রিট খারিজ
আন্দোলনে গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে রিট আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে আন্দোলন দমনে পুলিশকে পিআরবি (পুলিশ রেগুলেশনস অব বাংলাদেশ) অনুসরণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংবিধান ও আইন অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৪ আগস্ট) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদেশের পর রিটকারীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার অনিক আর হক বলেন, রিট আবেদনটি খারিজ করেছে ঠিকই, তবে বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। সেটা হচ্ছে-এদেশ গণতান্ত্রিক দেশ। এদেশের জনগণের সাংবিধানিক অধিকার আছে। সংবিধান অনুযায়ী ফ্রিডম অব অ্যাসোসিয়েশন করার অধিকার, প্রতিবাদ করার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
পিআরবিতে যেসব নির্দশনা আছে, পুলিশ সেটা অবশ্যই ফলো করবে। পুলিশ রেগুলেশনে বলা আছে, এভাবে নির্বীচারে গুলি করা যাবে না। রিট খারিজ করা হলেও আমাদের যে চাওয়া ছিল, হাইকোর্টের আদেশে তা পূরণ হয়েছে।
কখন গুলি করা যাবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আইনে বলা আছে, কখনো কোথাও আগুন দিলে, আক্রমণ করলে, ডাকাতি করলে-এসব ক্ষেত্রে গুলি চালাতে পারবে।
কিন্তু শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, হাঙ্গামা দমন করতে হলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেট না পাওয়া গেলে, সেখানে উপস্থিত সর্বোচ্চ কর্মকর্তার কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তারপরও গুলি চালাতে হলে মাইকিং করে জানাতে হবে। আর গুলি চালাতে হলেও এমনভাবে গুলি করতে হবে যাতে সর্বনিম্ন ক্ষতি হয়, যাতে প্রাণঘাতি আক্রমণ না হয়।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী এই রিট করতে পারে না। সেজন্য আদালত রিট খারিজ করে দিয়েছেন। তবে কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন। আদালত বলেছেন, যে কেউ শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করতে পারবে। তবে প্রয়োজন হলে পিআরবি মেনে পুলিশ পদক্ষেপ নিতে পারবে।
এর আগে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি ব্যবহার না করার নির্দেশনা চাওয়ার রিট আবেদনটি আদেশের জন্য সংশ্লিষ্ট হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় তোলা হয়। রিট আবেদনটি আজকের কার্যতালিকার ১০ নম্বর ক্রমিকে ছিল। উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ শেষে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।
এর আগে গত ২৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়। একইসঙ্গে রিট আবেদনে কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত ২৯ ও ৩০ জুলাই রিটটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ রবিবার ফের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রিট খারিজ করে দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, অ্যাডভোকেট মানজুর আল মতিন প্রীতম প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চলছে সহিংসতা, ঢামেকে ভর্তি ২০
বিএসএমএমইউর সামনে আন্দোলনকারী-আ. লীগ সংঘর্ষ, কয়েকটি গাড়িতে আগুন
৩ মাস আগে
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানি গ্রহণ শেষে সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর ১ ও ২ আসনে সীমানা পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত বৈধ: হাইকোর্ট
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই। ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের দিন রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
গত ২৯ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ সাত জনকে বিবাদী করা হয়।
জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের আরজি জানানো হয় রিটে। রিটে রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশও চাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
রিটকারী আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ এখনো বহাল। পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনো শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তখন দুটি সংসদ হবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০।
অথচ সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে আছে যে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে। এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর।
তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়। এ রিটের উপর গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়। সোমবার রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ (সামারালি রিজেক্ট) করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব
১০ মাস আগে
নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিত চেয়ে দায়ের করা রিট আবেদন সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।
আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত বলেছেন, সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেন অনুযায়ী নির্বাচন করতে বাধা নেই।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ৪৭ জন ইউএনও বদলির অনুমোদন ইসির
গত ১৫ নভেম্বর আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণের দিন নির্ধারণ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
গত ২৯ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই তফসিল স্থগিত চেয়ে রিট দায়ের করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন সচিবসহ ৭ জনকে বিবাদী করা হয়। জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় ১৫ নভেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা কেন অবৈধ হবে না, এই মর্মে রিটে রুল চাওয়া হয়। রুল হলে তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল স্থগিতের আরজি জানানো হয় রিটে।
রিটে রুল শুনানি বা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের আদেশও চাওয়া হয়।
রিটকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ এখনও বহাল। পাঁচ বছরের মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। এই সংসদের মেয়াদ আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হলে তখন দুটি সংসদ হবে। অর্থাৎ সংসদ সদস্যের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬০০। অথচ সংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে আছে যে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে আইন অনুযায়ী নির্বাচিত ৩০০ সদস্য নিয়ে সংসদ গঠিত হবে—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হয়।
বর্তমানে রাজনৈতিক সংকট চলছে উল্লেখ করে রিট আবেদনে বলা হয়, দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোট করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীর ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের
বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ ট্যাক্স রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, আবার নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। তাহলে ট্যাক্স রিটার্নপত্র মনোনয়নপত্রের সঙ্গে দাখিল করা কীভাবে সম্ভব হবে। এ ছাড়া হরতাল অবরোধের ফলে দেশে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত নয়।
এ রিটের উপর গত ৪ ডিসেম্বর শুনানি হয়। আজ সোমবার রিট আবেদনটি সরাসরি খারিজ (সামারালি রিজেক্ট) করে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: ওসিদের বদলির জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ ইসি’র
১১ মাস আগে
যমুনা নদী প্রকল্প নিয়ে করা রিট খারিজ
যমুনা নদী ছোট করার জন্য নেওয়া প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
যমুনা নদী ছোট করা হচ্ছে না বলে হাইকোর্টকে জানানোর পর সোমবার (১২ জুন) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের ছিলেন অরবিন্দ কুমার রায়।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা,প্রকল্পের সব নথি হাইকোর্টে তলব
এছাড়া, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আবুল কালাম খান দাউদ।
মনজিল মোরসেদ বলেন, রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে বলেছে, ভবিষ্যতে যে প্রজেক্ট নেওয়া হবে সেখানে যমুনা নদী ছোট করার কোনো পরিকল্পনা থাকবে না।
তিনি বলেন, আমরা চেয়েছিলাম যাতে নদী ছোট করা না হয়। ভবিষ্যতে কোন পক্ষই আর সাহস পাবেনা নদী ছোট করার।
এর আগে রবিবার যমুনা নদী ছোট করার পরিকল্পনা নেই বলে হাইকোর্টকে প্রতিবেদন দিয়ে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। পরে এই বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার দিন ধার্য করা হয়।
এর আগে গত ১২ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘যমুনাকে ছোট করতে চায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়’- শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে।
এজন্য তারা ১১শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে যখন বারবার ব্যয় সংকোচনের তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, সে সময় মন্ত্রণালয় এমন প্রকল্প নিয়েছে কোনো ধরনের গবেষণা ছাড়াই।
এছাড়া বিশেষজ্ঞরা বিরল এ প্রকল্পকে অবাস্তব বলছেন।
আরও পড়ুন: যমুনা নদী সংকীর্ণকরণ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির
বেলকুচিতে অবৈধভাবে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, ২ জনের কারাদণ্ড
১ বছর আগে
খুলনা ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে রিট খারিজ
খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল্লাহকে বার বার নিয়োগের বৈধতা এবং তার দুর্নীতি নিয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (৭ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এমাদুল হক বশির। ওয়াসার এমডির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
পরে সৈয়দ মাহসিব হোসেন জানান, এমডির নিয়োগ ২০০৯ সালে। অথচ ২০২৩ সালে এসে রিট করা হয়েছে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে দুদকে দুর্নীতির অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুদক কোনো দুর্নীতি পায়নি। তাই আদালত রিটটি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।
গত ২১ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. এমাদুল হক বশির এ রিট দায়ের করেন।
তিনি জানান, ২০০৯ সালে খুলনা ওয়াসার এমডিকে তিন বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে তিনি বার বার নিয়োগ পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ গণমাধ্যমে এসেছে। তাই এসব অভিযোগ অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেছি। অনুসন্ধান হলে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে।
রিটে স্থানীয় সরকার সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, উপ-সচিব স্থানীয় সরকার (পানি সরবরাহ), পিএসসির চেয়ারম্যান, খুলনা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ, খুলনা ওয়াসার চেয়ারম্যান, দুর্নীতি দমন কমিশন ও খুলনা ওয়াসার এমডিকে বিবাদী করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডি বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধান অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
ওয়াসার এমডি পদে তাকসিমের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে রিট
১ বছর আগে
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেছেন, এ রিটের কোনো সারবত্তা (মেরিট) নেই।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন রাশেদ।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের উন্নয়নে জাপানকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এর আগে রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি শেষ হয়।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়।
একই অভিযোগে ২১ আগস্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিট করেন তিনি।
নোটিশে আইনজীবী রাশেদ বলেন, ১৯ আগস্ট বিকালে গণমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতবিষয়ক বক্তব্যের তথ্য পান।
১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।’
নোটিশে বলা হয়, এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) তার শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তার এ বক্তব্য সার্বভৌমত্বকে আঘাত করেছে। তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এই নোটিশের পরও পদত্যাগে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেন ওই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ সোমবার
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
২ বছর আগে
অধিকারের নিবন্ধন বিষয়ে আনা রিট খারিজ
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের জন্য করা আবেদন নিষ্পত্তি না করার নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রিট আবেদনটি আর না চালানোর কথা জানানোর পর বুধবার বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল ইসলাম।
১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠা করা এই সংগঠন ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর নিবন্ধন নবায়নে এনজিও ব্যুরোর মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করে। কিন্তু এই আবেদেনে সাড়া না দিয়ে ফেলে রাখে এনজিওদের লাইসেন্স নবায়ন ও নিয়ন্ত্রকারী সংগঠনটি। পরে নিবন্ধন নবায়নে এনজিও ব্যুরোর নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে রিট করে অধিকার। শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৩ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। রুলে ২০১৪ সালে করা ওই আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং আইন অনুসারে নিবন্ধন নবায়নের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না তা জানতে চান।
এদিকে চলতি বছরের ৫ জুন এনজিও ব্যুরো অধিকারের আবেদন নামঞ্জুর করে। তবে অধিকার ওই সিদ্ধান্তের বিষয়ে গত ১৪ জুন হাইকোর্টের কাছে একটি সম্পূরক আবেদন করে। বুধবার এ রিটের বিষয়ে রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আদালতে অধিকারের আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া রিটটি না চালানোর কথা বলেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, অধিকারের নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নামঞ্জুর করে এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর ৫ জুনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব বরাবরে একটি আবেদন করা হয়েছে। আর ৫ জুনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ১৪ জুন করা সম্পূরক আবেদনটি উপস্থাপন করছি না। এরপর আদালত রিটটি খারিজ (ডিসচার্জ ফর নন প্রসিকিউশন) করে দেন। একইসঙ্গে উপস্থাপন না করার দিক বিবেচনায় ১৪ জুনের সম্পূরক আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন।
আইনজীবী রুহুল আমিন ভূঁইয়া জানান, এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছি। সেখানে সিদ্ধান্ত পেলে আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী কাজী মাইনুল হাসান বলেন, নিবন্ধন নবায়নের বিষয়ে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে অধিকারের এখন কোন রেজিস্ট্রেশন নেই। তবে তারা সরকারের কাছে এ নিবন্ধন নবায়নের জন্য আপিল করেছে। সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তাদের কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি।
পড়ুন: ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে সহজ ডটকমের রিট
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: ৪ আসামিকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
২ বছর আগে
তারেক-জোবায়দার রিট খারিজ; মামলা চলবে
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও স্ত্রী জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে এ মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
রবিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, তারেক রহমান তিনটি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এবং আইনের দৃষ্টিতে তিনি পলাতক আসামি। পলাতক থাকাবস্থায় তার পক্ষে কোনো আইনজীবী মামলা পরিচালনা করতে পারবে না। এদিকে সম্প্রতি আপিল বিভাগ এক রায়ে জোবায়দা রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেছেন।
আরও পড়ুন: তারেক-জোবায়দার দুর্নীতি মামলার রুল শুনানি ৫ জুন
এ কারণে হাইকোর্ট দুই পলাতক আসামির রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে তা খারিজ করেছেন। তাদের মামলার ওপর দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার (ভেকেট) করেছেন। এ মামলার নথি ১০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে পাঠাতে বলেছেন এবং আদালতকে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বলেছেন।
এর আগে, গত ১৯ জুন এই সংক্রান্ত পৃথক তিনটি রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য রবিবার (২৬ জুন) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতায় আজ এ রায় আসলো।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় করা মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। একই বছর তারেক রহমান ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে পৃথক রিট আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: ১৫ বছর পর তারেক-জোবায়দার রিট মামলা চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য
তারেক রহমানের করা দুটি রিটে জরুরি ক্ষমতা আইন ও এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। তাদের পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০০৭ সালের নভেম্বরে রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
২ বছর আগে
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়: জমির দাম নির্ধারণ নিয়ে রিট খারিজ
প্রস্তাবিত চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে অধিগ্রহণের জন্য জমির মূল্যহার পরীক্ষায় কমিটি গঠন এবং ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকার প্রাক্কলন নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পৃথক দুটি রিট খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জাল ডকুমেন্টস দাখিল ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে আদালতের সময় নষ্ট করায় রিট আবেদনকারী মো. সেলিম খানসহ তিনজনকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
রিটকারী তিন জনের মধ্যে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১০ নম্বর লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সেলিম খান ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর অপর দু’জন রিটকারী স্থানীয় বাসিন্দা জুয়েল ও আব্দুল কাদের মিয়াকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। তাদেরকে দু’মাসের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রিটের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৩ মার্চ হাইকোর্টের এই বেঞ্চ রায়ের জন্য ২০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছিলেন। এর মধ্যে বেঞ্চটি পুনর্গঠন করা হয়। ফলে, ধার্য তারিখে রায় হয়নি। আজ বেঞ্চটি বিশেষভাবে বসেন। রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান।
রায়ের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে যেসব পদ্ধতি ও প্রক্রিয়া সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয় জেলা প্রশাসন করেছে, তা সঠিক বলে রায়ে এসেছে। রিট আবেদনকারীরা আদালতে কিছু জাল ডকুমেন্ট দিয়েছেন। আদালতের সময় নষ্ট করেছেন। এসব বিবেচনায় নিয়ে রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে সেলিম খানকে ৫০ লাখ টাকা ও অপর দুজনকে ২৫ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন মন্ত্রিসভা চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে ২০১৯ সালের ২৩ ডিসেম্বর। জাতীয় সংসদে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হয় ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হয় ২০২১ সালের ৬ এপ্রিল।
পড়ুন: ডেসটিনির হারুনকে জামিন দেননি, আপিল শুনবেন হাইকোর্ট
প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণের জন্য চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকার প্রাক্কলন প্রস্তুত করে অর্থ ছাড়ের জন্য গত বছরের ৪ নভেম্বর উপাচার্য বরাবর চিঠি দেয়। একই বছরের ১৪ অক্টোবর জমির মূল্যহার পরীক্ষা ও সংগ্রহের জন্য ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে জেলা প্রশাসন।
প্রায় ১৯৪ কোটি টাকার প্রাক্কলন প্রস্তুত নিয়ে আপত্তি জানিয়ে জেলা প্রশাসনের প্রাক্কলন সংশোধন চেয়ে গত বছরের নভেম্বরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন মো. সেলিম খান ও অন্যরা। পরে মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চায়। চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিবেদন পাঠায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৌজা দর ধরে জমি অধিগ্রহণের দাম নির্ধারণ করলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাড়ে ৬২ একর জমির জন্য (মূল দামের তিন গুণ ধরে) সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১৯৪ কোটি টাকা। কিন্তু হঠাৎ উচ্চ মূল্য দেখিয়ে যেসব দলিল করা হয়েছে, সেটা আমলে নিলে সরকারকে ৫৫৩ কোটি টাকা দিতে হবে। অর্থাৎ সরকারকে অতিরিক্ত দিতে হবে ৩৫৯ কোটি টাকা। এ অবস্থায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ১৪ অক্টোবরের (মূল্যহার পরীক্ষায় কমিটি গঠন) এবং ৪ নভেম্বরের (১৯৪ কোটা টাকা প্রাক্কলন) স্মারকের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সেলিম খান ও তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই ব্যক্তি হাইকোর্টে পৃথক রিট করেন। গত বছর করা পৃথক রিটে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইনের ৯ (১) (ক) ধারা অনুযায়ী প্রাক্কলন নির্ধারণের নির্দেশনাও চাওয়া হয়। সেলিম খানের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন। অপর রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত বছরের ৩০ নভেম্বর হাইকোর্ট রুল দেন।
পড়ুন: সাতদিনের বেশি সময়ের জন্য গাড়ি রিকুইজিশন করা যাবে না: হাইকোর্ট
২ বছর আগে
ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের রিট খারিজ
সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। রবিবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
এর আগে, গত ১৩ অক্টোবর সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে আইন প্রণয়নের আগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নিবন্ধনভুক্ত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম রিটটি দায়ের করেন। আইন সচিব ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি আউয়ালকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম বলেন, এর আগে ‘নির্বাচন কমিশন আইন ২০২১’ এর খসড়ার আলোকে আইন প্রণয়ন করার জন্য আইন মন্ত্রণালয় ও নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু চিঠি দেয়ার পরও নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ কারণে রিট দায়ের করেছি।
এ আইনজীবী বলেন, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে ইসি গঠনে আইন প্রণয়ন করা সম্ভব। নির্বাচন কমিশন গঠনে আইনটি কেমন তা সংবিধানের সপ্তম ভাগে বলা আছে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর এক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, ‘সার্চ কমিটির মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনের সদস্য নিয়োগ হবে।’
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি ও সময় স্বল্পতার কারণে আইন করারও সুযোগ নেই। বিকল্প উপায় ভাবার সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন: ব্র্যাড পিটের বিবাহবিচ্ছেদের আপিল শুনবে না হাইকোর্ট
প্রতারণার মামলা: সাহেদকে জামিন দেননি হাইকোর্ট
৩ বছর আগে