বেনাপোল
৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় চার দিন পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম এবং বন্দর থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায়। এতে বন্দরে সহস্রাধিক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে।’
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল চার দিন। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও অন্যান্য দিনের চেয়ে যাত্রী যাতায়াত ছিল অনেক কম।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘চার দিন ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিল বেনাপোল বন্দরের সব কার্যক্রম। তবে বুধবার সকাল থেকে ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ায় পুনরায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়।’
আরও পড়ুন: বেনাপোলের দৌলতপুর সীমান্তে ৯টি স্বর্ণের বার জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীদের ওপর পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আহত ১০
বেনাপোলে পাসপোর্ট যাত্রীদের ওপর পুলিশের ‘লাঠিচার্জ’, আহত ১০
বেনাপোল দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় দায়িত্বরত আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ (এবিপিএন) ও আনসার সদস্যরা পাসপোর্ট যাত্রীদের লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন।
বুধবার (১৯ জুন) সকালে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আতঙ্কিত হয়ে অনেক যাত্রী সঙ্গে থাকা ব্যাগ ফেলে ছোটাছুটি শুরু করেন। এ ঘটনায় কিছু সময় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকে। পরে পোর্ট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার সকাল ৮টার দিকে প্রতিদিনের মতো বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে ভারতগামী যাত্রীর দীর্ঘ লাইন ছিল। হঠাৎ টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়া শুরু হলে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেতে যাত্রীরা লাইন ভেঙে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠে যায়। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত যাত্রীর ভিড়ে টার্মিনালের সামনের গ্লাস ভেঙে একজন এবিপিএন সদস্য সামান্য আহত হন। এসময় এবিপিএন ও আনসার সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীদের ওপর এলোপাতাড়ি লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন।
আরও পড়ুন: ৫ দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
আনোয়ার হোসেন নামের ঢাকার এক পাসপোর্ট যাত্রী বলেন, ‘স্ত্রীকে নিয়ে সকাল থেকে প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে লাইন থেকে সরে টার্মিনালের বারান্দায় এসে উঠি। এসময় আর্মড পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আমাদের এলোপাতাড়িভাবে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। পরে যাত্রীদের চাপে একজন পুলিশ সদস্য সামান্য আহত হন।’
পাসপোর্ট যাত্রী আনন্দ মণ্ডল বলেন, ‘বৃদ্ধ বাবা-মা ও শিশুদের নিয়ে বৃষ্টিতে ভিজে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়ানো যে কি কষ্ট, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা বুঝবে কী করে! উনারা টাকার বিনিময়ে লাইন ছাড়া যাত্রী পার করার কাজে ব্যস্ত থাকেন। বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।’
পাসপোর্ট যাত্রী কামনা বালা বলেন, ‘হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হওয়ায় রাস্তা থেকে একটু উপরে উঠেছি। অমনি প্যাসেঞ্জার টার্মিনালের বারান্দায় উঠতে পারবো না বলে জানানো হলো। তাহলে ৬০ টাকা করে কিসের জন্য নেওয়া হলো? এখানে পুলিশ সদস্যদের এমন আচরণ মেনে নেওয়া যায় না।’
ভারতগামী পাসপোর্ট যাত্রী ইন্দ্রজিত বলেন, ‘বাধ্য হয়ে, বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশিরা ভারতে যান। পুলিশ ও আনসারদের এমন অন্যায় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। সুষ্ঠুভাবে যাতে যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারেন, সে বিষয়ে দুই দেশেরই গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত।’
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরে দায়িত্বপ্রাপ্ত এবিপিএনের ইনচার্জ বাদল চন্দ্র বলেন, ‘আজ যাত্রীর অনেক ভিড়। এ কারণে তাদের সামাল দিতে গিয়ে হয়তো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। তবে আমার সদস্যরা কারও ওপর লাঠিচার্জ করেনি।’
আরও পড়ুন: চামড়া পাচাররোধে বেনাপোল সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
৫ দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা পাঁচ দিনের ছুটি শেষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। তবে এ সময় দুই দেশের বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ঈদুল আজহা উপলক্ষে গত ১৪ জুন থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ ছিল। বুধবার সকাল ৯টা থেকেই শুরু হয় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। ফলে বন্দর এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম জানান, ঈদে টানা পাঁচ দিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এ সময় বৈধ পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক ছিল। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ একটু বেশি ছিল বলে জানান তিনি।
এদিকে, যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সেজন্য ঈদের ছুটির মধ্যে ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে বহাল রাখা হয়েছিল।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন অফিসের তথ্যানুয়াী, গত পাঁচ দিনে প্রায় ৩৪ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী ভারতে যাতায়াত করেছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল-মোংলা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু
বেনাপোলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে ভোগান্তি
টানা পাঁচ দিনের ছুটি পেয়ে অনেকেই ছুটছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে।
তাই শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণে পাসপোর্ট যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে।
এদিকে ঈদের ছুটিতে ভারতে যাত্রী যাতায়াত বাড়লেও পেট্রাপোল ইমিগ্রেশনে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে তারা।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে সম্পন্ন করায় সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী
বেনাপোল স্থলবন্দরে সরেজমিনে দেখা যায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অপেক্ষা করছেন কয়েক হাজার মানুষ। তাদের সেই লাইন ডেস্ক থেকে বারান্দা পেরিয়ে পৌঁছেছে ইমিগ্রেশন ভবনের বাইরের প্রধান সড়কে। গরম আর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছেন তারা। অন্যদিকে যাত্রীদের চাপে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ঈদে টানা পাঁচ দিনের সরকারি ছুটি পাওয়ায় ভারতে ভ্রমণকারী ও চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বেনাপোল বন্দরে। তবে এখানে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ঈদের ছুটি উপলক্ষে দুই দিনে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন প্রায় ২২ হাজার ১১৩ মানুষ। এর মধ্যে ভারতে গিয়েছেন ১৫ হাজার ৩৬৩ জন এবং ভারত থেকে বাংলাদেশে এসেছেন ৬ হাজার ৭৫০ জন মানুষ।
ভারতগামী যাত্রী নাসিম রানা বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ভারতে ঘুরতে যাচ্ছি। কিন্তু এখানে দীর্ঘ তিন ঘণ্টা তীব্র গরম আর রোদের মধ্যে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা ধীরগতিতে কাজ করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে কখন ইমিগ্রেশন পার হব বলতে পারছি না।’
যাত্রীদের দুর্ভোগ নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম বলেন, ঈদের ছুটি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২২ হাজারের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এ সংখ্যা পাঁচ থেকে ছয় হাজারের মধ্যে থাকে। তবে এবার রেকর্ডসংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করেছেন। যাদের অধিকাংশই ঈদ ভ্রমণ ও চিকিৎসার জন্য ভারতে গমন করেন।
তিনি বলেন, ঈদের সময়ে যাত্রীদের চাপ বৃদ্ধির বিষয়টি মাথায় নিয়ে বাড়তি প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে দ্রুত যাতে তারা পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া পেট্রাপোলে দুর্ভোগের বিষয়ে তিনি বলেন, পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ওসির সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ হচ্ছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আজহারুল ইসলাম বলেন, ওসি জানিয়েছেন, ইমিগ্রেশনে দেরি হচ্ছে না। দেরি হওয়ার মূল কারণ বিএসএফের তল্লাশি। এরপরও যাত্রীসেবার মান বাড়াতে কর্মকর্তাদের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের মহাপরিচালকের সঙ্গে বাংলাদেশের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
টানা ৫ দিনের ছুটিতে দেশের বেনাপোল স্থলবন্দর
টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে দেশের অন্যতম স্থলবন্দর বেনাপোল।
শুক্রবার (১৭ মে) বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, শনিবার, রবিবার ও সোমবার ভারতের উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁয় লোকসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
এছাড়া মঙ্গলবার যশোরের শার্শা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং এরসঙ্গে বুধবার বৌদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটির কারণে বন্দর দিয়ে সব ধরনের আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ থাকলেও শনিবার ও রবিবার কাস্টমসের কার্যক্রম চলবে।
বাংলাদেশ ও ভারত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও বন্দর সূত্র এসব জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটিতে বেনাপোল স্থলবন্দর।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন ভক্ত বলেন, ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে রাতে বন্দর এলাকায় টহল দেবে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
ভারতের লোকসভা নির্বাচন: ৩ দিন বন্ধ থাকবে বুড়িমারী স্থলবন্দর
মে দিবসে বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মহান মে দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১ মে) সকাল থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে একদিনের জন্য আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল অন্যান্য দিনের মতোই স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল জানান, মহান মে দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় দুই দেশের সিএন্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক ও ব্যবসায়ীরা বেনাপোল-পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৪ দিনে ফিরলেন ১৮৮২০ যাত্রী
এ কারণে বুধবার সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু হবে বলে জানান কামাল উদ্দিন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আযহারুল ইসলাম জানান, সরকারি ছুটিতে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও দু‘দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, মে দিবস উপলক্ষে সরকারি ছুটি থাকায় বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে পুনরায় এ বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু হবে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি
বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ও সংস্কারমূলক আইন প্রণয়নের কারণে রাজস্ব আয় বেড়েছে।
এছাড়া নতুন আইন প্রণয়ন করায় চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেড়েছে।
গত অর্থবছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশে।
আরও পড়ুন: যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, নিহত ১
কাস্টমস সূত্র জানায়, চলতি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২১৮ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা এবং ৭৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেড়েছে।
কাস্টমস সূত্র আরও জানায়, এ পর্যন্ত মোট ১০টি আইটেমের পণ্য চালান থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ধরা পড়েছে। রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে ২ কোটি ২৫ লাখ টাকার জরিমানা আদায় করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে গতিশীলতা, দ্রুত পণ্য খালাস ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম।
বেনাপোল বন্দর ব্যবহারকারী সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে রাজস্ব ফাঁকি রোধে কঠোর অবস্থানের কথা জানান বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার। তিনি বলেন, জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আদায়ের কার্যক্রম।
কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার-১ মো. হাফিজুল ইসলাম বলেন, গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে শুধু ১০টি আইটেমের পণ্য চালান থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রাজস্ব আয় হয়েছিল ১ হাজার ২৫২ দশমিক ২১ কোটি টাকা। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০টি আইটেমের পণ্য চালান থেকে রাজস্ব আয় হয়েছে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১ হাজার ৬৬৭ দশমিক ২৫ কোটি টাকা। ৪১৫ দশমিক ১৪ কোটি টাকার রাজস্ব আয় বেড়েছে।
হাফিজুল ইসলাম আরও বলেন, রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের কালো তালিকাভুক্ত করে তাদের পণ্য চালান শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হচ্ছে। আর যাদের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকির কোনো অভিযোগ নেই, তাদের পণ্য চালান কম্পিউটারের সিলেকশনে হলুদ হয়ে কোনো পরীক্ষা ছাড়াই খালাস দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য চালান কেমিক্যাল ল্যাবে পরীক্ষা করার পর ফলাফলের ভিত্তিতে শুল্কায়ন করে খালাস দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
বন্দরে ওয়েইং স্কেলের ওজনের ভিওিতে পণ্যের শুল্কায়নের বিষয়ে বলা হয়, বন্দরে স্কেলগুলোতে বর্তমানে তেমন কোনো জটিলতা নেই।
কঠোরভাবে তদারকি করা হচ্ছে ওয়েইং স্কেল এটিকে পুঁজি করে স্বার্থ হাসিলের কোনো সুযোগ নেই।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামছুর রহমান বলেন, অতীতের তুলনায় ব্যাপক কড়াকড়ি করায় সুবিধাভোগী আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দর ছেড়ে চলে গেছেন অন্য বন্দরে। বেনাপোলের ন্যায় অন্যান্য বন্দরেও কড়াকড়ি করতে হবে।
বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপেল বন্দর দিয়ে ট্রেনযোগে কন্টেইনার কার্গো চালু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন যেখানে ৫০০-৬০০ ট্রাক পণ্য আমদানি হতো, বর্তমানে ডলার সংকটে আমদানি কমে প্রতিদিন ৩৫০ ট্রাকে গিয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, বেনাপোল বন্দর দিয়ে বছরে ৩০ হাজার কোটি টাকার বাণিজ্য সম্পন্ন হয় ভারতের সঙ্গে। বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব ফাঁকি রোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হচ্ছে।
আব্দুল হাকিম বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি অনিয়ম ধরা পড়েছে। তাদের রাজস্ব পরিশোধ করে ২০০ শতাংশ জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ২ দিন
বেনাপোলে ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক গ্রেপ্তার
বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্ত থেকে মনোর উদ্দিন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোরে পুটখালী সীমান্তের মসজিদ বাড়ি পোস্টের পাকা রাস্তার উপর থেকে স্বর্ণের বারসহ তাকে জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
গ্রেপ্তার মনোর উদ্দিন বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের কদর আলীর ছেলে।
খুলনা-২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, এক যুবক ইজিবাইকে করে স্বর্ণের চালান নিয়ে ভারতের উদ্দেশে সীমান্তের দিকে যাওয়ার সময় বিজিবির একটি দল সীমান্তের মসজিদ বাড়ি পোস্ট নামক পাকা রাস্তার উপর অবস্থান নিয়ে তাকে আটক করা হয়।
এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে কিছু পাওয়া না গেলে, এই ব্যাপারে বিজিবির সন্দেহ হলে তাকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে তার দেহ স্ক্যানিং করালে তার পায়ুপথে ৬টি স্বর্ণের বারের উপস্থিতি সম্পর্কে জানা যায়।
পরে স্বর্ণের বারগুলো জব্দ করা হয়। জব্দ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা বলে জানায় বিজিবি।
তিনি আরও বলেন, ওই যুবকের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা দিয়ে সোপর্দ করা হয়েছে। জব্দ স্বর্ণের বারগুলো যশোর সরকারি ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: যশোরে ৩২ স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
চুয়াডাঙ্গায় ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
বেনাপোলে ২৯৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, আটক ১
যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী সীমান্তে অভিযান চালিয়ে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে ২৯৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি র্যাবের।
আটক ব্যক্তি হলেন- পুটখালী গ্রামের হবিবার রহমানের ছেলে সুমন রহমান (৩৫)।
সোমবার (১৮ মার্চ) ভোরে সীমান্তের পুটখালী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে তাকে আটক করে র্যাব।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পুটখালী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে মাদক ব্যবসায়ী সুমন রহমানকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার চাচাতো ভাইয়ের বাড়ির সিঁড়ির নিচে দুটি বস্তায় রাখা ২৯৯ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ১০২ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যশোর র্যাব-৬ এর কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, ফেনসিডিলসহ আটক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাকে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর হয়ে ৮টি ট্রাকে করে ২০০ মেট্রিক টন আলু বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। আলু আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর ৩টি ট্রাকে ৭৪ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়। এরপর আর কোনো আলু আমদানি হয়নি।
আলুর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ইন্টিগ্রেটেড ফুডস অ্যান্ড বেভারেজেস এবং রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের পেপসিকো ইন্ডিয়া হোল্ডিংস বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। আলুর চালানটি বন্দর থেকে খালাস নিতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন ট্রান্সমেরিন লজিস্টিক লিমিটেড সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধি মাসুম বিল্লা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতীয় ৮টি ট্রাকে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়েছে। যার প্রতি মেট্রিক টন আলুর আমদানি খরচ পড়ছে ১৯৪ মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ১৪০০ টন ছোলা আমদানি হয়েছে
আলুর চালানটি রবিবার (১৭ মার্চ) খালাস হবে বলে তিনি জানান।
রেজাউল করিম বলেন, ‘দ্বিতীয় চালানে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২০০ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। দ্রুত ছাড়করণের জন্য আমদানিকারকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
বেনাপোল বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার বলেন, আমদানিকারকের পক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলে আলুর মান পরীক্ষা শেষে খালাসের অনুমতি দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি