গার্ডার
বিআরটি গার্ডার ট্র্যাজেডি: দুর্ঘটনার ১২ কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত সংস্থা
গত মাসে উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর জন্য চীনা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করা হয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে প্রতিষ্ঠানটিকে দায়ী করা হয় ।
রবিবার সচিবালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী এ তথ্য জানান।
তদন্ত সংস্থা দুর্ঘটনার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ করপোরেশন বা সিজিজিসিকে দায়ী করেছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
পৃথকভাবে, তদন্ত সংস্থা দুর্ঘটনার পিছনে বারোটি পরিস্থিতিগত কারণ নির্দেশ করেছে। এগুলি নিম্নরূপ:
১. সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ প্রথমবারের মতো দিনের বেলা গার্ডারটি স্থানান্তর করছিল, যা দুর্ঘটনার পিছনে প্রধান কারণগুলির মধ্যে একটি।
২. ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো পূর্বানুমতি না নিয়েই সরকারি ছুটি উপেক্ষা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৩. ক্রেনটি একজন সহকারী অপারেটর বা ক্রেনের প্রধান অপারেটরের সাহায্যকারী দ্বারা চালিত হয়েছিল।
৪. এমনকি অপারেটরের কোন লাইসেন্স ছিল না।
৫. একটি ভাঙা রাস্তায় ক্রেনটিকে চালাতে দেখা গেছে। ৬. ক্রেনে কোন ডিজিটাল মনিটর ছিল না।
৭. শ্রমিকরা কাজের জন্য কোনো পূর্বানুমোদন নেয়নি।
৮. কোন নির্দিষ্ট ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ছিল না।
৯. ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কর্মীদের অযোগ্যতা।
১০. নিরাপত্তা প্রকৌশলীর অভাব।
১১. কোন জরুরি পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা ছিল না।
১২. ওই দিন যারা কাজ করতে দেখা গেছে তাদের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অনুমোদন দেয়নি।
দুর্ঘটনার কয়েকদিন পর বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, সরকারি তদন্তে ট্র্যাজেডির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হলে তাদের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি থাকবে না।
আরও পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
তদন্ত সংস্থা চুক্তি অনুযায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাওয়াসহ কিছু সুপারিশও প্রদান করেছে। এগুলি হলো-নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্যার জন্য পূর্বানুমতি নিন; প্রকৌশলী, পরামর্শক, পুলিশ, সিটি করপোরেশন এবং সড়ক সংক্রান্ত কাজের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে; গার্ডারের মতো ভারী জিনিসগুলি স্থানান্তর করা উচিত সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পর রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত; জরুরি ঘটনায় ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্প এলাকায় স্ট্যান্ডবাই ক্ষমতার ক্রেন বা রেকার, অ্যাম্বুলেন্স, প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি ডাক্তার রাখতে হবে।
কমিটি পূর্ব সম্মতি অনুযায়ী দুর্ঘটনায় আহতদের খরচ বহন করার পরামর্শ দিয়েছে।
গত ১৫ আগস্ট বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের একটি গার্ডার ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন নিহত হন।
ঘটনার পরদিন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ছয় সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ মর্মান্তিক ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অবহেলার কারণে মৃত্যুর এফআইআরে কারও নাম নেই। তবে ক্রেন অপারেটর এবং প্রকল্পের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ কো. লিমিটেডের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
২ বছর আগে
শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় চীনের আপত্তি নেই: রাষ্ট্রদূত
উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে কোনো আপত্তি নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বৃহস্পতিবার সকালে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রদূত এ মন্তব্য করেন।
লি জিমিং সোমবার উত্তরায় ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন বলে বিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা বিআরটি প্রকল্পের ঠিকাদারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কোম্পানির পক্ষে তদন্ত করতে চীন থেকে বাংলাদেশে এসেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রতিনিধিদল সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার ট্রাজেডি: ক্রেন চালকসহ গ্রেপ্তার ৯
কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে বলে সচিব জানান।
প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
সোমবার, বিআরটি (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) প্রকল্পের গার্ডারটি উত্তরার জসিমউদ্দিন রোডের কাছে একটি গাড়ির ওপর খসে পড়ে। এতে রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই সন্তান জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২) গার্ডারের নিচে পড়া গাড়ির ভেতরে পিষ্ট হয়।
সৌভাগ্যবশত, নিহত রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও তার স্ত্রী রিয়া মনি (২১) এ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পান।
একই দিন দুর্ঘটনার তদন্তে ছয় সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
কমিটির প্রধান করা হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আক্তারকে। আগামী দুই দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে প্যানেলকে।
মঙ্গলবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব বলেন, উত্তরা ট্র্যাজেডির জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না গেঝুবা গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড দায়ী বলে তদন্তকারী সংস্থাটি খুঁজে পেয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উত্তরায় গার্ডার ট্র্যাজেডি: প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা
২ বছর আগে
জননিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোনো প্রকল্প চলতে দেয়া হবে না: আতিকুল
জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোন প্রকল্পের কাজ চলতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো নির্মাণ প্রকল্পে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নির্মাণ প্রকল্প এলাকার কমপ্লায়েন্স, বিদ্যুৎ সংযোগের কমপ্লায়েন্স ও মানুষের নিরাপদ চলাচল নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। শুধু বিআরটি প্রকল্প নয়, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কোন প্রকল্পের কাজ চলতে দেয়া হবে না।’
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর উত্তরার জসিম উদ্দিন রোডে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলাকালীন গতকাল ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ঘটিত দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএনসিসি মেয়র বলেন ‘বিআরটি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ব্যস্ত সড়কে প্রতিবন্ধকতা দিয়ে ভারী গার্ডার তুলতে হবে। একটি ক্রেন দিয়ে কাজ করার সময় যেকোনো ত্রুটি হতে পারে বা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য বিকল্প আরও একটি ক্রেন প্রস্তুত রাখতে হবে। দুর্ঘটনার পর আহতদের হাসপাতালে নেয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও থাকার কথা। বিআরটি এগুলোর কিছুই করেনি।’
তিনি আরও বলেন, ক্রেন দিয়ে গার্ডার তোলার সময় যান চলাচল বন্ধ রাখা বা বিকল্প পথ ব্যবহারের জন্য পুলিশের ট্রাফিক বিভাগকে অবহিত করে তাদের সহায়তা নেয়া উচিত ছিল। আমি খোঁজ নিয়েছি বিআরটি প্রকল্প থেকে ট্রাফিক বিভাগের সাথে কোন যোগাযোগ করা হয়নি। তাদের অবহেলার কারণেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এভাবে আর চলতে দেয়া যায় না।
এসময় উপস্থিত বিআরটি প্রকল্পের মহা ব্যবস্থাপকের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, প্রকল্প চলাকালীন নিরাপত্তার বিষয়গুলো সাইনবোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শন করতে হবে। প্রকল্প কবে শেষ হবে সেটিও সাইনবোর্ডে উল্লেখ করতে হবে। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে ঢাকা শহরে প্রকল্পের কাজ চালানো যাবে না। আর একটি দুর্ঘটনাও যেন না ঘটে সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, 'আমরা গত সপ্তাহেও ডিএনসিসিতে ঢাকা শহরের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে জনগণের নিরাপদ চলাচলের বিষয় নিয়ে সভা করেছি। জনগণের দুর্ভোগ যেন না হয় সেটি বিবেচনায় নিয়ে উন্নয়ন কাজ চালানোর আহ্বান করেছি।’
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিআরটি'র মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম, ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
২ বছর আগে
উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহত ফাহিমা ও ঝর্ণার ভাই আফরান মন্ডলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান।
ওসি বলেন, ‘মামলায় বাদী ক্রেন অপারেটর এবং সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।’
এ দুর্ঘটনার জন্য ক্রেন অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের অবহেলা দায়ী কি না তা পুলিশ তদন্ত করবে।
এর আগে সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
২ বছর আগে
গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের গার্ডারের নিচে চাপা পড়া প্রাইভেটকার থেকে একে একে বেরিয়ে এলো পাঁচটি নিথর দেহ।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়াসিন গাজী এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।
সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ পাঁচজন ভেতরে আটকা পড়ে।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)।
গাড়ির অন্য পাঁচ আরোহী- রুবেল (৫০), ঝর্ণা (২৮) এবং দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২) - বিধ্বস্ত গাড়ির ভিতরে আটকা পড়েছিল।ক্রেন দিয়ে গার্ডার তুলতেই তাদের লাশ বেরিয়ে আসে।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে সড়ক দর্ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
২ বছর আগে