ভৈরব নদ
ভৈরব নদে গোসলে নেমে তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
ভৈরব নদে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে রোকেয়া খাতুন (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টম্বর) বিকাল দিকে বাড়ির পাশে ভৈরব নদে গোসল করতে গেলে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
রোকেয়া মেহেরপুর সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের ছোটন আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কনি মিয়া স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানান, রোকেয়া বাড়ির পাশে ভৈরব নদে গোসলে য়ায়। গোসল করার কোনো এক সময় পানির নিচে তলিয়ে যায় সে। পরে লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে লরিচাপায় ঢাকা কলেজের ২ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কক্সবাজারে বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবিতে ১ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩
২ মাস আগে
ভৈরব নদে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে
খুলনার অভয়নগরের ভৈরব নদীতে কয়লাবোঝাই কার্গো জাহাজডুবির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়া এলাকায় এমভি সাকিব বিভা-২ জাহাজটির তলা ফেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছিল। আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপ ইন্দোনেশিয়া থেকে ওই কয়লা আমদানি করে অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ায় বন্দরে এনেছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়া থেকে এসব কয়লা বড় জাহাজে করে প্রথমে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় আনা হয়। সেখান থেকে প্রায় ৬৮৫ মেট্রিক টন কয়লা ছোট কার্গো জাহাজ এমভি সাকিব বিভা-২-এ তোলা হয়।
গত শনিবার সকালে নওয়াপাড়ার উদ্দেশে কার্গো জাহাজটি রওনা দেয়। শনিবার রাতে জাহাজটি অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়া নোনাঘাট এলাকায় ভৈরব নদের ঘাটে পৌঁছায়। জাহাজটি নোঙরের জন্য অপেক্ষায় ছিল।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে লাইটার জাহাজডুবি, ১৩ জন উদ্ধার
রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘোরানোর সময় নদের মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে তলা ফেটে জাহাজে পানি উঠতে থাকে এবং জাহাজটি ধীরে ধীরে নদে তলিয়ে যেতে থাকে। প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়।
এমভি সাকিব বিভা-২-এর মাস্টার মো. বেল্লাল হোসেন জানান, নওয়াপাড়া নোনাঘাটের পাশে জাহাজটি ভেড়ানো হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে নদে ভাটা ছিল। এ সময় কার্গো জাহাজটি ঘাটে নোঙর করার জন্য ঘোরানো হচ্ছিল। হঠাৎ নদের শক্ত মাটির সঙ্গে জাহাজের তলায় সজোরে আঘাত লাগে। এতে জাহাজের তলা ফেটে যায়। এরপর জাহাজে পানি উঠতে থাকে।
রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহাজটি ডুবে যায়। জাহাজের নিচতলা সম্পূর্ণ তলিয়ে গেছে। তবে জাহাজের ওপরের তলা পানির ওপরে রয়েছে বলে জানান মাস্টার বেল্লাল হোসেন।
তিনি আরও বলেন,জাহাজটি ডুবে যাওয়ার সময় জাহাজে মাস্টার, সুকানিসহ মোট ১১ জন ছিলেন। সবাই সাঁতরে তীরে উঠেছেন।
এ সময় জাহাজে প্রায় প্রায় ১ কোটি ১২ লাখ টাকার কয়লা ছিল।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জে এইচ এম গ্রুপের লজিস্টিক ব্যবস্থাপক রাহুল দেব বিশ্বাস বলেন, কয়লা উদ্ধারের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। সোমবার থেকে কয়লা উদ্ধারের কাজ শুরু করা হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। উদ্ধার শেষ হলে তা বোঝা যাবে।
আরও পড়ুন: শিবসা নদীতে ফ্লাইঅ্যাশবোঝাই জাহাজডুবি, ১২ নাবিক উদ্ধার
৭ মাস আগে
২০ ঘণ্টা পর মিলল ভৈরব নদে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিকের লাশ
যশোরের অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদে নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক কাইয়ুম হোসেনের লাশ ২০ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দিকে ভৈরব নদের মহাকাল এলাকায় ঘাটে ভিড়ানো একটি কার্গো জাহাজের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
নিহতের শ্যালক ইয়াসিন মোল্যা জানান, রবিবার সন্ধ্যার সময় তার দুলাভাই জাহাজ থেকে সার নামানোর সময় সিঁড়ির উপর পড়ে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়ে পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়।
রবিবার গভীর রাত পর্যন্ত তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরের পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের কর্মীরা নিখোঁজ হওয়া শ্রমিক কাইয়ুমের লাশ উদ্ধার করে।
নওয়াপাড়া হ্যান্ডলিং শ্রমিক নেতা ফালগুন মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের শ্রমিক, শুভরাড়া গ্রামের শরিয়ত উল্লার ছেলে কাইয়ুম হোসেন জাহাজ থেকে সার নামাতে গিয়ে ভৈরব নদে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার ২০ ঘণ্টা পর তাকে উদ্ধার করা হয়।
অভয়নগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ২ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠে শিশুর লাশ
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
বাগেরহাটে মাটির চুলার কারিগরদের জীবন চরম দুর্ভোগে
রাজিয়া বেগম প্রায় দুই যুগ ধরে মাটির চুলা তৈরি করে বিক্রি করছেন। রাজিয়ার মাও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ভৈরব নদের পাড়ে ঝুপড়ি ঘরে থেকে চুলা তৈরি করেছেন। প্রায় ১৫ বছর ধরে রাজিয়ার স্বামী কামরুল ইসলাম নিরুদ্দেশ রয়েছেন। এক ছেলে নিয়ে রাজিয়ার সংসার। চুলা বিক্রি করে তার সংসার চলে। চুলা বিক্রি হলে খাবার জোটে আর বিক্রি না হলে খাবারের জন্য রাজিয়াকে বিকল্প পথ খুঁজতে হয়।
বাগেরহাটে ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ এই মাটির চুলা তৈরি করা হয়। কয়েক যুগ ধরে শহরের ভৈরব নদের পাড়ে এই মৃৎশিল্পের দেখা মেলে। নারীরা নিজেদের দক্ষতা আর সৃজনশীলতা কাজে লাগিয়ে নদের চর থেকে পলিমাটি তুলে চুলা তৈরি করেন। ওই নদের পাড়ে সাজিয়ে রেখে চুলা বিক্রি করা হয়। তবে সেই চুলা তৈরির কারিগরদের কষ্টের শেষ নেই। নদের পাড়ে ঝুপড়ি ঘরেই তাদের সংসার। সরকারের কাছে সহায়তার দাবি জানিয়েছে তারা। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক চুলা তৈরির কারিগরদের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
জানা গেছে, মাটি দিয়ে তৈরি করা চুলার ঐতিহ্য রয়েছে। এক সময় গ্রাম-বাংলায় রান্না-বান্নার মূলভিত্তি ছিল মাটির চুলা। শহর-বন্দর-গ্রাম থেকে সর্বত্রই চুলার ব্যবহার রয়েছে। হোক সে মাটির চুলা বা অন্য কোন চুলা। চুলা ছাড়া রান্না অসম্ভব। বাগেরহাট ভৈরব নদের চর থেকে মাটি তুলে শহর রক্ষা বাঁধের পাশে তৈরি করা হচ্ছে গ্রামীণ মাটির চুলা। কারিগররা একমুঠো দুমুঠো করে একের পর এক মাটি সাজিয়ে তৈরি করে চুলা।
চুলা তৈরির কারিগর রাজিয়া বেগম জানান, নদের চর থেকে পলিমাটি তুলে একমুখ ও দুই মুখসহ বিভিন্ন সাইজ এবং নানা ডিজাইনের চুলা তৈরি করে। একটি চুলা বিক্রির উপযোগী হতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। একটি চুলা ১৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করে। প্রায় ৩০ বছর ধরে নদের পাড়ে ঝুপড়ি ঘরে থেকে তিনি মাটির চুলা তৈরি করে বিক্রি করছেন। স্বামী নিরুদ্দেশ থাকায় এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। চুলা বিক্রি হলে খাবার জোটে আর বিক্রি না হলে খাবার জোটে না। নিজের ঘর না থাকায় নদের পাড়ে ঝুপড়ি ঘরে তার জীবন চলছে। একটি ঘরের জন্য দারে দারে ধন্না দিয়েও আজও পর্যন্ত ঘর মেলনি। সরকারের কাছে ঘরের দাবি রাজিয়ার।
মাটির চুলা তৈরির আরেক কারিগর জোসনা বেগম। তিনিও ভৈরব নদ পাড়ের বাসিন্দা। প্রায় ৩০ বছর ধরে জোসনা বেগম মাটির চুলা তৈরি করছেন। ৮ বছর আগে তার স্বামী আসলাম হওলাদার মারা গেছেন। তারও সংসার চলে চুলা বিক্রির টাকায়। শুধু রাজিয়া আর জোসনা বেগম নয় আরও বেশ কয়েকজন নারী ভৈরব নদ থেকে মাটি তুলে চুলা তৈরি করে বিক্রি করছেন। গ্রামীণ মাটির চুলা তৈরির এসব কারিগরদের সংসার চলছে অনেক কষ্টে।
পড়ুন: ব্যাপক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার মধ্যেও চলছে ব্যাটারিচালিত রিকশা
২ বছর আগে