বেনাপোল
বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু
বেনাপোল বন্দরে স্ট্রোক করে দিনেশ চান যাদব নামে এক ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সকালে তার মৃত্যু হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) তুলার চালান নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরে ২৫ নম্বর শেডে টিটিআই এসিড মাঠে তুলাবোঝাই ট্রাকটি রাখেন।
আরও পড়ুন: বাবার সিএনজি অটোরিকশায় নানাবাড়ি যাওয়ার সময় বাস চাপায় ২ শিশু নিহত
নিহত ট্রাকচালক দিনেশ চাদ যাদব (৫২) ভারতের উত্তর প্রদেশের আহমেদ নগর জেলার জালালপুর এলাকার বাসিন্দা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ভারতীয় এক ট্রাকচালকের স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিষয়টি বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবীর তরফদারকে জানাই। বন্দর পরিচালক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাইনি ও পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তীকে জানান। তবে ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকের মধ্যেই স্ট্রোক করে মারা যান।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, বন্দরে ভারতীয় ট্রাকচালকের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ওই ট্রাকচালকের লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষক নিহত, আহত ২
১ সপ্তাহ আগে
ফরিদপুর হয়েই চলবে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস
অবশেষে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট আপাতত পরিবর্তন করা হচ্ছে না। ট্রেন দুটি বেনাপোল ও খুলনা থেকে ছেড়ে রাজবাড়ী, ফরিদপুর ভাঙ্গা স্টেশন হয়ে ঢাকায় চলাচল করবে।
মঙ্গলবার একই দাবিতে রাজবাড়ী ও ফরিদপুর রেলস্টেশনে জেলার সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে আরও এক কিশোরীর মৃত্যু
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি সমন্বয়ক আরবার ইতু বলেন, বিগত সরকারের সময় এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করার পর সেটি লাভজনক অবস্থায় যায়। প্রতিদিনই আপডাউন ট্রেনের সিট ফাঁকা থাকে না। তাহলে কেন এই রুটের ট্রেন পরিবর্তন করতে হবে। ফরিদপুর রাজবাড়ি কুষ্টিয়াসহ আশেপাশের জেলার মানুষের কথা চিন্তা করে আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই কোনোভাবেই এ রুটের ট্রেন দুইটিকে বাতিল করা চলবে না। প্রয়োজনে অন্য রুটে নতুন ট্রেন সংযোজন সংযোজন করা হোক।
ফরিদপুর রেলওয়ের সহকারী স্টেশনমাস্টার সুজাত আলী সরদার বলেন, ‘সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে এখনও আসেনি। রেল মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে আমাদেরকে এখন পর্যন্ত লিখিত বা মৌখিকভাবে কোনো কিছু জানানো হয়নি।’
তিনি আরও বলেন, আন অফিসিয়ালি আমরা জানতে পেরেছি যে এই রুটের বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত পূর্বের ন্যায় রুটিন অনুযায়ী বেনাপোল এক্সপ্রেস এবং সুন্দরবন এক্সপ্রেস চলাচল করবে।
এর আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ‘রাজবাড়ী এক্সপ্রেস-১০৫’ ট্রেন রাজবাড়ী রেলস্টেশনে আটকে বিক্ষোভ করেন। একই দাবিতে রবিবার ‘মধুমতী এক্সপ্রেস’ ও ‘সুন্দরবন এক্সপ্রেস’ ট্রেন আটকে রেখে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে ফরিদপুর-রাজবাড়ীর ওপর দিয়ে বেনাপোল ও সুন্দরবন এক্সপ্রেস নামের দুইটি ট্রেন চলাচল শুরু করে। এতে অল্প সময়ে ঢাকায় যাওয়া-আসার সুযোগ হয় ফরিদপুরসহ আশপাশের কয়েক জেলার মানুষের।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে মদ্যপানে ২ কলেজছাত্রীর মৃত্যু
২ সপ্তাহ আগে
বেনাপোলে রাজস্ব আয় কমেছে ২৪০ কোটি টাকা
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৩৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
এ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। সে অনুযায়ী বছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) মাসে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৫৪৩ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সেখানে আদায় হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সংসদে ৭.৯৭ লাখ কোটি টাকার বাজেট পেশ, রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪.৮ লাখ কোটি টাকা
এ সময় পণ্য আমদানি হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৬১৫ মেট্রিক টন। আর রপ্তানি করা হয়েছে ৯ হাজার ৬৪৯ মেট্রিক টন।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য আমদানি হয়েছিল ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন। এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে আমদানি করা হয়েছিল ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন পণ্য। ২০১৯-২১ অর্থবছরে পণ্য আমদানি করা হয়েছিল ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমদানি করা হয় ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দাম ঊর্ধ্বগতি আর সংকটের কারণ দেখিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়েছেন। বর্তমানে কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী পণ্য আমদানি কমিয়েছেন। তারা দেশের পরিস্থিতি দেখছেন। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক গতি পাবে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক আনু জানান, গত আগস্ট মাসে সরকার পরিবর্তনের পর দেশের পরিস্থিতি কীভাবে চলবে তা পর্যবেক্ষণ করছেন ব্যবসায়ীরা। অনুকূল পরিবেশ থাকলে সামনে বাণিজ্য গতি ফিরে আসবে।
ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, দেশে জুলাই-আগস্ট মাসে আন্দোলন চলায় ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। তবে সামনে আমদানি-রপ্তানি বাড়বে। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে। সরকার পরিবর্তনে ব্যবসা বাণিজ্য কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। ব্যবসায়ীরা দেশের পরিস্থিতি কোথায় যায় সেটি দেখছেন। আবার ডলারের উচ্চমূল্যও একটি বড় ব্যাপার। তবে আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে বাণিজ্য গতি পাবে।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার হাফিজুল ইসলাম জানান, গেল জুলাই-আগস্ট মাসে দেশে আন্দোলন চলার কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানি থেকে বিরত থেকেছেন। এখন ডলারের পরিস্থিতিও স্থিতিশীল। আশা করা যাচ্ছে সামনের মাসগুলোতে ব্যবসায়ীরা পুরোদমে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করবেন। তখন রাজস্ব আদায়ও বেড়ে যাবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থল বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আয়
৩ সপ্তাহ আগে
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে ভারতীয় একটি ট্রাকে করে এসব ডিম আমদানি করা হয়।
বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ জাহিদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
দ্বিতীয়বারের মতো বন্দর দিয়ে ডিমের চালান আমদানি হলো। এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম আমদানি হয় এ বন্দর দিয়ে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ১ হাজার ১০৪ বাক্স ডিম নিয়ে একটি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। প্রতি বক্সে ২১০টি করে ডিম রয়েছে। এসব ডিমের মূল্য ৯ হাজার ৯৬৯ মার্কিন ডলার। প্রতি ডজন ডিমের আমদানি মূল্য শূন্য দশমিক ৪৩ ডলার, বাংলাদেশি টাকায় প্রতিটি ডিমের মূল্য ৫ টাকা ১৬ পয়সা। প্রতি ডজন ডিমের ইনভয়েস মূল্যের ওপর ৩৩ শতাংশ সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে ও সব খরচ মিলিয়ে ১ টাকা ৮৪ পয়সা। প্রতিটি ডিমের মোট মূল্য দাঁড়ায় ৭ টাকা।
ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হাইড্রো ল্যান্ড সলুশন ভারত থেকে এই ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০টি ডিম আমদানি করেছে। ডিমের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান কোলকাতার শ্রী লক্ষ্মী নারায়ণ ভান্ডার। আমদানিকারকের পক্ষে ডিমের চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস দাখিল করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রাতুল ইন্টারন্যাশনাল।
বেনাপোলের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বিনয় কৃষ্ণ বলেন, ‘আমদানি করা ডিম খাওয়ার উপযোগী কি না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ফলাফল ইতিবাচক হয়েছে। আমদানিকারকের আমদানি ডকুমেন্টস পেয়েছি। ডিমের চালানটি দ্রুত খালাসের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ বলেন, ডিমের চালান বেনাপোল বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হয়েছে। রাজস্ব আদায় করে যত দ্রুত সম্ভব ডিমের চালানটি খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, মাঠ পর্যায়ের বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডের কাস্টমস কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজারের চেয়ে বেশি দামে ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেওয়া এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্ধারণ প্রক্রিয়া শুভংকরের ফাঁকি
১ মাস আগে
বেনাপোল দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিকটন ইলিশ
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিক টন ইলিশ।
এরমধ্যে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ২০ ট্রাকে ৫৪ টন, গত শনিবার ১৫ ট্রাকে ৪৫ টন, গত রবিবার ৬ ট্রাকে ১৯ টন, গত সোমবার ৩০ ট্রাকে ৮৯ টন।
মঙ্গলবার ২৩ ট্রাকে ৬৯ টন, বৃহস্পতিবার ৩০ ট্রাকে ৯২ টন এবং আজ শনিবার সন্ধ্যার পর ১৩ ট্রাকে করে ৪২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ২২ দিন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার। যা বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই পরিপত্র অনুযায়ীই ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ডেপুটি ডিরেক্টর রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, বেনাপোল দিয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) থেকে শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৭ চালানে ভারতে গেল ৪১০ মেট্রিক টন ইলিশ।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
১ মাস আগে
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারতে ৯৯ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় চালানে ১৫টি ট্রাকে ৪৫ মেট্রিক টন ২০০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) প্রথম চালানে ২০টি ট্রাকে ৫৪ মেট্রিক টন ৪৬০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রথম চালানে ১২ টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি
এদিকে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতি কেজিতে ৫০০ টাকা কমে ইলিশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে ১ হাজার ১৮০ টাকায়। আর দেশের বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা।
এর কারণ জানতে চাইলে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম বলেন, এই প্রশ্নের উত্তর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা দিতে পারবেন। তবে আমি যেটা জানি সেটা হলো, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ১০ ডলারে প্রতি কেজির রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই রপ্তানি হচ্ছে। তবে ইলিশের দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে দাম সমন্বয় হতে পারে।
নাভারণ বাজার মৎস্য আড়তদার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বলেন, স্থানীয় বাজারে যেখানে প্রতি কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬৫০ টাকা বিক্রি হয়, সেখানে ভারতে ১০ ডলার বা ১ হাজার ১৮০ টাকা কেজিতে কীভাবে রপ্তানি হচ্ছে, তা বোঝা মুশকিল। এ ছাড়া ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশ ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
স্থলবন্দরের উপপরিচালক রাশেদুল সজিব নাজির বলেন, দেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে মোট ২ হাজার ৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন রয়েছে। তবে রপ্তানিকারকদের আগামী ১২ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি শেষ করতে হবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
১ মাস আগে
বেনাপোলে ২৩০০ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল দিয়ে ভারতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে কদম আলী নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে ২ কেজি ৩০০ গ্রাম ওজনের ৫টি স্বর্ণের বার জব্দের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলদেশ (বিজিবি)।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বেনাপোলের কাঁচাবাজার এলাকা তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার কদম আলী (৩৫) বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
বিজিবি জানায়, স্বর্ণের একটি বড় চালান ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এক পাচারকারী বেনাপোল কাঁচাবাজার এলাকায় অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল সেখানে অভিযান চালিয়ে কদম আলী নামে এক পাচারকারীকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে তল্লাশি করে পাঁচটি স্বর্ণেরবার পাওয়া যায়।
জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী জানান, এক স্বর্ণ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো সরকারি ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
১ মাস আগে
বেনাপোলে ৪ কোটি ৬১ লাখ টাকার স্বর্ণ জব্দসহ যুবক গ্রেপ্তার
বেনাপোলের আমড়াখালী চেকপোস্টে মাহফুজ মোল্লা নামে এক যুবকের কাছে থেকে ১৯টি স্বর্ণের বার জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। স্বর্ণগুলোর ওজন সাড়ে ৪ কেজি। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টায় স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করে বিজিবি সদস্যরা।
আরও পড়ুন: টেকনাফে সাড়ে ১১ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ, মিয়ানমারের ২ নাগরিক আটক
মাহফুজ মোল্লা নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার হাসমত মোল্লার ছেলে।
বিজিবি জানায়, যশোর ৪৯ বিজিবির আমড়াখালী চেকপোস্ট এলাকায় ওই যুবক আসলে বিজিবি তাকে আটক করে দেহ তল্লাশি করে ১৯টি স্বর্ণের বার জব্দ করে।
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী বলেন, স্বর্ণেরবারসহ এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। জব্দ করা স্বর্ণেরবারগুলো সরকারি ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
১ মাস আগে
বেনাপোলে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ১
বেনাপোল থেকে ছেড়ে যাওয়া ‘মোংলা কমিউটার’ ট্রেনে কাটা পড়ে আজিজ কালা (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে বেনাপোলের কাগজপুকুর বাজার এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্র অপহরণ-হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
আজিজ বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের আসমত শেখের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল ১০টার দিকে আজিজ কাগজপুকুর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় বেনাপোলের কাগজপুকুর বাজার এলাকায় পৌঁছালে রেল লাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আজিজ কানে কম শুনতেন বলে জানা গেছে।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘কাগজপুকুরে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে আজিজ কালা নামে এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়েছি। দুর্ঘটনাস্থলে রেলওয়ের পুলিশ পাঠিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজিজের লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: টানা বৃষ্টিতে কুমিল্লায় জলাবদ্ধতা, স্থবির জনজীবন
৩ মাস আগে
১১ দিন পর খুলনা-বেনাপোল-মোংলা কমিউটার ট্রেন চালু
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে দেশজুড়ে সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৮ জুলাই থেকে ১৩ দিন খুলনা-বেনাপোল কমিউটার ট্রেন (বেতনা এক্সপ্রেস) চলাচল বন্ধ ছিল।
এরপর ১ আগস্ট ট্রেনটি চালু হলেও এর দুইদিন পর তা আবারও বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে ১১ দিনের মাথায় বুধবার (১৪ আগস্ট) খুলনা-বেনাপোল-মোংলা রুটে ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
আরও পড়ুন: ১৪ দিন পর স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
এদিন সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি খুলনা থেকে ছেড়ে সাড়ে ৮টার দিকে বেনাপোলে পৌঁছায়। এরপর সেটি বেনাপোলে থেকে সাড়ে ৯টার দিকে ‘মোংলা এক্সপ্রেস’ নামে মোংলার উদ্দেশে রওনা দেয়।
বেনাপোলের স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, ‘১৮ জুলাই থেকে ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর ১ আগস্ট ট্রেনটি চলাচল শুরু হলে এর দুইদিন পর তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন থেকে ১১ দিন পর আবারও খুলনা-বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।’
বেনাপোল থেকে ২৩৫ যাত্রী নিয়ে ‘মোংলা এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি মোংলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বেনাপোলের স্টেশন মাস্টার।
আরও পড়ুন: দর্শনা রেলবন্দরে ২০ দিন ধরে আসেনি ভারতীয় মালবাহী ট্রেন
সোমবার থেকে মালবাহী, মঙ্গলবার থেকে চালু হচ্ছে যাত্রীবাহী ট্রেন
৩ মাস আগে