গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ
আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে নারীর মৃত্যু
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে অতিরিক্ত ঠান্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে জবা রানী (৭৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কর্ণিপাড়া মহল্লায় এ ঘটনায় ঘটে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
জবা রানী ওই মহল্লার মৃত বিপিন চন্দ্র সরকারের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, অতিরিক্ত শীতের মধ্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে বাড়ির আঙিনায় খড়ের আগুনের তাপ নিচ্ছিলেন জবা রানী। এসময় খড়ের আগুন কাপড়ে লেগে ওই তার শরীর দগ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: শীতে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ ২ জনের রমেকে মৃত্যু
খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই নারীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্থানীয়রা। পরে শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো. ছামিউল ইসলাম তার মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: যশোরে আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ বৃদ্ধার মৃত্যু
তিস্তা নদী থেকে সুন্দরগঞ্জে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে লালচামার কাপাসিয়া ঘাটে তিস্তা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সিহাব একই উপজেলার পূর্ব বেলকা গ্রামের ব্যবসায়ী আনিসুর রহমানের ছেলে এবং স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ১৬ ঘণ্টা পর পদ্মা নদী থেকে বুয়েট শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
নিহতের স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সিহাব তার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে রওনা দেয়। তার হাতে দোকানে বিক্রির টাকাও ছিল। পরে রাতে সে আর বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা আনিসুর রহমান সুন্দরগঞ্জ থানায় ছেলে নিখোঁজের একটি জিডি করেন। শুক্রবার বিকালে নিখোঁজ সিহাবের লাশ কাপাসিয়া লাল চামার ঘাটে তিস্তা নদীতে ভেসে উঠলে গ্রামবাসী পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে স্ত্রীর লাশ উদ্ধার, কাউন্সিলর পুত্র গ্রেপ্তার
সুন্দরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আজিজ জানান, দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার সময় কে বা কারা তাকে নির্জন স্থানে নিয়ে তার গায়ের গেঞ্জি দিয়ে গলায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ তিস্তা নদীতে ফেলে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।