জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কম দামে রাশিয়ার তেল কেনার কথা ভাবছে ইন্দোনেশিয়া
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির বোঝা কমাতে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কথা ভাবছেন ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের সাথে এক সাক্ষাৎকারে উইদোদো বলেছেন, ‘আমরা সর্বদা সমস্ত বিকল্পগুলো পর্যবেক্ষণ করি। যদি কোনো দেশ আমাদের ভালো দামে দেয় আমরা অবশ্যই তা বিবেচনা করবো।’
আরও পড়ুন:দশ বছর মেয়াদী ভিসা দিচ্ছে থাইল্যান্ড: কারা যোগ্য?
মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসাবে আর্থিক উদ্বেগ উল্লেখ করে উইদোদো চলতি মাসের শুরুতে ভর্তুকিযুক্ত জ্বালানির দাম ৩০ শতাংশ বাড়িয়েছেন।
সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত সপ্তাহে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী দেশটির রাজধানী জাকার্তা এবং অন্যান্য বড় শহরগুলোতে বিক্ষোভ করেছে।
জি-৭ ভুক্ত দেশের বেঁধে দেয়া মূল্যের চেয়ে বেশি দামে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেল কেনার যেকোনো সিদ্ধান্ত ইন্দোনেশিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার পর্যটনমন্ত্রী স্যান্ডিয়াগা উনো আগস্টে দাবি করেছেন যে, ইন্দোনেশিয়া রাশিয়ান পেট্রোলিয়ামে ৩০ শতাংশ ছাড় পেয়েছে।
দেশটির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কর্পোরেশন পেরটামিনা তখন জানিয়েছিল, তারা রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়ে সম্ভাব্য সব ঝুঁকি পরীক্ষা করে দেখছে।
ক্রমবর্ধমান খাদ্য খরচের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ায় আগস্টে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি ৪ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে।
আরও পড়ুন:শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ না পেয়ে মোদি সরকারের সমালোচনায় মমতা
পশ্চিমবঙ্গের আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কয়লা পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্ত
২ বছর আগে
জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি ও লোডশেডিংয়ে জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জ্বালানি তেলের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ রেশনিংয়ের কারণে জনগণের দুর্ভোগ তিনি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জনগণের দুর্ভোগ উপলব্ধি করতে পারি।’
রবিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের আট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে তার সরকার অবশ্যই মূল্য হ্রাস করবে বলে আশ্বস্ত করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে যখনই জ্বালানি তেলের দাম কমবে আমরা সমন্বয় করব। আমি সেই নির্দেশনাও দিয়েছি।’
চলমান বিদ্যুৎ সংকট ও দেশব্যাপী লোডশেডিংয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণকে এই যন্ত্রণা আরও কিছুদিন সহ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উৎপাদনে যাবে তখন আমাদের বিদ্যুতের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।’
সরকার বিরোধী দলগুলোকে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যেতে দিয়েছে, স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বিরোধী দল আন্দোলন করার সুযোগ পাচ্ছে। তাদের সেটা করতে দিন। আমিও এটা চাই।’
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি আজ বিরোধীদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে এবং কাউকে গ্রেপ্তার না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি: নড়াইলে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কারাগারে
তিনি বলেন, ‘তারা যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে চায়, তা করতে দেন।’
তিনি বলেন, জনগণ ভালো করেই জানে তার সরকার জ্বালানি তেলের দাম ও বিদ্যুতের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিরোধীরা এটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে। কিন্তু তারা বাড়াবাড়ি করলে জনগণ শেষ পর্যন্ত এর জন্য বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের এটি উপলব্ধি করতে হবে।’
২ বছর আগে