সায়মা ওয়াজেদ
তামাক ও ই-সিগারেট প্রতিরোধে যা যা করণীয় তা করতে হবে: সায়মা ওয়াজেদ
ক্রমবর্ধমান তামাক সেবন ও ই-সিগারেট ব্যবহারের প্রবণতার বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ জোরদার করতে দৃঢ়তার সঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এতে বলা হয়, কয়েক বছরের ধরে তামাকের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও, এই অঞ্চল এখনও বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ তামাক ব্যবহারের হারের দিক থেকে উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। এমনকি ই-সিগারেটের ব্যবহারের হারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ
মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ।
তিনি বলেছেন, 'এই অঞ্চলে এখনও তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ফলে তাদের ক্যান্সার, শ্বাসযন্ত্র ও হৃদরোগের মতো প্রাণঘাতী রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। ই-সিগারেট নিয়ন্ত্রণের জন্যও জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এর আগে ধূমপান বন্ধের জন্য যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা, কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়নি। স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন বাঁচাতে তামাক ও ই-সিগারেটের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে আমাদের যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।’
জানা গেছে, এ অঞ্চলে ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে।
তবে এ বছর প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, আনুমানিক ৪১ কোটি ১০ লাখ মানুষ এখনও তামাক ব্যবহার করছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য স্থায়ী ঝুঁকি।
এই অঞ্চলে বিস্ময়করভাবে ২৮০ মিলিয়ন ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারকারী রয়েছে; যা বিশ্বব্যাপী তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় ৭৭ শতাংশ। এর মধ্যে ১৩-১৫ বছর বয়সী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ কিশোর তামাক ব্যবহারকারী, যা বিশ্বব্যাপী মোট তামাক ব্যবহারকারীর প্রায় ৩০ শতাংশ। এছাড়া ই-সিগারেটের ব্যবহার বৃদ্ধি (বিশেষত যুবকদের মধ্যে) একটি নতুন হুমকি তৈরি করেছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে ১৩ থেকে ১৫ বছর বয়সীদের মধ্যে ই-সিগারেটের ব্যবহার ব্যাপক বেড়েছে। সেখানে ২০১৫ সালের এর ব্যবহারকারী ছিল ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ দশমিক ৬ শতাংশে।
ক্রমবর্ধমান সংকটের সমাধানে এই অঞ্চলের দেশগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' এবং ভারত 'টোব্যাকো এন্ডগেম' উদ্যোগ নিয়েছে।
এছাড়া, ডিপিআর কোরিয়া, ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পূর্ব তিমুরের মতো দেশগুলো ই-সিগারেটের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর মালদ্বীপে এটি নিয়ন্ত্রিত তামাকজাত পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এসব চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও এ অঞ্চলজুড়ে তামাক নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে। ২০০০ সালে তামাক ব্যবহারকারী পুরুষের সংখ্যা ছিল ৬৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ শতাংশে।
একই সময়ে নারী ব্যবহারকারীর হার ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৯ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে এসেছে। অর্থাৎ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধীন অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে কমেছে এ অঞ্চলে।
অসংক্রামক রোগ (এনসিডি)-২০২৫ অনুযায়ী তামাকের ব্যবহার ৩০ শতাংশ কমাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রার পূরণে আফ্রিকা ও এই অঞ্চলের এসব অর্জন সহায়তা করবে।
তামাক নিয়ন্ত্রণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এমপাওয়ার প্যাকেজ এবং অন্যান্য উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশগুলো চাহিদা কমানোর কৌশল প্রয়োগ করছে। এ অঞ্চলের ২০০ কোটির বেশি মানুষের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও নীতিমালার আরও জোরালো প্রয়োগ প্রয়োজন। আর এজন্য তামাক শিল্পসংশ্লিষ্ট উচ্চ মহলের হস্তক্ষেপেরও প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেলেন সায়মা ওয়াজেদ
১০ মাস আগে
সায়মা ওয়াজেদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ায় তাকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই অটিজম বিশেষজ্ঞ ও সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সায়মা ওয়াজেদকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যভার গ্রহণের তারিখ ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আরও পড়ুন: সোমবার দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন শেখ হাসিনা
বর্তমান পরিচালক ড. পুনাম ক্ষেত্রপাল সিং ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করবেন এবং আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই পূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল।
এদিকে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের এই সম্মানজনক অর্জনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বর্তমানে জেনেভায় অবস্থানরত স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
বর্তমানে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১৫৪তম নির্বাহী বোর্ড মিটিংয়ে সায়মা ওয়াজেদের এই দায়িত্বপ্রাপ্তি প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে এরকম দায়িত্বশীল ও সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পেলেন। এই প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সম্মান ও মর্যাদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তিনি (সায়মা ওয়াজেদ) অটিজম আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে কাজ করে ইতোমধ্যেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তার মতো একজন দক্ষ ব্যক্তিত্ব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে দায়িত্বপ্রাপ্তিতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে এ অঞ্চলে আগামীতে নিশ্চিত অগ্রগতি আসবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কন্যা। তিনি জানেন কীভাবে কাজগুলো করতে হবে। তার এই দায়িত্বপ্রাপ্তিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গর্ব অনুভব করছে, এবং সায়মা ওয়াজেদের আগামী দিনগুলোর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেনের বক্তব্যকালে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানালো ডিক্যাব
কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ডিআরইউর শুভেচ্ছা
১০ মাস আগে
ডব্লিউএইচও’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরডি পদে নির্বাচিত সায়মা ওয়াজেদ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক (আরডি) হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ। নির্বাচনে তিনি ৮-২ ভোটে জয়ী হন।
বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রার্থীদের মধ্যে ছিলেন- বাংলাদেশ ও নেপাল থেকে মনোনীত যথাক্রমে সায়মা ওয়াজেদ ও ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি আজ ভারতের নয়া দিল্লিতে তাদের ৭৬তম অধিবেশনে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করতে ভোট দিয়েছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও স্বাস্থ্য সচিব।
সায়মা ওয়াজেদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (আগে টুইটার) অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘আমাকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য @WHOSEARO সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ধন্যবাদ!’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি বিদায়ী আরডি ড. পুনম ক্ষেত্রপাল সিংকে আমাদের অঞ্চলের জনস্বাস্থ্যের জন্য এক দশক ধরে সেবা দেওয়ায় শ্রদ্ধা জানাতে চাই। একই সঙ্গে এই পদের জন্য মনোনয়ন পাওয়া ড. আচার্যের জন্যও বিশেষ শ্রদ্ধা। তার দীর্ঘ ও সফল কর্মজীবনে তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। আমি আশা করি আমাদের অঞ্চল তার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হবে।’
সায়মা বলেন, ‘আরও স্বাস্থ্যকর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গড়ে তুলতে আমি প্রস্তুত।’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টিকাদান সপ্তাহ: টিকাদান নিশ্চিত করতে দেশগুলোকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং তিনি পুনরায় একবার নিয়োগের সুযোগ পাবেন।
সায়মা ওয়াজেদের উল্লেখযোগ্য অর্জনের মধ্যে রয়েছে ৩টি আন্তর্জাতিক রেজুলেশনের খসড়া তৈরি করা, যেগুলো পরে জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদস্য দেশগুলো গ্রহণ করেছে। সেগুলো হলো:
- ২০১৪ সালে ডব্লিউএইচও ৬৭ দশমিক ৮ (কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার)
- ২০১২ সালে ডব্লিউএইচও-আরসি: সিইএ/আরসি৬৫/আর৮ (কম্প্রিহেনসিভ অ্যান্ড কো-অর্ডিনেটেড এফর্টস ফর দ্য ম্যানেজমেন্ট অব অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅ্যাবিলিটিস)
- ২০১২ সালে ইউএনজিএ: ৬৭/৮২ (অ্যাড্রেসিং দ্য সোশিওইকোনমিক নিডস অব ইনডিভিজুয়ালস, ফ্যামিলিস অ্যান্ড সোসাইটিস অ্যাফেক্টেড বাই অটিজম স্পেকট্রাম ডিজঅর্ডারস, ডেভেলপমেন্টাল ডিজঅর্ডারস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটেড ডিজঅ্যাবিলিটিস)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নেতৃত্বে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পানিতে ডুবে মৃত্যুহার কমাতে রেজ্যুলেশন
১ বছর আগে
'আমি সবসময় জানি আমি কে, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি একরাতে সবকিছু হারিয়েছেন'
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদের অন্যতম প্রার্থী সায়মা ওয়াজেদ ‘ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া’ উল্লেখ করে তার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
অটিজম নিয়ে কাজ করা সায়মা ওয়াজেদ ভারতীয় ইংরেজি ভাষার সংবাদ চ্যানেল ডব্লিউআইওএন-এর কূটনৈতিক প্রতিবেদক সিধান্ত সিবালের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত হলে আমার আসল লক্ষ্য থাকবে- মানসিক স্বাস্থ্য, যা অত্যন্ত অবহেলিত এবং বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। এটিকে সমগ্র স্বাস্থ্য ব্যবস্থার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিও নিশ্চিত করা।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিস ৬টি প্রধান আঞ্চলিক ইউনিটের মধ্যে একটি এবং ১১টি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদের মমত্ববোধ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে হওয়ায় তার রাজনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে জানতে চাইলে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘আমি সবসময় জানি আমি কে এবং আমি জানি যে সবসময় তা মনে করিয়ে দেওয়া হবে, তবে আমি শরণার্থী হিসেবেও বেড়ে উঠেছি, আমাকে এমন এক মা বড় করেছেন যিনি এক রাতে সবকিছু হারিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আপনি যখন খুব, খুব গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত সফল কারো কন্যা হন, তখন সবাই ধরে নেয় যে বিষয়গুলো আপনার পক্ষে অনেক সহজ হবে। তবে কঠোর পরিশ্রম না করলে আপনি সফল হতে পারবেন না।’
২০২৩ সালের ১৮ আগস্ট ডব্লিউএইচও'র মহাপরিচালক ড. টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস ডব্লিউএইচও সিইএআরও’র পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের নাম সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোর কাছে পাঠিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের আহ্বান জানালেন সায়মা ওয়াজেদ
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশ থেকে মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ও নেপাল থেকে মনোনীত ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কমিটি ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ভারতের নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ৭৬তম অধিবেশনে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
এরপর সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের যোগ্য হবেন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানালেন সজীব ওয়াজেদ
১ বছর আগে
ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচন: সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ডের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থনের জন্য থাইল্যান্ড সরকারের প্রতি বাংলাদেশের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ সরকার সায়মা ওয়াজেদকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদের জন্য মনোনীত করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সোমবার (১৬ অক্টোবর) একটি উচ্চ-পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগদানের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যাংককে থাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ডা. চোলনান শ্রীকাউয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আরও পড়ুন: চলতি মাসে ব্রাসেলসে গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী: মোমেন
এসময় আব্দুল মোমনে ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের প্রার্থী ড. সায়মা ওয়াজেদকে সমর্থন জানানোর জন্য থাই সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
থাই জনস্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের সিদ্ধান্তকে ‘বাংলাদেশের প্রতি শক্তিশালী সমর্থন’ বলেও উল্লেখ করেছেন।
ডব্লিউএইচও এসইএআরও -এর পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচনের প্রার্থীদের নাম ডব্লুএইচও মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানম গেব্রেইসাস চলতি বছরের ১৮ আগস্ট সংশ্লিষ্ট সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পাঠিয়েছিলেন।
প্রার্থীরা হলেন- বাংলাদেশের মনোনীত সায়মা ওয়াজেদ এবং নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য।
ডব্লিউএইচও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক কমিটি ভারতের নয়াদিল্লিতে ৩০ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত একটি বৈঠকে পরবর্তী আঞ্চলিক পরিচালক মনোনীত করার জন্য ভোট দেবে।
তারপরে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ২০২৪ সালের ২২ থেকে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত ডব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে।
নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন এবং একবার পুনরায় নিয়োগের জন্য যোগ্য হবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বর্তমানে দুইদিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ডে রয়েছেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের আঞ্চলিক বৈঠকে যোগ দিতে ব্যাংককে মোমেন
এরপর সোমবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ড. মোমেনথাই জনস্বাস্থ্য বিষয়কমন্ত্রী ড. চোলনান শ্রিকাওয়ের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। ড. চোলনান শ্রিকাও তার কার্যালয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় ড. চোলনান শ্রিকাওকে অভিনন্দন জানান।
১ বছর আগে
জিসিএ’র জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি সায়মা ওয়াজেদ
জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে স্বাগত জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)। অভিযোজন সমাধানের জন্য পদক্ষেপ ও সমর্থন ত্বরান্বিত করতে কাজ করা একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা হলো জিসিএ।
জিসিএ বুধবার তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে (টুইটার) লিখেছে, “জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক জিসিএ'র বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে আমরা ড. সায়মা ওয়াজেদকে স্বাগত জানাই।”
আরও পড়ুন: মানসিক স্বাস্থ্যে উদ্ভাবনী নারী নেতৃত্বের তালিকায় সায়মা ওয়াজেদ
জিসিএ উল্লেখ করেছে, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিকভাবে জনস্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পেশাগত কাজ ও অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে জলবায়ু স্বাস্থ্য ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে যারা সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছে, তাদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী সহযোগী ড. সায়মা।
জিসিএ'র মন্তব্যের জবাবে সায়মা লিখেছেন, “জলবায়ু ও স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে জিসিএ'র সঙ্গে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত।”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছে বাংলাদেশ সরকার।
ডব্লিউএইচও এসইএআরও হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি, যা সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।
২০১৭ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের অটিজম বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিযুক্ত সায়মা ওয়াজেদ একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত স্কুল সাইকোলজিস্ট। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে।
তিনি ২০০৯ সাল থেকে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রয়োজনকে সমর্থন করতে অ্যাডভোকেসির সঙ্গে জড়িত। তিনি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ এবং একজন দক্ষ বক্তা ও লেখক।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের উন্নয়নে সায়মা ওয়াজেদের ভূমিকার প্রশংসায় নেটিজেনরা
১ বছর আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে নরেন্দ্র মোদিকে স্যুভেনির উপহার দিলেন সায়মা ওয়াজেদ
বঙ্গবন্ধুর নাতনি সায়মা ওয়াজেদ শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি স্যুভেনির উপহার দিয়েছেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) থিম্যাটিক অ্যাম্বাসেডর এবং অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার সংক্রান্ত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন।
নয়াদিল্লিতে মোদির বাসভবনে তিনি স্যুভেনির হস্তান্তর করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিকও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই আনন্দদায়ক: মোদির টুইট
বিকালে ভারতীয় নেতার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে সেখানে যান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে তিন সফরে নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা।
এ সফরে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠকন্যা শেখ রেহানাও তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে নয়াদিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
১ বছর আগে
পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
গত মাসে উদ্বোধনের পর প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে সোমবার সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে পৌঁছে তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে দোয়া করেন।
ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় এবং কন্যা সায়মা ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী সমাধিতে ফাতেহা পাঠ করেন এবং জাতির পিতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যায় অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন।
শেখ হাসিনা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং দেশের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেও দোয়া করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পড়ুন: পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে