স্মার্ট বাংলাদেশ
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। এছাড়া, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোতে।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দেন ইউজিসির এই সদস্য।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।
ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অংশ নেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিনিয়োগ ও সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি চীনের
বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর বৃহত্তর বিনিয়োগ এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা এবং সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
এই সহায়তার লক্ষ্য হলো- বাংলাদেশের 'রূপকল্প ২০৪১' বাস্তবায়ন এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।
বৈশ্বিক ইস্যু এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়েও কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই তাদের নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের সন্ধানে যে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেন এবং সুশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত সহযোগিতা আরও সংহত করতে চীন প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং বাস্তব সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
তিনি বলেন, এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চাইলেন শেখ হাসিনা
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই তাদের নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের সন্ধানে যে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক জলবায়ুর ঝুঁকিগুলো স্বীকার করে সুশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত সহযোগিতা আরও সংহত করতে চীন প্রস্তুত বলেও জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।
উভয় দেশের নেতাদের নির্দেশনা ও আগ্রহে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের অব্যাহত সমৃদ্ধির কথা পুনর্ব্যক্ত করে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। এটি সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও লাভজনক ফলাফল অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
শিশুরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের মূল কারিগর: শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ লালন করে আজকের শিশুরাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল কারিগর হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা আমাদের অহংকার। স্বাধীনতার চেতনায় আত্মমগ্ন হয়ে সবাইকে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত এই স্বাধীনতার যথার্থ মূল্য দিতে শিখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার মাধ্যমে শিশুদের দেশপ্রেম শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অবৈধ ভিওআইপির সঙ্গে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
বুধবার (২৭ মার্চ) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি সভাকক্ষে, শিশু একাডেমি আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ২৬ মার্চ রক্ত ও অশ্রুস্নাত বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহের দিন। ২৬ মার্চ বাঙালির মুক্তির দিন। বাঙালির মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ২৬ মার্চ বাঙালির দীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ের সূচনা পর্ব। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত ও পাকিস্তান দুটি রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিনের ইংরেজ শোষণ থেকে মুক্ত হয়েও বাঙালি স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি।
তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষণ করতে থাকে সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের। পাকিস্তানিদের প্রকৃত চেহারা উপলব্ধি করে এ দেশের মানুষের মনে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগরিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে পুরো বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন।
রিমি আরও বলেন, বাঙালি জাতির জীবনের স্বাধীনতা শব্দটি বহু প্রতীক্ষিত একটি স্বপ্নের নাম। দীর্ঘ সময় ধরে আমরা পরাধীন একটি জাতি ছিলাম। ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ থেকে চিরতরে মুক্তির লড়াই শুরু হয়। শত্রুর হাত থেকে স্বদেশ তখন মুক্ত না হলেও মনে মনে আমরা নিজেদের সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবতে শুরু করি সেদিন থেকেই। তাই ২৬ মার্চ আমাদের স্বাধীনতা দিবস।
আরও পড়ুন: জাহাজ নির্মাণ শিল্পে দক্ষ জনবল নিতে চায় রাশিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন গুরুত্বপূর্ণ: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাণিজ্যের আধুনিকায়ন অপরিহার্য
২০৪১ সালে একটি আধুনিক, সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে বাণিজ্যের আধুনিকায়ন অপরিহার্য। এক্ষেত্রে বাণিজ্য হতে হবে স্মার্ট।
এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘স্মার্ট ট্রেড ফর স্মার্ট বাংলাদেশ: ওয়ে ফরওয়ার্ড’ বিষয়ক এক সেমিনারে ব্যবসায়ীরা একথা বলেন।
রবিবার (৩ মার্চ) বিকাল ৪টায় এফবিসিসিআইর বোর্ড রুমে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতিতে এক উদীয়মান শক্তি। এই টেকসই প্রবৃদ্ধির মূলে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাহসী পদক্ষেপ।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
সেইসঙ্গে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে গত দেড় দশক ধরে আইসিটি খাতকে উৎসাহিত করার মাধ্যমেই সূচিত হয়েছে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের এক নতুন অধ্যায়।
তিনি আরও বলেন, সাশ্রয়ী, টেকসই, বুদ্ধিদীপ্ত, জ্ঞানভিত্তিক এবং উদ্ভাবনী প্রাযুক্তিগত সমাধানই হচ্ছে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ।’
স্মার্ট ইকোনমি গড়ে তুলতে স্মার্ট কৃষি, স্মার্ট বাণিজ্য, স্মার্ট পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মাহবুবুল আলম বলেন, কৃষিক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য পরিবহনে স্মার্ট ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং এসব পণ্য সরবরাহ ও বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ই-কমার্স ও ডিজিটাল পেমেন্টের প্রচার ও প্রসারের ব্যবস্থা করতে হবে।
তিনি বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডাব্লিউটিও) এলডিসি থেকে উত্তরণের পর যে ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়তে পারে তা মোকাবিলায় অন্যতম হাতিয়ার হবে জিআই পণ্য ও প্যাটেন্ট। পণ্যের জিআই সার্টিফিকেট দেওয়ার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এর রপ্তানি বাড়ানো। তাই ক্রস বর্ডার ট্রেড বাড়াতে জিআই পণ্যগুলো অনেক বেশি ভূমিকা রাখবে।
এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি ও ইক্যাব সভাপতি শমী কায়সার বলেন, স্মার্ট অর্থনীতি গড়ে তুলতে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পণ্য পরিবহন খরচ কমাতে হবে। পণ্য পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। পণ্য মূল্য বেড়ে যাওয়ার ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
দেশের নারী উদ্যোক্তা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাত এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই খাতগুলোর সমৃদ্ধির জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট বাণিজ্যের কোনো বিকল্প নেই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, পণ্য আমদানি ও রপ্তানিতে এলসি খোলার ক্ষেত্রে এখন বর্তমানে যথেষ্ট শিথিলতা অবলম্বন করা হচ্ছে। আমাদের এখন সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।
এসময় বিভিন্ন খাতের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্থিতিশীল উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। কৃষকরা যেন সহজে ও ঝামেলামুক্তভাবে প্রয়োজনীয় সার পান সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ‘স্মার্ট ফার্টিলাইজার ডিস্ট্রিবিউশন অ্যাপ বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি আমরা। এটি কার্যকর করতে পারলে একদিকে যেমন কৃষকের হয়রানি কমবে অন্যদিকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে।
চতুর্থ শিল্প বিল্পবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনগ্রসর এলাকায় শিল্প কারখানা স্থাপনে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে। পাশাপাশি ব্যবসার জন্য বাধা সৃষ্টি করে এমন কোনো নীতিমালা করবে না সরকার।
আরও পড়ুন: আগা খান একাডেমির মানসম্মত শিক্ষার প্রতিশ্রুতি স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ
চুয়াডাঙ্গায় ১১টি স্বর্ণের বার জব্দ, নারী আটক
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ১৭ বছর সময় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ১৭ বছর সময় নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, এই ১৭ বছরে একজন দেশপ্রেমিক, প্রগতিশীল, উদ্ভাবনী ও সমস্যা সমাধানকারী নাগরিক হিসেবে আমাদের নিজের দায়িত্বটা পালন করব এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধীরা ‘কর্মক্ষেত্রে বেশি মনোযোগী ও দায়িত্বশীল’: পলক
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর হাতিরঝিলে এসপায়ার টু ইনোভেট-এটুআই এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আয়োজনে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্টেপ ইন টু দ্য ফিউচার: রান ফর মিশন ২০৪১’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় ‘স্মার্ট বাংলাদেশ রান ২০২৪’ দৌড় প্রতিযোগিতা।
তিনি বলেন, স্মার্ট রান সম্পন্নের সময় যেমন ৭৫ মিনিট নির্ধারণ করা হয়েছে, তেমনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সময় ১৭ বছর নির্ধারণ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সকলের জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় সুস্থ স্বাভাবিক, বিশেষভাবে সক্ষম, নারী-পুরুষ, তৃতীয় লিঙ্গ, গ্রাম-শহর সকলকেই এই স্মার্ট রানে তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।
পলক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রয়োজন সুস্থ-সবল, অসম্প্রদায়িক, প্রগতিশীল চেতনার দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক। স্মার্ট জাতি গড়ে তোলা ও মানুষের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন-২০৪১ নিয়ে সচেতনতা এবং উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
আজ সকাল ৬টায় হাতিরঝিলের এম্ফিথিয়েটারের সামনের অংশ হতে শুরু হয়ে পুরো হাতিরঝিল ৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ঘুরে এম্ফিথিয়েটারে এসে দৌড় প্রতিযোগিতাটি শেষ হয়।
এসময় নারী, পুরুষ,পঞ্চাশ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তি- এই চার বিভাগে সবমিলিয়ে ২ হাজার ৪১ জন অপেশাদার দৌড়বিদ অংশ নেন।
সাড়ে ৭ কিলোমিটার দুরত্বের দৌড় ক্যাটাগরিতে আলাদা আলাদা ইভেন্টে অংশ নেন নারী-পুরুষ ও ৫০ বছরের বেশি বয়সের দৌড়বিদরা।
আর ১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে দৌড়ান প্রতিবন্ধী দৌড়বিদরা। চিপ টাইমিং সিস্টেমে ইভেন্টের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু মালয়েশিয়া: পলক
দৌড় প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চার বিভাগে সবমিলিয়ে ১৯ জন বিজয়ীকে আর্থিক পুরস্কার, সনদপত্র ও মেডেল দেওয়া করা হয়।
পুরুষ বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন- মো. ইমরান হাসান, দ্বিতীয়- তোফায়েল আহমেদ, তৃতীয় - আশরাফুল আলম, চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে- দ্বীপ তালুকদার এবং পলাশ শেখ।
নারী বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন- হামিদা আক্তার জেবা, দ্বিতীয়- মোছাম্মাৎ সামিয়া, তৃতীয়- সাদিয়া শাওলীন সিগমা। চতুর্থ ও পঞ্চম হন যথাক্রমে- রিয়া আক্তার স্বর্ণা এবং হুমায়রা মনিশা।
পঞ্চাশোর্ধ্ব বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হন -মো. ওয়াহাব খান, দ্বিতীয়- জসীম উদ্দীন, তৃতীয়- আমিনুর রহমান।
আর প্রতিবন্ধী বিভাগের ৩ ক্যাটাগরিতে (হুইল চেয়ার, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী এবং শ্রবণ ও বাক প্রতিবন্ধী) যথাক্রমে চ্যাম্পিয়ন হন- আবু রায়হান, শিহাব বিশ্বাস ও জান্নাতুল নাঈম এবং দ্বিতীয় - তানভীর হোসেন, আলম দেওয়ান ও তানজিম হাসান।
এছাড়া সকল দৌড়বিদদের রেস জার্সি ও মেডেল দেওয়া হয়।
স্মার্ট বাংলাদেশ রান ইভেন্টে অংশ নেয়া দৌড়বিদদের উদ্বুদ্ধ করতে সাড়ে ৭ কিলোমিটার বিভাগের দৌড়ে অংশ নেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ৬৮ মিনিটে দৌড় শেষ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পরিবেশমন্ত্রীর ১০০ কর্মদিবসের পরিকল্পনা ঘোষণা
‘সুস্থ পরিবেশ, স্মার্ট বাংলাদেশ’স্লোগান সামনে রেখে ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, সচিবালয়কে ‘সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক’মুক্ত ঘোষণা এবং অন্যান্য সরকারি অফিসগুলোতেও একই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা জারি করা হবে। পরিবেশদূষণ রোধে প্রতি বিভাগে দুটি করে 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক' ফ্রি স্কুল ক্যাম্পাস বাস্তবায়ন এবং উন্নত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে প্রতি বিভাগে দুটি করে জিরো ওয়েস্ট ভিলেজ চালুর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় 'ন্যাশনাল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক' প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ এবং 'সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক'র উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাসে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনা করতে 'এক্সেন্টেড প্রডিউসার রেসপনসিবিলিটি'র খসড়া চূড়ান্ত করা হবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পানিদূষণ রোধে শিল্প কারখানার ইটিপি কার্যকরভাবে চালু রাখতে স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। সবুজ ক্যাটাগরিভুক্ত ছাড়পত্র ‘সেল্ফ অ্যাসেসমেন্ট’র আওতায় আনার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও প্রাকৃতিক জলাধারের ম্যাপিং এবং পরিবেশ ছাড়পত্র প্রদান প্রক্রিয়া সহজীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, জবরদখল করা ৫০ হাজার একর বনভূমির উচ্ছেদ প্রস্তাব প্রস্তুতকরণ এবং জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে। এর আগে পাঠানো ১ লাখ ৮৭ হাজার একর জবরদখল করা বনভূমি উদ্ধারের প্রস্তাব বাস্তবায়নে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষিজমি রক্ষার্থে সরকারি নির্মাণে শতভাগ ব্লক ব্যবহারে সংশোধিত রোডম্যাপ অনুমোদন এবং দেশব্যাপী ন্যূনতম ৫০০ অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিল্প প্রতিষ্ঠান বা প্রকল্পের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি ও সৃষ্ট সম্ভাব্য দূষণের পরিধি, মাত্রা এবং পরিবেশ ও মানবস্বাস্থ্যের ওপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনা করে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও প্রকল্পের ক্যাটাগরি হালনাগাদকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ ও জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলার লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ চূড়ান্তকরণ এবং আগামী এপ্রিল ২০২৪-এ ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ‘ন্যাশনাল এডাপটেশন প্লান এক্সপো’ আয়োজনের লক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে। ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্লান’ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে কর্মকৌশল প্রণয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় প্রস্তাবিত প্রস্তাবসমূহ যাচাই বাছাইয়ের নিমিত্ত গাইডলাইন প্রণয়ন এবং আন্তর্জাতিক ‘লস্যিান্ড ড্যামেজ ফান্ড’থেকে অর্থায়ন প্রাপ্তির লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকারের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ‘পার্টনারশিপ ফ্রেমওয়ার্ক’র উদ্যোগ গ্রহণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় বৃদ্ধি করার মাধ্যমে ‘হোল অব গভর্নমেন্ট এবং হোল অব সোসাইটি’ বাস্তবায়ন করা হবে। আসন্ন বাজেটে ‘ক্লিন অ্যান্ড গ্রিন’ থিম এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও স্মার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে কার্যকর পরিবীক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা সান হাইয়ানের সাক্ষাৎ
ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
নবনিযুক্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম রুমানা আলী বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: গুচ্ছে যুক্ত হচ্ছে নতুন ৩ বিশ্ববিদ্যালয়
তিনি বলেন, যার মধ্য দিয়ে লাখো শহীদের রক্তে অর্জিত প্রিয় বাংলাদেশ হবে সমৃদ্ধ, উন্নত, আধুনিক একটি রাষ্ট্র। এর সোপান হলো শিক্ষা। আর শিক্ষার ভিত রচিত হয় প্রাথমিক শিক্ষার মাধ্যমে।
তিনি আরও বলেন, এ জন্যই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, তাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এ লক্ষ্যে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হাছান মাহমুদকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
তিনি বলেন, শিক্ষা একটি সামগ্রিক প্রক্রিয়া। মাধ্যমিকের সঙ্গে সমন্বয় করে এখানে কাজ করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে শিক্ষার সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে। ফুল নেওয়া নয়, ফুল ফোটানোর লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: টেলিকম খাতকে লাভজনক অবস্থায় উত্তরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে: পলক
প্রবাসীরা আমাদের নায়ক, আসুন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘সোনার বাংলা-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে আসুন একসঙ্গে কাজ করি। আমাদের তাদের (প্রবাসী বাংলাদেশিদের) অংশগ্রহণ জোরদার করতে হবে।’
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) ‘জাতীয় প্রবাসী দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে মোমেন বলেন, তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের বৃহত্তর কল্যাণে এবং তাদের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের নায়ক। আমাদের অবশ্যই তাদের চিনতে হবে।’
আরও পড়ুন: এই অঞ্চলে কোনো ‘প্রক্সি ওয়ার’ দেখতে চাই না, বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচন দেখাতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্সে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য দেশের তুলনায় কম এবং প্রশিক্ষিত ও দক্ষ লোক পাঠানোর ওপর জোর দিচ্ছেন তারা। ‘আমাদের ভালো প্রশিক্ষিত এবং আরও পেশাদার লোক দরকার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতি, পাবলিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা- তিনটি নীতি প্যাকেজের কথাও বলেন।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বর্জন করছে তাদের নেতৃত্বের গুণাবলীর অভাব রয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, তারা ‘অবাধ, সুষ্ঠু, অহিংস ও স্বচ্ছ’ নির্বাচন দেখতে চান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার লক্ষ্য অর্জন করতে চান।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজ বাসভবনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশেষজ্ঞদের দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সারা বিশ্ব থেকে সবাই এসে দেখুক। এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে।’
মোমেন বলেন, ‘সফররত ইইউ দল শুধু আমার কথা শুনেছে। কারণ তারা কয়েকটি বিষয় জানতে চেয়েছিলেন, তবে নির্বাচন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করেননি।’
আরও পড়ুন: গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ এবং অত্যন্ত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন রয়েছে। যা সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে।
ইইউ দলের কাছে বিএনপির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে কাউকে গ্রেপ্তার করেনি, বরং 'সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে' জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে।
তিনি সিসিটিভি ফুটেজ এবং বিএনপির কিছু সমর্থকদের দেওয়া বিবৃতি টেনে উল্লেখ করেন, কারা তাদের অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
মোমেন বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণে একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি। শুধু অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাস সহ্য করতে পারি না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিছু বড় দেশ চায় বাংলাদেশ তাদের কাছ থেকে জিনিসপত্র কিনুক, কিন্তু বাংলাদেশ জনস্বার্থ দেখে।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধু দেখি আমাদের দেশের মানুষের মঙ্গল যেটাতে হবে সেটা করি। তারা জোর করে, আমাদের কাছে বিক্রি করতে চায়, আমরা কিনি না। সেজন্য তারা আমাদের ওপর কিছুটা অসন্তুষ্ট। কিন্তু আমরা নীতির ওপর আছি। নীতিতে থাকলে অন্যরা শ্রদ্ধা করে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'সোনার বাংলা' ও 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার আকাঙ্ক্ষার কথাও তুলে ধরেন।
মোমেন আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা শান্তি চাই। আমরা স্থিতিশীলতা চাই। আমরা সন্ত্রাস চাই না। আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা চাই। আমরা গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা চাই। আমরা আরও চাকরির সুযোগ চাই।’
আরও পড়ুন: এই বড়দিনে ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি: মোমেন
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের জনশক্তিকে দক্ষ ও স্মার্ট হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সরকারের প্রধান দায়িত্ব।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) মিরপুর সেনানিবাসের এনডিসিতে ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২৩ এর গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ ক্ষেত্রে বেসামরিক ও সামরিক আমলাতন্ত্রের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি বলেন, 'পদ্মা বহুমুখী সেতু, মেট্রোরেল সার্ভিস, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, বঙ্গবন্ধু টানেলসহ সাম্প্রতিক উন্নয়নগুলোর মাধ্যমে আপনারা ব্যাপক উন্নয়ন লক্ষ্য করতে পারেন।’
এ ছাড়া মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া কারখানার মতো মেগা প্রকল্পগুলো বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রকৃত বহিঃপ্রকাশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যে ধীরে ধীরে 'সোনার বাংলা' হিসেবে গড়ে উঠতে অগ্রসর হচ্ছে, এসব উন্নয়নই তার ইঙ্গিত দেয়। যেখানে সামরিক বাহিনীসহ জাতীয় ক্ষমতার সব বিভাগের অবদান রয়েছে।
কোর্সে অংশগ্রহণকে তাদের জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি জাতি গঠনে সহায়তা করার এবং নিজের দেশকে আরও উন্নত করার একটি সুযোগ।
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রাপ্ত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতা ব্যাপকভাবে বাড়বে। এই কোর্সগুলো আপনাদের পেশাগত আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে উন্নত করবে।’
তিনি বলেন, সংহতি, স্বচ্ছতা, অঙ্গীকার, নিষ্ঠা, জবাবদিহি, শৃঙ্খলা, দক্ষতা ও কার্যকারিতা নিখুঁত দূরদর্শী নেতা, অগ্রদূত ও একজন ভালো কর্মকর্তা তৈরি করে।
তিনি বলেন, ' আপনার অর্জিত জ্ঞান নীতি নির্ধারণ, নিরাপত্তা, যুদ্ধ কৌশল ও উন্নয়ন সম্পর্কে আপনাকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।’
তিনি বলেন, 'আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, আপনারা সবসময় জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখার চেষ্টা করবেন।’
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, এনডিসি আয়োজিত কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণকারীদের এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় জ্ঞান দিয়ে সজ্জিত করবে।
তিনি মর্যাদাপূর্ণ ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের সফল সমাপ্তির জন্য অংশগ্রহণকারীদের অভিনন্দন জানান।
সশস্ত্র বাহিনীর ৫৬ জন, বেসামরিক প্রশাসনের ৪৩ জন এবং বন্ধুপ্রতীম দেশের ২৯ জনসহ মোট ৮৫ জন প্রশিক্ষণার্থী এই কোর্সে অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ