দুষ্কৃতকারী
ছাত্র-জনতার বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে: জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল
ছাত্র জনতার আন্দোলনের বিজয়কে রক্ষায় দেশবাসীকে সোচ্চার ও ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
তিনি বলেন, ‘অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্ট করার জন্য ফ্যাসিবাদের দোসররা অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এই বিজয়কে দুষ্কৃতকারীরা যেন নস্যাৎ করতে না পারে, এজন্য সাংবাদকিসহ দেশবাসীকে সোচ্চার থাকতে হবে।’
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে খুলনা মহানগরী জামায়াতের উদ্যোগে নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল-ফারুক সোসাইটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের ঐক্যকেআরও দৃঢ়তার এবং মজবুত করতে হবে। আমরা একটা ষড়যন্ত্রের মধ্যে সময় অতিবাহিত করছি।’
তিনি বলেন, হাজারো প্রাণের বিনিময়ে আমরা এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশ গড়ার কাজে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নিয়োজিত রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্য সুদৃঢ় হবে এবং ছাত্র-জনতার সঙ্গে একাকার হয়ে যেকোনো ষড়যন্ত্র এবং চক্রান্ত আমরা মোকাবিলা করব ইনশাআল্লাহ।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, আজকে বাংলাদেশ স্বৈরাচার মুক্ত হয়েছে। এ অর্জনের একমাত্র কৃতিত্ব শিক্ষার্থীদের, আমাদের সন্তানদের। আমরা যা গত ১৫ বছরে করতে পারিনি, আমাদের সন্তানরা তা করে দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীসহ জামায়াত-বিএনপির ৭০০ নেতা-কর্মী জামিনে মুক্ত
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে দ্বিতীয় বারের মতো স্বাধীন করার জন্য আপনাদের প্রিয়জন শহীদ হয়েছেন। শাহাদাত বরণকারী এসব ছাত্র জনতা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। সরকারকেই সকল শহীদ পরিবারের ভরণপোষণের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সাম্প্রতিক বন্যার বিষয়ে গোলাম পরওয়ার বলেন, কথিত বন্ধু ভারত ফারাক্কাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদীতে বাঁধ দিয়ে বাংলাদেশের বিশাল এলাকা মরুভূতিতে পরিণত করেছে। ভারত শুকনা মওসুমে পানি আটকিয়ে রাখে, আর বর্ষায় মওসুমে রাতের আধারে একসঙ্গে সব গেট খুলে দেয়। গ্রীষ্মে যখন আমাদের পানির প্রয়োজন হয়, তখন তারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে শুকিয়ে মারে। পানির অভাবে হাজার হাজার একর জমির ফসল নষ্ট হয়। আবার বর্ষার মওসুমে যখন পানির প্রয়োজন নেই, তখন পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসায়।
সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর দেশকে অর্থবহ স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বৈষম্যহীন, সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। ফ্যাসিবাদীরা লুটপাট করে যেসব টাকা বিদেশে পাচার করেছে, সেগুলো ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা: ধর্মমন্ত্রী
২ মাস আগে
উখিয়া ক্যাম্পে গুলিতে ২ রোহিঙ্গা নেতা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নেতা নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ক্যাম্প ১৫ এর সি/৯ ব্লকের দুর্গম পাহাড়ের ঢালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-উখিয়া ক্যাম্প ১৫ ব্লক সি/১ এর আব্দুর রহিমের ছেলে হেডমাঝি (নেতা) আবু তালেব (৪০) ও একই ক্যাম্পের সি/৯ এর ইমাম হোসেনের ছেলে সাব ব্লক মাঝি সৈয়দ হোসেন (৩৫)।
বুধবার (১০ আগস্ট) সকালে ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরান হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৮-১০ জন দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গা ক্যাম্প ১৫ এর সি ৯ ব্লক থেকে আনুমানিক ১৫০ ফিট ওপরে দুর্গম পাহাড়ের ঢালে জৈনক আসিয়া বেগমের সেড ( নাম্বার ১০১০) এর সামনে রোহিঙ্গা মাঝি সৈয়দ হোসেন ও আবু তালেবকে গুলি করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে খবর পাওয়ার পর গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে জামতলী এমএসএফ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ হোসেনকে চিকিৎসক সেখানেই মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত আবু তালেবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুতুপালং হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। পরবর্তীতে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরও জানান, দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেপ্তার করতে ক্যাম্পে ব্লকরেইড দিয়ে অভিযান চলছে। লাশ উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পড়ুন: টেকনাফে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা যুবক নিহত
২ বছর আগে