আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক
সেন্টমার্টিনে মিয়ানমারের গোলা পড়া বন্ধ করতে চেষ্টা চলছে: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমারের গোলা সেন্টমার্টিনে পড়ার বিষয়টি দেশটির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, চেষ্টা চলছে এবং বাংলাদেশ যুদ্ধ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে। তবে আক্রান্ত হলে জবাব দেওয়া হবে।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারের কিছু অভ্যন্তরীণ সংকট রয়েছে। এদের ৫৪টি জাতিগোষ্ঠী রয়েছে। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তাদের অভ্যন্তরীণ সংকটে যদি আমরা ভুক্তভোগী হই তবে তা হবে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে সামরিক সরকার। আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করছি এবং যুদ্ধ এড়িয়ে তা অব্যাহত রাখব। তবে আমাদের ওপর হামলা হলে আমরা সেই হামলার জবাব দেব। আমাদের অবমূল্যায়ন করার কোনো কারণ নেই। আমরা প্রস্তুত আছি।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের সেরা সড়ক নির্মিত হয়েছে: কাদের
বাংলাদেশকে গ্রাস করা রোহিঙ্গা সংকটের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে উদারভাবে সীমান্ত খুলে দিয়েছেন। এজন্য তাকে 'মাদার অব হিউম্যানিটি' বলা হয়। এখন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং সংস্থাগুলো এর জন্য আমাদের প্রশংসা ও শ্রদ্ধা করে।”
মন্ত্রী বলেন, ‘তবে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। চলমান অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। ১০-১২ লাখ রোহিঙ্গার অতিরিক্ত বোঝা চাপ তৈরি করছে। বিশ্বের বড় বড় দেশ যারা এই সংকট নিয়ে কথা বলে, তাদের লিপ সার্ভিসের (মৌখিকভাবে প্রশংসা) আমাদের দরকার নেই। রোহিঙ্গাদের বোঝা আমাদের কাঁধ থেকে তুলে নিতে হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেখানেই যান, সেখানেই রোহিঙ্গা ইস্যু তুলে ধরেন।’
সড়কে ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে যানজট প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কোথাও কোথাও যানজট থাকলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার প্রয়োজন হচ্ছে না।
যেকোনো মুহূর্তে সরকারের পতন ঘটবে বলে বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'এক কথায় এটা তাদের দিবাস্বপ্ন। গণঅভ্যুত্থান বা নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন হয়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গণঅভ্যুত্থানে সরকারের পতন হবে এমন ধারণা হাস্যকর।
‘এই দেশে একমাত্র জনপ্রিয় অভ্যুত্থান ছিল ১৯৬৯ সালে। এরপর আর কোনো অভ্যুত্থান হয়নি। ১৯৯০ সালে গণআন্দোলন হয়েছিল, অভ্যুত্থান নয়, যার ফলে স্বৈরশাসক এরশাদের পতন ঘটেছিল।’
বাংলাদেশ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু'র সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা আমাদের সংবিধান অনুসরণ করেছি এবং তা অব্যাহত রাখব। ডোনাল্ড লু কী বলেছেন তা নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না। তারা কখনো বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সমালোচনা করবে, কখনো প্রশংসা করবে; সেটা তাদের ব্যাপার। আমরা আমাদের নীতির ভিত্তিতে আমাদের সংবিধান অনুসরণ করে এগিয়ে যাব।’
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে কাদেরের ঢাকা ত্যাগ
৫ মাস আগে
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে: কাদের
তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটাররা অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দিতে পেরেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (২৯ মে) বিকালে নির্বাচনোত্তর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, 'আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি যে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোট পড়েছে তবে চূড়ান্ত সংখ্যা আগামীকাল জানা যাবে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দুটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।’
এ সময় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম হবে ভেবেছিলেন তারা।
কাদের আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে অনেক জায়গায় রাস্তা ভেঙে গেছে। এমন অবস্থায় ৩৫ শতাংশ বা তার বেশি ভোটার উপস্থিতি মোটামুটি সন্তোষজনক।’
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ ও সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমদকে আওয়ামী লীগের সৃষ্টি- বিএনপির এমন দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “আশরাফুল হুদা, রাকিবুল হুদা, কোহিনূর- এগুলো কে সৃষ্টি করেছেন? দুর্নীতির পাওয়ার হাউজ 'হাওয়া ভবন' কে তৈরি করেছিলেন? বিএনপি কি তাদের বিচারের আওতায় এনেছে? শেখ হাসিনার সেই সাহস আছে। এজন্য তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন।”
আরও পড়ুন: আজিজ-বেনজীরকে নিয়ে বিব্রত নয় সরকার: ওবায়দুল কাদের
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
৫ মাস আগে
এমপির মৃত্যু নিয়ে ফখরুলের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয়: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিমের হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনো বিভ্রান্তি রয়েছে।
এ অবস্থায় বন্ধুপ্রতিম দেশকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য সমর্থনযোগ্য নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
'সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রগতি' শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক উপকমিটি।
কাদের বলেন, ‘ভারত আমাদের বন্ধু, এটা ঠিক আছে। একজন সংসদ সদস্য চিকিৎসার জন্য যান, তিনি ভারত সরকারকে কিছু জানান না। আর যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে তবেই নিরাপত্তার বিষয়টি দেখা হয়।’
আরও পড়ুন: আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য দায়ী সরকার, সেনাবাহিনীর সুনাম কলঙ্কিত: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু তারা যদি শত্রু রাষ্ট্র হয়, তাহলে আপনার এমপি সালাহউদ্দিন কীভাবে এত দিন নিরাপদ আছেন? কেউ তাকে হত্যা করেনি, কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। বন্ধুপ্রতিম দেশকে কেন বদনাম করছেন? এ ধরনের বক্তব্য দেওয়া সমীচীন নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গাজায় যারা ইসরাইলের গণহত্যা অস্বীকারকারীদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার মাথা ঘামায় না। যারা বোমা মেরে ও নির্বিচারে গুলি করে ৩৫ হাজার ৫০০ মানুষকে হত্যা করছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন যা করছেন তা হিটলারের চেয়েও খারাপ। শিশুদের টার্গেট করে হত্যা করা কি গণহত্যা নয়? এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলছেন, ইসরাইল গণহত্যা করেনি।’
তিনি বলেন, 'যারা গণহত্যার কথা অস্বীকার করে এবং আমাদের নিষেধাজ্ঞা বা ভিসা নীতি অরোপ করে, আমরা তাদের পরোয়া করি না। সেনাবাহিনী তার নিয়ম মেনে চলে। অপরাধ যে ই করুক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়ার লোক নন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।’
সভায় আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, চলচ্চিত্র অভিনেতা ফেরদৌসসহ উপকমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
আরও পড়ুন: এমপি আনোয়ারুলের হত্যাকারীরা বাংলাদেশি: ডিবি প্রধান
৫ মাস আগে
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে হবে: কাদের
রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে বিএনপি নেতারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিলেও উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে বদ্ধপরিকর। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।’
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতাদের 'মিথ্যা ও বানোয়াট' বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতারা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কাদের বলেন, ‘বিএনপি বরাবরের মতোই নির্বাচন ও দেশের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। এ কারণে জনগণ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।'
বিএনপির নির্বাচনবিরোধী অবস্থানের প্রেক্ষাপটে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগকে কৌশলী অবস্থান নিতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এবার নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আশা করে যারা দলের কাছে এবং দলের বাইরে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য তারাই নির্বাচিত হবেন।’
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক আদর্শ বাস্তবায়নে বিএনপিই প্রধান বাধা: কাদের
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী, এমপি ও দলীয় নেতারা যাতে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে না পারে সেজন্য আওয়ামী লীগ কঠোর সাংগঠনিক নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও জানান, প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ব্যাপক নির্বাচনি প্রচারণা ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, তখন বিএনপি নেতারা বরাবরের মতো দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ও নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন। বিএনপি নির্বাচনি ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে চায়, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চায়।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতারা অব্যাহত মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি তাদের কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে তখন তারা একদিকে আগুন সন্ত্রাসীদের লালন-পালন করছে, অন্যদিকে বিরোধী দলকে দমন করার মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করছে। বিএনপি অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপি নেতারা বিরোধী দল দমনের মিথ্যা অভিযোগ করে সন্ত্রাসীদের রক্ষার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল দমনে বিশ্বাস করে না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ছাড় দেওয়া হবে না এবং তারা যে দলেরই হোক না কেন তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
বিএনপির অগণতান্ত্রিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
৭ মাস আগে
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে সরকার: কাদের
পার্বত্য চট্টগ্রামে সশস্ত্র সহিংসতার বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেখানে যৌথ অভিযান চলছে। শিগগিরই পরিস্থিতি শান্ত হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে মৎস্যজীবী লীগের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে ছোট একটি গ্রুপ সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করেছে। এই গ্রুপগুলো রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়িতে নেই। শুধু আছে বান্দরবানে। এই গোষ্ঠীর কিছু তরুণ অস্ত্রশস্ত্রসহ মহড়া দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট সম্পর্কে ধারণা নেই: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথ অভিযান চালাচ্ছে। আশা করি অচিরেই পরিস্থিতি শান্ত হবে। এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র তৎপরতার ঘটনায় পুরো পার্বত্য অঞ্চল অশান্ত হবে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।’
মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি সাইফুল আলম মানিক ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আজগর নস্করসহ মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
৭ মাস আগে
বুয়েটকে নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর হতে দেওয়া যাবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডগুলো সরকার গভীরভাবে তদন্ত করছে।
ছাত্র রাজনীতি সরাসরি নিষিদ্ধ করা হলে বুয়েট 'নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গিবাদের আঁতুড়ঘর' হয়ে উঠতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘সেদিন বুয়েট ক্যাম্পাসে কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ছিল না। আর আমি যদি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকি, তাহলে বুয়েট ক্যাম্পাসে থাকতে পারব না- এটা কী ধরনের আইন?'
চট্টগ্রাম বিভাগীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংলাপে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
বুয়েটে চলমান শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ অন্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় প্যানেলের সদস্য ইমতিয়াজ রহিম রাব্বির জন্য হল বরাদ্দ বাতিল করে দেয়।
২০১৯ সালের অক্টোবরে আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
সংলাপে ওবায়দুল কাদের আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকারের দায়বদ্ধতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। দলের অখণ্ডতা বিপন্ন হতে পারে এমন মন্তব্যের বিরুদ্ধে সতর্ক করে তিনি দলীয় সদস্যদের দায়িত্বশীল আচরণ এবং দলীয় শৃঙ্খলা মেনে চলার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতারা ভারতীয় পণ্য বর্জন ও 'গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের' ডাক দেওয়াকে ফাঁকা বুলি হিসেবে আখ্যায়িত করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান যে ভাষায় কথা বলতেন, বিএনপি সেই ভাষায় কথা বলছে। এখন তাদের ইস্যু ভারতের বিরুদ্ধে। তারা ভারতফোবিয়াকে উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: আবরার খুনের পর বুয়েটে সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ
রিজার্ভ নিয়ে বিএনপির বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে, তখন বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ৩৫০ কোটি ডলার। এখন তারা রিজার্ভের কথা বলছে, যখন রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ঈদ উপলক্ষে তা আরও বাড়বে।’
আরও পড়ুন: ভারতীয় পণ্য বর্জনে বিএনপি দেশের অর্জন ধ্বংস করতে চায়: কাদের
৭ মাস আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে শনিবার দেশে ফিরবেন ওবায়দুল কাদের
মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে ঢাকার উদ্দেশে শনিবার (৯ মার্চ) সিঙ্গাপুর ত্যাগ করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (এইচএসআইএ) অবতরণ করবে বলে মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রবিবার (৩ মার্চ) সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
৮ মাস আগে
সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে কেউ হটাতে পারবে না: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারের পতন ঘটানোর ক্ষমতা কারো নেই।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আবারও কালো পতাকা মিছিলের নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতার সুর তুলছে। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ক্ষমতা কারো নেই।’
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে তার খেসারত দিতে হবে।
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আনা একটি চ্যালেঞ্জ: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংবিধান ও জাতীয় সংসদের প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগামীকাল থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘অগণতান্ত্রিক আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জনগণ বিপুল ভোটে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করেছে, যা দেশে গণতন্ত্রের নতুন বিজয়।’ বিপুল সমর্থনের জন্য জনগণকে ধন্যবাদও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, গণতন্ত্রে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ রাজপথে রাজনৈতিক ইস্যু মোকাবিলা করবে। আর দেশের স্বার্থে কোনো অশুভ শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাসকে বিকৃত করে এবং মিথ্যা তথ্য প্রচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তাদের অপচেষ্টা সফল হয়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর নাম দেশে-বিদেশে শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হচ্ছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যা এবং ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা চালিয়ে বিএনপি প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার ও আলবদর শক্তির দল।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র এমপিরা সংসদে স্বতন্ত্র হিসেবেই ভূমিকা রাখবেন: কাদের
তিনি বলেন, বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের জন্য মঈন খানের উচিত জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন সরকারের অগ্রাধিকার হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ করা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
তিনি বলেন, ‘মৌখিকভাবে হুমকি দেওয়া সবসময় সমস্যা সমাধানে সহায়তা করবে না। আমাদের ইতিবাচক পদক্ষেপে যেতে হবে। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে: কাদের
৯ মাস আগে
সরকার কারো স্বীকৃতির অপেক্ষায় নেই: ওবায়দুল কাদের
সরকার কারোর স্বীকৃতি পেতে মরিয়া হয়ে আছে- এমন ধারণা নাকচ করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত সরকার হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে, কারো স্বীকৃতির জন্য চাতক পাখির মতো অপেক্ষায় বসে আছে এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিরোধী দল বিএনপির আচরণেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন বিএনপি হতাশা ও ঘৃণায় জ্বলছে, কারণ তাদের দল নির্বাচন বর্জন করার পরও বিপুল সংখ্যক মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এখন তারা ঈর্ষান্বিত।’
আরও পড়ুন: মেট্রোরেল টঙ্গী পর্যন্ত সম্প্রসারণে জরিপ চলছে: ওবায়দুল কাদের
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'দেশপ্রেমিক সরকার হিসেবে আওয়ামী লীগ স্বপ্রণোদিতভাবে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা করছে।’ বিক্ষোভের বিষয়ে বিএনপির আচরণের বিষয়ে সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি প্রতিবাদের নামে সহিংসতা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছে এবং রাজনৈতিকভাবে আমরা তাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত।’
বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়েও কাদের বলেন, 'বিএনপির তথাকথিত আন্দোলন অস্পষ্ট এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে হাসির পাত্রে পরিণত হয়েছে। আমরা তাদের এই কর্মকাণ্ডকে আমাদের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিকে দুর্বল করার চেষ্টা বলে মনে করি।’
তিনি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপির শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানোর অধিকার আছে। তবে কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা বিশৃঙ্খলা করলে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সালে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শেষ হবে: ওবায়দুল কাদের
১০ মাস আগে
১০ ডিসেম্বরের মতোই আমরা সতর্ক থাকবো: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল বলেন, বিএনপির পূর্বঘোষিত ৩০ ডিসেম্বরের গণমিছিলের দিন ১০ ডিসেম্বরের মতোই আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ২/১ দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে মানুষ ভয় পায়: ওবায়দুল কাদের
কাদের বলেন, ইভিএম হলেও আছি , না হলেও আছি। তবে নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে সেটি আমরা মেনে নিবো। আমরা চাই ইভিএম এ নির্বাচন হোক।
তিনি জানান, রংপুর এরশাদ সাহেবের প্রভাবিত এলাকা। সেখানে আমাদের দলীয় প্রার্থী পিছিয়ে বলে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করিনি। তবে এই হেরে যাওয়ার ঘটনায় দুর্বলতা খুঁজতে সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ: ভেন্যু সমস্যার সমাধানে আশাবাদী ওবায়দুল কাদের
গোলাপবাগে সমাবেশ করে বিএনপি ‘অর্ধেক পরাজিত’: ওবায়দুল কাদের
১ বছর আগে