স্মার্ট বাংলাদেশ
শিক্ষার্থীদের মননশীলতার বিকাশই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অবদান রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ও সুপ্ত প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অবদান রাখতে পারবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলেছেন সেখানে শিক্ষদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা স্মার্ট নাগরিক গড়ার মূল কারিগর: খাদ্যমন্ত্রী
শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে নওগাঁর পোরশা উপজেলার ঘাটনগর পাহাড়ি পুকুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা ও শিক্ষকের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ থেকে এমপিওভুক্তি, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, কারিকুলাম যুগোপযোগী করা ও অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দেওয়া হয়েছে ডিজিটাল ল্যাব। এগুলোর কারণে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ছে ও ঝরে পড়ার হার কমে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব। এ সরকারের আমলে দেশে একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করতে হবে। শুধু শিক্ষানীতি নয়, বর্তমান সরকার দক্ষ শিক্ষক গড়ে তোলার জন্য একাধিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে।
সাধন চন্দ্র মজমুদার বলেন, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শ ধরে রেখে কাজ করেছি। এরই ফলস্বরূপ দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছেন শেখ হাসিনা: খাদ্যমন্ত্রী
দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি: খাদ্যমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ নিয়ে ডাকটিকিট প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তার সরকারের পদক্ষেপ উপলক্ষে সোমবার (১৬ অক্টোবর) ১০ টাকার স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকার ফার্স্ট ডে কভার এবং ৫ টাকার ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশের সদস্যতার ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে ৫০ টাকার একটি স্মারক ডাকটিকিট, একটি ১০-টাকার উদ্বোধনী দিনের কভার এবং ৫ টাকার একটি ডাটা কার্ডও প্রকাশ করেন।
এদিন প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী দিনের কভার, ডাটা কার্ড ও স্যুভেনির অবমুক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে স্ট্যান্ডার্ড এভিয়েশন নেভিগেশন সার্ভিসের জন্য আইসিএওর সহায়তা কামনা প্রধানমন্ত্রীর
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ক্যানসেলার ব্যবহার করেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এবং ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদার উপস্থিত ছিলেন।
ডাকটিকিট, প্রথম দিনের কভার এবং ডেটা কার্ড, ঢাকা জিপিওর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে এবং পরবর্তীতে সারা দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান পোস্ট অফিসগুলোতেও পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্পের কারণে নদী-খালের ক্ষতি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
আগামী নির্বাচনে আ. লীগ ক্ষমতায় এলে ঢামেক হাসপাতালকে অত্যাধুনিক করা হবে: প্রধানমন্ত্রী
বান্দরবানের ইকোট্যুরিজম সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব
বান্দরবানে বিদ্যমান পাহাড়, নদী ও গিরিপথের নৈসর্গিক সৌন্দর্য পর্যটনের কাজে লাগিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব। এজন্য সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
সোমবার (৯ অক্টোবর) বান্দরবানের জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসন এবং জেলা তথ্য অফিসের সহযোগিতায় আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) চট্টগ্রাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) চট্টগ্রামের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে ভূমিধসে মা-মেয়েসহ নিহত ৩
এতে মুখ্য বক্তা হিসেবে স্মার্ট বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক, প্রস্তুতি ও সম্ভাবনার দিক তুলে ধরেন তথ্য অধিদপ্তর ঢাকার সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আঞ্চলিক তথ্য অফিস (পিআইডি) চট্টগ্রাম এর সিনিয়র তথ্য অফিসার মারুফা রহমান ঈমা।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বান্দরবান জেলার সহকারী পুলিশ সুপার আমজাদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফজলুর রহমান, বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল হক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল মান্নান ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুর রহমান আলোচনায় অংশ নেন।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, বান্দরবান আয়তনের দিক থেকে তৃতীয় বৃহত্তম ও পর্যটন নির্ভর জেলা। জেলাটির সমৃদ্ধির কথা মাথায় রেখেই পর্যটন স্পট ৬৪টি থেকে বাড়িয়ে ৮৪টিতে উন্নীত করা হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধা ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে একটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। পর্যটন শিল্পকে নিয়েই বান্দরবান জেলাকে স্মার্টকরণের কার্যক্রম ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।
সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য অফিসার আবদুল জলিল বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে হচ্ছে বস্তুবাদী চেতনার পাশাপাশি মানবিক চেতনার বিকাশ ঘটানো। প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও উদ্ভাবন জোরদার করে স্থানীয় পর্যায়ে বিদ্যমান সম্পদ ও সামর্থ্যের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি গঠনে সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে বান্দরবানে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও নিবন্ধিত অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক, জেলা পর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, শিক্ষকসহ সুশীল সমাজের শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের নাফাখুম জলপ্রপাত ভ্রমণ: বাংলার নায়াগ্রাতে যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
বান্দরবানে বন্যা: আশ্রয়কেন্দ্র ছেড়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ, ১৫,৬০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি ডিজিটাল সংযুক্তি: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের মূল ভিত্তি হচ্ছে ডিজিটাল সংযুক্তি। ডিজিটাল সংযুক্তি এবং ডিজিটাল দক্ষতা এই দুইয়ের মিশেলে গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
তিনি আরও বলেন, এই লক্ষ্যে দেশের প্রতি ইঞ্চি ভূমিতে ডিজিটাল সংযুক্তি পৌঁছাতে হবে এবং প্রতিটি মানুষকে ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন নিশ্চিত করতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরান্বিত করতে হবে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১’ শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান আতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মোবাইল ডাটা ৩ দিনের প্যাকেজ আর নয়, সর্বনিম্ন মেয়াদ ৭ দিন: মোস্তাফা জব্বার
রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ শীর্ষক পরিকল্পনা প্রণয়ন কর্মশালা কমিটির আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ডা. দ্বীন মোহাম্মদ নুরুল হক এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুজ্জামান বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট জনসম্পদ গড়ে তুলতে শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের আবশ্যকতা তুলে ধরে বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের অদক্ষতার কারণে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন যাতে ব্যাহত না হয় পরিকল্পনা প্রণয়নে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের জন্য প্রশাসনিক রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলছি তা নয়। শিক্ষা, কৃষি এবং স্বাস্থ্যসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে ডিজিটাইজেশন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: টেশিসকে ডিজিটাল হাবে পরিণত করতে সরকার বদ্ধপরিকর: মোস্তাফা জব্বার
কৃষি খাতে আইওটি ব্যবহার এই খাতের অগ্রগতির জন্য অসাধারণ হতে পারে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। স্মার্ট বাংলাদেশের বিস্তারিত পথনকশা তৈরিতে এই কর্মশালা ফলপ্রসূ অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মোস্তাফা জব্বার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির পথ বেয়ে ডিজিটাল সংযুক্তি দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকাসহ দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, হাওরের প্রত্যন্ত উপজেলা খালিয়াজুরীতে বসে সাধারণ মানুষ অনলাইনে বিশেষজ্ঞ চক্ষু চিকিৎসা নিতে পারছে যা অভাবনীয়।
তিনি বলেন, দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগের ফলে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দেশের ২০০টি উপজেলায় বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদান করছে। দেশের প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকেও উচ্চগতির ডিজিটাল সংযোগের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রামের অসহায় মানুষদের উন্নত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: মানসিক শক্তি না থাকলে বইয়ের পেশায় থাকা যায় না: মোস্তফা জব্বার
স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)।
এবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের চেষ্টায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এ কার্ড সিস্টেম চালু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে কার্ড তৈরির জন্য সকল ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল ও দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান বলেন, এই স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি ব্যবহার করে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ লাইব্রেরিতে চেক ইন, চেক আউট, সেলফ বুক ইস্যু, সেলফ বুক রিটার্ন, অটো গেট পাশ, বুক হোল্ডিং ইত্যাদি সুবিধা পাবেন।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটলাইজেশনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন, ডি-নথির বাস্তবায়ন, আবাসিক হলের সিট বুকিং, অ্যাপ ব্যবহার করে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের রুম বুকিং, অনলাইনে চাকরির আবেদন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট ক্লাস রুম, প্রশিক্ষণ কক্ষ, ল্যাব উল্লেখযোগ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিলাইজেশনের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।
ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিলক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তা বাস্তবায়নে সকল পর্যায় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে সব দিক থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার মূল চাবিকাঠি হলো ডিজিটাল সংযোগ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এই উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
প্লাস্টিক দূষণ রোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, সরকার প্লাস্টিক দূষণ নিয়ন্ত্রণে 'মাল্টিসেক্টোরাল অ্যাকশন প্লান ফর সাসটেইন্যাবল প্লাস্টিক ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, অবৈধ পলিথিন শপিং ব্যাগ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রয়, মজুদদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, এনজিও, বেসরকারি খাত, পরিবেশবাদী সংগঠন এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াসহ সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের ১২ জেলার ৪০টি উপজেলায় সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে তিন বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। সমুদ্র সৈকত ও তৎসংলগ্ন হোটেল-মোটেলে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন আইটেম পর্যায়ক্রমে বন্ধের বিষয়ে কার্যক্রম চলমান।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, ২০৩০ সাল নাগাদ ৫০ শতাংশ ‘ভার্জিন ম্যাটেরিয়াল’ ব্যবহার হ্রাস করা, ২০২৬ সালের মধ্যে ৯০ শতাংশ সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা, ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য পুনঃচক্রায়ন নিশ্চিতকরা, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হ্রাস করার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়াও, এক্সেন্ডেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি বাস্তবায়নে গাইডলাইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সকলে একসঙ্গে কাজ করলে প্লাস্টিক দূষণ রোধে সফল হওয়া যাবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিশেষ দূত এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী; পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
কোকা-কোলা বাংলাদেশ বেভারেজেস-এর বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশ সচেতনতা কর্মসূচি আয়োজন
দক্ষ প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলুন: স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্সকে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করার লক্ষ্যে দক্ষ ও প্রযুক্তি-সচেতন জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্ক ফোর্সের প্রথম বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আজকে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কী করতে হবে তা নির্ধারণ করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস মানুষের সামনে নতুন দরজা খুলে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, এজন্য আমাদের উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে শিক্ষা ও প্রযুক্তি দিয়ে গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নাগরিকদের স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে, যাতে সব মানুষ ডিজিটাল ডিভাইস ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নে দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সঠিক পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উচিত মানুষের সৃজনশীলতা, তাদের চিন্তাভাবনা এবং এগিয়ে যাওয়ার ধারণা বিকাশের সুযোগ তৈরি করা।’
দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা স্মার্ট বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস এবং তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশকে বাস্তবায়িত করতে আমাদের এখন থেকেই প্রস্তুত হতে হবে। ধাপে ধাপে কী করতে হবে সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
তিনি বিভিন্ন দেশের ভাষা শেখা, শিক্ষার মান বৃদ্ধি এবং বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনার পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়নের ওপর জোর দেন।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না, যেখানে মানুষ উন্নত ও সমৃদ্ধ জীবনযাপন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশে উদ্ভাবনের শক্তি বিকাশের মাধ্যমে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’
আরও পড়ুন: রংপুর অঞ্চলে মঙ্গা চিরতরে বিলুপ্ত করতে কাজ করুন: কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্যকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট এভিয়েশন শিল্পে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
এ ছাড়া এদেশের স্মার্ট এভিয়েশন শিল্প শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ‘যশোর বিমানবন্দর’র নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানেই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, কৃষি, অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, এভিয়েশন ও পর্যটনসহ দেশের প্রতিটি খাত উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে দেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এভিয়েশন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও জনদক্ষতা উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সব বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্মানিত যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এরই অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এয়ার ফিল্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৬০ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করা যশোর বিমানবন্দরে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে।এর অপারেশনাল কার্যক্রমও বেড়েছে বহুগুণ।
তিনি বলেন, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণের ফলে যাত্রীরা বিমান যাত্রায় এখন থেকে আরও উন্নত ও আধুনিক সেবা পাবেন। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারেও ভূমিকা রাখবে এই বিমানবন্দর।
এ ছাড়া এই দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক টার্মিনাল এই এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, তরুণরাই স্মার্ট। আর এই স্মার্ট সিটিজেনরাই স্মার্ট বাংলাদেশের কেন্দ্রে থাকবে।
তিনি বলেন, স্মার্ট ইকোনোমি, স্মার্ট সোসাইটি এবং স্মার্ট গভর্নেমেন্ট আবর্তিত হবে এই স্মার্ট সিটিজেন দিয়েই।
রবিবার (৩০ জুলাই) ইন্টার কন্টিনেন্টালের রূপসী বাংলার গ্র্যান্ড বলরুমে অনুষ্ঠিত ‘চকবোর্ড থেকে কিবোর্ড’ বিষয়ক প্রশ্নোত্তর আড্ডায় এসব কথা বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসের সুযোগ নেই, গুজব রটালে কঠোর শাস্তি: শিক্ষামন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আর সে-ই স্মার্ট- যে হবে দক্ষ, যোগ্য সৃজনশীল, মানবিক, অসম্প্রদায়িক, পরমতসহিষ্ণু ও মানবিক।
‘ফায়ারসাইড চ্যাট’ সেশনে টেন মিনিট স্কুলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মির্জা সালমান বেগের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের একটা দারুণ সুযোগ রয়েছে। এর মধ্যেই আমাদের যোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, এজন্য শিক্ষাই প্রধান হাতিয়ার। শিক্ষাই হবে মেগাপ্রকল্প। তাই আমাদের শিক্ষকদের পেশাগত মর্যাদা ও আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। বাই চান্স শিক্ষক নয়; আমাদের দরকার মনে-প্রাণে শিক্ষক।
মন্ত্রী বলেন, তাদের মাধ্যমেই আমরা দক্ষ, যোগ্য ও মানবিক মানুষ গড়ে তুলেতে চাই আমরা। এক্ষেত্রে সময়ের প্রয়োজনেই তাকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, উপনিবেশিক শিক্ষার আগের শিক্ষা ব্যবস্থা ছিলো অনেক ঋদ্ধ। তখন গুরু-শিস্যের শিক্ষা ছিলো। কিন্তু দীর্ঘ উপনিবেশিক শিক্ষায় আটকে ছিলাম। সেখান থেকে বেরিয়ে এখন আমরা নতুন ও পরবর্তী প্রজন্মকে অনিশ্চিত অজানা ভবিষ্যতের জন্য সেট অব স্কিল শেখাচ্ছি।
তিনি বলেন, সফট স্কিলের পাশাপাশি দলগত ভাবে কাজের দক্ষতা, পরমত সহিষ্ণুতা এবং চিন্তা শক্তির মাধ্যমে সমাধানমুখী শিক্ষা ব্যবস্থায় নিয়ে আসছি। আমরা করে করে শেখার পদ্ধতি চালু করেছি। আশা করছি ২০২৫ সালের মধ্যে আমরা পুরোপুরি নতুন একটা কারিকুলামে চলে যাচ্ছি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই এখন বেকারত্বের অভিশাপ মুক্ত হচ্ছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, রিয়েল প্রাক্টিশনারকে শিক্ষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে আসলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সফট স্কিলগুলো নিয়মিত রিস্কিল করতে হবে। ছোটো ছোট মডিউল তৈরি করতে হবে। সর্বোপরী উন্নাসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। গবেষণা, উদ্ভাবন, বিপননে পথ উন্মুক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাততকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: নতুন কারিকুলামে শিক্ষকের দায়িত্বশীলতা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী যা বললেন
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি করোনায় আক্রান্ত
যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৭ জুলাই
ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে ঢাকা বিভাগীয় ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে।
সেদিন দুপুর ২টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে ঢাকা বিভাগের অন্তর্গত ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ, গাজীপুর মহানগর, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা জেলা এবং ময়মনসিংহ জেলার সমন্বয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে যুবলীগের ‘তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশ সোমবার
উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫