কথিত চিকিৎসক
পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে অপারেশন, কথিত চিকিৎসকের কারাদণ্ড
বাগেরহাটে মো. দেলোয়ার হোসেন নামের এক কথিত চিকিৎসককে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
পল্লী চিৎকিসকের সনদ নিয়ে নিয়মবর্হির্ভূতভাবে পাইলস ও পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশন করার অপরাধে এই দণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় শিশু হত্যায় মায়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড, প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাগেরহাট শহরের রেলরোড এলাকায় ওই চিকিৎসকের চেম্বারে অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার রোহান সরকার ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক হিসেবে এই আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মো. দেলোয়ার হোসেনকে।
এসময়, বাগেরহাট সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক রোহান সরকার বলেন, পল্লী চিকিৎকের সনদ নিয়ে দেলোয়ার হোসেন নামের এই ব্যাক্তি বেশ কয়েক বছর ধরে বাগেরহাট সদর ও মোড়েলগঞ্জ উপজেলায় চেম্বার খুলে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। এর আগেও অভিযান চালিয়ে তাকে জেল-জরিমানা করা হয়েছিলো, কিন্তু তিনি জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুনরায় তার অপচিকিৎসা চালিয়ে যেতে থাকে।
তিনি আরও বলেন, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। ওই সনদ দিয়ে তিনি পাইলস, অর্শ, ভগন্দার, গেজ ও নাকের পলিপাসসহ বিভিন্ন রোগের অপারেশনে বিশেষ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ডাক্তার পরিচয় দিয়ে থাকেন এবং অপারেশন করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অবৈধ ৩ বালু উত্তোলনকারীর কারাদণ্ড
ফেনীতে মাদক মামলায় পুলিশ-আইনজীবীসহ ১৩ জনের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
পঞ্চম শ্রেণি পাশ না করেই তিনি ডাক্তার!
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার দেহন বাজারের নুরুজ্জামান বাবুল ওরফে বাবুল। তিনি একজন কথিত চিকিৎসক।
জানা গেছে, সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে একটি ওষুধের দোকানের সঙ্গেই ডাক্তার, চেম্বারের পাশে ঝুলানো একটি সাইনবোর্ড। সেখানে লেখা, ডাক্তার নুরুজ্জামান বাবুল, ডিএমএফ ঢাকা, মেডিসিন চিকিৎসক। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এবং বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। এসব বলে এলাকায় মাইকিং চলে। তবে এই ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছে এলাকাবাসী।
বাবুলের কাছে চিকিৎসা নেয়া ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমার জ্বর হয়েছিল। আমি তার কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি আমাকে কিছু হাই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে দেয়। তবে আমার এক পরিচিত বড় ভাই ওষুধগুলো দেখেই খেতে বারণ করেন এবং আমাকে অন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সেই ডাক্তারের দেয়া প্যারাসিটামল খেয়ে আমি সুস্থ হই।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
আরেক ভুক্তভোগী রাবেয়া খাতুন বলেন, আমি মাথা ব্যথার কথা জানিয়ে তার কাছে ওষুধের পরামর্শ চাই। তিনি অনেকগুলো ওষুধ লিখে দেয়। তবে সুস্থতার বদলে আমি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ি। পরে শহরের এক মেডিসিন ডাক্তারের শরণাপন্ন হই। সেই ডাক্তার পূর্বের খাওয়া সব ওষুধ ভুল ছিল জানায়।
ওই এলাকার ব্যবসায়ী আলতাফুর জানান, বাবুল আমাদের সামনেই বড় হয়েছে। আমরা জানি ও প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি। তাই আমরা তার কাছে চিকিৎসা নেই না। তবে অনেকে অজান্তে চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। চিকিৎসার মত এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে সাবধান থাকা উচিত। দ্রুত এই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে যেকোন বড় বিপদ হতে পারে।
এই বিষয়ে ডাক্তার পরিচয়দাতা বাবুলকে ডাক্তারি পড়ালেখা বা কোন প্রকার প্রশিক্ষণের কাগজ দেখতে চাইলে নেই বলে অকপটে স্বীকার করেন বাবুল। সেই সঙ্গে চেম্বারের পাশে থাকা ওষুধের দোকানের লাইসেন্সও নেই বলে স্বীকার করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডাক্তার দেখানোর কথা বলে রাস্তায় ফেলে গেলেন মাকে
অভিযুক্ত বাবুল বলেন, যেখানে ব্যানার করছি সেখানে তারা ভুল করে ডাক্তার লিখে ফেলছে। তাছাড়া এই এলাকার আশেপাশে কোনেরা ডাক্তারও নেই। তাই আমি যা চিকিৎসা দিচ্ছি তাতে মানুষের উপকার হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু তাহের মোহাম্মদ সামসুজ্জামান জানান, চিকিৎসার মত স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সমঝোতার সুযোগ নেই। বিষয়টি জানা ছিল না। দ্রুতই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২ বছর আগে