শিশুর জন্মহার
জাপানে নারীরা অবমূল্যায়িত: জাপানি মন্ত্রী
জাপানের পুরুষ শাসিত পার্লামেন্টের উদাসীনতা ও অবজ্ঞার কারণে শিশুর জন্মহার কমেছে যা জনসংখ্যা কমিয়ে জাতীয় দুর্যোগ তৈরি করছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির শিশু ও লিংঙ্গ সমতা বিষয়ক মন্ত্রী।
সংবাদ সংস্থা এপিকে দেয়া দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে শিশু ও লিংঙ্গ সমতা বিষয়ক মন্ত্রী সিইকো নোডা জাপানে শিশুর জন্মহার কমে যাওয়াকে অস্তিত্বের ঝুঁকি উল্লেখ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে পরবর্তী দশকে দেশের পর্যাপ্ত সৈন্য বা পুলিশ কিংবা দমকল বাহিনীতে লোক থাকবে না।
তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শিশুর জন্মহার ২৭ লাখ থেকে কমে গত বছর হয়েছে মাত্র আট লাখ দশ হাজার।
রাজধানী টোকিও’র ডাউনটাউনের মন্ত্রণালয়ের সরকারি ভবনে এপিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ৬১ বছর বয়সী নোডা বলেন, ‘জনগণ শিশুদের জাতীয় সম্পদ মনে করে। লিঙ্গ সমতায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ। জাপানের রাজনীতি কখনো পরিবর্তন হবে না যতক্ষণ না ( নারী ও শিশুদের সমস্যা )তুলে ধরা হয়।’
তিনি বলেন, শিশুর জন্মহার হ্রাসের অনেকগুলো কারণ আছে, ক্রমাগত লিঙ্গ বৈষম্য জাপানের জনসংখ্যা ধ্বংস করছে। কিন্ত সংসদে থেকে আমি বিশেষভাবে অবজ্ঞা ও উদাসীনতা অনুভব করছি।’
জাপান পৃথিবীর বৃহৎ অর্থনীতির শক্তিশালী গণতন্ত্রের দেশ হলেও গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে নিম্নজন্মহারের কারণে।
এখানে নারী ও পুরুষের দুরত্ব বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায়। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম ২০২২ এর এক জরিপে দেখা যায়, ১৪৬ রাষ্ট্রের মধ্যে জাপানের অবস্থান ১১৬তম। জরিপের বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল আর্থিক সমতা, রাজনীতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারীর সুবিধা।
নোডা বলেন, জাপানে নারীরা বিভিন্নভাবে উদাসীনতার শিকার হন, ২০ জনের মন্ত্রিপরিষদে মাত্র দুই জন নারী। আমি চাই নারীরা পুরুষের সাথে সমানতালে আগাবে। কিন্তু আমরা তা এখনো দেখিনি এবং ভবিষ্যৎ অগ্রগতির জন্য নারীদের অপেক্ষা করতে হবে।
পড়ুন: ধর্ষণের বিচারকালে নারীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না
কঙ্গোতে জাতিসংঘবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১৫, আহত ৫০
২ বছর আগে