আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী
বাহরাইনের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাহরাইনের সঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমানের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে চায় বাংলাদেশ।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুল রহমান এম আহমেদ আল গৌদেরের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাগর-রুনি হত্যার বিচার হারিয়ে যাবে না: আইনমন্ত্রী
আনিসুল হক বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ছিল খুবই আন্তরিক।
তিনি আরও বলেন, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আমরা একমত হয়েছি।
মন্ত্রী বলেন, বাহরাইনের সঙ্গে আমাদের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। সবচেয়ে বড় সম্পর্ক হলো, আমাদের দুই লাখের বেশি বাঙালি বাহরাইনে চাকরি করছেন।
তিনি বলেন, আজকের আলাপ-আলোচনার সময় রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, করোনার সময় যখন ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রচলন ছিল, তখন বাহরাইনের বাদশাহ তার দেশের নাগরিকের সঙ্গে বাঙালিদের কোনও বৈষম্য করেননি। করোনা প্রতিরোধে সবাইকে সমান সেবা দিয়েছেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: এআই নিয়ে নতুন একটি আইনের খসড়া করা হবে: আইনমন্ত্রী
চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও সরকার শ্রমবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ: আইনমন্ত্রী
৭ মাস আগে
নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে আপাতত সংবিধান সংশোধনের কোনো পরিকল্পনা নেই। নির্ধারিত সময়েই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি পর পর দুই টার্ম থেকেছেন, সংবিধান অনুসারে তিনি আর থাকতে পারবেন না।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অধস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে সরকার: আইনমন্ত্রী
যুক্তরাজ্যের সহযোগিতায় এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
চারদিনের এ কর্মশালায় বাংলাদেশের বিচার বিভাগের বিভিন্ন সমস্যা যেমন মামলাজট, মামলা ব্যবস্থাপনা, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির পন্থা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
বিএনপি নেতাদের জামিনের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আদালতের কাজে আইন মন্ত্রণালয় তো নয়ই, সরকারের অন্য কোনও মন্ত্রণালয়ও হস্তক্ষেপ করছে না। আদালত যদি মনে করে থাকে, যে জামিন দেয়া যাবে, আদালত জামিন দিয়েছে। যদি মনে করে থাকে যে, জামিন দেয়া যাবে না, তখন দেয়নি।
মন্ত্রী আরও বলেন, এটা অহরহ হয়ে থাকে যে নিম্ন আদালত জামিন দেননি, উচ্চ আদালত জামিন দিয়েছেন। আবার এমনও হয়, নিম্ন আদালত জামিন দিয়েছেন, উচ্চ আদালত সেখানে হস্তক্ষেপ করে তা আটকে দিয়েছেন। এটা নতুন কিছু না বাংলাদেশে।
এটা নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন, তারা হয়তো জাতীয় পার্টি-বিএনপির আমল দেখেননি বা দেখলেও তারা সেইসব অভিজ্ঞতার কথা এখন বলতে চান না।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের হাইকোর্টের জজ বিচারপতি মওরা ম্যাকগোয়ান ও যুক্তরাজ্যের সার্কিট জজ খাতুন সাপনারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করাই নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: আইনমন্ত্রী
দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল ও সেবাবান্ধব করা হবে। এজন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে।
শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবীদের জন্য এডিআর কর্মশালা এবং জেলাভিত্তিক সেরা প্যানেল আইনজীবীদেরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা এবং বাংলাদশে ইউএসএইড- এর প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস একটিভিটি নামক প্রোগ্রাম এ কর্মশালার আয়োজন করে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায়-সম্বলহীন এবং নানাবিধ আর্থ-সামাজিক কারণে বিচারপ্রাপ্তিতে অসমর্থ জনগণকে আইনগত সহায়তা প্রদানকল্পে জাতিকে উপহার দেন ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০'। এর মাধ্যমে শুরু হয় দেশের অসহায় ও দরিদ্র জনগোষ্ঠির আইনি অধিকার নিশ্চিত করণের যাত্রা।
আনিসুল হক বলেন, বর্তমান সরকার আইনি সহায়তা কার্যক্রমকে গতিশীল ও সেবাবান্ধব করে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপন করে সুপ্রিম কোর্টসহ দেশের সকল জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস প্রতিষ্ঠা করেছে। উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন সংশোধনের মাধ্যমে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির কেন্দ্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। ফলস্বরূপ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতে দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার এবং প্যানেল আইনজীবীদের নেতৃত্বে বিকল্প পন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালে গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে লিগ্যাল এইড অফিসারের কাজকে বিচারিক কর্ম হিসেবে গণ্য করেছি, ফলে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিকে এখন বিচারিক কাজ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।’
এছাড়া জেলা পর্যায়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ আইনজীবীদের প্যানেলভুক্ত করার মাধ্যমে ভিকটিমের আইনি সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্যানেল আইনজীবীরা যাতে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সেজন্য তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত মোট দুই হাজার ছয়শ’ ৬৯ জন প্যানেল আইনজীবীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, গত দুই বছরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও লিগ্যাল এইড অফিসগুলোর মাধ্যমে আইনগত সহায়তা কার্যক্রম, আইনি পরামর্শ এবং এডিআর পদ্ধতিতে মামলা নিষ্পত্তি কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে চালু রাখা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতেও বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি পরামর্শ সেবা প্রদান করা হচ্ছে। বিচারক, আইনজীবী, সরকারি-বেসরকারি সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন পেলে সরকারি আইনি সহায়তা কার্যক্রম আরও কার্যকর, গতিশীল ও শক্তিশালী হবে।
অনুষ্ঠানে জেলাভিত্তিক ৪০ জন সেরা প্যানেল আইনজীবীর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আইনমন্ত্রী।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদশে ইউএসএইড এর ডেমোক্রেসি, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড গভর্ন্যান্স অফিসের পরিচালক ক্রিস্টিন ওয়ালস এবং প্রমোটিং পিস এন্ড জাস্টিস একটিভিটি'র চিফ অব পার্টি হিদার গোল্ডস্মিথ বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না: আইনমন্ত্রী
বিশ্ব অর্থনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো আছে: আইনমন্ত্রী
২ বছর আগে