ক্রেন দুর্ঘটনা
ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির লাশ
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সাত দিন পর প্রবাসী ফরহাদ আহমেদ রনির (৩১) লাশ দেশে তার নিজ গ্রামে পৌঁছেছে।
যশোরের শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ি গ্রামের মাহামুদ আলীর ছেলে রনি ৫ জুলাই মালয়েশিয়ায় একটি নির্মাণস্থলে কাজ করার সময় নিহত হন।
মালয়েশিয়া থেকে একটি ফ্লাইটের মাধ্যমে শুক্রবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার কফিন পৌঁছায়। আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার পর, তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শোকাহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৩৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ব্যবসায়ী নিহত
এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে রনির লাশ তার গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে তার পরিবারের সদস্য এবং আত্মীয়স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় সেখানকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
পরে রাত ১১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে রনিকে দাফন করা হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং বাসিন্দারা জানাজায় অংশ নেন।
রনির পরিবারের ভাষ্যমতে, রনি প্রায় তিন বছর আগে উন্নত জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। তার মৃত্যুতে গভীর শোক এবং আর্থিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে তার পরিবার।
১৪৫ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় শার্শার যুবকের মৃত্যু
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় রনি নামে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ জুলাই) সকাল বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১০ টার দিকে মালয়েশিয়ার শ্রীরামবাং শহরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি(৩৫) যশোরের শার্শার উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের বাগুড়ি বেলতলা গ্রামের মাহমুদ সরদারের ছেলে।
নিহতের পারিবার সূত্রে জানা যায়, আড়াই বছর আগে পরিবারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে প্রবাস জীবন শুরু করেন রনি। শুরু থেকে তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন সকালে নির্ধারিত ভবনে কাজের সময় একটি ক্রেনের চেইন ছিড়ে রনি চাপা পড়লে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার এক সহযোগী শ্রমিক ফোনে বাংলাদেশে তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়।
কায়বার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাব হোসেন জানান, রনি আড়াই বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় কাজ করছেন। আজ সকালে তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। তার লাশ দ্রুত দেশে আনার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে লাশ দ্রুত দেশে নিয়ে আসার জন্য উপজেলা প্রশাসন সার্বিক সহযোগিতা করবে।
পড়ুন: মালয়েশিয়ায় নারী কর্মী নিয়োগে প্রতারণার বিষয়ে সতর্কতা
১৫২ দিন আগে
মালয়েশিয়ায় ক্রেন দুর্ঘটনায় শার্শার আসাদুলের মৃত্যু
মালয়েশিয়ার সুবাং জয়া শহরে ক্রেন দুর্ঘটনায় আসাদুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনাটি ঘটে সোমবার (২১ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার সময় সকাল সাড়ে ১১টায় (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টা) একটি নির্মাধীন ভবনে।
আসাদুলের মৃত্যুর বিষয়টি মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে নিশ্চিত করেন তার বাবা হাতেম আলী সর্দার।
নিহত আসাদুল (৪০) যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া ইউনিয়নের টেংরা গ্রামের কৃষক হাতেম আলী সর্দারের ছেলে।
হাতেম আলী জানান, ৮ বছর আগে ভাগ্য ফেরানোর আশায় আসাদুল মালয়েশিয়ায় যান এবং নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ঘটনার দিন ক্রেনের হলার পরিবর্তনের সময় খিল খুলে একটি লোহার অংশ তার মাথায় পড়লে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। তিনি বলেন, ‘ছেলের মৃত্যুতে আমরা নিঃস্ব হয়ে গেলাম।’
তিনি ছেলের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
ছেলের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান জানান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মৃত প্রবাসীর পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হয়। বরাদ্দ পেলে আসাদুলের পরিবারকে যথাসম্ভব সাহায্য করা হবে।
২২৬ দিন আগে
ডেমরায় ক্রেন দুর্ঘটনায় ৩ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
রাজধানীর ডেমরায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে ক্রেন চাপায় শনিবার তিন নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- জাফর (৫০), মোস্তফা (৪২) ও মিজান (৩২)।
যোগাযোগ করা হলে ডেমরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আউয়াল বলেন, দুপুর ২টার দিকে ডেমরার নোয়াপাড়ার নূর-ই-মদিনা মসজিদের পাশে একটি নির্মাণাধীন ভবনে কাজ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ফের এলজিইডির নির্মাণাধীন ব্রিজের শাটারিং ধস
এসআই আউয়াল বলেন, হঠাৎ নির্মাণ সামগ্রী উত্তোলনকারী একটি ক্রেন থেকে লোড লাইন ছিঁড়ে গেলে শ্রমিকদের ওপর পড়লে জাফর, মোস্তফা ও মিজান ঘটনাস্থলেই মারা যান।
লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাড্ডায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
যশোরে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের নির্মাণাধীন ভবনধসে ৯ শ্রমিক আহত
৮৯৪ দিন আগে
উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীর উত্তরায় বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলায় অবহেলাজনিতভাবে ক্রেন পরিচালনাকারী চালক, প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
নিহত ফাহিমা ও ঝর্ণার ভাই আফরান মন্ডলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় বলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসিন জানান।
ওসি বলেন, ‘মামলায় বাদী ক্রেন অপারেটর এবং সিজিজিসি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।’
এ দুর্ঘটনার জন্য ক্রেন অপারেটর এবং সংশ্লিষ্ট অন্যদের অবহেলা দায়ী কি না তা পুলিশ তদন্ত করবে।
এর আগে সোমবার বিকালে উত্তরা এলাকায় নির্মাণাধীন বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের একটি গার্ডার একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে দুই শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
উত্তরা পশ্চিম থানার পরিদর্শক ইয়াসিন গাজী জানান, নিহতরা হলেন রুবেল (৫০), ফাহিমা (৪০), তার বোন ঝর্ণা (২৮) এবং ঝর্ণার দুই শিশু জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।
পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার পর গাড়ির দুই আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় বেরিয়ে আসতে সক্ষম হয় এবং তাদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা হলেন রুবেলের ছেলে হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১)। বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এক পুলিশ সদস্য জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গাজীপুর প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বক্সগার্ডার ওঠানোর সময় ভারসাম্য রাখতে না পারায় বহনকারী ক্রেন একদিকে কাত হয়ে যায়। তখন এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডারটি গাজীপুরগামী একটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে গেলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পড়ুন: গার্ডার তুলতেই বেরিয়ে এলো ৫ নিথর দেহ!
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নিহত
১২০৬ দিন আগে