সচিবালয়
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থী আটক
সচিবালয়ে জোর করে ঢুকে পড়ায় ৫৩ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাদের আটক করা হয়। পরে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশের দুটি প্রিজন ভ্যানে করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
এর আগে পৌনে ৩টার দিকে প্রায় ৫০-৬০ জন শিক্ষার্থী সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন। এ সময় তারা ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘মুগ্ধের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’; ‘তুমি কে আমি কে ছাত্র-ছাত্র’; ‘আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম-সংগ্রাম’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সেখানে দায়িত্বপালনরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা প্রথমে তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা সরে না যাওয়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেন। এ সময় তাদের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্যরা তাদের ধাওয়া করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষার্থীরা। এ সময় সচিবালয়ের ভেতরে আটকা পড়েন ৫৩ জন শিক্ষার্থী। তাদের আটক করে পুলিশের প্রিজন ভ্যানে করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
সচিবালয়ে দায়িত্বরত পুলিশের একজন এএসপি ইউএনবিকে বলেন, সচিবালয়ে বিক্ষোভ থেকে মোট ৫৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওযা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষ পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
৪ সপ্তাহ আগে
এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এইচএসসির ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে সচিবালয়ে বিক্ষোভের চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা খারাপ ফলাফল পাওয়া শিক্ষার্থীরা বিকেল ৩টার দিকে সচিবালয়ে হামলা চালান। প্রকাশিত ফল পুনর্মূল্যায়নের দাবিতে স্লোগান দেন তারা।
আরও পড়ুন: এইচএসসির পর বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিবেন যেভাবে
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির হুমকিও দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করলে সচিবালয় ছাড়তে বাধ্য হন তারা।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর এইচএসসির ফল বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে 'এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪' ব্যানারে একদল শিক্ষার্থী ঢাকা শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন।
ফলাফলকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সব বিষয়ের ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
আরও পড়ুন: এইচএসসিতে ঈর্ষণীয় ফলাফল শেরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সবুজের
৪ সপ্তাহ আগে
নতুন করে পরীক্ষা না নিয়ে এইচএসসির ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের ঢল
স্থগিত হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার বাকি বিষয়ের পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফল প্রকাশের দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান নিয়েছে শত শত শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে জিরো পয়েন্টের কাছে সচিবালয়ের গেটে পুলিশের বেষ্টনী ভেঙে সচিবালয়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা।
৬ ও ১১ নম্বর ভবনের মাঝে প্রতিবাদ মিছিল করতে থাকে তারা।
আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাতের গণঅভ্যুত্থানের পর মাঝপথে স্থগিত হয়ে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু
স্থগিত এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি
৩ মাস আগে
৩০ জুন থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু: শিক্ষামন্ত্রী
আগামী ৩০ জুন থেকে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
তিনি বলেন, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন।
বুধবার (৫ জুন) সচিবালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠু, নকলমুক্ত ও ইতিবাচক পরিবেশে সম্পন্নের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় মনিটরিং ও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু আজ
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গত বছরের চেয়ে এবার ৯১ হাজার ৪৪৮ জন পরীক্ষার্থী বেশি। এবার এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৭ লাখ ৫০ হাজার ২৮১ জন ও ছাত্রী ৭ লাখ ৫০৯ জন। মোট কেন্দ্র ২ হাজার ৭২৫টি ও মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ হাজার ৪৬৩টি।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, এইচএসসিতে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ১১ লাখ ২৮ হাজার ২৮১ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৮০ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৬০১ জন।
তিনি বলেন, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় শিক্ষার্থী ৮৮ হাজার ৭৬ জন। এরমধ্যে ছাত্র ৪৭ হাজার ৫৯২ জন ও ছাত্রী ৪০ হাজার ৪৮৪ জন।
তিনি আরও বলেন, এইচএসসিতে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২ লাখ ৩৪ হাজার ৪৩৩ জন। এরমধ্যে ছাত্র ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯ জন ও ছাত্রী ৬৫ হাজার ৪২৪ জন।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, এবার মোট প্রতিষ্ঠান বেড়ে ২৯৪টি ও কেন্দ্র বেড়েছে ৬৭টি। বিদেশে ৮টি কেন্দ্রে মোট ২৮১ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১১ আগস্ট শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ আগস্ট। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২১ আগস্ট শেষ হবে।
তিনি আরও বলেন, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তত্ত্বীয় পরীক্ষা ৩০ জুন থেকে শুরু হয়ে ১৮ জুলাই শেষ হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৯ জুলাই শুরু হয়ে ৪ আগস্ট শেষ হবে। পরীক্ষা শেষে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় সব পরীক্ষার্থী (নিয়মিত, অনিয়মিত, মানোন্নয়ন) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড প্রণীত পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচি অনুযায়ী সব বিষয়ে পূর্ণনম্বর ও পূর্ণসময়ে অংশগ্রহণ করবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জাবির ভর্তি পরীক্ষা শুরু, প্রতি আসনে লড়ছেন ১০৮ জন
যেসব নিয়ম-কানুন মানতে হবে পরীক্ষার্থী-পরীক্ষকদের
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীকে এর পরে প্রবেশ করতে দিলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, বিলম্ব হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করে ওই দিনই সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে প্রতিবেদন দিতে হবে।
তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর ২৫ মিনিট আগে এসএমএসের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের কাছে প্রশ্নপত্রের সেট কোড জানিয়ে দেওয়া হবে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন/ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। শুধু ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন (তবে ছবি তোলা যায় না এমন মোবাইল ফোন)।
পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি (যেমন পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, বোর্ডের কেন্দ্র পরিদর্শন টিম, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না।
প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা যেসব সুবিধা পাবেন
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী স্ক্রাইব (শ্রুতিলেখক) সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। এ ধরনের পরীক্ষার্থীদের ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বাড়ানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বৃদ্ধিসহ শিক্ষক, অভিভাবক বা সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু ১৫ ফেব্রুয়ারি
৫ মাস আগে
গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত বিএসআরএফ বার্তার মোড়ক উন্মোচন ও মত বিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএসআরএফ সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয় নিয়ে আমি এরই মধ্যে কাজ করছি। বিষয়টি একটু জটিল। যে সংখ্যা নির্ণয় করার যে ফর্মুলাটা আছে তার মধ্যেও কিছু গলদ আছে, সেটিকেও ম্যানুপুলেট করা যায়। যদি বলি ফর্মুলা অলরেডি আছে সেটি দিয়ে সঠিক তালিকা করে ফেলব, এরমধ্যেও দেখা যাবে সঠিক হয়ত অনেক কিছু হবে না। কারণ পেছন দিকে ম্যানুপুলেশন সমস্যা। যে কারণে আমি ফর্মুলাটা নিয়ে কাজ করছি।
তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে ক্রোড়পত্র দেই তা কিন্তু ডিএফপির লিস্ট দেখে দিচ্ছি না। আমি কিন্তু একটি লিস্ট বানিয়েছি, বিশেষ সোর্সের মাধ্যমে। যেটি আমাকে মোটামুটি সঠিক একটি সার্কুলেশনের চিত্র দিয়েছে, তার ভিত্তিতে আমি এখন সিদ্ধান্তগুলো নিচ্ছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর লড়াইয়ের গল্প তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, কারা কত ক্রোড়পত্র পেয়েছে তা এক্সেল সিটের মাধ্যমে মেইন্টেইন করি। কাছাকাছি সার্কুলেশনের দুটি পত্রিকার মধ্যে একটি পত্রিকা কম পেলে পরে তা ব্যালেন্স করার চেষ্টা করি। আমি ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করি। ৬০-৭০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সার্কুলেশনের ওপর ভিত্তি করে নেই। কারণ এখানে সরকারের স্বার্থ আছে, বেশিরভাগ মানুষের হাতে এটি আমি পৌঁছাতে চাই। কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ আছে কিন্তু তার একটি ইতিহাস ঐতিহ্য আছে, কিছু পত্রিকা আছে সার্কুলেশনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও সেখানে নামকরা সম্পাদক আছে, যার নিজের ইতিহাস-ঐতিহ্য ব্র্যান্ডিং আছে, এগুলোকে যাচাই বাছাই করে ব্যালেন্স করে ক্রোড়পত্র দিয়েছি, কোনো ব্যক্তির সুপারিশে ক্রোড়পত্র দেইনি। সুপারিশ করেছে নিয়েছি, দেখেছি, কিন্তু দিন শেষে আমার যে ফর্মুলা সেটি অ্যাপ্লাই করেছি।
ডিএফপিতে নতুন ডিজি নিয়োগ দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে আরাফাত বলেন, ‘যারা সার্কুলেশনের কাজ করে তাদের নিয়ে আমি বসব। ফর্মুলাকে একটি ফাইনটিউন করে একটি ফর্মুলা আনার যে সত্যিকার অর্থে সার্কুলেট, অর্থাৎ শুধু প্রিন্ট করলে হবে না, বিক্রিত নম্বরটা আমরা পাওয়ার পর ফর্মুলা বের করব, যেখানে ম্যানুপুলেশনের সুযোগ থাকবে না। আমার কাছে আসল লিস্টটা যাতে থাকে। সব জায়গায় আমি এক ধরনের স্বচ্ছতা ও অবজেকটিভিটি আনার চেষ্টা করছি। আপনারা সবার সামনে যে বিষয়টি বলবেন, আমাকে একা পেলেও সেই কথাটিই বলবেন।’
সাংবাদিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা বেঁধে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে এ মুহূর্তে আমি বলতে পারব না, আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। এ মুহূর্তে আমি গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে কাজ করছি।’
গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এটি মোটামুটি সবকিছু কাভার করে ফেলবে। কারণ এখানে অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মোটামুটি সবকিছুই কাভার করবে। গণমাধ্যমের সমস্যাগুলোর সমাধান হবে বলে জানান তথ্য প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, শ্রম আইনের অধীনে যত সুরক্ষা দেওয়া আছে সেগুলোকে রেখে বাকি বিষয়গুলো গণমাধ্যমকর্মী আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
সাংবাদিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার কাজ করা হচ্ছে বলে জানান আরাফাত।
তিনি বলেন, ‘বিটিভিসহ তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ১৫টি ডিপার্টমেন্টের দিকেই তাকাব। সবগুলোর ভেতরে ঢুকব, শুধু ভেতরেই ঢুকব না একেবারে তলদেশ পর্যন্ত যাব। ভেতর থেকে আমার সাধ্যের মধ্যে, সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু পরিবর্তন-পরিবর্ধন, সংস্কার করার সুযোগ আছে সবগুলোই করব। তবে এটিকে আমি প্রায়োরিটি বেসিসে করব। সব জায়গায় কিছু না কিছু পরিবর্তন আপনারা দেখতে পাবেন।’
আরও পড়ুন: সরকার-নাগরিকের অংশীদারিত্ব তৈরি হলে সমস্যা সমাধান সহজ হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা করব: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূল করার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ।
রবিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিগগিরই ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ ও খেজুরের দাম কমবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘নিশ্চিয়ই দুর্নীতি চিহ্নিত করতে হবে, সেটি ছোট-বড় যে দুর্নীতিই হোক। যেকোনো দুর্নীতিকে নির্মূল করার চেষ্টা করব।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, এই বিভাগের চ্যালেঞ্জ গোটা বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জ। এই বিভাগ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটা বিরাট স্বপ্ন এবং চ্যালেঞ্জ ছিল।
তিনি বলেন, স্বাধীনতাপরবর্তী বাংলাদেশকে কীভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে অভাব অভিযোগ মিটিয়ে মোটামুটি দাঁড় করানো যায় সেটির চেষ্টা করেছিলেন এবং সফলও হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না: শ্রমপ্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
৮ মাস আগে
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে বাংলাদেশ-ফ্রান্সের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমিয়ে আনতে বহুপাক্ষিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ ও ফ্রান্স।
রবিবার সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ফরাসি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাতে এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে দুই দেশ । বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা জোরদার ও টেকসই পরিবেশগত চর্চার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফরাসি রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপুই, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জুলিয়েন ডুয়ার এবং ফ্রান্সের জলবায়ু পরিবর্তন সমঝোতাবিষয়ক রাষ্ট্রদূত স্টিফেন ক্রৌজাত সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
আলোচনায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন, অভিযোজন কৌশল ও সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগসহ সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করা হয়। স্থিতিস্থাপকতা বাড়াতে এবং জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনে জ্ঞান, প্রযুক্তি ও সম্পদ বিনিময়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
আরও পড়ুন: টেকসই অবকাঠামো উন্নয়ন বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী সাবের হোসেন ফ্রান্সের অব্যাহত সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থান তুলে ধরেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী ও বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষায় সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে ফ্রান্সের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ফ্রান্সের জলবায়ুবিষয়ক দূত।
উদ্ভাবনমূলক সমাধান বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
উভয় পক্ষ যৌথ প্রকল্প, জ্ঞান বিনিময় কর্মসূচি ও নীতি সংলাপের মাধ্যমে তাদের সহযোগিতা আরও গভীর করতে সম্মত হয়েছে।
তারা জলবায়ু কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে উচ্চাশার পক্ষে এবং ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য সহায়তা জোগাড় করতে সিওপি বৈঠকসহ আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মগুলোকে কাজে লাগানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য একটি সবুজ ও টেকসই ভবিষ্যতের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার অভিন্ন অঙ্গীকার করা হয়েছে বৈঠকে।
বৈঠকে অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন, যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন ও ফরাসি উন্নয়ন সংস্থার সিসিলিয়া কর্টেজের মেথিল্ডে বোর্ড লরানস, ক্রিস্টোফ বাফেট, প্যাট্রিক ব্লিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জে বায়ুদূষণের অভিযোগে ৪ ইটভাটা বন্ধ
৯ মাস আগে
১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করা হবে: নবনিযুক্ত পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক কর্মকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত পূর্বক ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বায়ুদূষণ, শব্দদূষণ, পানিদূষণ, প্লাস্টিক-পলিথিন দূষণ এবং পাহাড় কাটা রোধে অংশীজনদের পরামর্শ গ্রহণ করে সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার এবং ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান’ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রীর প্রথম কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধতন কর্মকর্তা এবং আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন, বন দখল রোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগ করা হবে। আন্তর্জাতিক অর্থছাড়ের চেষ্টা করা হবে। পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়কে পারফর্মেন্সের দিক দিয়ে ১ নম্বরে নেওয়ার চেষ্টা করা হবে। মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা হবে। দায়িত্ব পালনে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করা বা তদ্বির গ্রহণযোগ্য হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমকে সার্বিক সহায়তা করা হবে। মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব। এছাড়াও, পরিবেশ দূষণ রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রয়োজন তাই অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ এবং বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর প্রধান এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী আজ সকাল ৯টায় মন্ত্রণালয়ে তার অফিস কক্ষে আসেন এবং সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করেন। পরে আনুষ্ঠানিক সভায় ১০০দিনের কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তির জন্য কর্মকর্তাদের বিভিন্ন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণ এবং যথাসময়ে তা বাস্তবায়ন করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
১০ মাস আগে
জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত দল না-হওয়ায় তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
জামায়াতে ইসলামী নিবন্ধিত দল না-হওয়ায় তাদের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
জামায়াতে ইসলামী সভা-সমাবেশ করতে চাচ্ছে, তাদের অনুমতি দেবেন কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের দেশে অনেক দলমত আছে। জামায়াত এর আগেও দুয়েক জায়গায় আলোচনা করেছে। তারা যদি দেশের নিয়ম-কানুন মেনে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা মেনে যে কেউ যে কোনো কথা বলতে পারে। জামায়াত বলতে কোনো কথা নেই। দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা আছে। আমদের কথা হলো, আইন-কানুনের মধ্যে থেকে তারা কথা বলতে পারেন।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে এভাবে অনুমতি দেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা কাউকে অনুমতি দিইনি। স্পষ্টভাবে জানা উচিত, আমরা কউকে অনুমতি দিইনি। এ ছাড়া আমি তো বলেছি, জামায়াতে ইসলাম এখন পর্যন্ত কোনো নিবন্ধিত দল না, কাজেই তারা যদি জামায়াতে ইসলামের ব্যানারে যদি আসে, তাহলে অনুমতি দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশের দিন রাস্তা বন্ধ করা হবে কিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছেন রাষ্ট্রদূত হাস
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আরও দুই বিজ্ঞপ্তি আসছে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে বিভাগভিত্তিক ক্লাস্টার করে আরও দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ এ তথ্য জানান। এ সময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।সচিব বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আমাদের প্রায় চার লাখ চার হাজার সহকারী শিক্ষক রয়েছে। প্রতিবছর প্রায় ছয় হাজারের কাছাকাছি শিক্ষক অবসরে যায়। ২০২০ সালের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৫৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছিলাম। দুই বছর সময় লেগেছে। এই প্রক্রিয়াটা ধারাবাহিক হওয়া উচিত।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বুয়েটের সঙ্গে কথা বলেছি, আমরা যদি ক্লাস্টার বা বিভাগভিত্তিক নিয়োগ দিতে পারলে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ দিতে পারব। আজ আমরা একটা বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি। আজ রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগ মিলে একটি ক্লাস্টার করেছি এবং এই তিন বিভাগের তুলনামূলক বেশি পদ শূন্য রয়েছে।’
গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘বাকিগুলো নিয়ে আমরা এক বা দুইটা ক্লাস্টার করবো। আগামী সপ্তাহে একটা এবং তার পরের সপ্তাহের আরেকটি বিজ্ঞপ্তি যাবে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে আরও দুই বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেব। আমরা যেটি ধরবো সেটি ছয় মাসের ভেতরে নিয়োগ শেষ করতে পারবো। ফলে এক বছরের মধ্যে শূন্য পদগুলো সারাদেশে পূরণ করতে পারব।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ: পরীক্ষার ১ম ধাপে উত্তীর্ণ ৪০ হাজার ৮৬২
১ বছর আগে