প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
নভেম্বরের মধ্যে নতুন বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেছেন, নতুন বছরের প্রথম দিন সব শিশুর মাঝে বই পৌঁছাতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় অঙ্গীকারাবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘নভেম্বরের মধ্যে আগামী শিক্ষাবর্ষের সব বই উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে যাবে’।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারের একটি হোটেলে ইউএস এআইডি'র ‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের দ্বিতীয় বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় (ভার্চুয়ালি) এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: ‘কালের কথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, নতুন বছরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যবই পরিমার্জিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী প্রণয়ন করা হয়েছে। পরবর্তী বছর চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির জন্য নতুন পাঠ্য বই প্রণয়ন করা হবে।
গণশিক্ষা সচিব বলেন, ‘সবাই মিলে শিখি’র মূল কথাই হলো কেউ বাদ যাবে না, কিংবা পিছিয়ে পড়বে না, সবাই সমান সুযোগ পাবে, সম্মিলিত প্রয়াসে নিরন্তর এগিয়ে যাবে। তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উপযোগী করে শিশুদের গড়ে তুলতে কর্মপরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক দিলীপ কুমার বণিকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তৃতা দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোশাররফ হোসেন, ইউএস এআইডির পরিচালক অ্যান্ড্রু হল্যান্ড, সোনজাই রেনল্ডস-কুপার, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মনীষ চাকমা প্রমুখ।
‘সবাই মিলে শিখি’ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা, খুলনা ও রংপুর বিভাগের ৯টি জেলার ১৬টি উপজেলার সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পাশাপাশি আরও ২০টি উপজেলাসহ মোট ৩৬টি উপজেলার ৫ হাজারেরও অধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের মেয়াদ ৫ বছর।
আরও পড়ুন: নতুন বইয়ের আনন্দে শিশুরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়বে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী
১ বছর আগে
পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, পাঠ্যপুস্তক শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যবই এমনভাবে লিখতে হবে, যাতে করে শিক্ষা শিশু মনে ভীতির নয়, প্রীতির ভাব জাগাবে। পাঠ্যপুস্তক হতে হবে সহজ, সরল ও প্রাঞ্জল, যা শিশুকে আনন্দিত করবে, বইয়ের পাতা উল্টোতে তাগিদ সৃষ্টি করবে।
মঙ্গলবার সকালে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সভাকক্ষে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড আয়োজিত ‘পরিমার্জিত প্রাথমিক শিক্ষাক্রম-২১ এর আলোকে প্রণয়নকৃত ১ম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ও শিক্ষক সহায়িকার যৌক্তিক মূল্যায়ন সংক্রান্ত তিন দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সচিব এই সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
তিনি বলেন, নুতন শিক্ষানীতির আলোকে সরকার পুরোনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক শিক্ষার বীজ বপন করছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিস্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, শক্তিকে জাগাবে ও কাজে লাগাবে। এর মাধ্যমে শিশুর জানার পরিধি বাড়বে এবং সে স্বপ্ন ও কল্পনা দিয়ে আপন ভূবন সাজাবে। সে নিজেই নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবে, তা মোকাবিলা করে অভীষ্ট গন্তব্য পৌঁছাবে। তাই এটা বলা যায়, মানসম্মত পাঠ্যপুস্তক শিশুর অপার সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে সত্যি করে তুলবে।
এনসিটিবি চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহিবুর রহমান, পরিচালক ড. উত্তম কুমার দাশ, এনসিটিবির সদস্য মো. মশিউজ্জামান ও প্রফেসর একেএম রিয়াজুল হাসান, সচিব নাজমা আখতার প্রমুখ।
২ বছর আগে
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের ঘোষিত ফল কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্ট
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১৮ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ঘোষিত চূড়ান্ত ফলাফল কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
৪ বছর আগে