সচিবালয়
‘১০-১২ দিনে সচিবালয়ের অগ্নিদগ্ধ ভবনের সংস্কার সম্পন্ন হবে’
সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের সংস্কার কাজ আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান খান।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) ভবনটি পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ১১ দিন পর এ ভবনটি খুলে আজ দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত সচিব বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত চারটি ফ্লোরের সংস্কার কাজ ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে আমরা করে দিতে পারব। আমরা চেষ্টা করব যত তাড়াতাড়ি সংস্কার কাজ শেষ করা যায়।’
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: প্রাথমিক তদন্তে নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি
তিনি বলেন, ‘৭ নম্বর ভবনে এখনও পানি সরবরাহ করা সম্ভব হয়নি। আশা করছি আজকের মধ্যে তা সম্ভব হবে।’
৭২ দিন আগে
সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ভবন সংস্কার করে ব্যবহার সম্ভব: প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া
সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনটি সংস্কার করে ব্যবহার উপযোগী করা সম্ভব বলে মনে করছেন ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া।
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘বুধবার আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা গণপূর্তের লোকজন এসেছিলাম, আমাদের খুব বেশি দেরি হয়নি। ফায়ার সার্ভিসকে আমরা গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেছি।’
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয় চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।
ভবনটিতে মোটামুটি ৬টি মন্ত্রণালয় রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ফ্লোরে ৪০-৫০টি কক্ষ রয়েছে। ৪টি ফ্লোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এছাড়া কোথাও কোথাও পরিপূর্ণ আবার কোথাও কোথাও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানান ইডেন ভবন গণপূর্ত বিভাগের এই প্রকৌশলী।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী
ভবনটি ব্যবহার উপযোগী থাকবে কিনা- এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘উচ্চ পর্যায়ে অনেক টিম তদন্ত করেছে। বিশেষজ্ঞ টিম যে মতামত দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘তবে প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে ভবনটি মেরামত করা যাবে। বাকিটা তদন্তের পর বুঝা যাবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনও ভবনটি গণপূর্তের কাছে হস্তান্তর করেনি জানিয়ে আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, ‘যখন অ্যাসেসমেন্ট করে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে প্রতিবেদন দেবে তখনই হয়তো আমরা বুঝব এটি সংস্কার করতে কতদিন লাগবে। এছাড়া এই অগ্নিকাণ্ডের ক্ষেত্রে গণপূর্ত বিভাগের কোনো গাফিলতি বা অবহেলা ছিল না।
৭৮ দিন আগে
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ: রিজভী
সচিবালয়ে আগুন গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ঢাকতে এই অগ্নিসংযোগ করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রংপুরের মিঠাপুকুরে নিহত ফায়ার ফাইটার সোহানুর জামান নয়নের কবর জিয়ারত শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, আগুনে চার-পাঁচটা মন্ত্রণালয়ের ফাইল ও আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এটা গভীর ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের অংশ।
তিনি বলেন, বিগত সরকার মানুষের টাকা যেভাবে আত্মসাৎ করেছে তা ভাষায় বর্ণনা করা যাবে না। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও তাদের নামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ মিলিয়ন ডলার পাচারের ঘটনায় সে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করছে। এটাতো কেবল মাত্র একটি ঘটনা।
এমন অনেক ঘটনা আছে সেগুলো চাপা দেওয়ার জন্য নয়তলা ভবনে মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: দেশে কিংস পার্টি গঠনের চেষ্টা চলছে: রিজভী
রিজভী আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের একজন মুখ্যসচিব অনেক টাকা পাচার করেছে। যে ফাইলগুলো পুড়ে গেছে সেখানে তার ফাইলগুলো ছিল। সচিবালয়ের এই আগুনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে গেছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, পরাজিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনও অনেক জায়গায় আছে। আমলাতন্ত্র, পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন জায়গায় তারা আছে। সবাইতো এখনও পরিবর্তন হয়নি। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা ঘাপটি মেরে আছে। কোথায় কী ধরনের নাশকতা ও চক্রান্ত হচ্ছে তার কোনো ঠিক নেই।
হাসিনার পক্ষে ভারত ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, গোটা পৃথিবীর সমস্ত দেশ ও রাষ্ট্রনায়করা স্বৈরাচারের পতন ও নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন প্রত্যেকের প্রতি তারা সংহতি জানিয়েছেন। কিন্তু একটি দেশ সংহতি জানাতে দ্বিধা করছে। সে দেশটি হলো পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। তারা শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। তারা সংখ্যালঘু নির্যাতনের নতুন বয়ান তৈরি করছে, যাতে শেখ হাসিনার অপকর্মগুলোকে ঢাকা যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধে আবু সাঈদের আত্মদানের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। পরে জীবন দিয়েছে নয়ন। সেও রংপুরের ছেলে। সেদিনের আগুন নেভানোর জন্য যুদ্ধ করে জীবন দিয়েছেন তিনি। দেশের চলমান স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলনের অন্যতম শহীদ নয়ন। স্বৈরাচারের দোসরদের বিভিন্ন ধরনের চক্রান্ত ঠেকাতে গিয়ে জীবন দিচ্ছেন তার মতো ছেলেরা। শুধু একটি শোক জানিয়ে দায়িত্ব শেষ করা যাবে না।
এসময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর বিভাগ) অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন বিলম্বিত করলে জনগণ বিভ্রান্ত হতে পারে: রিজভী
৮০ দিন আগে
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড নাশকতা কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা কিনা তা তদন্তের পর বলা যাবে।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর সচিবালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা একটা তদন্ত কমিটি গঠন করে দিচ্ছি। মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এরই মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একটা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য।’
এই আগুন কোনো ষড়যন্ত্র কিংবা নাশকতা কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তদন্তের আগে আমি তো বলতে পারব না। তদন্তের পরে আপনাদের জানাব।’
৮২ দিন আগে
সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বৃহস্পতিবার ভোরে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। পরে তা বাড়িয়ে প্রথমে ১৩ ও পরে ১৮ করা হলেও ভোর ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
সামাজিক মাধ্যমে আগুনের ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়েছে। নিউজ চ্যানেলগুলো দ্রুতই সরাসরি কভার করতে শুরু করে।
৮২ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের সঙ্গে হট্টগোল
সচিবালয়ের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি এবং কমিশন প্রধানের বক্তব্য ঘিরে হট্টগোল হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচিবালয় বিটের সাংবাদিকদের সঙ্গে কমিশনের এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময়ের একপর্যায়ে কমিশন প্রধান ছাত্র প্রতিনিধি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসানকে বক্তব্য দিতে বলেন।
এ সময়ে মেহেদী হাসান বলেন, ‘এই কমিশনের সদস্য হিসেবে আমি এক-দেড় মাস ধরে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কর্মকর্তাদের কথা শুনেছি, জনগণের কথা শুনেছি। এতে আমার একটি উপলব্ধি এসেছে যে, জীবনে আর যাই করি, বিসিএস দেব না। একজন উপসচিব, যুগ্ম-সচিব ও ডিসি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যে আচরণটা করে... তাদের যে আমরা পাবলিক সার্ভেন্ট বলি, তারা আসলে পাবলিক সার্ভেন্ট না, তারা হচ্ছেন তাদের সিনিয়রদের সার্ভেন্ট। তারা এতটা হীনম্মন্যতায় ভোগেন যে তারা কাজ করবে কী, আমি জানি না। এই হীনম্মন্যতা দেখে আমার বিসিএস দেওয়ার ইচ্ছা চলে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটি বিষয়ে খুব আশাহত হয়েছি যে, আপনারা (সাংবাদিক) অনেক কষ্ট করেছেন, অনেক জায়গা থেকে কথা বলেছেন, অনেক ভালো কথা বলেছেন। আপনারা যখন কথা বলছেন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তখন জনপ্রশাসন সম্পর্কে আপনাদের কিছু বিষয় একটু চিন্তা-ভাবনা করে পড়াশোনা করে আসার দরকার ছিল। সেই জায়গায় একটু ঘাটতি দেখা গেছে।’
আরও পড়ুন: লাল-সবুজে সাজলো পোল্যান্ডের স্লাসকো দাবড়োভস্কিয়েগো সেতু
তখন সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘কি ঘাটতে মনে হয়েছে আপনার?’ উত্তরে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সর্বপ্রথম যে প্রশ্নটি করার দরকার ছিল, তা হলো- এই ৫০ বছরে স্যাররা বললেন যে ২৩টি সংস্কার কমিশন হয়েছে, সেই কমিশনগুলো কেন ইফিশিয়েন্টলি কাজ করতে পারেনি?’
তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, ‘এগুলোর বিষয়ে একাধিকবার বলা হয়েছে। তখন অনেক সাংবাদিক দাঁড়িয়ে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ করতে থাকেন। তখন মেহেদী হাসান বলতে থাকেন, প্লিজ আমার কথা শুনুন; আমার বাক্য আমাকে শেষ করতে দিন।’
কিন্তু হট্টগোলের মধ্যে তিনি আর কোনো কথা বলতে পারেননি। তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে সাংবাদিকরা দাবি জানাতে থাকেন।
এরপর কমিশন প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা এমন একজন ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করছেন, যিনি এখনও ছাত্র। তার সার্বিক পরিস্থিতি জানা সম্ভব নয়। সে জেল খেটেছে, জেল থেকে বের হয়ে এসেছে এবং এই আন্দোলন করেছে। আন্দোলন তো আপনারা-আমরা করিনি।’
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সাংবাদিকরা একযোগে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। তারা বলেন, ‘এ কথা আপনি বলতে পারেন না। আমরা আন্দোলন করেছি। আমাদের সহকর্মীরা আহত-নিহত হয়েছেন। আমরা কেউ কেউ বাসায় ঘুমাতে পারিনি। অনেকে জেল খেটেছেন।’
বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকদের হল্লা ছাপিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলেও মুয়ীদ চৌধুরী অনেকক্ষণ তা বলতে পারেননি।
পরে কমিশন প্রধান বলেন, ‘আপনারা আন্দোলন কভার করতে গিয়েছিলেন এবং সেজন্য আপনারা পুলিশের গুলির সামনে ছিলেন; আহত হয়েছেন, নিহত হয়েছেন।’
এরপর আবারও সাংবাদিকরা উত্তেজিত হয়ে যান। তারা বলেন, ‘আপনার এই কথারও প্রতিবাদ জানাই। কভারের বাইরেও আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে ছিলাম।’
এ সময় একজন সাংবাদিক বলেন, ‘সাংবাদিকরা যদি কিছু নাই করে থাকেন, তবে সারা বিশ্ব কীভাবে এই আন্দোলনের কথা জানল? অভ্যুত্থানের পর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এগিয়ে, কিন্তু এ আন্দোলনে তাদের কী ভূমিকা ছিল? শেষের দিকে আপনারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন সেটা আমরা নিতে পারছি না।’
এরপর আবার মেহেদী হাসান কথা বলতে গেলে সাংবাদিকরা বলেন, ‘আপনি ক্ষমা চান, তারপর কথা বলবেন। তখন মেহেদী হাসান বলেন, আমার শব্দ চয়নে আপনারা যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখিত।’
এরপর তিনি বলেন, ‘৮০ বছরে আমাদের চারটি বড় বড় বিপ্লব হয়েছে। এই চারটি বিপ্লব পরিবর্তনের জন্য হয়েছে, কিন্তু পরিবর্তনটা হয়নি। ২০২৪-এ আন্দোলনের মাধ্যমে যে পরিবর্তনটা হয়েছে, সংস্কার কমিশনগুলো হয়েছে, এই কমিশনগুলো কেন এক্সক্লুসিভ এবং আরও বেশি ভূমিকা পালন করতে হবে, এই কমিশনটা কেন আগের ২৩টি কমিশনের মত নয়- আমার প্রশ্নটি ছিল ওই জায়গায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের সমসাময়িক মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া- এ দেশগুলো প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। বাংলাদেশ কেন ওই জায়গাটা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না- ওই জায়গাটায় প্রশ্ন করা হয়নি, আমি সেটা বলতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হিসেবে দেখাই প্রধান উপদেষ্টার স্বপ্ন’
৯১ দিন আগে
সচিবালয়ের কর্মচারীদের ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশ স্থগিত
৯ দফা দাবিতে আগামী ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ের কর্মচারীদের ডাকা মহাসমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে।
রবিবার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ও ভূমি সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের আর্থিক সুবিধা প্রদান, নতুন পে-কমিশন গঠনের আগে পর্যন্ত ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদান, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড চালু, রেশনিং প্রথা চালু, অবসরের বয়স বাড়ানো, পদনাম পরিবর্তন ও পদোন্নতিসহ ৯ দফা দাবিতে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছিল কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
সাংবাদিকদের বাদিউল কবির বলেন, জনপ্রশাসন সচিব, ভূমি সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বসে আমাদের দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নিয়েছেন। দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করে বাস্তবায়ন করা হবে। তাই আমরা মহাসমাবেশ স্থগিত ঘোষণা করেছি।
আরও পড়ুন: পদোন্নতির দাবিতে একট্টা হচ্ছেন সচিবালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী কর্মকর্তারা
এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান বলেন, সচিবালয়ে ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক কর্মচারি আছেন দুই হাজারের ওপরে। দীর্ঘদিন তারা বেতন ও পদোন্নতি-বঞ্চিত ছিলেন। তাদের ৯ দফা যে দাবি, সেগুলোর কোনোটিই অযৌক্তিক নয়। এসব দাবি পূরণ করা সম্ভব, তবে সময়সাপেক্ষ। কিছু দাবি তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করা গেলেও কয়েকটি রয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদী।
ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, সচিবালয়ের কর্মচারীদের দাবি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। ধাপে ধাপে তাদের এসব দাবি পূরণ করা হবে।
এ বিষয়ে আইনি কিছু জটিলতা রয়েছে, যা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে বলে জানান তিনি।
৯ দফা দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছিলেন সচিবালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এও) ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা (পিও)। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ নভেম্বর সচিবালয়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে দাবি পূরণ না হলে ৪ ডিসেম্বর সচিবালয়ে মহাসমাবেশের ডাক দেন কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি।
আরও পড়ুন: হামলার গুজবে সচিবালয় ছাড়লেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
১০৭ দিন আগে
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থী আটক
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে পৌনে ৩টার দিকে প্রায় ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা সরে না যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন ৫৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের আটক করে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এএসপি ইউএনবিকে বলেন, সচিবালয়ে বিক্ষোভ থেকে মোট ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওযা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
১৪৬ দিন আগে
এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা খারাপ ফলাফল পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩টার দিকে সচিবালয়ে হামলা চালান। প্রকাশিত ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
আরও পড়ুন: এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে সচিবালয় ছাড়তে বাধ্য হন তারা।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এইচএসসির ফল বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে 'এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪' ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
ফলাফলকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে ঈর্ষণীয় ফলাফল শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজের
১৪৬ দিন আগে
নতুন করে পরীক্ষা না নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ঢল
স্থগিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার বাকি বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান নিয়েছে শত শত শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জিরো পয়েন্টের কাছে সচিবালয়ের গেটে পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে সচিবালয়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝে প্রতিবাদ মিছিল করতে থাকে তারা।
আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের গণঅভ্যুত্থানের পর মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু
স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
২১০ দিন আগে