সার কারখানা
বগুড়ায় অনুমোদনহীন সার কারখানা সিল, সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা
বগুড়ার কাহালুতে অনুমোদনহীন একটি সার কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত উপজেলার নিশ্চিন্তপুর বৌ-বাজার এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে কারখানাটি সিলগালার সময় সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাতুল নাইম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, কাহালুতে আনিকা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামে কারখানাটি দীর্ঘদিন যাবত সরকারি অনুমোদন ছাড়া চার ধরনের জিঙ্ক সালফেট সার উৎপাদন করে আসছে।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে এক ব্যক্তি নিহত
জাকির হোসেন নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের সদর উপজেলায়। তবে বগুড়া সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। প্রতিষ্ঠানের নাম আনিকা হলেও তিনি অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সে কারখানা পরিচালনা করেন।
এটা আইন বহির্ভূত। এ ছাড়া জাকির নিজেদের কোম্পানির নামে কোনো সার উৎপাদন ও বাজারজাত করেন না। তারা মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে গোপনে নকল সার সরবরাহ করে। ওইসব প্রতিষ্ঠান এসব সার নিজের নামে প্যাকেটজাত করে বাজারজাত করে।
অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত, সার তৈরির কাঁচামাল (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) আনুমানিক ১৮৯ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০কেজি), সার তৈরির কাঁচামাল (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) আনুমানিক ১৬২০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ২৫কেজি), জিংক সালফেট হেপ্টা হাইড্রেট সার ২৫ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০কেজি) ও এসিড ভর্তি ড্রাম ১৬টি (প্রতি ড্রাম ৫০লিটার) এবং খালি ড্রাম ৪৭০টি জব্দ করে। অভিযানকালে বিএসটিআই বগুড়া কার্যালয়ের পরিদর্শনকারী কর্মকর্তা (সিএম উইং) প্রকৌশলী জুনায়েদ আহমেদ ও কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার রাকিব হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এতে জেলা ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় চলন্ত বাসে আগুন, যাত্রীরা নিরাপদ
বগুড়ায় বজ্রপাতে গরুসহ কৃষক নিহত
উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দিলেন প্রধানমন্ত্রী
যৌথ উদ্যোগে উজবেকিস্তানে সার কারখানা স্থাপনে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে উজবেক সরকারের বিনিয়োগ ও বৈদেশিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপ-প্রধানমন্ত্রী জামশিদ খোদজায়েভে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এলে তিনি এ কথা বলেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তোলার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তান উভয় দেশের পারস্পরিক সুবিধার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র অন্বেষণ করতে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
শেখ হাসিনা বলেন, তরুণ ও প্রাণবন্ত জনশক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য বাংলাদেশ সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭৩ সালে উজবেকিস্তানের তাসখন্দ সফরের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এই সফর দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তি রচিত হয়েছিল। সেই সম্পর্ক এখন আরও শক্তিশালী হয়েছে।
তিনি বলেন, স্থানীয় বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ ও শিল্পের উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সব দেশের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং এর জন্য জনগণ ভোগান্তি হচ্ছে।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যে বাংলাদেশ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছে।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে তার দেশের দীর্ঘমেয়াদী বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার ওপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ উজবেকিস্তানের একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার এবং আমরা এটিকে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তর করতে চাই।’
তিনি বলেন, তার দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী।
উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, উজবেকিস্তান সিআইএস (কমনওয়েলথ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটস) দেশগুলোর একটি ভালো কেন্দ্র কারণ, এখানে ব্যবসা বাণিজ্য বিকাশের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: ঢাকা-তাসখন্দ রুটে ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত
তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে ওষুধ ও আইসিটি খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
সফররত উজবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং কৃষি খাতের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপনেরও আগ্রহ প্রকাশ করেন দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে দ্বৈত কর পরিহারের বিষয়ে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ।
এ সময় উজবেকের বিনিয়োগ ও পররাষ্ট্র বিষয়ক উপমন্ত্রী লাজিজ কুদ্রাতভ এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন বিষয়ক উপমন্ত্রী জাসুরবেক চোরিয়েভ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: ৬ আগস্ট ঢাকায় আসবেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী