আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে: কাদের
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে বিএনপি নেতারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাদের 'মিথ্যা ও বানোয়াট' বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি বরাবরের মতোই নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।'
বিএনপির নির্বাচনবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে কৌশলী অবস্থান নিতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবার নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আশা করে যারা দলের কাছে এবং দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তারাই নির্বাচিত হবেন।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপিই প্রধান বাধা: কাদের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনি প্রচারণা ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তখন বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে চায়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা অব্যাহত মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন তারা একদিকে আগুন সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে, অন্যদিকে বিরোধী দলকে দমন করার মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। বিএনপি অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ করে সন্ত্রাসীদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না এবং তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
বিএনপির অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সহিংসতার বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। শিগগিরই পরিস্থিতি শান্ত হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ছোট একটি গ্রুপ সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই গ্রুপগুলো রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে। এই গোষ্ঠীর কিছু তরুণ অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পর্কে ধারণা নেই: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় পুরো পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করসহ মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ঢাকার উদ্দেশে শনিবার (৯ মার্চ) সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করবে বলে মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার (৩ মার্চ) সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারও কালো পতাকা মিছিলের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সুর তুলছে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা কারো নেই।’
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীকাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে, যা দেশে গণতন্ত্রের নতুন বিজয়।’ বিপুল সমর্থনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজপথে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলা করবে। আর দেশের স্বার্থে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হয়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর শক্তির দল।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
তিনি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য মঈন খানের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে হুমকি দেওয়া সবসময় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে না। আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপে যেতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারোর স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে আছে- এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কারো স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপির আচরণেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন বিএনপি হতাশা ও ঘৃণায় জ্বলছে, কারণ তাদের দল নির্বাচন বর্জন করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এখন তারা ঈর্ষান্বিত।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিতভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করছে।’ বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিবাদের নামে সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও কাদের বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন অস্পষ্ট এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের এই কর্মকাণ্ডকে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে মনে করি।’
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার আছে। তবে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
১০ ডিসেম্বরের মতোই আমরা সতর্ক থাকবো: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেন, বিএনপির পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন ১০ ডিসেম্বরের মতোই আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ২/১ দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে মানুষ ভয় পায়: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, ইভিএম হলেও আছি , না হলেও আছি। তবে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটি আমরা মেনে নিবো। আমরা চাই ইভিএম এ নির্বাচন হোক।
তিনি জানান, রংপুর এরশাদ সাহেবের প্রভাবিত এলাকা। সেখানে আমাদের দলীয় প্রার্থী পিছিয়ে বলে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। তবে এই হেরে যাওয়ার ঘটনায় দুর্বলতা খুঁজতে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো নিজেরাই সমাধান করবো: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো আমরা নিজেরাই সমাধান করবো।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যেভাবেই হোক জাতির পাশে থাকবে আ.লীগ: কাদের
তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা কাউকে ক্ষমতায় বসাবে না, ক্ষমতায় বসাবে বাংলাদেশের জনগণ। বিদেশি দূতাবাসের যারা কথা বলেন তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জেনেভা কনভেনশনে যে নিয়ম রয়েছে তার বাইরে তাদের যাওয়া উচিত নয়।’
কাদের বলেন, যানবাহন ও দোকানে আগুন দেয়ার মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সরকার সহ্য করবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমরা সদা সজাগ। কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। সহিংসতা মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বদা তৎপর রয়েছে।’
আরও পড়ুন: দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ: কাদের
আ.লীগের জাতীয় কাউন্সিল: শেখ হাসিনা-কাদের পুননির্বাচিত
মেহেন্দীগঞ্জে ঝড়ে ঘরচাপা পড়ে নিহত ২
বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘর চাপা পরে শ্বশুর ও পুত্রবধূর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে উপজেলার আলিমাবাদ ইউনিয়নের গাগুরিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ঝড়ে ১৫/২০টি বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মৃতরা হলো, রুস্তম আলী হাওলাদার (৭৫) ও তার পুত্রবধূ জয়নব বিবি (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্রীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামদু বেপারী জানান, রুস্তম আলী হাওলাদার পরিবার নিয়ে শ্রীপুরের মিয়ারচর এলাকায় থাকতেন। নদী ভাঙনের কবলে পরে সে পরিবার নিয়ে আলিমাবাদের গাগুরিয়ায় নতুন করে ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন। পৌনে ৫টার দিকে হঠাৎ করে ঝড় শুরু হলে গাগুরিয়া গ্রামের ১৫ থেকে ২০টি ঘর বিধ্বস্ত হয়। নিজ ঘরেই চাপা পরেন রুস্তম ও তার পুত্রবধূ জয়নব। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হুমায়ুন কবির নামে এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি মৃত ঘোষণা করেন।
দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: বরিশালে চাঁদা না পেয়ে গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ
বরিশালে হোটেল থেকে মাছ ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
বঙ্গবন্ধুকে যারা মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল ইতিহাস তাদের ভুলে গেছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৪৬ বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর যারা ইতিহাস থেকে তাকে মুছে দিতে চেয়েছিল ইতিহাস তাদের ভুলে গেছে।
শনিবার কাদের তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে আইডিইবি মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা দর্শন বাস্তবায়ন’ বিষয়ক একটি সেমিনারে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে বক্তব্য দেয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। সেমিনারের পর অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এ এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
‘যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল তারা একই ট্র্যাজেডির সাক্ষী ছিল’ এই মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, হত্যা হত্যাকাণ্ড আনে এবং হত্যা কাউকে ক্ষমা করে না। তিনি বলেন, ইতিহাস কখনো কোন স্বৈরশাসকের কাছে মাথা নত করে না।
করোনাভাইরাসের অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করছেন উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই ধরনের সংকটে সকল রাজনৈতিক দলের একটাই রাজনীতি থাকা উচিত, যা জনগণকে বাঁচানো এবং তাদের পাশে দাঁড়ানো।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নাতি এবং প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ডিজিটাল বিপ্লব এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা হবে। ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশিক্ষিত জনশক্তির যে চাহিদা তৈরি হবে বাংলাদেশ যেনো তার সর্বোচ্চ সুবিধা নিতে পারে-এ ব্যাপারে আমাদের এখনই ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: টিকা নিয়ে মিথ্যা রটানো বন্ধ করুন: বিএনপিকে কাদের
সরকার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করছে বলে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে কাদের বলেন, বিএনপি এর আগে টিকা নিয়ে ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছিল। করোনা সংক্রমণ থেকে শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষায় সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছে। বিএনপির অভ্যেস হয়ে গেছে সবকিছুতে ষড়যন্ত্র দেখা।
আইডিইবি’র সভাপতি প্রকৌশলী একেএম হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান এবং অন্যান্য নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: সমালোচনাকারী বিএনপি নেতারা এখন টিকা নিয়েই স্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী