চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন
ধর্ষণের বিচারকালে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না
ব্রিটিশ আমলের সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের একটি সংশোধনী অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা । এর মাধ্যমে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিচারকালে অভিযোগকারী নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং দুশ্চরিত্র প্রমাণের যে আইনি সুযোগ রয়েছে তা বাতিল হতে যাচ্ছে।
নারী অধিকার কর্মীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয়। তারা দেশে বহুদিন ধরে এই ধারাটি বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এই বিধানকে ধর্ষণ শিকার নারীর জন্য অপমানজনক বলে মনে করেন তারা ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ক আইন এভিডেন্স অ্যাক্ট ২০২২-এর সংশোধনীর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই বৈঠকে যোগ দেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের মিডিয়া ব্রিফিং অনুসারে, প্রস্তাবিত সংশোধনীটি সাক্ষ্যপ্রমাণ আইনের ১৪৬ (৩) ধারাকে সীমাবদ্ধ করার চেষ্টা করে যাতে ভুক্তভোগীদের আদালতের অনুমতি ছাড়া তাদের চরিত্র সম্পর্কে ‘আপত্তিকর প্রশ্ন’ জিজ্ঞাসা করা না যায়।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল আদালতের স্বীকৃতি পাওয়ায় খসড়া আইনে কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রতিপক্ষের ভুক্তভোগীদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলার প্রবণতা রয়েছে। ‘খসড়া আইনে এর ওপর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। কারও চরিত্র নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তোলার জন্য আদালতের অনুমতি নিতে হবে,’ বলেন তিনি।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ডিজিটাল রেকর্ডকে প্রমাণ হিসেবে গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তথ্যের পাশাপাশি ডেটাও ব্যবহার করা যাবে।
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আইনটি (দ্য এভিডেন্স অ্যাক্ট, ১৮৭২) অবিলম্বে বাংলায় অনুবাদ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে গৃহপরিচারিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা
ধর্ষণের শিকার বুদ্ধি প্রতিবন্ধী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা, যুবক গ্রেপ্তার
২ বছর আগে