রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৬,৬২০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
বাগেরহাটের রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে একটি জাহাজ মোংলা বন্দরে ভিড়েছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা নিয়ে আসা চীনের পতাকাবাহী এমভি জে হ্যায়-৫২৬ নামের জাহাজটি শনিবার ভোরে মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়ায় নোঙর করে।
জাহাজটিতে ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটি থেকে ওই জাহাজের কয়লা খালাসের কাজ শুরু হয়। খালাস কয়লা লাইটারেজ জাহাজে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিজস্ব জেটিতে নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কয়লার অভাবে ৮ দিন ধরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ
এমভি জে হ্যায়-৫২৬ জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিমিটেডের খুলনার সহকারী ব্যবস্থাপক খন্দকার রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জ্বালানি কয়লা নিয়ে জাহাজটি গত ২৭ মে ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
তিনি আরও বলেন, জাহাজটি শনিবার ভোর ৫টার দিকে বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার-১১ নম্বর অ্যাংকোরেজে নোঙর করে। জাহাজটিতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা ২৬ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন জ্বালানি কয়লা রয়েছে।
রিয়াজুল হক বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদানি করা কয়লা নিয়ে আরও একটি জাহাজ চলতি মাসের শেষের দিকে মোংলা বন্দরে ভিড়বে।
জানা গেছে, এর আগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৬ মে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি বসুন্ধরা ইমপ্রেসে ৩০ হাজার মেট্রিক টন এবং ২৯ মে এমভি বসুন্ধরা ম্যাজেস্টি জাহাজে ৩০ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন কয়লা মোংলা বন্দরে আসে। পরে ওই জাহাজ থেকে কয়লা খালাস করে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে চুরি যাওয়া মালামাল জব্দ, গ্রেপ্তার ১
বাগেরহাটের রামপালে কয়রাভিত্তিক ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নামকরণ করা হয়েছে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড।
এদিকে কয়লা সংকটের কারণে ৯ জুন থেকে পটুয়াখালীর পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এই দু:সংবাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি কয়লা নিয়ে জাহাজ মোংলায় আসায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর জন্য অনেকটা সুখবর বয়ে এনেছে বলে জানাচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র: সেপ্টেম্বরে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির যৌথভাবে ১ম ইউনিট সম্পন্নের ঘোষণা
১ বছর আগে
হাসিনা-মোদির রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন এখনো চূড়ান্ত নয়: পররাষ্ট্র সচিব
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নয়াদিল্লি সফরে যাবেন। এ জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। তবে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন সেখানে ‘উইশ লিস্ট’ এ রয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক সভায় আমরা বোঝার চেষ্টা করব আমরা কী করতে পারি। তবে এটি (রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) উইশ লিস্টে রয়েছে।’
রবিবার ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি উদ্বোধন করতে পারেন। এই প্রতিবেদনের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রবিবার দ্য হিন্দুস্তান টাইমস জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যৌথভাবে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এটি ভারতের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (এনটিপিসি) ও বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের একটি যৌথ অংশীদারিত্ব। যৌথ উদ্যোগের কোম্পানিটি নাম হলো- বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (বিআইএফপিসি)।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মৈত্রী বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন হাসিনা-মোদি
খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বরের যে কোনো সময় ভারত সফর করবেন এবং দুই থেকে তিনদিন থাকবেন। মোদি সরকার এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে কেননা ঢাকা ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্রদের একটি।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার সুবর্ণজয়ন্তীর স্মরণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২০২২ সালে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান।
গত ১৯ জুন নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারত জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম রাউন্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে বাংলাদেশ ও ভারত অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়।
আইটি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতেও একমত হয় দুই দেশ।
গত বছর উচ্চ পর্যায়ের সফরসহ একাধিক সম্পৃক্তার মাধ্যমে সম্পর্কের গতি প্রত্যক্ষ করেছে দুই দেশ।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে ভারতের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রাম নাথ কোবিন্দ গত বছরের ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশের ৫০তম বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে যোগদানের জন্য বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফর করেন।
গত বছরের ২৬ ও ২৭ মার্চ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীও বাংলাদেশ সফর করেন।
২ বছর আগে