বেনাপোল
বেনাপোল বন্দরে চারমাসে ভারতের সঙ্গে রাজস্ব ঘাটতি ৩১৩ কোটি
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্য অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়েও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসে ব্যাপক কড়াকড়ির কারণে পচনশীল ও বাণিজ্যিক আমদানিকারকরা এই বন্দর দিয়ে ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছেন। উচ্চ শুল্ককরের পণ্য এ বন্দর দিয়ে আমদানি কমে গেছে।
মোটরপার্টস, ফেব্রিকস, আয়রন, স্টিল, আপেল ও মোটর গাড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিকারকেরা বেনাপোল দিয়ে আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
আমদানি কমে যাওয়ায় এসব পণ্য থেকে প্রায় ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা যায়।
চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের মোট লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৩৮ কোটি টাকা। গত চার মাসে লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ৯৯২ কোটি টাকা। তার বিপরীতে আদায় হয়েছে মাত্র এক হাজার ৭৫১ কোটি টাকা।
সেই হিসাবে ২৪০ কোটি টাকার রাজস্ব কম আদায় হয়েছে। সব মিলিয়ে ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, মূল কারণ হচ্ছে ব্যাংক থেকে এলসি ওপেন করা যাচ্ছে না। ডলার সংকটের কারণেই আমদানি বাণিজ্যে এ ধরনের ধস নমেছে। ফলে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কমে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
আমদানিকারক আমিনুল ইসলাম আনু বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম ১১০টাকা ৪২ পয়সা। এলসির সব টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করলেও ব্যাংক এলসি দিচ্ছে না। এলসি করতে গেলে পিআই অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের উচ্চ মহলে ধর্না দিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহে এলসি করতে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ছিল ১১২ টাকা। চলতি সপ্তাহে তা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। বাণিজ্যিক পণ্যের এলসি না হওয়ায় আমদানি বাণিজ্য কম গেছে এবং রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ব্যবসায়ীদের বৈধ সুবিধা নিশ্চিত হলে আশা করছি বেনাপোল বন্দরে বাণিজ্যে আবারও গতি ফিরবে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
সি অ্যান্ড এফের ব্যবসায়ী জুয়েল রানা জানান, ভারতের নাসিক থেকে আসা আপেলসহ অন্যান্য উচ্চ পচনশীল পণ্যের চালান আসতে প্রায় তিনদিন সময় লাগে। ফলে পচে যায় অধিকাংশ কার্টুনের ফল। পচা মালের রাজস্ব আদায় করায় অধিকাংশ আমদানিকারক বেনাপোল বন্দর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
বেনাপোল সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশসেন সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে দেশে ডলার সংকট চলছে। ডলার সংকট দেখিয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এলসি দিতে চাচ্ছে না। আর এলসি দিলেও ডলারের রেট অনেক বেশি। ডলার বাইরে থেকে কেনার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে তারা। এলসি না হওয়ার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি অনেক কমে গেছে।’
বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, বেনাপোল কাস্টমস হাউসে রাজস্ব আদায়ে ধস নামার কারণ আমদানি বাণিজ্য কমে যাওয়া। এলসি করতে ব্যাংক ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে এলসি কমে গেছে। এলসি করতে ব্যাংকে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা আমদানি করতে নিরুৎসাহী হচ্ছেন।’
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘জেনেছি ডলার সংকটে এলসি না হওয়ার আমদানি কম হচ্ছে। আগের তুলনায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্য অনেক কমে গেছে। বিশেষ করে মোটরগাড়ি ও মোটরপার্টস থেকে ২০১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। আপেলসহ অন্যান্য ফলে আমদানিতে ২৪ কোটি ও ফেব্রিকস আমদানিতে ২১ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। সর্বমোট ৩১৩ কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি আছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোল বাঁশ-কাঠের গুঁড়ি দিয়ে রাজস্ব ভবন রক্ষার চেষ্টা
বেনাপোল স্থলবন্দরের রাজস্ব ভবনটিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বিগত পাঁচ বছর ধরে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি দিয়ে ভবনটির ছাদ ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘদিন ধরে ভবনটির জীর্ণ দশা হলেও পরিত্যক্ত ঘোষণা বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই কর্তৃপক্ষের।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ভবনটিতে অফিস করছেন বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থা পিমা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট সদস্যরা।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
ভবনটির দ্বিতীয় তলায় একটি ইউনিটে বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে দ্বিতীয় তলার ওই অংশ থেকে কার্যক্রম গুটিয়ে চেকপোস্ট আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে স্থানান্তর করেছেন।
বন্দরের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সারির কর্মকর্তারা ওই ভবনে এখনও কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে সেজন্য তিন তলা ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদের নিচের অংশে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ফাটল ধরা ছাদ থেকে বালি ঝরে পড়ছে অনবরত। ঝুঁকি নিয়ে ভবনে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তরা কাজ করছেন। যেকোনো সময় ভবন ধসে প্রাণহানি ঘটার আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আ. লতিফ জানান, বর্তমানে ভবনটিতে বন্দর, কাস্টমস, নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তরা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন সেখানে শত শত মানুষ বাণিজ্যিক কার্যক্রম করছে। এছাড়া ভাবনের ছাদ যাতে ধ্বসে না পড়ে বাঁশ, কাঠের গুঁড়ি ও লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
তিনি জানান, দুর্ঘটনা ঘটলে অনেক মানুষের প্রাণহানি হতে পারে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন জানান, বেনাপোল বন্দর থেকে সরকার বছরে প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ রাজস্ব আদায়ের প্রধান বাণিজ্যিক ভবনটি আজ জরাজীর্ণ। আতঙ্কের মধ্যে ভবনে প্রবেশ করে কাজ করতে হয় বন্দর ব্যবহারকারীদের।
ইন্দো-বাংলা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে ভবনটি সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি। শুরু থেকে বন্দরের দুর্বল অবকাঠামো নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে রয়েছে চাপা ক্ষোভ।
বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম বলেন, ভবনটির দ্বিতীয় তলার একটি ইউনিট ঝুঁকিপূর্ণ। দুর্ঘটনা এড়াতে সেখানে যাতে কেউ প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য তালা মেরে রাখা হয়েছে। ভবনটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ‘আতা ফলের’ ঘোষণায় এলো ‘পার্সিমন’!
মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরে শুল্কফাঁকির উদ্দেশ্যে ‘আতা ফল’ আমদানির ঘোষণা দিয়ে ‘পার্সিমন’ ফলের চালান আটক করেছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে চালানটি ভারত থেকে আমদানি হয়ে বন্দরের ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে রাখা হলে শুক্রবার বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সদস্যরা বন্দরের ৩১ নম্বর ইয়ার্ড থেকে পণ্যের চালানটি জব্দ করে। পরে অভিযুক্ত আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা ও জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, প্রভা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান দুই হাজার ৭০০ কেজি ‘আতা ফল’ আমদানির ঘোষণা দিয়ে চালানের মধ্যে মূল্যবান ‘পার্সিমন’ ফল নিয়ে আসে। এতে ৮ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি পণ্যের চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টারপ্রাইজ।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার রবিন্দ্র সিংহ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কাস্টমসের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অভিযান চালিয়ে চালানটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কাস্টমস আইনে মামলা করে রাজস্ব ও জরিমানার টাকা আদায় করা হয়।
অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আমেনা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী বলেন, লাইসেন্সটি ভাড়া নিয়ে বেনাপোলের এক ব্যক্তি কাজ করেন। এসব বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্যিক নিরাপত্তায় বন্দরে স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে। কিন্তু সেটি প্রায় এক মাস ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকায় বৈধ বাণিজ্যের ভেতর দিয়েই অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছে অসাধু আমদানিকারকরা।
বন্দর সূত্রে আরও জানা যায়, এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। আগেও বন্দরে বৈধ আমদানি পণ্যের সঙ্গে মিথ্যা ঘোষণায় শাড়ি, থ্রিপিস, ফেন্সিডিল ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আটকের ঘটনা ঘটেছে।
বিশেষ করে, ফলের ট্রাক ইচ্ছা করেই রাতে দেশে ঢোকায় আমদানিকারকরা। এতে কাস্টমস ও বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে গভীর রাত পর্যন্ত বন্দরে খালাসের সুযোগ পান।
জানা গেছে, বিগত চার মাসে কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছে ১ হাজার ৭৫১ কোটি টাকা। রাজস্ব ঘাটতি রয়েছে ২৪০ কোটি টাকা।
প্রসঙ্গত, ‘পার্সিমন’ ফল জাপানের জাতীয় ফল হিসেবে স্বীকৃত হলেও এটি ভারতের মধ্যপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশে উৎপাদন হয়। এটি হিন্দিতে তেন্ডু ফল নামে পরিচিত। অনেকটা টমেটো আকারের বৃত্তাকার বীজশূন্য ফলটি উচ্চ পুষ্টি সমৃদ্ধ। ফলটি মূল্যবান ও আমদানি শুল্ক ‘আতা ফলের’ চেয়ে চার গুণ বেশি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন আরও ৪২ বাংলাদেশি নারী-শিশু
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল দিয়ে ভারত থেকে ফিরলেন আরও ৪২ বাংলাদেশি নারী-শিশু
বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আরও ৪২ জন নারী ও শিশু বাংলাদেশে ফিরেছেন।
বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে পুকুরপাড় থেকে ১৬টি ককটেল উদ্ধার
তিনি আরও জানান, ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্তৃপক্ষ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে। দুই দেশের যৌথ প্রচেষ্টায় এসব নারী ও শিশুকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পাল, চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্পের কমান্ডার মাহবুবুর রহমান ও পেট্রাপোল বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী রুবিনা খাতুন (ছদ্ম নাম) বলেন, ভালো কাজের প্রলোভনে পড়ে দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পথে তারা ভারতে গিয়েছিল। এরকম অনেকেই আছে। ভারতে গিয়ে বাসাবাড়ি বা কারখানায় কাজ করার সময় পুলিশের হাতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়। সাজা শেষে কলকাতার বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন তাদের শেল্টার হোমের হেফাজতে নেয়। ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি নারীদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এরপর বেসরকারি সংস্থা রাইটস যশোর ৩২ ও মহিলা আইনজীবী সমিতি ১২ জন নারী-শিশুকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাইটস যশোর এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তৌফিক হোসেন বলেন, ফেরত আসাদের যশোর রাইটস যশোর ৩২ এবং মহিলা আইনজীবী সমিতি ১২ জনকে গ্রহণ করে নিজস্ব শেল্টারহোমে রাখবে। এরপর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস জানান, ৪২ নারী ও শিশু দেশে ফিরেছে। ভারতে অনুপ্রবেশসহ নানা অপরাধে গ্রেপ্তারের পর বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষে কিশোলয়, নবযাত্রা ও ধ্রুবাশ্রমসহ পশ্চিমবঙ্গের ১২টি শেল্টার হোমের হেফাজতে ছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোলে ফেনসিডিল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
যশোরের বেনাপোলের সীমান্তবর্তী বারোপোতা গ্রাম থেকে ৩৫৫ বোতল ফেনসিডিল জব্দ এবং মো. জাহিদুল ইসলাম (২৪) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বারোপোতা গ্রামের একটি আম বাগান থেকে ফেনসিডিলসহ জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল পোর্ট থানা।
গ্রেপ্তার জাহিদুল বেনাপোল পোর্ট থানাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামের সুরত আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বারোপোতা সীমান্তবর্তী গ্রাম থেকে ৩৫৫ বোতল ফেনসিডিলসহ মো. জাহিদুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ী কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় অন্য ২ জন পালিয়ে যান। পলাতকদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল সীমান্তে ১২টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
বেনাপোল থেকে ২১টি ককটেল উদ্ধার
যশোরের বেনাপোলে ২১ টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
সোমবার দিবাগত রাতে বেনাপোলের ভবেরবেড় গ্রামের একটি পুকুরের ঝোপ থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬ এর মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন- যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন ভবেরবেড় গ্রামের একটি পুকুরের পশ্চিম পাশে ঝোপের মধ্যে বিপুল পরিমাণ ককটেল মজুদ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় ককটেল বিস্ফোরণ, ট্রাক ও ভটভটিতে আগুন
তিনি আরও জানান, সংবাদ পেয়ে র্যাবের একটি আভিযানিক দল উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে একটি বালতি ভর্তি বিপুল পরিমাণ (২১ টি) ককটেল উদ্ধার করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- উদ্ধার ককটেলগুলো দিয়ে যে কোনো বড় ধরনের নাশকতা তৈরির উদ্দেশ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সেখানে রাখা হয়। জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উদ্ধার ককটেলগুলো যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানা ও কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনের কাছে ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ
হরতালের দ্বিতীয় দিন: সিলেটে গাড়ি ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ
বেনাপোলে পুকুরপাড় থেকে ১৬টি ককটেল উদ্ধার
বেনাপোলের বালুন্ডা গ্রাম থেকে ১৬টি ককটেল উদ্ধার করেছে পোর্ট থানার পুলিশ।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে ওই গ্রামের একটি পুকুরপাড় থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বালুন্ডা গ্রামের একটি পুকুরপাড়ে অভিযান চালিয়ে ১৬টি ককটেল করা হয়েছে। ককটেলগুলো লাল কস্টেপ দিয়ে মোড়ানো ছিল।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বালুন্ডা গ্রাম থেকে ১৬টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। ককটেলগুলো নাশকতাও কাজে ব্যবহার করার জন্য সেখানে মজুদ করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: রাজশাহী রেল স্টেশনে ককটেল, আতঙ্কিত যাত্রীরা
যশোরে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত ১, আহত ২
গাইবান্ধায় ৮টি ককটেল ও ৬টি পেট্রলবোমা উদ্ধার
বেনাপোল সীমান্তে ১২টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
যশোরের বেনাপোল থেকে এক কেজি ৩৯৯ গ্রাম ওজনের ১২টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় তিনজনকে আটকের দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।
রবিবার (১২ নভেম্বর) ভোরে বেনাপোলের পোর্ট থানার দৌলতপুর সীমান্ত থেকে তাদের আটক করা হয।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
আটকেরা হলেন- বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী গ্রামের আনার উদ্দীনের ছেলে মো. আজমীর, আলী কদমের ছেলে মো. জালাল উদ্দিন এবং রুহুল আমীনের ছেলে মো. নুরুজ্জামান।
খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খুরশীদ আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার ভোরে দৌলতপুর সীমান্তের কৃষ্ণপুর এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের দেহ তল্লাশি করে ১২টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়। জব্দ করা স্বর্ণের ওজন ১ কেজি ৩৯৯ গ্রাম, যার বাজার মূল্য প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, আটক তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া স্বর্ণের চালানটি যশোরের ট্রেজারি শাখায় জমা করা হবে।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরায় ২০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২: বিজিবি
চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
বেনাপোলে ৬৯৭ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ, ভারতীয় নাগরিক আটক
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন থেকে ভারতে স্বর্ণ পাচারের অভিযোগে এক যাত্রীকে আটক করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দা সদস্যরা।
এ সময় ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রীর ব্যাগ তল্লাশি করে ৬৯৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কাস্টমসের শুল্ক গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় নদী থেকে ৬৮টি স্বর্ণের বার জব্দ, পাচারকারীর লাশ উদ্ধার
বুধবার (৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ওই যাত্রী ভারতে প্রবেশের সময় তাকে আটক করা হয়। আটক যুবক কেরালার নীল সারাম থানার পলি হাউস গ্রামের কয়া থারিপ্পার ছেলে সাজনাস থারিপ্পা কুন্নুমেল।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের শুল্ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক শায়েখ আরেফিন জাহেদী জানান, থারিপ্পা কুন্নুমেল বুধবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন যাচ্ছিলেন এবং তার সঙ্গে একটি ব্যাগ ছিল।
পরে ওই ব্যাগ তল্লাশি করে ব্যাগের ভেতরে লুকায়িত অবস্থায় ছুরি ও তালার মধ্যে বিশেষ কায়দায় সাদা স্কস্টেপ দিয়ে পেঁচানো ৬৯৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ জব্দ করা হয়। এসব স্বর্ণের আনুমানিক দাম ৭২ লাখ টাকা।
তিনি আরও জানান, স্বর্ণের চালানটি সাজনাস থারিপ্পা ঢাকা থেকে নিয়ে আসে। তার পাসপোর্ট নম্বর ঠ-৬১২৫২৫৪।
তিনি বলেন, আটক পাচারকারীকে বেনাপোল বন্দর থানায় এবং স্বর্ণগুলো কাস্টমসের ট্রেজারি শাখায় জমা দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে ৪৪ ভরি স্বর্ণালংকার জব্দ, আটক ১
চুয়াডাঙ্গায় ৬ স্বর্ণের বার জব্দ, যুবক আটক
বেনাপোলে ৩১টি বোমা জব্দ, জামাত-বিএনপির ১৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বেনাপোল ও শার্শা উপজেলাধীন বিভিন্ন এলাকা থেকে নাশকতা মামলায় বিএনপি-জামায়াতের ১৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে সেসব স্থান থেকে ৩১টি বোমা জব্দ করা হয়েছে।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দুটি পৃথক অভিযানে বেনাপোল পোর্ট থানা ও শার্শা থানা পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: বেনাপোল থেকে অস্ত্রসহ ২ চরমপন্থী আটক
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, গোপন খবরের মাধ্যমে জানা যায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাকে কেন্দ্র করে নাশকতার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতা-কর্মী বেনাপোল পৌরসভার সাদিপুরে গোপন বৈঠক করছে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক ও ১৫টি তাজা বোমা জব্দ করে। এসময় অন্যরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ৩৪ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আটকরা হলেন- বিএনপি নেতা বেনাপোল পৌর কমিশনার আমিরুল ইসলাম, আহাদুজ্জামান আহাদ, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি ওসমান গনিসহ আরও অনেকে।
অপরদিকে, শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৬টি পেট্রোলবোমা ও হাতবোমাসহ ১১ জন বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় ২২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
আটক সবাইকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৪ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল স্বাভাবিক
বেনাপোলে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের অভিযোগ