রাইফেল
পুলিশ নদীতে খোয়ালেন রাইফেল, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল
মানিকগঞ্জে দৌলতপুর উপজেলার কাশি দয়ারামপুর এলাকার যমুনা নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে গিয়ে নদীতে রাইফেল খোয়ালেন দৌলতপুর থানার এক পুলিশ কনস্টেবল।
সোমবার দুপুরে দৌলতপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) যমুনা নদীতে বসানো অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে এক পুলিশ সদস্যের রাইফেল হাত থেকে নদীতে পড়ে যায়।
এদিকে ওই রাইফেল উদ্ধারে আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার স্টেশনের একটি ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর কথা ‘কৌতুক’ ছিল: সিইসি
সোমবার (১৯ জুন) বিকালে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, দুপুরের দিকে দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) যমুনা নদীতে মোবাইল কোর্টে অবৈধ ড্রেজার জব্দ করেন।
এ সময় এক পুলিশ সদস্যের (কনস্টেবল) রাইফেল নদীতে পড়ে গিয়েছিল, এখন খোঁজাখুঁজি চলছে।
এ বিষয়ে আরিচা স্থল কাম নদী ফায়ার স্টেশনের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. মুজিবর রহমান বলেন, দুপুরের দিকে পুলিশের রাইফেল উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের একটি ডুবুরি দল কাজ শুরু করেছে। এ দলে তিনজন ডুবুরি, দুইজন ফায়ার ফাইটার ও একজন টিম লিডার রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অর্ণব মালাকার ও দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মোল্যা বলেন, নদীতে অভিযানকালে অসাবধানতা বশত আল-আমিন (কনস্টেবল নং ৬৮০) এর হাত থেকে শটগানটি ২৫ থেকে ৩০ ফুট পানির নিচে নদীতে পড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, শটগানটিতে কোন গুলি ছিলনা। নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে ডুবুরী দল এখনো রাইফেলটি উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ সুপার গোলাম আজাদ খান বলেন, তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: হিলি সীমান্তে এয়ার রাইফেলের ৪০ হাজার গুলি উদ্ধার
কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকেও রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে: সিইসি
১ বছর আগে
রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর কথা ‘কৌতুক’ ছিল: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচনের সময় কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে তা প্রতিরোধ করতে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানোর বক্তব্যটি ছিল কৌতুক।
সোমবার নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সঙ্গে সংলাপে সিইসি এ ব্যাখ্যা দেন।
এর আগে তিনি বলেছেন, ‘আপনাদের একটি সমন্বিত প্রচেষ্টা থাকতে হবে। কেউ তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে রাইফেল বা অন্য তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানো উচিত। আপনারা দৌড়ালে, আমি কি করব? আমরা সাহায্য করব। পুলিশ ও সরকারের ওপর আমাদের কমান্ড থাকবে।’
আরও পড়ুন: কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, আপনাকেও রাইফেল বা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে হবে: সিইসি
রবিবার জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) একটি দলের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কী এতটুকু জ্ঞান নেই, যে এখনই কিন্তু পারেন আর্মস অ্যাক্টে অ্যারেস্ট করতে। ওই কথাটা যদি সত্যি হয়, তাহলে আমি কিন্তু অস্ত্র আইনে গ্রেপ্তার হই, পুলিশ এসে আমাকে একেবারে নিয়ে যাবে। একটা কথা আছে- যে এটা কী অন্তর থেকে বলা হয়েছে, নাকি কৌতুক করা হয়েছে, এগুলো বুঝতে হবে।
সিইসি বলেন, এমন সংবাদের পর আর কাজ করার মনোবল থাকে না।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
২ বছর আগে