জাতীয় স্বার্থ
বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে রাজনৈতিক বিভেদকে কবর দিন: জামায়াত আমির
সকল বিভেদের অবসান ঘটিয়ে দেশের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে বড় মগবাজারের আল ফালাহ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দলটির ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা।
তিনি বৈষম্যহীন সমাজ ও নতুন বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্র সংস্কারে জামায়াতের ৪১ প্রস্তাবনা, বিচার ব্যবস্থা সংস্কার ও ইভিএম বাতিলের আহ্বান
এরপরও যদি আমরা নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কথা ভাবলে ষড়যন্ত্র হবে, আরও বড় বিপদ আসবে।
তিনি জামায়াত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নেই। বাঘের মতো বাঁচতে হবে, বিড়ালের মতো নয়।’
আমির বলেন, স্বচ্ছ রাজনীতির কারণে জামায়াতের ওপর বারবার আঘাত হানা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্রণীত ‘কালা কানুন’ দিয়েই তাদের বিচার হোক: জামায়াত আমির
তিনি বলেন, 'আমরা কখনো দুর্নীতি, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হই না। কিন্তু আওয়ামী লীগ সব সময় আমাদের টার্গেট করে দুইবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর পেছনে একমাত্র কারণ আমাদের স্বচ্ছতা।’
৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর সেনাবাহিনীর দেশপ্রেমিক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতির ক্যান্সার সমূলে উৎপাটন করতে হবে। এজন্য রাজনৈতিক দল ও নেতাদের তাদের রাজনৈতিক চরিত্র ঠিক করতে হবে।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, ‘নেতারা যদি দুর্নীতিগ্রস্ত না হন, তাহলে দেশ দুর্নীতিমুক্ত হবে।’
আরও পড়ুন: তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছে জামায়াত
২ সপ্তাহ আগে
জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিরূপণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা প্রাধান্য পাবে।
তিনি বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ রয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের ২৪টি স্থলবন্দর রয়েছে যেগুলো ভারতের স্থল সীমানার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এছাড়াও উভয় দেশের মধ্যে নদীকেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিদ্যমান।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট অফিসের দুর্নাম দূর করতে কর্মকর্তাদের প্রতি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার আহ্বান
বুধবার (৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, চট্রগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌপথে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে।
তিনি বলেন, সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে নৌযোগাযোগও গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান।
উপদেষ্টা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিরূপণের ক্ষেত্রে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এছাড়াও বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশগত কারণে সারা বিশ্বেই প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইতোমধ্য সুপারশপে পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আগামী ১ নভেম্বর থেকে সারা দেশেই পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এ কারণে দেশের অভ্যন্তরেও পরিবেশবান্ধব পাট ও পাটজাত পণ্যের বাজার সৃষ্টি হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। উপদেষ্টা পাট ও পাটজাত পণ্যের উপর থেকে ভারত কর্তৃক আরোপিত অ্যান্টিডাম্পিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান।
ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। ভারত বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে সবসময় পাশে রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক সমঅংশীদারিত্ব, আস্থা ও বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর যেকোনো উদ্যোগে বাংলাদেশকে সহযোগীতা করতে প্রস্তুত।
উপদেষ্টা বাংলাদেশি নাবিকদের সহজে ভারতের ভিসা প্রাপ্তি ও কলকাতা বন্দরে জাহাজ থেকে স্থলে যাওয়ার বিষয়টি সহজ করার জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান। নৌ প্রটোকল রুটের বিষয়গুলো ত্বরান্বিত করার বিষয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন ও পরিকল্পনা) মো. মুহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলার অবনতি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: রাঙ্গামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জাতীয় স্বার্থ সমুন্নত রাখতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার চর্চাকালে দেশের স্বার্থ ও মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
কিছু ক্ষেত্রে অনিয়ন্ত্রিত স্বাধীনতা সমস্যা তৈরি করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার খুবই স্বচ্ছ। আমরা বাক স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।’
যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মোমেন বলেন, সেখানে সকল স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রিত এবং প্রত্যেকেরই মনে রাখতে হয় যে সীমাবদ্ধতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নতুন বাংলাদেশের প্রতীক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিক্যাব) কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাস ও সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে দেশে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়েছে যা সমগ্র অঞ্চলের জন্য ভালো।
আরও পড়ুন: লিসবনে জাতিসংঘ মহাসাগর সম্মেলনে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থিতিশীলতা ও চমৎকার প্রবৃদ্ধি রয়েছে।’ সাংবাদিকতার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
গুজব সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে মোমেন বলেন, দেশ ও এর স্বার্থ যাতে কেউ ক্ষুণ্ন করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। ‘আপনারা সবাই এই দেশকে ভালোবাসেন। আমরাও ভালোবাসি। মানুষের কল্যাণের কথা মাথায় রাখতে হবে।’
২ বছর আগে