স্মার্ট বাংলাদেশ
'স্মার্ট বাংলাদেশের' পথ প্রশস্ত করেছে গত দেড় দশকের প্রবৃদ্ধি
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যাপক উন্নয়ন 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়তে শক্ত ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক এক বাজেট নথিতে এই তথ্য উল্লেখ করে দেশের সামাজিক, আর্থিক ও ভৌত অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, মানবসম্পদ, স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের কাছে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।’
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য বিমোচন
গত দেড় দশকে বাংলাদেশ একটি গতিশীল ও দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। মোট জাতীয় আয়ের গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে এবং ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে মাথাপিছু আয় ২ লাখ ৭৩ হাজার ৩৬০ টাকায় পৌঁছেছে। ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী, জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় ৩৩তম অবস্থানে আছে।
এসময়কালে দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে, চরম দারিদ্র্যের হার কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানীয় জলের সুবিধা পাচ্ছে এবং ৯৭ দশমিক ৩২ শতাংশ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে।
দেশের গড় আয়ু এখন ৭২.৮ বছর। এছাড়া শিশুমৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২১ জন এবং মাতৃমৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৬১ জনে নেমে এসেছে।
বিদ্যুৎ ও অবকাঠামো সম্প্রসারণ
গত দেড় দশকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছয়গুণ বেড়ে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে, যার ফলে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে শতভাগ জনসংখ্যা। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুতের গ্রাহকও বেড়েছে চারগুণ।
অন্যদিকে বাংলাদেশের পরিবহন অবকাঠামোতেও উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ দেখা গেছে। জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় তিনগুণ বেড়ে ১২ হাজার কিলোমিটার থেকে ৩২ হাজার ৬৭৮ কিলোমিটার হয়েছে। গ্রামের সড়কগুলো ৭৬ গুণ বেড়ে ৩ হাজার ১৩৩ কিলোমিটার থেকে ২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৬ কিলোমিটারে প্রসারিত হয়েছে।
পাশাপাশি রেলপথ ৫০ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৫৬ কিলোমিটার থেকে ৩ হাজার ৪৮৬ কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে।
স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় অগ্রগতি
গত দেড় দশকে অভূতপূর্ব অগ্রগতি দেখা গেছে স্বাস্থ্য খাতে। সরকারি হাসপাতালগুলোতে শয্যার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে ৭১ হাজার। সরকারি ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা তিনগুণ বেড়ে যথাক্রমে ৩০ হাজার ১৭৩ জন এবং ৪৪ হাজার ৩৫৭ জন।
অন্যদিকে নার্সিং কলেজের সংখ্যা ৩১টি থেকে বেড়ে ৯৯টি হয়েছে আর ১৪ হাজার ৩১১টি কমিউনিটি ক্লিনিকে এখন ২৭ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।
বাজেট নথিতে শিক্ষায়ও আকর্ষণীয় অর্জনের হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। সাক্ষরতার হার ২০০৬ সালে ছিল ৪৫ শতাংশ যা বেড়ে ২০২৩ সালে ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ ৫৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৮ দশমিক ২৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষায় ভর্তির হার শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ১৭ দশমিক ৮৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
কৃষি ও ডিজিটাল খাতে রূপান্তর
গত দেড় দশকে কৃষিখাতে উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। শস্য উৎপাদন ১ কোটি ৮০ লাখ মেট্রিক টন থেকে ৪ কোটি ৯২ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে মাছচাষ ২১ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন থেকে ৫৩ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টনে দাঁড়িয়েছে। গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি উৎপাদনও যথাক্রমে প্রায় দ্বিগুণ ও তিনগুণ হয়েছে।
এছাড়াও এসময়ের মধ্যে বাংলাদেশে ঘটেছে ডিজিটাল বিপ্লব। ২০০৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইন্টারনেটের ব্যবহার শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৮ দশমিক ৫৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সক্রিয় মোবাইল ফোনের সিম প্রায় দশগুণ বেড়ে ১ কোটি ৯০ লাখ থেকে ১৮ কোটি ৮৬ লাখ হয়েছে। সরকারি ডিজিটাল সেবার সংখ্যা ৮ থেকে ৩ হাজার ২০০টিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে সরকারি ওয়েবসাইট ৯৮টি থেকে বেড়ে বর্তমানে ৫২ হাজার ২০০টি।
আইসিটি পণ্য ও সেবার রপ্তানি মূল্য ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে আইটি ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা ২০০ থেকে বেড়ে ৬ লাখ ৮০ হাজারে দাঁড়িয়েছে, যার সুবাদে বিশ্বে ফ্রিল্যান্সারদের দ্বিতীয় বৃহত্তম আবাসস্থল বাংলাদেশ।
৪ মাস আগে
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে’
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ডিজিটালাইজেশন বাংলাদেশের অগ্রগতির লাইফ লাইন। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ইন্টারনেটের অভাবনীয় শক্তি কাজে লাগাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট প্রসারে মোবাইল অপারেটরসহ যেকোনো বেসরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরকার সম্পূর্ণ সহযোগিতায় বদ্ধপরিকর।’
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকায় একটি হোটেলে গ্রামীফোনের ব্রডব্যান্ড সেবা জিপিফাই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইসরোর সঙ্গে যৌথভাবে ছোট স্যাটেলাইট তৈরি করবে বাংলাদেশ: পলক
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট নাগরিক অপরিহার্য। সোনার বাংলার জন্য সোনার মানুষ চাই। তাই শিক্ষার্থীদের প্রতিভা কাজে লাগিয়ে তাদেরকে প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট করে গড়ে তুলতে পারলে তাদের হাতেই গড়ে উঠবে স্মার্ট বাংলাদেশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর্কিটেক্ট অব ডিজিটাল বাংলাদেশ সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী গৃহীত ডিজিটাল বাংলদেশ কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
সুলভ মূল্যে জনগণের দোরগোড়ায় নিরবচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কর্মসূচি তুলে ধরে পলক বলেন, ‘দেশে ২০০৬ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৮৫ হাজার টাকা ও ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ছিল ৪০ লাখ। প্রধানমন্ত্রী সাধারণের জন্য ইন্টারনেট সহজ লভ্য করতে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম মাত্র ৬০ টাকায় নির্ধারণ করেছেন। দেশে বর্তমানে ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।’
তিনি বলেন, ‘২০০৬ সালে দেশে মাত্র সাড়ে সাত জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হত। বর্তমানে পাঁচ হাজার ২০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশে আমাদের সামনে অসীম সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাত ধরেই আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সাহসী সিদ্ধান্তের কারণে পঞ্চগড়ের দয়াল বর্মণ, কুষ্টিয়ার ইউটিউব গ্রাম, সাত লাখ ফ্রিল্যান্সার ঘরে বসে আয় করতে পারছে। সাফল্যের গল্প রচনা সম্ভব হয়েছে। সম্প্রতি অপারেটরদের ইউনিফাই লাইসেন্স গাইডলাইন করায় এখন মোবাইল অপারেটররাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। ন্যূনতম ২০ এমবিপিএস থেকে ১৫০ জিবিপিএস পর্যন্ত তারহীন ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে জিপিফাইয়ের।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই গ্রামীণফোন গ্রাহকদের সেবা বৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগ বৃদ্ধি করুক। কেননা আমরা চাই সুলভমূল্যে গুণগত ও মানসম্পন্ন সেবা।’
অনুষ্ঠানে জিপিফাই এর বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, আবুল কাশেম মহিউদ্দি ও মইনুল মোমেন।
অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশল মহিউদ্দিন আহমেদ, মহাপরিচলক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আইটি-আইটিইএস খাতে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হবে: পলক
কক্সবাজারের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পলকের
৫ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাজারমুখী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন দেশের উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের ৯০ ভাগ শিক্ষার্থীই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এইসব শিক্ষার্থীদের বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী আর দক্ষ করে গড়ে তোলার মাধ্যমে উৎপাদনশীল অর্থনীতি তৈরির লক্ষ্যে কাজ করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা ইনস্টিস্টিউটে ‘স্মার্ট অর্থনীতি বিনির্মাণে স্মার্ট শিক্ষা ও কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় এমন মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই), তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এই প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক উজ্জ্বল অনু চৌধুরী এবং এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরী সম্পাদিত ‘Blended Learning in Smart Education: Perspectives from South Asia’ শীর্ষক প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, উচ্চশিক্ষায় গতানুগতিক শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন করে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রদান করতে হবে। শিক্ষার্থীরা যেন তাদের অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করতে পারে সেই লক্ষ্যে শিক্ষাকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগে শিক্ষাক্রমের রূপান্তর করা হচ্ছে। একইভাবে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মতে শিক্ষাব্যবস্থাকে এমনভাবে রূপান্তর করতে হবে, যাতে বিশ্ববাজারের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করা সম্ভব হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের কর্মযোগ্যতা বৃদ্ধির আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে শিক্ষা, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করতে হবে। এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রিকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে করে বিশ্ববাজারের চাহিদা উপযোগী করে স্মার্ট বাংলাদেশের অর্থনীতি বিনির্মাণে দক্ষ জনবল প্রস্তুত করা যাবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আজকে একজন শিক্ষার্থী যা শিখছে ভবিষ্যতে তার প্রয়োজন নাও হতে পারে। ভবিষ্যতে নতুন যা আসবে তা শেখার মানসিকতা থাকতে হবে।
প্যানেল আলোচনায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া এবং ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধি দক্ষতা ও কর্মসংস্থানের সঙ্গে শিক্ষার সমন্বয় সাধনের উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
এটুআই-এর পলিসি অ্যাডভাইজার আনীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পরিকল্পনা এবং উন্নয়ন) অধ্যাপক ড. এ কিউ এম শফিউল আজম ‘স্মার্ট অর্থনীতির জন্য শিক্ষা’ বিষয়ক উপস্থাপনা তুলে ধরেন।
আলোচনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস লিমিটেডের হেড অব এইচআর, মো. আমিনুল ইসলাম খান, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম, বিডিজবস-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা ফাহিম মাশরুর। এসময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, একাডেমিয়া ও ইন্ড্রাস্ট্রির প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাস্তবমুখী হওয়ায় নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে গ্রামের অভিভাবকরা খুশি: শিক্ষামন্ত্রী
৫ মাস আগে
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শতভাগ কাগজহীন সেবা নিশ্চিত করতে চায় সরকার
‘স্মার্ট বাংলাদেশ: ২০৪১’ রূপকল্পের অংশ হিসেবে সব পরিষেবা সম্পূর্ণ কাগজহীন করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রশাসন ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটাতে এই উদ্যোগ।
সম্প্রতি সংসদে উপস্থাপিত একটি সরকারি নথিতে বলা হয়, সরকারের লক্ষ্য শতভাগ কাগজহীন, সরলীকৃত ও পারসোনালাইজড পরিষেবা দিতে চায়।
এতে আরও বলা হয়েছে, ‘প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরকারি পরিষেবাগুলোকে প্রস্তুত করতে শতভাগ কাগজহীন, সরলীকৃত ও পারসোনালাইজড করা হবে।’
এই রূপান্তরের মূল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণার মাধ্যমে ডিজিটাল অবকাঠামো তৈরি করে সব সেবা সহজলভ্য ও আন্তঃব্যবহারযোগ্য করে তোলা। এছাড়াও, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া দ্রুততম করতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ড্যাশবোর্ড তৈরির পরিকল্পনাও রয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট ডেভেলপমেন্ট ইনডেক্সে ৫০-এর ঘরে অবস্থান করার লক্ষ্যে নিজের অবস্থানের উন্নতিতে কাজ করছে সরকার। এছাড়াও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির মাধ্যমে কর-জিডিপি অনুপাত কমপক্ষে ২২ শতাংশে উন্নীত করারও চেষ্টা চলমান।
সরকারের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে সব নাগরিকের জন্য সর্বজনীন ও মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, ব্যাপক সামাজিক কল্যাণের প্রতি সরকারের অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করা।
আরও পড়ুন: 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণ: ২০৪১ সালের মধ্যে সবার ডিজিটাল দক্ষতা ও পরিচয়পত্র
স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম কৌশলগত লক্ষ্য হচ্ছে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। এ লক্ষ্যে সরকার ফ্রিল্যান্সার, সিএমএসএমই উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতাদের গড়ে তুলছে।
এই কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যকে স্মার্ট এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট (এসইইডি) ভিত্তিক সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে 'ওয়ান ফ্যামিলি ওয়ান সিড' উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ দেশজুড়ে উদ্যোক্তাদের একটি শক্তিশালী ভিত গড়ে তোলার জন্য তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও সরকার 'হার পাওয়ার প্রজেক্ট: এমপাওয়ারমেন্ট অব উইমেন উইথ দ্য হেল্প অব টেকনোলজি' নামক একটি প্রকল্প পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পের অধীনে ৪৪টি জেলার ১৩০টি উপজেলার ২৫ হাজার ১২৫ জন নারীকে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পাঁচ মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে এক মাসের মেন্টরশিপ ও একটি ল্যাপটপ দেওয়া হয়।
তরুণ উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সহায়তা করতে সরকার ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি (আইডিইএ) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগ ও স্টার্টআপকে উৎসাহিত করতে উদ্ভাবনের কেন্দ্রস্থলের বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাড’ নামে ভেঞ্চার স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
স্টার্টআপগুলোকে আরও সহায়তা করতে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। এই কোম্পানি একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম যা স্টার্টআপগুলোর যাত্রা শুরু ও বেড়ে ওঠার সময়ে বিনিয়োগের মাধ্যমে সাহায্য করে এবং জাতীয় পর্যায়ে নীতি প্রণয়নে যুক্ত করে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল চালিকাশক্তি প্রকৌশলীরা: প্রধানমন্ত্রী
এছাড়াও মিশন গভর্নমেন্ট ব্রেইনের (জি-ব্রেইন) অধীনে বিভিন্ন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত উদ্যোগের বিকাশ ঘটানো হচ্ছে, যেমন- পার্সোনালাইজড লার্নিং ইনভেস্টরজিপিটি, লজিপিটি, হেলথজিপিটি ও ক্লাইমেটজিপিটি। এসব উদ্যোগের লক্ষ্য বিভিন্ন খাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে দক্ষতা ও পরিষেবা সরবরাহ বাড়ানো।
স্মার্ট প্রশাসনে রূপান্তরকে সহজতর করতে আরও বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে রয়েছে সরকারি ইমেইল নীতিমালা ২০১৮ এবং ৪৭টি মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ ১৮ হাজার ৪৩৪টি সরকারি অফিসকে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্কে একীভূত করা।
এদিকে কোনো বাড়তি ইউএসবি সিস্টেম বা ডঙ্গলের ব্যবহার ছাড়াই ই-সই প্রযুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)। এরইমধ্যে ২৭৩ জন কর্মকর্তা ই-সই ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি ডিজিটাল পৌরসভা পরিষেবা সিস্টেমের (ডিএমএসএস) কাজ চলছে। কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সহায়তায় ৯টি পৌরসভা এবং একটি সিটি করপোরেশনে ই-পরিষেবা সরবরাহ করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ৩২৯টি পৌরসভায় ১১টি ই-সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে 'ন্যাশনাল মিউনিসিপ্যাল ডিজিটাল সার্ভিস' প্রকল্প। সরকারি অফিসগুলোকে কাগজহীন করতে ৯টি মডিউলসহ একটি এন্টারপ্রাইজ রিসোর্স প্ল্যানিং (ইআরপি) সিস্টেম তৈরি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ৫টি মডিউল আইসিটি ও পরিকল্পনা বিভাগে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এছাড়াও সরকার ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব নিরসনে চালু করা হয়েছে নাগরিকবান্ধব ওয়েব পোর্টাল 'জনতার সরকার'। নাগরিক ও সরকারের মধ্যে স্বচ্ছ ও পারস্পরিক যোগাযোগের সুবিধার্থে এই পোর্টাল বর্তমানে ১১টি মন্ত্রী ও বিভাগকে যুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
৬ মাস আগে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' রূপকল্প তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ের মাধ্যমে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' ভিশন বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে তিনি চারটি মূল স্তম্ভ- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বৃক্ষরোপনের জায়গা নির্ধারণে স্যাটেলাইট ছবি ব্যবহার করা হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মন্ত্রী মাহমুদ আলী মনে করেন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ'র অধীনে দেশের মাথাপিছু আয় কমপক্ষে সাড়ে ১২ ডলারে পৌঁছাবে, জনসংখ্যার ৩ শতাংশের কম দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করবে এবং চরম দারিদ্র্য নির্মূল হবে।
মূল্যস্ফীতি ৪-৫ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে এবং বাজেট ঘাটতিও জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। রাজস্ব ও জিডিপির অনুপাত ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া বিনিয়োগ জিডিপির ৪০ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এর মধ্যে শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক সাক্ষরতা অর্জনের লক্ষ্যও রয়েছে।
মন্ত্রী মাহমুদ আলী বলেন, 'স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য সহজলভ্য হবে এবং স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা ও টেকসই নগরায়নসহ প্রয়োজনীয় সেবাগুলো সরাসরি জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া হবে।’
একটি ন্যায্য ও সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাগজবিহীন এবং নগদবিহীন সমাজ গঠনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা ন্যায়বিচার ও সাম্যভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করব। বাংলাদেশের মানুষ বুদ্ধিমান, সৃজনশীল ও পরিশ্রমী।’
প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে অর্থমন্ত্রী আস্থা ব্যক্ত করেন। এ লক্ষ্যে বৈষম্যহীন, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা সতর্কতার সঙ্গে প্রণয়ন করা হচ্ছে বলে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট ২০২৪-২৫ অর্থবছর: জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ
সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণ: ২০৪১ সালের মধ্যে সবার ডিজিটাল দক্ষতা ও পরিচয়পত্র
নাগরিকদের ডিজিটাল দক্ষতা ও ডিজিটাল পরিচয়পত্রের (আইডি) বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ রূপান্তরের একটি উচ্চাভিলাষী রূপকল্প প্রকাশ করেছে সরকার।
এই রূপকল্পের ভিত্তিতে চারটি স্তম্ভ রয়েছে সেগুলো হলো- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। এই চার ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করে কমপক্ষে ৯০ শতাংশ নাগরিককে ডিজিটালি শিক্ষিত এবং ৯৫ শতাংশের ডিজিটাল আইডি নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
সংসদে জমা দেওয়া সাম্প্রতিক নথি থেকে জানা যায়, নাগরিকদের দক্ষতা বিকাশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার নিজেদের কৌশল সাজিয়েছে।
নথিতে বলা হয়েছে, ‘ডিজিটাল কারিকুলামের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে ডিজিটাল দক্ষতা উন্নয়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে ন্যূনতম ৯০ শতাংশ নাগরিকের ডিজিটাল সাক্ষরতা নিশ্চিত করা হবে।’
এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাতে সরকার উচ্চ-গতির নির্ভরযোগ্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সরবরাহ করার পরিকল্পনা করেছে এবং প্রত্যেক নাগরিকের কমপক্ষে একটি ডিজিটাল ডিভাইস অ্যাকসেস নিশ্চিত করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে ৯৫ শতাংশ নাগরিক তাদের ডিজিটাল আইডির মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।
ই-পার্টিসিপেশনের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি সেবা তৈরিতে সচেতন নাগরিকদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে এ নথিতে। এতে আরও বলা হয়, নাগরিক ও সরকার মিলে প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করবে। এই উদ্যোগের মধ্যে দেশজুড়ে ডিজিটাল ও পক্ষপাতহীন মানসিকতা গড়ে তোলার প্রচারণাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সরকারের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে প্রতিটি পরিবারের অন্তত একজন সদস্যের স্মার্ট কর্মসংস্থান ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন সুবিধা নিশ্চিত করা। এছাড়া স্মার্ট ডিভাইসের ব্যবহার ২০৩১ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য রয়েছে।
এই পরিকল্পনার একটি মূল অংশ হলো নাগরিক পরিষেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে স্মার্ট আইডিগুলোর সর্বজনীন ব্যবহার এবং তা বাড়িয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে শতভাগে নিয়ে যাওয়া।
এছাড়াও একটি সমন্বিত ব্লেন্ডেড এডুকেশন ও স্কিল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে জাতীয় টাস্কফোর্স অন ব্লেন্ডেড এডুকেশনের অধীনে ১২টি উপকমিটির কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার কথাও নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার যে বিস্তৃত পরিকল্পনার রূপরেখা দেওয়া হয়েছিল, যেখানে তরুণদের ওপর গুরুত্বারোপ করে জাতির অগ্রগতির জন্য বর্তমান ও ভবিষ্যৎ উভয় পরিকল্পনার বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশকে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকারের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
৬ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জুডিশিয়ালি স্মার্ট হওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে জুডিশিয়ালি স্মার্ট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুন হাসান।
স্মার্ট জুডিশিয়ালি করার ক্ষেত্রে দেশের ৬৪ জেলার আদালত চত্তরে ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠা সাধারণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন আপিল বিভাগের ৩ বিচারপতি
শুক্রবার বিকালে দিনাজপুরের আদালত চত্বরে নব নির্মিত ‘ন্যায়কুঞ্জ’ (বিশ্রামাগার) উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধান বিচারপতি বলেন, নাগরিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বিচারকরা নিবেদিত।
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং নব নির্মিত ন্যায়কুঞ্জের ফলক উম্মোচন করেন প্রধান অতিথি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
প্রায় পৌনে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বিশ্রামাগারে প্রায় ৭০ জনের স্থান সংকুলান সম্ভব। ন্যায়কুঞ্জের মধ্যে নারী ও পুরুষদের জন্য পৃথক শৌচাগারের ব্যবস্হা রয়েছে। পাশাপাশি কোলের শিশুদের জন্য মাতৃদুগ্ধ পানের কর্নার ছাড়াও হালকা নাস্তা পানির জন্য স্টল রাখা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, জেলা ও দায়রা জজ যাবিদ হোসেন, স্পেশাল জজ রেজাউল করিম সরকার, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার সাইফুর রহমানসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় সৎ হতে হবে: প্রধান বিচারপতি
ন্যায়বিচার পাওয়া প্রত্যেকের মৌলিক অধিকার: প্রধান বিচারপতি
৬ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের ক্ষেত্রে জেন্ডার বাজেটের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, জেন্ডার বাজেট শুধু প্রণয়ন করলে চলবে না, এর কার্যকর বাস্তবায়ন করতে হবে।
বুধবার(১৫ মে) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাল্টিপারপাস হলে জেন্ডার বাজেট প্রতিবেদন ২০২৪-২৫ প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দেশের বিপুল সংখ্যক নারী জনগোষ্ঠী অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত। ফলে অর্থনীতিতে তাদের যে অবদান তার সঠিক হিসাব আমরা করতে পারছি না।
এই নারী জনগোষ্ঠীকে আনুষ্ঠানিক খাতের আওতায় আনা প্রয়োজন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন ও তার কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্য নিরসন সম্ভব। টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য নারীদের ক্ষমতায়ন জরুরি। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারীর ক্ষমতায়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে।
তিনি বলেন, এখনো নারীরা কর্মক্ষেত্র বা অর্থনৈতিকভাবে যেসব জায়গায় পিছিয়ে আছে, তাদের সেখানে এগিয়ে নিতে জেন্ডার বাজেট বিশেষ অবদান রাখতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের বাজেটে নারীদের উন্নয়নে যথেষ্ট বরাদ্দ রেখেছিলেন। তিনি জানতেন দেশকে আর্থিকভাবে এগিয়ে নিতে নারীদের উন্নয়নটা জরুরি।
অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আগামী বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিধান রাখা নিয়ে সংকোচে অর্থ প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
যুগোপযোগী-দক্ষ যুব সমাজ স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের অন্যতম পূর্বশর্ত: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে যুগোপযোগী ও কর্মদক্ষ যুবসমাজের কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সম্ভাবনাময় সময় পার করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যাগত এই সুবিধার সঠিক ব্যবহার করতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিরা চেষ্টা করলে জনগণের ভাগ্য আমূল পরিবর্তন করা সম্ভব: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত ‘ইয়ুথ লিডারশিপ স্কিলস্ ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন৷
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, এমডিজি, এসডিজিসহ, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ ইত্যাদি প্রমাণ করে সরকার যুব সমাজ ও দেশের নাগরিকদের নিয়ে দূরদর্শী পরিকল্পনা করছে।
মন্ত্রী মার্কেট ইকোনমি নিয়ে বলেন, আমাদের পণ্য ও সেবার মান বিশ্বমানের হতে হবে। তাহলেই এই মুক্তবাজার অর্থনীতির যুগে আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে পারব। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়ন করে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়িত করতে হলে নিজেরদের যোগ্য ও দক্ষ করে গড়ে তোলাটা একান্তই অপরিহার্য।
মন্ত্রী বলেন, যুবসমাজ ফ্রিল্যান্সিংসহ রিমোট জবের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। যা অর্থনীতিকে করছে বেগবান।
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিকল্প নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ একটি বহুমাত্রিক ধারণা। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক সমাজ গঠনে এগিয়ে এলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করতে পারব।
একশনিস্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ড. শারিন শাহাজাহান নাওমির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- স্মার্ট বাংলাদেশ নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দৃঢ় প্রত্যয় স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর
কুষ্টিয়ায় অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
৭ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট ডেটা: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ রাখে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট ডেটা প্রয়োজন। শুধু পর্যাপ্ত ডেটা থাকলেই হবে না, আমাদের প্রয়োজন, গুণগত, উপযুক্ত ও নির্ভরযোগ্য ডেটা। নির্ভরযোগ্য ও মানসম্পন্ন ডেটা নীতি নির্ধারণ, সম্পদের সুষম বণ্টন ও জনসেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ রাখে।’
বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জের যৌথ আয়োজনে ‘পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)’ সূচক প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশের ভিত্তি মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা: গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের আর্থিক ও বাণিজ্যিক উন্নয়ন এবং সহায়ক শুল্কনীতির মাধ্যমে দেশের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষার মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতি এবং বিভিন্ন খাতের উন্নয়ন ও অগ্রগতি প্রকাশ করছে অর্থ মন্ত্রণলায়।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশের সুসংগঠিত উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে গুণগত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকস (বিবিএস) প্রতিষ্ঠা করেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কার্যকর পরিকল্পনার জন্য সময়োপযোগী এবং মানসম্পন্ন পরিসংখ্যান ব্যবস্থার ওপর জোর দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে কোভিড মহামারি ও বৈশ্বিক সংকটের সময়েও বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রা সুরক্ষিত ছিল। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তিনি মেগাপ্রকল্পসমূহ বাস্তবায়ন করেছেন।
অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশে পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক হবে। রিয়েল টাইম ডেটার মাধ্যমে ইহা অর্থনীতির সব খাতের তথ্য দেবে। জনগণের সার্বিক উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাত একসঙ্গে কাজ করে যাবে।
আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধি অর্জন অব্যাহত রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের লক্ষ্য: অর্থ প্রতিমন্ত্রী
এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল। আরও বক্তৃতা করেন অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবদুর রহমান, এমসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান ও নিহাদ কবীর।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ করিম।
পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান এম মাশরুর রিয়াজ তার উপস্থাপনায় পিএমআই বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। বাংলাদেশে পিএমআই সূচক প্রকাশে সহযোগিতা করছে যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট কার্যালয় (এফসিডিও)।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এপ্রিলে বাংলাদেশের পিএমআই সূচক মাসে ৬২.২।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ শতাংশ
৭ মাস আগে