শিশুদের টিকা
পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হয়েছে। আগামী ২৫ আগস্ট থেকে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে টিকাদান আগে শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে শিশুদের টিকা দেয়া হবে। নিবন্ধন ছাড়া কোনো শিশু টিকা নিতে পারবে না।’
শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নবজাতকের সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দেশে (১১ আগস্ট) পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই টিকা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। খুবই নিরাপদ। ইউএসএ তে এই টিকা দেয়া হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর অনুমোদন দিয়েছে। যেই টিকাগুলো এসেছে, সেগুলো দুই মাসের ব্যবধানে দিতে হবে।২৫ আগস্ট থেকে পুরোদমে শুরু হবে।
করোনায় শিশুদের ঝুঁকি কম উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শিশুরা এমনিতেই করোনা থেকে নিরাপদ ছিল। এখন পর্যন্ত দেশে ২৯ হাজার লোক মারা গেছে, যার মধ্যে ৫০ বছরের ঊর্ধ্বেই ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ। এই তালিকায় যুবকদের সংখ্যা খুবই কম। আর পাঁচ থেকে ১১ বছরের কাউকে মারা যেতে এখনও শোনা যায়নি।
নবজাতকের সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধনকালে জাহিদ মালেক বলেন, এই সেবাকেন্দ্রে অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত নবজাতকরা বিশেষায়িত সেবা পাবে। আমাদের দেশে প্রতি ঘণ্টায় প্রতি হাজারে প্রায় ৩০ থেকে ৩২ জন শিশু মৃত্যু বরণ করে। এসডিজি লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদেরকে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, সেই ধারাবাহিকতায় সারাদেশে প্রায় ৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এই সেবা চালুর মাধ্যামে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে নবজাতক মৃত্যুর হার কমে হাজারে ১০ থেকে ১২ আসবে।
এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ৫ -১১ বছরের শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকা দেয়া শুরু
শিগগিরই ৫-১২ বছরের শিশুরা করোনা টিকা পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
দেশে পৌঁছেছে শিশুদের করোনার টিকা
বাংলাদেশকে আরও ১৫ লাখ পেডিয়াট্রিক ফাইজার ডোজ টিকা অনুদান হিসেবে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত এই টিকা ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি।
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে আরও টিকার চালান আসার কথা রয়েছে।
এই টিকাগুলো নিরাপদে এবং কার্যকরভাবে পরিচালনায় স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণে সহায়তা করছে ইউএসএআইডি। আগামী সপ্তাহে ৫ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু করবে সরকার।
পড়ুন: জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
২ বছর আগে
জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক
জুলাইয়ের শেষে শিশুদের টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা.খুরশিদ আলম।
তিনি বলেন, ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা আলাদা। এটা পয়েন্ট টু এমএলের ডোজ। এই টিকার ভায়াল ও সিরিঞ্জ আলাদা। চলতি মাসের শেষে আমাদের বেশকিছু টিকা ও সিরিঞ্জ এসে পৌঁছাবে। আমরা আশা করছি, চলতি মাসের শেষে শিশুদের করোনার টিকা প্রয়োগ শুরু করা যাবে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরাও করোনার টিকা নিতে পারবে: এফডিএ
ডা. খুরশিদ আলম বলেন, শিশুদের টিকার বিষয়ে আমরা ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছি। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে একটি মিটিং হবে। এরপর একযোগে সারা দেশে কার্যক্রম শুরু করব। প্রাথমিকভাবে ঢাকা থেকে এই কার্যক্রম শুরু হবে, পর্যায়ক্রমে সারাদেশে চালু করা হবে।
এদিকে, মঙ্গলবার একদিনের ক্যাম্পেইনে ৭৫ লাখ টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ফিলাপ করা যাবে কিনা জানতে চাইলে ডা. খুরশিদ আলম বলেন, এটা দিন শেষে বলা যাবে। যদি এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হয় তাহলে আগামী দুই দিনও এই কার্যক্রম চলবে।
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ নিতে মানুষের আগ্রহ কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কারণ করোনা এখন মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাচ্ছে না। আগে যেরকম ভয়াবহতা ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরে সেই ভয়াবহতা না থাকায় আমরা মানুষের মধ্যে বুস্টার ডোজ নেয়ার আগ্রহ কম দেখছি।
আরও পড়ুন: সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কার্যকর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে বুস্টার ডোজের আগ্রহ বাড়ানোর। মিডিয়া এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেহেতু করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে তাই সবাইকে বুস্টার ডোজ নেয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
২ বছর আগে