বেনাপোল
বেনাপোল থেকে ফেরত এলো বাংলাদেশের ৪ পণ্যবাহী ট্রাক
বাংলাদেশকে দেওয়া দীর্ঘদিনের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা প্রত্যাহার করায় বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে চারটি বাংলাদেশি পণ্যবাহী ট্রাক ফেরত পাঠিয়েছে ভারত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পণ্যবাহী ওই ট্রাকগুলো বেনাপোল থেকে ঢাকায় ফিরে আসে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় দেশে যাওয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। এতে বুধবার থেকে ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সময় ও খরচ সাশ্রয়ী বাণিজ্য করার প্রচলিত এই পথ বন্ধ হয়ে যায়।
ভারতের নিষেধাজ্ঞায় বেনাপোল বন্দর থেকে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেডের ৪ টি ট্রাক ফিরে এসেছে।
ভারতের পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়াডিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করতে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় একটি চিঠি ইস্যু করেছে কাস্টমসে। এই চিঠির আলোকেই ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার পণ্য বেনাপোল থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ বন্ধ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পণ্যের ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করল ভারত
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি আলহাজ মহসিন মিলন জানান, ‘ভারত সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত দুই দেশের বাণিজ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে টানাপোড়েন তৈরি করবে। আমরা আশা রাখছি ভারত সরকার তাদের এই সিদ্ধান্ত পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রাখবেন।’
বেনাপোলের সিএন্ডএফ ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ বলেন, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় বেনাপোল থেকে চারটি রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক ফেরত গেছে। এতে রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত সরকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস থার্ডকান্ট্রির পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। এতে সেসব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে ঢুকতে পারছে না। তবে ভারতের অভ্যন্তরে রপ্তানির উদ্দেশ্যে আসা অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক রয়েছে।
৩ দিন আগে
বেনাপোলে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামে জমিজমা সংক্রান্ত সালিশ চলাকালীন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হাতবোমার বিস্ফোরণে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। এসময় ১০ থেকে ১২টি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার বালুন্ডা উত্তর পাড়ায় একটি সালিশ বৈঠকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এদিন গ্রামে অহিদ বিশ্বাস ও ফজলু বিশ্বাসের মধ্যে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনের সালিশ বৈঠক বসানো হয়েছিল। এসময় ৫ নম্বর পুটখালী ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি কামরুল ও ৫ নম্বর বালুণ্ডা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কবিরুলের সমর্থক ও নেতাকর্মীরা বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ায়।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হলে কবিরুলের ৫ সমর্থক ও নেতাকর্মী আহত হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে ২ জনকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় এবং বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, গুলিবিদ্ধ ১
আহতরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার বালুন্ডা গ্রামের ওম্বত আলীর ছেলে ইরফান আলি (৩৫),সুলতান মল্লিকের ছেলে আবুজর(২৩) আব্দুল গণির ছেলে মোকারুল(৮) তাহাজ্জত মোড়লের ছেলে আবু সিদ্দিক(৪৫) ও পুটের ছেলে জালাল উদ্দিন(৩২)।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা শুরু হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানান তিনি।
৫৬ দিন আগে
আমদানি কমলেও বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আদায় বেড়েছে
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি কমলেও প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আহরণ বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব পড়েছে আমদানিতে। এর ফলে কমেছে বাণিজ্যের গতি। তবুও রাজস্ব আদায়ের ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বেনাপোল কাস্টম হাউস।
চলতি অর্থবছরে এই স্থলবন্দর থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, গত অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় এবার ৭৫৭ কোটি টাকা বেশি আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে।
সূত্র জানায়, যদিও এ সময়ে স্থলবন্দরটি দিয়ে আগের তুলনায় আমদানি ৬ শতাংশ কমেছে, তা সত্ত্বেও এই অর্জনের মধ্য দিয়ে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে পৌঁছে গেছে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার দ্বারপ্রান্তে। এই সময় (জুলাই-ডিসেম্বর) ৩ হাজার ২২৫ কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি, যা বছর জুড়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক।
আরও পড়ুন: দুইদিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি শুরু
বেনাপোলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের বিনিময় হারে ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গত কয়েক বছর ধরে এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি কমায় বছরের শুরুতে রাজস্ব ঘাটতি ছিল প্রায় দ্বিগুণ। তবে বছরের শেষে উচ্চ শুল্কহারে পণ্য আমদানি বেশি হওয়ায় কাস্টম হাউসের রাজস্ব আদায় বেশি হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহজ করতে বেনাপোল বন্দরের শূন্য রেখায় ৪১ একর জমিতে চালু হয়েছে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল, যা বন্দরের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। এই টার্মিনাল চালুর ফলে বাণিজ্য সম্প্রসারণের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে, যা ভবিষ্যতে আমদানি ও রাজস্ব আদায় বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা পালন করবে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বছরজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা আর ব্যাংকে তারল্য সংকটে আমদানি কমলেও ডলারের বাড়তি দাম ও কাস্টমসের নানা পদক্ষেপে রাজস্ব থেকে আয় বেড়েছে। আমদানি কিছুটা কমলেও রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ হয়েছে। সবার সহযোগিতায় রাজস্ব আয়ে সফলতা এসেছে।’
৬৪ দিন আগে
বাড়তি শুল্ক: আজও বেনাপোল দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ
ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্ক অরোপ করায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ ঘোষণা দিয়েছেন আমদানিকারকরা। এর ফলে দ্বিতীয় দিনের মতো এই স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। ফলে বাড়ছে ফলের দাম। আমদানি বন্ধ থাকায় সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের লোকসান হচ্ছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দেন আমদানিকারকরা। এর ধারাবাহিকতায় আজও (বুধবার) আমদানি বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন।
এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০ ট্রাক ফল আমদানি হয়। এর মধ্যে রয়েছে— আপেল, আঙুর, কমলা, মালটা ও আঙুরসহ বিভিন্ন ফল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফল আমদানিকারক আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের জন্য সরকারকে এর আগে বাংলদেশ ফ্রেস ফুড অ্যাসোসিয়েশন আল্টিমেটাম দিয়েছে। যেহেতু সেটা সরকার প্রত্যাহার করেনি, সেজন্য আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছি। আসন্ন রমজান উপলক্ষে ফল আমদানিতে শুল্ক যদি কমানো না হয়, তাহলে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে ফলের দাম। ফলে ভোগান্তিতে পড়বে সাধারণ মানুষ।’
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মহসিন মিলন বলেন, ‘হঠাৎ করে গত মাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে সরকার, যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোলসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরে।’
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি নূরউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ১০ শতাংশ অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ফল আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে। আজকের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে আগামীতে বড় কর্মসূচি দেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত শুল্কারোপ, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল অমদানি বন্ধ
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন কবীর তরফদার বলেন, ‘ফল ব্যবসায়ীদের ধর্মঘটে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফল আমদানি বন্ধ রয়েছে। আজও ভারত থেকে কোনো ফলের ট্রাক বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেনি।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার সুশান্ত পাল বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে। সকাল থেকে কোনো ফলের ট্রাক এই বন্দরে প্রবেশ করেনি। অতিরিক্ত শুল্ক প্রত্যাহারের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ফল আমদানি বন্ধের আলটিমেটাম দিয়েছেন ফল ব্যবসায়ীরা। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৬০ থেকে ৭০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। এখন তা কমে অর্ধেকে নেমে এসেছে।’
এভাবে চললে আসন্ন রমজান মাসে ফলের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
৬৭ দিন আগে
বেনাপোলে বিদেশি মদসহ বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ
বেনাপোল অভিযান চালিয়ে বিদেশি মদ, ভারতীয় কম্বল, থ্রি পিচ, তৈরি পোশাক, ঔষধ, মলম এবং কসমেটিক্স সামগ্রী জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকালে চেকপোস্ট এলাকা থেকে এসব ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করা হয়।
জব্দ করা এসব পণ্যের মূল্য প্রায় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা বলে জানায় বিজিবি।
বিজিবি জানায়, চোরাকারবারীরা শুল্ককর ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বিভিন্ন প্রকার চোরাই পণ্য চেকপোস্ট এলাকায় এনে রেখেছে। এমন খবরে বিজিবি চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালায়।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, মাদক ও চোরাচালানের পণ্যসহ পাচারকারী চক্রের সদস্যদের আটকে সীমান্তে বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
বিজিবির চোরাচালানবিরোধী এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
৭৫ দিন আগে
বেনাপোলে মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
বেনাপোল সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে ৩০ হাজার মার্কিন ডলারসহ ৪০ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকার ভারতীয় মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড (বাংলাদেশ) বিজিবি।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এতে বলা হয়, শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে শাহজাদপুর সীমান্তে চোরাচালান বিরোধী অভিযানে গামছায় মোড়ানো ৩০ হাজার মার্কিন ডলার জব্দ করে।
আরও পড়ুৃন: মেঘনায় ট্রলারসহ ৫০ মণ জাটকা জব্দ, আটক ৯
এছাড়া বেনাপোলের আমড়াখালী চেকপোস্ট ও বেনাপোল বিওপিসহ বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান ও মাদকবিরোধী অভিযানে ভারতীয় মদ, বিভিন্ন প্রকার ওষুধ, পান মসলা, সিগারেট এবং বিভিন্ন ধরনের কসমেটিকস পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি।
জব্দ করা মালামালের মূল্য প্রায় ৪০ লাখ ৫২ হাজার টাকা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুৃন: এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
৮৪ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১ শর্ত
বেনাপোল বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানিতে ১১টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এসব শর্ত পূরণ করেই এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বেনাপোল কাস্টমস হাউস। তবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, এই আদেশে রপ্তানিকারকদের ভোগান্তি বাড়বে।
নতুন শর্ত অনুযায়ী, ৪০ হাজার ডলারের বেশি মূল্যের পণ্যের চালান অথবা ২০ হাজার পিসের বেশি তৈরি পোশাকের (যেমন শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, আন্ডারগার্মেন্টস) চালান কায়িক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক।
কায়িক পরীক্ষা বলতে বোঝায়, পণ্যের চালান খুলে দেখে নিশ্চিত করা, ঘোষণাকৃত পণ্যের সঙ্গে চালানে থাকা পণ্যের মিল আছে কিনা তা দেখা।
আরও পড়ুন: কর ফাঁকি বন্ধে বেনাপোল কাস্টমসের নতুন উদ্যোগ
এতে আরও বলা হয়েছে, ১২ ধরনের আমদানির পণ্যকে সংবেদনশীল ও শুল্ক ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে প্রসাধনসামগ্রী, সব ধরনের কাপড়, ইমিটেশন জুয়েলারি, ব্যাটারি, মোটর পার্টস, টায়ার ও টিউব, বাইসাইকেল যন্ত্রাংশ, ইলেকট্রনিকস ও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এসব পণ্যের চালানও কায়িক পরীক্ষা করা হবে।
এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম পর্যালোচনা করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও পণ্যের চালানের কায়িক যাচাই-বাছাই করার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার কামরুজ্জামান। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ কার্যকর থাকবে।
৯৫ দিন আগে
বেনাপোলে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ১৬ বাংলাদেশি আটক
ভারত থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় শিশুসহ ১৬ বাংলাদেশি নারী ও পুরুষকে আটক করেছে বডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার(২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- মিন্টু (৩৭), রনি (২৮), জনি (৩২), কমল প্রমানিক (২২) ও আসলাম (৩২)। আবু সালেক (৩৬), বেল্লাল হোসেন (৪১), রফিকুল ইসলাম (২৯), সাকিবুল হাসান (১৭), রাশিদা বেগম (৩৭), রিনা খাতুন (২৭), রাকিবুল ইসলাম (৭), নাজমা খাতুন (৩০), বনানী শিকদার (৩৫), শাহিনুর রহমান (৩৫) এবং জিহাদ (২৭)।
আটকরা পিরোজপুর, নড়াইল ও খুলনা জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।
৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী জানান, আটকরা ভালো কাজের আশায় চলতি বছরের ১৮ এবং ২১ মার্চ সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে।
পরে তারা দালালের মাধ্যমে ধান্যখোলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারত হতে বাংলাদেশে ফিরে আসার সময় ধান্যখোলা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা ১৬ জন বাংলাদেশিকে আটক করে। তাদের মধ্যে ৪ জন নারী, ১১ জন পুরুষ এবং ১ শিশু রয়েছে।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান কর্নেল সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: আটকে রেখে যুবককে ‘পিটিয়ে হত্যা’, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
১০৭ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে আরও ১৯০০ টন আলু আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালবাহী ট্রেনে আরও এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে।
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এর আগে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মালবাহী ট্রেনে ৪২টি ওয়াগানে ভারতের পাঞ্জাব থেকে বেনাপোল রেলস্টেশনে এই আলুর চালানটি পৌঁছায়।’
আরও পড়ুন: ভারত থেকে আলু আমদানি করা ছাড়া উপায় ছিল না: বাণিজ্য উপদেষ্টা
বেনাপোলের রেলস্টেশন মাস্টার জানান, মঙ্গলবার রাতে পণ্য চালানটি খালাসের জন্য আমদানিকারকের পক্ষে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা করেন বেনাপোলের সিএন্ডএফ এজেন্ট বাংলাদেশ লজিষ্টিক সার্ভিস প্রাইভেট লিমিটেড। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চাঁপাইনবাবগঞ্জের মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ। রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের মালদার ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল।
বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিসের প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল ডাবলু বলেন, ‘ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে এক হাজার ৯০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কাস্টমস ও রেলস্টেশনের কার্যক্রম শেষ করে বুধবার সকালে আলুবাহী ট্রেন নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। সেখানে আনলোডের পর আলুগুলো ঢাকা এবং চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির জানান, ভারত থেকে মালবাহী ট্রেনে ৩৮ হাজার ব্যাগ আলু আমদানি হয়েছে। যার ওজন ১৯ লাখ কেজি। পণ্য চালানটির আমদানি মূল্য ৪ লাখ ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজি আলুর মূল্য দেখানো হয়েছে সাড়ে ২৮ টাকা। পণ্যের চালানটি দ্রুত ছাড়করণের জন্য সহযোগিতা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
১১৬ দিন আগে
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ১০৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি
যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে এক সপ্তাহে ৯ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চালবোঝাই তিনটি ট্রাক বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে।
আমদানিকারকেরা জানান, চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার ভারত থেকে মোটা চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে বিনা শুল্কে সেদ্ধ ও আতপ চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসব চাল আমদানি করতে হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরের ৫ কোটি টাকার স্ক্যানিং মেশিন বিকল, বাড়ছে মাদক ব্যবসা
বেনাপোল স্থলবন্দর ও কাস্টমস হাউস সূত্রে জানা গেছে, ১৮ থেকে ২৭ নভেম্বর রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ৩৩টি ট্রাকে ভারত থেকে মোট ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার সর্বশেষ আমদানি হয়েছে ১০৫ মেট্রিক টন স্বর্ণা মোটা চাল। শুল্কায়ন শেষে বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল বন্দর থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
অর্ক ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মফিজুর রহমান বলেন, ‘দুই হাজার মেট্রিক টন আতপ ও তিন হাজার মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল আমদানির অনুমোদন পেয়েছি। এর মধ্যে ১০৫ মেট্রিক টন সেদ্ধ স্বর্ণা চাল এরই মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান আমদানি করেছে। যা পরিবহন ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে ৫৩ টাকা।’
শার্শার চৌধুরী অটো রাইস মিলের স্বত্বাধিকারী রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার হাইব্রিড মোটা চাল ৪৬ টাকা ও স্বর্ণা মোটা চাল ৪৮ টাকা কেজি দরে পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে। নতুন আমন ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করেছে। এখন থেকে চালের দাম কমতে থাকবে। যদিও এবার অতিবৃষ্টির কারণে চালের উৎপাদন কমেছে। সে কারণে চাল আমদানির প্রভাবও বাজারে থাকবে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে একসপ্তাহে ৯ চালানে ৩৩ ট্রাকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আরও চালের চালান বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
আমদানি এভাবে অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম কমে আসবে বলে জানান তিনি।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক সজিব নাজিব জানান, ৯ চালানে ভারত থেকে ১ হাজার ৩০ মেট্রিক টন চাল আমদানি করা হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার রাতে ১০৫ টনের একটি চালের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে প্রবেশ করেছে। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর কাগজপত্র দেখে বৃহস্পতিবার সকালে চালের চালানটি খালাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
১৩৬ দিন আগে