ড. শামসুল আলম
ইলিশের ডিম ছাড়তে সুযোগ করে দিতে হবে: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ইলিশ মাছের দাম বেশি হলে বুঝতে হবে তার চাহিদা প্রচুর পরিমাণ। আর এ চাহিদা পূরণ করতে হলে মা ইলিশকে ডিম ছাড়তে সুযোগ করে দিতে হবে এবং মাছকে বড় হওয়ার সময় দিতে হবে। তাহলে আমরা মাছ খেতে পারব।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে চাঁদপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজিত ১৫তম জাতীয় ইলিশ উৎসবের সমাপনী দিনে গোল টেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি মৌলিক পণ্যসহ ইলিশের ক্ষেত্রে সিন্ডিকেশন সম্ভব নয়। এর সিন্ডিকেট হলে ব্যবসায়ীর সংখ্যা বেড়ে যাবে। আমরা কিছু হলেই সিন্ডিকেট বলি। ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বাজারে সিন্ডিকেট কীভাবে সম্ভব হবে!
ড. শামসুল আলম বলেন, কৃষকদের সহায়তা করা আওয়ামী লীগের অন্যতম নীতি। ইলিশের দাম ওভাবে বাড়েনি। আসলে সরবরাহ চাহিদার সঙ্গে মিলছে না। আর এজন্যে উৎপাদন বাড়াতে হবে। আসুন ইলিশ মাছকে সংরক্ষণ করে দেশকে আরও উন্নত করি।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার মান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন শামসুল আলম, রবিবার শপথ
১ বছর আগে
মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
দেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, আমাদের পাঁচ মাসের আমদানির সামর্থ্য রয়েছে। যেখানে তিন মাসের মাসের সামর্থ্য থাকলেই যথেষ্ট। খাদ্য আমদানি শুরু করলে আমরা ৮-৯ মাস সেটা বহন করতে পারবো। কাজেই এটিকে সংকট বলা যায় না।
শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর জেলা পুলিশের ফ্যামিলি ডে অনুষ্ঠানে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও করোনা পরবর্তী সময়ে সব দেশ পুনর্যাত্রা শুরু করেছিল। সে কারণে অধিক চাহিদায় মূল্যস্ফীতি দেখা দিয়েছে। তার ঢেউ বাংলাদেশেও লেগেছে। এ মূল্যস্ফীতি আমাদের কোনো কারণে নয়। এটা বৈশ্বিক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে আমরা সতর্ক রয়েছি। বিদেশ থেকে সাহায্য-সহযোগিতা নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা অতীতেও (সাহায্য) নিয়েছি, এখনো নেব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আশঙ্কাবাদীরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলছেন। তাদের কথায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি নিবৃত থাকতেন; তাহলে আমাদের অহংকার পদ্মা সেতু বাস্তবায়িত হতো না।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সব দেশ ঋণ করে থাকে। আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, জাপান প্রত্যেকে তাদের দেশের চাইতে চার গুণ বেশি ঋণ করে থাকে। ঋণ হলো একটি ব্যবসা। কাজেই এ ব্যবসা বিনিয়োগে বাংলাদেশ অংশ নিবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া অর্থনৈতিক কোনো কার্যক্রম আমাদের বসে নেই।
তিনি বলেন, রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের অর্থনৈতিক সংকটে কথা উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। বলা হয়েছে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি স্থিতিশীল রয়েছে। কাজেই বিদেশের মূল্যায়ন ও আমাদের নিজস্ব মূল্যায়নে আমরা মনে করি আমরা দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আশঙ্কাবাদীরা আশঙ্কা প্রকাশ করবেই। তাতে আমরা চিন্তিত নই।
আরও পড়ুন: বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি কম: তথ্যমন্ত্রী
কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের উন্নয়ন ঠেকাতে পারবে না: কাদের
২ বছর আগে