ব্যাটারিচালিত রিকশা
ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলতে বাধা নেই, সুপ্রিম কোর্টের স্থিতাবস্থা জারি
ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করে এক মাসের স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি রেজাউল হক সোমবার (২৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে হাইকোর্টের জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ আদেশের ফলে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে আর কোনো বাধা নেই।
নিরাপত্তা উদ্বেগ ও সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গত ২০ নভেম্বর ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধে তিন দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে এসব যানবাহন থামাতে তাদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের রিকশা মালিক ঐক্য জোটের করা এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ডিএমপির আশ্বাসে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের কর্মসূচি স্থগিত
নিষিদ্ধ অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভে রাজধানীতে যান চলাচলে স্থবিরতা
৩ সপ্তাহ আগে
ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিল
ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। সোমবার (২৫ নভেম্বর) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
দুপুরে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে রবিবার (২৪ নভেম্বর) ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নুর মুহাম্মদ আজমী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা হাইকোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে পিটিশনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজ বা আগামীকাল আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে বিচারপতির কাছে আবেদনটি পেশ করতে পারি।
তিনি বলেন, স্থগিতাদেশের আবেদনে ব্যাটারিচালিত রিকশা বা অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং তাই হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে পারে না বলে উল্লেখ থাকবে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে গত ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট তিন দিনের মধ্যে ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশা চলাচল বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
একই সঙ্গে এসব যানবাহনের কার্যক্রম বন্ধে তাদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা ব্যাখ্যা করতে রুল জারি করে।
৩ সপ্তাহ আগে
জুরাইন লেভেল ক্রসিংয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের অবরোধ, রেল চলাচল ব্যাহত
রাজধানীর জুরাইনে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা রেলক্রসিং অবরোধ করায় সড়ক ও রেল উভয় যান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি চেয়ে বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ’ রিকশাচালক বিক্ষোভ শুরু করেন।
পুলিশ প্রথমে বিক্ষোভকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে এলাকা খালি করে দেয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তা মানতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুপুর ১টার দিকে তাদেরকে পুরোপুরি সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান ওসি শফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, অবরোধের কারণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও খুলনার মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যাহত হয়েছে।
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জগামী দুটি ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে।
এছাড়া খুলনাগামী নকশি কাথার কমিউটার ট্রেন ও রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী মধুমতি এক্সপ্রেসও তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি।
তবে বিকাল ৩টা ২০ মিনিটের মধ্যে রেললাইন খালি করা হয় এবং ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার তিন কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
পরদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে চালকরা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত, ডাউন লাইন দিয়ে চলাচল স্বাভাবিক
১ মাস আগে
তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ
আগামী তিন দিনের মধ্যে ঢাকা মহানগর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, আইজিপি, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার তাহসিনা তাসনিম মৃদু।
আরও পড়ুন: শহীদ নাফিজকে বহনকারী ‘রিকশা’ জুলাই বিপ্লব স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে
ব্যারিস্টার এইচ এম সানজিদ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা প্যাডেল রিকশামালিক সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে রিট লড়ছি। গত তিন মাসে ব্যাটারিচালিত রিকশা বেপরোয়াভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি অবৈধ বিদুৎতের মাধ্যমে এসব রিকশা চার্জ করা হচ্ছে।’
এসব বিষয় আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে আদালতে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্ট রুল দিয়েছেন এবং তিন দিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।’
রাজধানীতে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ রিকশা চলছে। এর একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। এছাড়া প্যাডেলচালিত রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অলিগলিসহ মূল সড়কে রিকশার দাপটে ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। অনিয়ন্ত্রিত চলাচল ও ঝুঁকিপূর্ণ বাহনটি সড়কে আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মূল সড়কের পাশাপাশি অলিগলিতেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব রিকশা।
রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার আধিক্য চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন: সিলেটে গাড়িচাপায় রিকশাযাত্রীর মৃত্যু
১ মাস আগে
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি
রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২০ মে) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ওলামা লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা যেন চলতে না পারে: সড়ক পরিবহনমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘স্বল্প আয়ের মানুষের কষ্টের কথা বিবেচনা করে শুধু ঢাকা শহরে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
এ সময় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আরও জানান, আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২২টি মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে।
এর আগে গত ১৫ মে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠকে সড়কে শৃঙ্খলা আনতে রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এরপর ঢাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধে অভিযানে নামে পুলিশ।
রবিবার রাজধানীর মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের প্রতিবাদে দিনভর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চালকরা।
এ সময় রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন চালকরা।
আরও পড়ুন: ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো চালকদের বিক্ষোভ
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধ: মিরপুরে পুলিশবক্সে আগুন দিয়েছে চালকরা
৭ মাস আগে
ব্যাটারিচালিত রিকশা নিষিদ্ধের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো চালকদের বিক্ষোভ
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর রামপুরা ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন এসব যানবাহনের চালকরা।
এ কারণে সোমবার ওই এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) আরিফুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে থ্রি-হুইলার চালকরা রামপুরা সড়কে জড়ো হয়ে এসব যানবাহন বাতিলে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন।
তিনি বলেন, বিক্ষোভের কারণে রামপুরা থেকে পল্টন ও সায়েদাবাদগামী বাস চলাচল করতে পারেনি। পরে বিক্ষোভকারীরা মালিবাগের আবুল হোটেলের দিকে রওনা দেন।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান তিনি।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, বিক্ষোভের কারণে খিলগাঁও ও মালিবাগ ফ্লাইওভারে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে।
সকাল ১০টার দিকে ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকার হাজিনগর রোডে ব্যারিকেড দিয়ে অবরোধ করেন থ্রি-হুইলার চালকরা।
ডিএমপির ডেমরা ট্রাফিকের সহকারী কমিশনার মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস জানান, এ সময় চালকেরা গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। তবে তারা ব্যর্থ হয়েছেন।
এর আগে রবিবার মিরপুর-১০ নম্বর মোড়ে দাবি আদায়ে জড়ো হন কয়েকশ থ্রি-হুইলার চালক। মিরপুর, পল্লবী, আগারগাঁও, তালতলা, কালশী ও মিরপুর-১৩ এলাকায় বিক্ষোভ করেন তারা।
গত বুধবার সড়কে ব্যাটারিচালিত থ্রি হুইলার চলাচল বন্ধে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
৭ মাস আগে
ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
চলমান জ্বালানি সংকটের মধ্যে সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য কিছু কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও, সারা দেশে বিপুল সংখ্যক ব্যাটারিচালিত রিকশা চালু রয়েছে; যার কারণে বিদ্যুতের ঘাটতি আরও বাড়ছে।
জেলার পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ জেলার বাসিন্দাদের জীবনকে বিপর্যস্ত করে এমন ব্যাপক লোডশেডিংয়ের জন্য কিছু কারণ চিহ্নিত করেছে। যার মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা একটি শীর্ষস্থানীয় কারণ বলে মনে করছে তারা।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার তথ্যমতে, পৌরসভায় নিবন্ধিত ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা দুই হাজার ৪০০ হলেও বাস্তবে এ ধরনের প্রায় চার হাজার রিকশা রাস্তায় চলাচল করছে।
এতে বলা হয়েছে, এই যানবাহনগুলো প্রতিদিন গড়ে ৩৩ হাজার ইউনিট এবং প্রতি মাসে ৯লাখ ৯০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।
এতে আরও বলা হয়, একটি পরিবার প্রতি মাসে প্রায় ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করে, যার মানে মোট তিন হাজার ৩০০ পরিবার এই পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারে; যা ব্যাটারি চালিত রিকশা চার্জ করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন: দেশে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার চার্জার স্টেশনের মালিকরা জানান, রিকশার ব্যাটারি চার্জ করতে তারা ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা নেন। এছাড়া ব্যাটারিচালিত রিকশার চালককে দৈনিক ৩০০ টাকা দিতে হয় মালিককে।
তারা আরও জানান,‘একটি সম্পূর্ণ চার্জযুক্ত ব্যাটারি চালিত রিকশা ২০০ কিলোমিটার যেতে পারে। কখনও কখনও দীর্ঘ দূরত্ব চালানোর জন্য বিকালের মধ্যে চার্জ কমে যায়। ’
জেলার ইজিবাইক চালক মো. কালাম বলেন, এই ধরনের রিকশার একজন চালক প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আয় করেন।
ঠাকুরগাঁও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, চার্জিং স্টেশনের জন্য আলাদা বিদ্যুতের দর রয়েছে। ‘ব্যাটারি চালিত রিকশা চার্জ করার জন্য ফ্ল্যাট রেট ৭ টাকা ৬৪ পয়সা, অফ পিক রেট ৬টাকা ৮৮ পয়সা এবং পিক রেট ৯ টাকা ৫৫ পয়সা।
মামুনুর বলেন, যারা ডবল ট্যারিফ মিটার ব্যবহার করেন তারা পিক এবং অফ পিক রেট অনুযায়ী তাদের বিল পরিশোধ করেন; আর যাদের একক ট্যারিফ মিটার, তারা ফ্ল্যাট রেট হারে তাদের বিল পরিশোধ করে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে প্রভাবিত করে জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দৈনিক দুই ঘণ্টা লোডশেডিং এর বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানান।
পরে দৈনিক এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সংশোধিত সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘এলাকা অনুযায়ী, আমরা সারা দেশে প্রতিদিন এক ঘণ্টার লোডশেডিং শুরু করব। প্রয়োজন হলে, সিদ্ধান্তটি এক সপ্তাহ পরে পুনর্বিবেচনা করা হবে।’
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার দেশে মোট ১৯১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং অধিকাংশ বিতরণ সংস্থার
সরকার রাত ৮ টার মধ্যে শপিং মল বন্ধ, এয়ার কুলারের সীমাবদ্ধ ব্যবহার সহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বেশ কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছে। এছাড়া অফিসের সময় সীমিত করার এবং সপ্তাহে একদিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার পরিকল্পনাও চলছে।
২ বছর আগে