আপত্তি
কপ২৯ অনুষ্ঠিত হবে আজারবাইজানে
আগামী বাছরের ২৯তম জলবায়ু সম্মেলন পূর্ব ইউরোপের দেশ আজারবাইজানে অনুষ্ঠিত হবে। আজারবাইজানকে আগামী বছরের জলবায়ু সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে নির্বাচিত করেছে জাতিসংঘের জলবায়ু সংস্থা ইউএনএফসিসিসি।
আগামী বছরের আয়োজক দেশ নিয়ে অনেক নাটকীয়তা হয়েছে। রাশিয়া আগে থেকেই ইইউর কোনো দেশে জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে আপত্তি দিয়ে রেখেছিল। ইইউর বাইরে এত বড় সম্মেলন আয়োজনের সক্ষমতা রয়েছে কেবল দুই প্রতিবেশী দেশ আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলন : শুক্রবার শুরু হচ্ছে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক
এরপর এই দুই দেশই আয়োজক দেশ হওয়ার জন্য আবেদন করে। কিন্তু আবেদনের পর আবার বিবাদমান এই দুই দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে আপত্তি জানায়। পরে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত আর্মেনিয়া তার আপত্তি প্রত্যাহার করে নেয়। এতে করে আজারবাইজানের কপ২৯ আয়োজনের পথ সুগম হয়।
এদিকে আজারবাইজানে পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন আয়োজনের ব্যাপারে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জলবায়ু কর্মীরা। তাদের ক্ষোভের কারণ হলো- আরব আমিরাতের পর আরও একটি তেল উৎপাদনকারী দেশে পরবর্তী জলবায়ু সম্মেলন আয়োজন।
পূর্ব ইউরোপের সীমান্তবর্তী দেশটির জনসংখ্যা মাত্র ১ কোটি। এটি বিশ্বের অন্যতম তেল গ্যাস উৎপাদনকারী দেশ। এই তেল গ্যাসে ওপর নির্ভরশলী পূর্ব ইউরোপ এবং পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো। দেশটির জিডিপির অর্ধেক আসে তাদের তেল-গ্যাস থেকে। আর রপ্তানি আয়ের ৯২ শতাংশ আয় হয় দেশটির তেল-গ্যাস থেকে।
আরও পড়ুন: উদ্বোধনের এক মাস পরও খুলনা-মোংলা রুটে শুরু হয়নি ট্রেন চলাচল
জলবায়ু সহনশীল প্রকল্পে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার তাগিদ
১ বছর আগে
আন্দোলনে আপত্তি নেই, জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কোনো আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের কোনো আপত্তি নেই। তবে জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমি কখনোই কোনো জ্বালাও-পোড়াও সহ্য করি না। এটা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু তারা যেকোনো আন্দোলন বা সংগ্রাম করুক তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
সোমবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক (বিপিএএ)-২০২৩ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য কর্মক্ষমতার জন্য ২৮ জন কর্মকর্তা ও দুইটি সরকারি দপ্তরকে পুরস্কার দেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, যারা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের সমর্থন দেয়নি, তাদের মনের শত্রুতা এখনো কাটেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা এটিকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাচ্ছি। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই অগ্রসর হতে হবে।
প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যতদিন জনগণ সরকারের সঙ্গে থাকবে ততদিন বিরোধীদের আন্দোলন-সংগ্রাম দেখে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কারোর বিষণ্ণ মুখ দেখতে চান না বরং সবাইকে খুশি এবং হাসিমুখে দেখতে চান।
শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে সমস্যা থাকা স্বাভাবিক। তবে সমস্যা কাটিয়ে উঠতে মনোবল ও শক্তি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, আমি এটা বিশ্বাস করি যে, এই মনোবল নিয়ে এগিয়ে গেলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে “ইনশাআল্লাহ”।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার নিম্নবিত্তসহ বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের জীবিকা নির্বাহের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষের ভোগান্তি শহরাঞ্চলের মতো গ্রামাঞ্চলে ততটা নয়।
প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের জনগণের পাশে দাঁড়াতে বলেছেন। কারণ জনগণের সেবা করা তাদের দায়িত্ব।
সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বদা নতুন নতুন উদ্ভাবনের করতে আহ্বান জানান। তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে সেসব উদ্ভাবনী কাজে লাগিয়ে দেশকে আধুনিক প্রযুক্তির যুগে এগিয়ে নিতে বলেন।
তিনি বলেন, তরুণ কর্মকর্তাদের মধ্যে উদ্ভাবনী শক্তি অনেক বেশি। এ ছাড়া এখন নতুন প্রযুক্তির যুগ।
তিনি আরও বলেন, আপনি যখন নিজ নিজ কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন, সে সময় চিন্তা করুন কী কী উদ্ভাবন করা যায় এবং কীভাবে দেশকে আরও এগিয়ে নেওয়া যাওয়া যায়।
জনপ্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দক্ষতা, মননশীলতা এবং উদ্ভাবনী প্রচেষ্টাকে উৎসাহিত করার জন্য ২০১৬ সালে বিভিন্ন বিভাগের অধীনে পুরস্কারটি চালু করা হয়েছিল।
প্রতি বছর ২৩ জুলাই জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালিত হয়। কিন্তু জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফরের তারিখের সঙ্গে মিলে যাওয়ায় এ বছরের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২৩ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়নি।
এ পুরস্কার বিজয়ীরা তাদের নামের শেষে বিপিএএ পদবি ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিটি বিজয়ীকে একটি স্বর্ণপদক (১৫ গ্রাম ওজনের) এবং একটি রাষ্ট্রীয় মনোগ্রামসহ একটি প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ২ লাখ টাকা। দলগত অবদানের জন্য দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন- জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এইচএন আশেকুর রহমান ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২৮ কর্মকর্তা ও ২ প্রতিষ্ঠানকে 'বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পুরস্কার' দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে