সঙ্গীত পরিচালক
বিয়ে করলেন এসআই টুটুল
নতুন সংসার বেঁধেছেন সঙ্গীতশিল্পী এসআই টুটুল। তার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম শারমিন সিরাজ সোনিয়া। আরটিভির একটি রিয়্যালিটি শো থেকে দুজনের পরিচয়ের শুরু।বিয়ের খবরটি ইউএনবিকে নিশ্চিত করেছেন এসআই টুটুলের ঘনিষ্ঠজন সঙ্গীত পরিচালক ও লেখক তানভীর তারেক। শুধু তাই নয়, সামাজিক মাধ্যমে নতুন দম্পতির ছবি প্রকাশ করে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।প্রথম স্ত্রী অভিনেত্রী তানিয়া আহমেদের সঙ্গে ডিভোর্স ও নতুন বিয়ে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে দেয়া এক বক্তব্যে এসআই টুটুল বলেন, ‘তানিয়া ও আমি সেপারেট ছিলাম ৫ বছর। গতবছর আমাদের অফিসিয়াল ডিভোর্স হয়। এরপর নিউইয়র্কে কনসার্টসহ নানান কাজেই আমার যাতায়াত। সেখানে আরটিভির বাংলা গায়েন থেকেই সোনিয়ার সঙ্গে পরিচয়। দুইজনই যেহেতু আমরা সিঙ্গেল এবং ম্যাচিউরড তাই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।’অন্যদিকে নতুন জীবন শুরু করা নিয়ে সোনিয়া বলেন, আমি ১২ বছর ধরে সিঙ্গেল। টুটুলের সঙ্গে পরিচয় মূলত আরটিভির একটি রিয়েলিটিতে কাজ করতে গিয়ে। আমি নিজেও জীবন সঙ্গী খুঁজছিলাম। তাই টুটুল যখন বললো, আমার সঙ্গে বাকি জীবন থাকতে পারবে। তখন আমি তুমি থেকে আমরা হওয়া। মুসলিম রীতিতে আমাদের আক্দ হয়েছে শুধু। খুব জলদিই এখানে (আমেরিকা) ও বাংলাদেশের বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিকতা করবো। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।’প্রসঙ্গত, উপস্থাপক হিসেবে একাধিক চ্যানেলে কাজ করেছেন শারমিনা সিরাজ সোনিয়া। এক সময় যুক্তরাষ্টে পাড়ি দেন। আর সেখানেই এখন স্থায়ী বসবার করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
কন্যার ছবি প্রকাশ্যে আনলেন তিশা
২ বছর আগে
চলে গেলেন ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’ গানের সুরকার আলম খান
কিংবদন্তী সঙ্গীত পরিচালক ও সুরকার আলম খান মারা গেছেন। শুক্রবার সকাল ১১টা ৩২ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।খবরটি সামাজিক মাধ্যমে জানিয়েছেন আলম খানের ছেলে আরমান খান। মৃত্যুর সময় উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, আব্বা চলে গেলেন না ফেরার দেশে! ইন্না লিল্লাহি ওয়া উন্না ইলাইহি রাজিউন…।আলম খানের হাতে সৃষ্টি হয়েছে এদেশের অসংখ্য জনপ্রিয় গান। যা গেয়ে অনেকে পেয়েছেন তারকাখ্যাতি, কেউ হয়েছেন কিংবদন্তী। জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ওরে নীল দরিয়া’ ও ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মতো গন্ধ বিলাতে চাই’ এমন অনেক কালজয়ী গানের সুরকার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ আর নেইআলম খানের সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘কি জাদু করিলা’, ‘ওরে নীল দরিয়া’, ‘তুমি যেখানে আমি সেখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘ভালোবেসে গেলাম শুধু’, ‘চাঁদের সাথে আমি দেবো না’, ‘আমি একদিন তোমায় না দেখিলে’, ‘সাথীরে যেও না কখনো দূরে’, ‘কাল তো ছিলাম ভালো’, ‘চুমকি চলেছে একা পথে’, ‘তেল গেলে ফুরাইয়া’ ইত্যাদি।১৯৮২ সালে মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিল’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান আলম খান। পরবর্তীতে ‘তিন কন্যা’ (১৯৮৫), ‘সারেন্ডার’ (১৯৮৭), ‘দিনকাল (১৯৯২) এবং ‘বাঘের থাবা’ (১৯৯৯), ‘এবাদত’ (২০০৯) সিনেমাগুলোতে সরকারি এই সম্মাননা পান তিনি।
এছাড়াও শ্রেষ্ঠ সুরকার হিসেবে ২০০৮ সালে ‘কি জাদু করিলা’র জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন।
২ বছর আগে