জাতীয় কমিটি
ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনার দায় পুলিশ-বিআরটিএ এড়াতে পারে না: জাতীয় কমিটি
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহতের ঘটনার দায় পুলিশ, বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)।
কর্তৃপক্ষের অবহেলার নিন্দা জানিয়ে এনসিপিএসআরআর জানায়, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও বাসে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন নিষিদ্ধ থাকলেও দুর্ঘটনার শিকার গাড়িটি ২৫-৩০ জন যাত্রী নিয়ে ফরিদপুরের বোয়ালমারী থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল।
একই সঙ্গে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও দুর্ঘটনায় আহতদের উন্নত চিকিৎসা এবং চিকিৎসা শেষে পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে জাতীয় কমিটি।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন
এনসিপিএসআরআর সভাপতি শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
এর আগে ফরিদপুর সদর উপজেলায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়।
হতাহতরা সবাই পিকআপ ভ্যানের যাত্রী এবং তাদের মধ্যে পাঁচজন একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।
ঢাকা থেকে মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দু’জন মারা যান। আহতদের ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ (বিএসএমএমসি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে একই পরিবারের ৫ জনসহ নিহত ১৩
৭ মাস আগে
পদ্মা ফেরিডুবি: সুষ্ঠু তদন্ত দাবি জাতীয় কমিটির
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের কাছে বুধবারের ফেরিডুবির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি (এনসিপিএসআরআর)।
শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) সংগঠনের সভাপতি মো. শহিদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় ফেরিডুবি, নিখোঁজ ২৫
অজ্ঞাতপরিচয় বাল্কহেডকে দোষারোপ না করে ডুবে যাওয়া ফেরি 'রজনীগন্ধা' তৈরির সময় কোনো ত্রুটি ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) জানায়, বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ফেরিটি ডুবে গেছে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ফেরিডুবির ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
বিআইডব্লিউটিসির বক্তব্যকে অগ্রহণযোগ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে ফেরিটির নির্মাণ ত্রুটি ও সর্বশেষ ফিটনেস জরিপসংক্রান্ত তথ্য-উপাত্ত যাচাই করা প্রয়োজন।
দুর্ঘটনার পর থেকে জাতীয় কমিটি উদ্ধার তৎপরতাসহ পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি ডকইয়ার্ডে ফেরিটি নির্মাণ করা হয়।
আরও পড়ুন: বাল্কহেড ধাক্কা দেওয়ায় ফেরিডুবির ঘটনা ঘটেছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
এত অল্প সময়ের মধ্যে বাল্কহেডের (বালুবহনকারী ছোট জাহাজ) ধাক্কায় এত বড় জাহাজের হাল ভেঙে নদীতে পড়ে যাবে তা অবিশ্বাস্য।
জাতীয় কমিটির নেতারা অবিলম্বে ফেরিসহ ডুবে যাওয়া যানবাহন উদ্ধার এবং নৌ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যানবাহন নিয়ে ফেরিডুবি, চালক নিখোঁজ
১০ মাস আগে
ঢাকা-ভাঙ্গা ট্রেনের ভাড়া ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জাতীয় কমিটির
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের ফলে রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে দাবি করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। তবে ঢাকা-ভাঙ্গা প্রস্তাবিত ট্রেনভাড়া অন্তত ৪০ শতাংশ কমানোর দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মো. শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা-ভাঙ্গা প্রস্তাবিত ট্রেনভাড়া বিদ্যমান বাস ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। এর ফলে সাধারণ যাত্রীরা ব্যয় সংকোচনের জন্য বাসকেই প্রাধান্য দেবে এবং প্রত্যাশার তুলনায় ট্রেনযাত্রী অনেক কম হবে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেনে পাড়ি দিতে উদগ্রীব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলবাসী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার রেলপথের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন। ১ নভেম্বর থেকে এ পথে শুরু হবে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল।
রেলকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সেবা সংস্থা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ট্রেন সেবার মান বৃদ্ধি ও জনগণের ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য এ খাতে ভর্তুকি দিয়ে থাকে। প্রয়োজন হলে সরকার ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথেও ভর্তুকি দিয়ে কম ভাড়া নির্ধারণ করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের এ সংক্রান্ত কমিটি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের জন্য আন্তনগর ট্রেনে (নন-এসি) জনপ্রতি ৩৫০ টাকা এবং এসি চেয়ারে ৬৬৭ টাকা ভাড়া প্রস্তাব করেছে।
এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবটি রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। তবে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত নন-এসি ও এসি বাসের ভাড়া বাসের ভাড়া জনপ্রতি যথাক্রমে ২৫০ টাকা ও ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: দোহাজারী-কক্সবাজার রুটে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে ১৫ অক্টোবর
১ বছর আগে
বাস-ট্রাকের আয়ুষ্কাল নির্ধারণ স্থগিত করায় জাতীয় কমিটির উদ্বেগ
বাস ও ট্রাকের অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল নির্ধারণ এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে নিষিদ্ধ যানবাহন চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের এ ধরনের পদক্ষেপের কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনার মাত্রা বাড়বে বলেও আশঙ্কা করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি
রবিবার (১৩ আগস্ট) সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
জনস্বার্থে অবিলম্বে এই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
তারা বলেন, সড়কে বিশৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা এড়াতে সরকার এর আগে যে দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা যৌক্তিক। এর মধ্যে একটি হলো- বাস ও ট্রাকের অর্থনৈতিক জীবনকাল নির্ধারণ করে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলা বাস এবং ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে চলা ট্রাকগুলোকে নিষিদ্ধ করা।
অন্যটি হলো- গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও নসিমন ও করিমনসহ ছোট যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সড়ক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার এবং আন্তরিক উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় হঠাৎ করে এমন দুটি গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় সচেতন নাগরিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি করেছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সরকারের প্রতি দাবি জানান।
আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
ঈদে মহাসড়কে ৯ দিন মোটরসাইকেল নিষিদ্ধের দাবি জাতীয় কমিটির
১ বছর আগে
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
বৃহত্তর বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমলেও ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আসন্ন ঈদে নৌপথে উপকূলীয় জেলায় রওনা হবেন।
এর মধ্যে তিন লাখ যাত্রী নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে এবং বাকি ২৭ লাখ যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে যাবেন।
নৌ-পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি প্রাক-ঈদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদরঘাট গৃহমুখী মানুষের অস্বাভাবিক চাপের সম্মুখীন হবে।
রবিবার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারকে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এরমধ্যে এই ঈদে লঞ্চে যাবে ৩০ লাখ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ)। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই উপকূলীয় জেলা-বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আযহার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ২২ জুন থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হবে। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের নৌপথের সব যাত্রী ২২ থেকে ২৬ জুন (ঈদের আগের দিন) এই ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি যাবেন।
তবে শিক্ষার্থী ও গৃহিণীসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে তাদের গন্তব্যে যাবে। এর মধ্যে ২২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে।
নাব্যতা সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ রয়েছে।
তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে।
নৌযানের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটি বলেছে, বাকি ২৬টি নৌপথে সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০-এর কাছাকাছি।
এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।
নাগরিক সংস্থাটি আরও বলেছে, যদি প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার যাত্রী বহন করা হয়, তবে একটি লঞ্চ গড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী বহন করবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই দুই হাজারের বেশি লোক বহন করার ক্ষমতা নেই। এমনকি অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও কম। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিনে ভিড় বাড়বে দেড় গুণ।
অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংগঠনটি নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
এতে নৌপথ ও টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
১ বছর আগে
ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
পদ্মা সেতুর কারণে লঞ্চে করে বৃহত্তর বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমে গেলেও, আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষের অস্বাভাবিক চাপের মুখে পড়বে ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল।
এছাড়া ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে উপকূলীয় বিভিন্ন জেলায় যাবেন।
নৌ পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি প্রতিবেদন অনুসারে, প্রতিদিন তিন লাখ লোক হিসেবে ৯ দিনে গড়ে কমপক্ষে ২৭ লাখ লোক সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে বাড়ি যাবে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ টার্মিনালে প্রবেশ ফি আরোপের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
মঙ্গলবার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদ যাত্রা নিশ্চিত করতে জাতীয় কমিটি সরকারকে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর ঈদুল ফিতরে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যায় প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৫০ লাখ (২৫ শতাংশ) নৌপথে যাতায়াত করে।
এতে বলা হয়, এর প্রায় শতভাগই উপকূলীয় জেলা বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের যাত্রী।
এদিকে নাগরিক সংগঠনটি জানায়, গত জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর চাঁদপুর বাদে উপকূলীয় জেলাগুলোর নৌপথে যাত্রীর হার প্রায় ২০ শতাংশ কমেছে।
ফলে এই ঈদে লঞ্চে ৩০ লাখ মানুষ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ) যাবেন এবং তাদের মধ্যে অন্তত ২৭ লাখ ঢাকা নদীবন্দর দিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নির্মাণ হবে আধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ১৩ এপ্রিল থেকে গৃহমুখী মানুষের ভিড় শুরু হবে। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের নৌপথের সকল যাত্রী ১৩ থেকে ২১ এপ্রিল (ঈদের আগের দিন) ৯ দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরবেন।
এর ফলে প্রতিদিন সদরঘাট টার্মিনাল দিয়ে তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করবে এবং বাকি যাত্রীরা নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর ব্যবহার করবে।
নাব্যতা সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ ছিল। তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে।
জাহাজের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটি বলেছে, বাকি ২৬টি নৌপথে নিয়মিত সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০-এর কাছাকাছি।
এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।
নাগরিক সংগঠনটি আরও জানায়, প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে তিন লাখ যাত্রী পরিবহন করলে একটি লঞ্চ গড়ে প্রায় ৩ হাজার ৫০০ যাত্রী বহন করবে।
কিন্তু লঞ্চগুলোর কোনোটিরই ধারণক্ষমতা দুই হাজারের বেশি নেই।
আরও পড়ুন: লালকুঠি-রূপলাল হাউজ পর্যন্ত লঞ্চ টার্মিনাল সরানোর আহ্বান তাপসের
এমনকি অনেক লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও কম। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিনে ভিড় বাড়বে দেড় গুণ।
এছাড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয়।
সংগঠনটি নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
এছাড়া নৌপথ ও টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি এবং কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
১ বছর আগে
বর্তমান বিদ্যুৎ সংকটের ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে জাতীয় কমিটি
তেল-গ্যাস ও খনিজ সম্পদ, বিদ্যুৎ খাত ও বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বিদ্যুৎ খাতের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য নয়টি সুনির্দিষ্ট কারণ চিহ্নিত করেছে।
রবিবার কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, বিদেশি কোম্পানির স্বার্থে সরকারের অনুসৃত ভুল নীতি ও দুর্নীতি বিদ্যুৎ খাতকে বর্তমান সংকটের মুখে ফেলেছে।
সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানিয়ে কমিটি বলেছে, দেশি-বিদেশি কোম্পানি ও তাদের কমিশন এজেন্টদের একটি অংশ এই ভুল নীতি ও দুর্নীতির কারণে লাভবান হয়েছে।
সংকটের জন্য কমিটি যে নয়টি কারণ চিহ্নিত করেছে তার মধ্যে রয়েছে- তেল-কয়লা ও এলএনজি আমদানি-নির্ভর নীতির ভিত্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রের উন্নয়ন, ভাড়া, কুইক রেন্টাল এবং অন্যান্য ধরনের পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য ৫৪ হাজার কোটি টাকা দেয়া,ক্যাপাসিটি চার্জ,ভাড়া,কুইক রেন্টাল ও অন্যান্য তেল-ভিত্তিক পাওয়ার প্লান্ট কাজ না করে ফেলে রাখা এবং পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিচালনার জন্য এলএনজি-আমদানি নির্ভরতা বৃদ্ধি।
অন্যান্য কারণগুলো হল- নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্পগুলো এড়িয়ে যাওয়া এবং উপেক্ষা করা, স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানের উদ্যোগের অভাব, প্রতিবেশি মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তির পরে অফশোর গ্যাস অনুসন্ধান বন্ধ রাখা, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্সের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ না দেয়া, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ সুরক্ষা উপেক্ষা করা এবং দেশীয় মালিকানা নিশ্চিত করে হাইড্রোকার্বন অনুসন্ধানে ঠিকাদার নিয়োগে উদ্যোগের অভাব।
আরও পড়ুন: লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং অধিকাংশ বিতরণ সংস্থার
দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু
২ বছর আগে