কায়কাউস
প্রধানমন্ত্রীর নতুন মুখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ট সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নতুন মুখ্য সচিব করা হয়েছে। তিনি আহমদ কায়কাউসের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তোফাজ্জেলকে তার আগের পদ থেকে বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক মুখ্য সচিব আব্দুস সামাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
একটি পৃথক গেজেটে, মন্ত্রণালয় বলেছে যে কায়কাউসকে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
মুখ্য সচিব হিসেবে কায়কাউসের মেয়াদ ৯ ডিসেম্বর শেষ হবে বলে মন্ত্রণালয় এই পরিবর্তন করেছে।
মুখ্য সচিব হওয়ার আগে, তোফাজ্জেল ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব হিসেবে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০২১ সালে ২৯ ডিসেম্বর জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে গণটিকা কার্যক্রম পুনরায় শুরু হতে পারে: মুখ্য সচিব
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কায়কাউস থাকছেন আরও ২ বছর
২ বছর আগে
বেইল আউটের জন্য নয়, সতর্কতা হিসেবে আইএমএফের ঋণ নিচ্ছে ঢাকা: কায়কাউস
দেশের বর্তমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাঁচ মাসের বেশি সময়ের সব ধরনের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
তিনি বলেন, ‘আমাদের রিজার্ভে পাঁচ মাসের বেশি আমদানি ব্যয় রয়েছে যেখানে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় থাকা মজবুত অর্থনীতির প্রতীক। আমাদের কোনো ঝুঁকি নেই।’
সংবাদপত্র ও অন্যান্য গণমাধ্যমে কিছু বিভ্রান্তিকর খবর নিয়ে বুধবার তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন মুখ্য সচিব।
আইএমএফ, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক, এডিবি ও অন্যান্য সংস্থার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী দিনে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দার সম্ভাবনা রয়েছে, উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অংশ হিসেবে আমরা কীভাবে তাদের কাছ থেকে সম্ভাব্য তহবিল পেতে পারি সে বিষয়ে আমরা আইএমএফকে প্রস্তাব দিয়েছি।’
‘বেইল আউট’ শব্দের ব্যবহারে তীব্র আপত্তি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: আইএমএফের কাছে ঋণ চাইলেও অর্থনীতির অবস্থা খারাপ নয়: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বেইল আউট কেন, দেশ কি গভীর সংকটে যাতে আমাদের বেইল আউট দিতে হবে?’
বেইল আউটের মতো টার্মের ব্যবহার দেশের মর্যাদায় আঘাত করছে। কারণ এটি এমন পরিস্থিতিতে নয়, উল্লেখ করেন কায়কাউস।
পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশ গভীর অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়েছে কি না তা ঢাকায় আইএমএফ মিশনের কাছে খতিয়ে দেখতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ করেন কায়কাউস।
আইএমএফ থেকে তহবিল পেতে সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এটি অর্থ মন্ত্রণালয় ও আইএমএফের মধ্যে একটি নিয়মিত আলোচনা ছিল।’
১৯৯৩, ২০০৩, ২০১২ ও ২০২০ সালে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারের আইএফএফ থেকে নেয়া বিভিন্ন ধরনের তহবিল সহায়তার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিয়মিত আইএমএফ, এডিবি ও বিশ্বব্যাংক থেকে তহবিল নিচ্ছি।’
তবে বাংলাদেশ বর্তমানে তাদের কাছ থেকে বাজেট অর্থায়ন পাচ্ছে, প্রকল্প অর্থায়ন নয়। কারণ তাদের এ দেশের ওপর আস্থা রয়েছে যে এটি তহবিল আরও দক্ষতার সঙ্গে ব্যবহার করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘এবার আমরা বাজেট সহায়তা চেয়েছি। এটি পেমেন্টের ভারসাম্যের ঘাটতি মেটানোর জন্য, বেইল আউট নয়। এটা মূলত সেই অর্থ যা আমাদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ব্যয় করার জন্য প্রয়োজন হয়।’
২ বছর আগে