দূরপাল্লার পরিবহনগুলো যেন সীমান্ত ঘেঁষা পুরোনো টার্মিনালটি ব্যবহার করতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
যশোরের শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজীব হাসান বলেন, কী কারণে তারা (পরিবহন মালিক-শ্রমিক) ধর্মঘট ডেকেছে, আমরা সে বিষয়ে অবগত নই। তাদের কোনো কিছু বলার থাকলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করতে পারে।
বেনাপোল পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু বলেন, প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর কোনো সমঝোতা হয়নি। যাত্রীদের নিরাপত্তাসহ হয়রানির হাত থেকে রক্ষার জন্য আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনঢ় রয়েছি।
আরও পড়ুন: ফুটবলাররা ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই: ঠাঁসা সূচি প্রসঙ্গে রদ্রি
৩ সপ্তাহ আগে
ধর্মঘটে বেনাপোলে বাস বন্ধ, ভোগান্তিতে পাসপোর্ট যাত্রীরা
টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বেনাপোলে পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এতে ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াতকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো শনিবার দিবাগত রাতে এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
যাত্রীদের দ্রুত ইমিগ্রেশন ও কাস্টমসের কাজ শেষ করে ভারত যাতায়াতে সুবিধার জন্য বেনাপোল চেকপোস্টে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিবহন টার্মিনাল নির্মাণ করে সরকার। তবে হঠাৎ করেই চেকপোস্ট টার্মিনালে ভারতগামী যাত্রীদের না নামিয়ে দুই কিলোমিটার দূরে কাগজপুকুর পৌর বাস টার্মিনালে নামানোর সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
বেনাপোল চেকপোস্টের যানজট নিরসনে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে চেকেপাস্ট টার্মিনালেই যাত্রী নামানোর দাবিতে শনিবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনগুলো।
এর ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। পরিবহন বন্ধ থাকায় আশপাশে আত্মীয়-স্বজন থাকলে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন যাত্রীদের অনেকে। অনেকে আবার বেনাপোল থেকে ইজিবাইক ও লোকাল বাসে করে যশোর যাচ্ছেন। সেখান থেকে বাসে বা ট্রেনে করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর-বেনাপোল রুটে ২ ডিসেম্বর থেকে চলবে ট্রেন
এ ব্যাপারে পরিবহন সমিতির সভাপতি বাবলুর রহমান বাবু বলেন, চেকপোস্টের যানজট নিরসনে কয়েকদিন আগে স্থানীয় সুধী সমাজের উপস্থিতিতে যশোর জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আমাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা বাসগুলো চেকপোস্টে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে পৌর বাস টার্মিনালে চলে যাবে।
সেভাবেই সবকিছু চলছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু হঠাৎ করে শুক্রবার রাত তিনটার দিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীদের জোরপূর্বক পৌর টার্মিনালে নামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন এবং নানা ধরনের হয়রানি শিকার হন। পরে তাদের লোকাল বাসে করে চেকপোস্টে পাঠান টার্মিনালের থাকা পৌরসভার লোকজন।
৩ সপ্তাহ আগে
বেনাপোলে কম শুল্কে আরও ২ লাখের বেশি ডিম খালাস
ভারত থেকে আমদানি করা আরও ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিমের চালান খালাস দিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
কম শুল্কের ডিমের চালানটি বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে ডিমের চালানটি প্রবেশ করে।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে ডিমের চালানটি খালাস নিয়েছে।
এদিকে ডিমের এই চালানটি কাস্টমস থেকে ছাড় করতে কাগজপত্র দাখিল করে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ শতাংশ শুল্কের সুবিধা পাবেন আমদানিকারকরা। প্রতিটি ডিম পাইকারি বাজারে ৯ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আরও ২৩২০০০ ডিম আমদানি
বন্দর সূত্রে জানা যায়, ডিমের চালান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশন কাস্টমস থেকে খালাস নিয়েছেন। আগে প্রতিটি ডিমে ১ টাকা ৮৩ পয়সা শুল্ক দিতে হত। এখন ৭৬ পয়সা শুল্ক পরিশোধ করতে হচ্ছে।
এছাড়া এখন থেকে আমদানি করা নতুন চালানের প্রতিটি ডিম ৯ টাকার মধ্যে পাইকারি বাজারে বিক্রি করতে হবে বলে বন্দর সূত্রে জানা যায়।
বাজারদর নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বাড়াতে গত মাসের ১৭ অক্টোবর শুল্ক কমানোর একটি আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এই নির্দেশনায় গত ২০ অক্টোবর থেকে বেনাপোল কাস্টমসে ডিমের চালান ছাড় করানো হচ্ছে। এদিকে, ডিম আমদানি বাড়ার ফলে বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্তমানে ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা দরে প্রতি হালি ডিম কিনতে পারছে ক্রেতারা।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৫ নভেম্বর থেকে আজ ২১ নভেম্বর পর্যন্ত বেনাপোল বন্দর দিয়ে ১৪ লাখ ৫২ হাজার ৯৯০ পিস ডিম আমদানি হয়েছে। একটি মাত্র আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব ডিম আমদানি করেছে। সরকারের তরফ থেকে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হলেও এসব প্রতিষ্ঠান এখনও ডিম আমদানি করেনি।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রোল্যান্ড সলিউশনের স্বত্ত্বাধিকারীর প্রতিনিধি ইকরামুল হাসান সজিব বলেন, সরকার নির্ধারিত কম শুল্কে বন্দর থেকে ডিম খালাস নিচ্ছি। এখন থেকে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ৫ শতাংশ শুল্কে ডিম খালাস দিচ্ছেন। এখন দাম আগের চেয়ে ৪-৫ টাকা কম। প্রতিটি ডিম বাজারে ৯ টাকার মধ্যে পাইকারি বিক্রি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস ডিম
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজির বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে এক ট্রাক ডিম বন্দরে প্রবেশ করে। যা আমদানিকারক বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে খালাস নিয়েছেন। আমদানিকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ শুল্কায়নে চালান খালাস দেওয়া হয়েছে।
৪ সপ্তাহ আগে
বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু
বেনাপোল বন্দরে স্ট্রোক করে দিনেশ চান যাদব নামে এক ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তুলার চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে ২৫ নম্বর শেডে টিটিআই এসিড মাঠে তুলাবোঝাই ট্রাকটি রাখেন।
আরও পড়ুন: বাবার সিএনজি অটোরিকশায় নানাবাড়ি যাওয়ার সময় বাস চাপায় ২ শিশু নিহত
নিহত ট্রাকচালক দিনেশ চাদ যাদব (৫২) ভারতের উত্তর প্রদেশের আহমেদ নগর জেলার জালালপুর এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতীয় এক ট্রাকচালকের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবীর তরফদারকে জানাই। বন্দর পরিচালক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি ও পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীকে জানান। তবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা যান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ট্রাকচালকের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত, আহত ২
১ মাস আগে
ফরিদপুর হয়েই চলবে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস
অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট আপাতত পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ট্রেন দুটি বেনাপোল ও খুলনা থেকে ছেড়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ভাঙ্গা স্টেশন হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
মঙ্গলবার একই দাবিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর রেলস্টেশনে জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সমন্বয়ক আরবার ইতু বলেন, বিগত সরকারের সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করার পর সেটি লাভজনক অবস্থায় যায়। প্রতিদিনই আপডাউন ট্রেনের সিট ফাঁকা থাকে না। তাহলে কেন এই রুটের ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে। ফরিদপুর রাজবাড়ি কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কোনোভাবেই এ রুটের ট্রেন দুইটিকে বাতিল করা চলবে না। প্রয়োজনে অন্য রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন সংযোজন করা হোক।
ফরিদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশনমাস্টার সুজাত আলী সরদার বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদেরকে এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আন অফিসিয়ালি আমরা জানতে পেরেছি যে এই রুটের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় রুটিন অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
এর আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১০৫’ ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে আটকে বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে রবিবার ‘মধুমতী এক্সপ্রেস’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের দুইটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় ফরিদপুরসহ আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
১ মাস আগে
বেনাপোলে রাজস্ব আয় কমেছে ২৪০ কোটি টাকা
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সংসদে ৭.৯৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪.৮ লাখ কোটি টাকা
এ সময় পণ্য আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন। আর রপ্তানি করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি কমিয়েছেন। তারা দেশের পরিস্থিতি দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতি পাবে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, গত আগস্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের পরিস্থিতি কীভাবে চলবে তা পর্যবেক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। অনুকূল পরিবেশ থাকলে সামনে বাণিজ্য গতি ফিরে আসবে।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, দেশে জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলন চলায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সামনে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে। সরকার পরিবর্তনে ব্যবসা বাণিজ্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি দেখছেন। আবার ডলারের উচ্চমূল্যও একটি বড় ব্যাপার। তবে আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে বাণিজ্য গতি পাবে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, গেল জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে আন্দোলন চলার কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি থেকে বিরত থেকেছেন। এখন ডলারের পরিস্থিতিও স্থিতিশীল। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে ব্যবসায়ীরা পুরোদমে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করবেন। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থল বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয়
১ মাস আগে
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে এসব ডিম আমদানি করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
দ্বিতীয়বারের মতো বন্দর দিয়ে ডিমের চালান আমদানি হলো। এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১ হাজার ১০৪ বাক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য ৫ টাকা ১৬ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে এই ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমদানি করা ডিম খাওয়ার উপযোগী কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। আমদানিকারকের আমদানি ডকুমেন্টস পেয়েছি। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালানটি খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
২ মাস আগে
বেনাপোল দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিকটন ইলিশ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিক টন ইলিশ।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন, গত শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন, গত রবিবার ৬ ট্রাকে ১৯ টন, গত সোমবার ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন।
মঙ্গলবার ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ টন এবং আজ শনিবার সন্ধ্যার পর ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ২২ দিন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার। যা বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ীই ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, বেনাপোল দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিক টন ইলিশ।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
২ মাস আগে