ট্রাজেডি
ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস: দিনাজপুরে নানা কর্মসূচি পালন
প্রাকৃতিক সম্পদ নষ্ট করে কয়লা তোলার চেষ্টা প্রতিহতের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে শুক্রবার ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস পালিত হচ্ছে।
তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি এবং সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনসহ দিবসটির স্মরণে ফুলবাড়ীসহ আশপাশের ছয় উপজেলার মানুষ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালন করেছে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পৃথকভাবে শহীদ সালেকিন, আল আমিন ও তরিকুলের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে আগামীতে ফুলবাড়ীর কয়লা তোলার চেষ্টা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আরও পড়ুন: শোক দিবস: চুয়াডাঙ্গায় চিকিৎসা সেবাসহ ওষুধ বিতরণ বিজিবির
ভোরে কালো পতাকা উত্তোলন কালো ব্যাচ ধারণ করেন তারা। ফুলবাড়ী শহরের নিমতলা মোড়ে সমাবেশ শেষে শোক র্যালি বের করেন সম্মিলিত পেশাজীবী সংগঠনের নেতা সাবেক মেয়র মুর্তুজা সরকার মানিক। র্যালি শেষে স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পন এবং শপথ নেন তারা।
এর আগে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি শোক র্যালি বের করে। এতে সংগঠনের সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মোশারফ হোসেন নানু এবং সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েলসহ অন্যান্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শোকদিবসে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতি
এছাড়াও পৃথকভাবে ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মাহমুদ আলম লিটনসহ বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা দিবসের কর্মসূচি পালন করেছেন।
২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট জাতীয় সম্পদ ফুলবাড়ীর কয়লা সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে নেমে পুলিশ এবং তৎকালীন বিডিআর বাহিনীর গুলিতে সালেকিন, আল আমিন এবং তরিকুল শহীদ হন।
২ বছর আগে
ওসমানীনগর ট্রাজেডি: আরেক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর মৃত্যু
সিলেটে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক ব্রিটিশ প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলায় ভাড়া বাসায় এক ব্রিটিশ প্রবাসীকে তার পরিবারের চার সদস্যসহ অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
মৃত সামিরা ইসলাম রফিকুল ইসলামের মেয়ে।
গত ২৬ জুলাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল (৫০) এবং তার ছেলে মহিকুল ইসলাম (১৬) একই হাসপাতালে মারা যান।
আরও পড়ুন: সিলেটে বাড়ি থেকে ৫ প্রবাসীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার, ২ জনের মৃত্যু
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাইন উদ্দিন জানান, সামিরা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন, সেখানে শুক্রবার রাত ১টা ২০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
গত ২৫ জুলাই ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে বাড়ির ভেতরে রফিকুল, মহিকুল, সামিরা, রফিকুলের স্ত্রী হুসনারা বেগম (৪৫) ও ছেলে সাদিকুল ইসলাম (২৫) পাঁচ জনকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এর মধ্যে বুধবার হুসনারা ও সাদিকুল সুস্থ হওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আবদুল গাফ্ফার জানান,গত ২৬ জুলাই সামিরা ইসলামকে ওসমানী হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। বিষক্রিয়ার কারণে সামিরার কিডনি ও লিভারসহ কয়েকটি অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। সামিরার চিকিৎসার জন্য একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল।
মৃত প্রবাসী রফিকুলের শ্যালক সাজ্জাদ আহম্মদ জানান, ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসার জন্য গত ১২ জুলাই সপরিবারে দেশে আসেন রফিকুল। এক সপ্তাহ ঢাকায় থাকার পর ১৮ জুলাই উপজেলার তাজপুরে বাসা ভাড়া নেন রফিকুল।
আরও পড়ুন: সিলেটে নিখোঁজের একদিন পর ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার
সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন জানান, ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ২৬ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাজপুর বাজারের বাড়ি থেকে অচেতন অবস্থায় পাঁচ জনকে উদ্ধার করা হয়।
সারা রাত জেনারেটর চালু থাকায় দমবন্ধ হয়ে তারা অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
২ বছর আগে