হাজিরা
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ১১ মামলা: হাজিরার জন্য ১৫ মে দিন ধার্য আদালতের
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহ ১১টি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামি ১৫ মে ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো.আছাদুজ্জামানের আদালতে মামলাগুলো শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার পক্ষে অধিকাংশ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এজন্য খালেদা জিয়ার আইনজীবী শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন এবং আগামী ১৫ মে নতুন তারিখ ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এতথ্য জানান।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে- রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল অভিযোগ শুনানির জন্য।
আরও পড়ুন: দুটি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়াল হাইকোর্ট
মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামের এক যাত্রী।
ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপ-পরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান।
ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে আর কারাগারে পাঠাবে না সরকার: আইনমন্ত্রী
গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন শুনানি ২৯ জানুয়ারি
পেকুয়ায় হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে একজনকে পিটিয়ে হত্যা
কক্সবাজারের পেকুয়ায় সন্দেহভাজন এক অপরাধীকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের পাহাড়িয়াখালী ছনখোলা এলাকার বাদামতল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাফর আলম (৬৫) ওই এলাকার নজির আহমদের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার জাফর আলম চকরিয়া কোর্ট থেকে মামলার হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এসময় ছনখোলা স্টেশনে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওৎ পেতে থাকে তার প্রতিপক্ষরা। জাফর স্টেশনে পৌঁছালে ৭-৮ জনের একটি দল লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জাফর আলমের স্ত্রী জ্যোৎস্না আকতার বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমি আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।’
পেকুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফরহাদ আলী বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহত জাফর আলম তার পুত্রবধূ সালমা বেগম ও নেজাম উদ্দিন হত্যা মামলার আসামি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি ও মারামারির অভিযোগে আরও ছয়টি মামলা রয়েছে। তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ও আলমগীর বিভিন্ন মামলায় কারাগারে আছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, ডাকাতি, মারামারি ও বন আইনে অন্তত ১০টি এবং আলমগীরের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা আছে।’
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব: মাগুরায় মাদরাসাছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা
মানিকগঞ্জে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা