জ্বালানি বিভাগ
কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জেবিআইসি’র সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের সমঝোতা স্মারক সই
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ দেশের জ্বালানি খাতে কৌশলগত সহযোগিতার জন্য জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশনের (জেবিআইসি) সঙ্গে একটি নন-বাইন্ডিং সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে সই হওয়া এ চুক্তির আওতায় জাপানি ব্যাংক এ খাতে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
চুক্তিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, এই সমঝোতা স্মারক জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এলএনজি ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাসের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন।
তিনি বলেন, গ্যাস সেক্টরে প্রায় ৩ মিলিয়ন স্মার্ট গ্যাস মিটার প্রয়োজন হবে। ‘যদি আমরা জেবিআইসি, বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় স্মার্ট মিটার স্থাপন করতে পারি, তাহলে এটি গ্যাসের অপব্যবহার ও অপচয় রোধে বিশাল ভূমিকা রাখবে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়াকে কাজ করার আহ্বান নসরুলের
তিনি বলেন, তিতাস গ্যাসের জন্য প্রায় ৭ লাখ প্রি-পেইড গ্যাস মিটার এবং কর্ণফুলীতে আরও ৪ লাখ ৩৫ হাজার প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন করা হবে, যা গ্যাসের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগে জাপানি কোম্পানিগুলোর আগ্রহ বাড়ছে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্ম সচিব লায়লাতুন ফেরদৌস এবং দিল্লিতে জেবিআইসি’র প্রধান প্রতিনিধি কুরিহারা তোশিহিকো নিজ নিজ পক্ষে তিন বছর মেয়াদী সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নুরুল আলম এবং জেবিআইসি সুজুকি রিউতার মহাপরিচালক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের দেশ গঠনে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ: নসরুল হামিদ
জ্বালানি খাতের চাহিদা মেটাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন: নসরুল হামিদ
১১ মাস আগে
জ্বালানি বিভাগের সঙ্গে বৈঠক করেছে আইএমএফ প্রতিনিধিদল
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) একটি দল রবিবার(৮ অক্টোবর) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, আইএমএফের দলটি বিকালে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে এসে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে।
আইএমএফ দলের সঙ্গে বৈঠকে জ্বালানি সচিব নুরুল আলম জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নেতৃত্ব দেন।
বাংলাদেশের মিশন প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে আইএমএফের একটি দল বাংলাদেশকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণের শর্তাবলি নিয়ে আলোচনা করতে ৪ অক্টোবর ঢাকায় এসেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশের রিজার্ভ ২৩.৫৭ বিলিয়ন ডলার
দলটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও তাদের অধীনস্থ সংস্থার সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের পর এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে মোট ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের বিষয়ে আলোচনার পর ১৯ অক্টোবর বাংলাদেশ ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ঋণের প্রথম কিস্তি ইতোমধ্যে ছাড় করেছে সংস্থাটি।
চলতি বছরের নভেম্বরে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নভেম্বরে আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পেতে পারে বাংলাদেশ
সরকারি সূত্র জানায়, আইএমএফ দল জ্বালানি খাতে ভর্তুকি, বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ এবং আমদানিকৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সহ এই খাতের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আইএমএফ বেশ কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বৈশ্বিক বাজার মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে পেট্রোলিয়াম জ্বালানির স্বয়ংক্রিয় মূল্য সমন্বয়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, যাতে সরকারের ক্ষতি না হয়।
কিন্তু এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি হয়নি। তবে জ্বালানি বিভাগের কর্মকর্তারা আইএমএফকে জানিয়েছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রিজার্ভ-সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা করছে আইএমএফ
১ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ব্যাখ্যা দিতে জনগণের কাছে যান, জ্বালানি বিভাগকে মন্ত্রিসভা
জ্বালানির বিশাল মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারণ জনগণের কাছে পুনর্ব্যক্ত করতে জ্বালানি বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক থেকে এই নির্দেশনা দেয়া হয়। বৈঠকে তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে যোগ দেন।
মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে যুক্ত ছিলেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয় বা বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) জ্বালানি মূল্য সম্পর্কে বিস্তারিত গণমাধ্যমকে কী জানিয়েছে সে বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।
বিপিসি চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে সাম্প্রতিক এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেছেন উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয়কে এটি নিয়ে আবার (মিডিয়ায়) ব্রিফ করতে বলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি: নয়াপল্টনে চলছে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
সরকার বৃদ্ধি সংশোধন করবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘তারা (মন্ত্রণালয় বা বিপিসি) সব কিছু স্পষ্ট করবে।’
গত সপ্তাহে বৈশ্বিক উচ্চ আমদানি ব্যয়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালিত পেট্রোলিয়াম সংস্থার লোকসানের কারণ দেখিয়ে সরকার জ্বালানি মূল্য ৫১ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে।
বিতর্কিত এই পদক্ষেপ সারাদেশে জনগণের মাঝে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে।
২ বছর আগে