নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা
চট্টগ্রামে নৌ ঘাঁটিতে বোমা হামলা: ৫ জেএমবি সদস্যের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে নৌবাহিনীর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে বোমা হামলার ঘটনায় করা মামলায় ৫ জেএমবি সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার সকালে চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি পিপি মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলো- জেএমবির সদস্য আবদুল মান্নান, রমজান আলী, বাবলু রহমান, আবদুল গাফফার ও নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঈশা খাঁ ঘাঁটির ভেতরে জুমার নামাজের সময় পতেঙ্গা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করেন আবদুল মান্নান। এ সময় ভীতসন্ত্রস্ত মুসল্লিরা ছোটাছুটি শুরু করলে হামলাকারী মান্নান ভিড়ের সঙ্গে মিশে যান। কিন্তু তার বাঁ হাতের কবজিতে ইলেকট্রিক সুইচ দেখে মুসল্লিরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। তখন আবদুল মান্নান আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্ত্রী ও কন্যা হত্যায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
পতেঙ্গা মসজিদে হামলার ১০ মিনিট পর ঈশা খাঁ ঘাঁটির আরেকটি মসজিদে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ওই মসজিদে জুমার নামাজ শুরু হলে রমজান আলী মসজিদের মাঝবরাবর দুটি বোমা (গ্রেনেড) নিক্ষেপ করে মুসল্লিদের সঙ্গে মিশে যান। পরে তাকেও ধরে ফেলা হয়। ওই দিন দুটি মসজিদে বোমা হামলায় নৌবাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২৪ জন মুসল্লি আহত হন।
হামলার ৯ মাস পর ২০১৬ সালের ৩ সেপ্টেম্বর নৌবাহিনীর নেভাল প্রভোস্ট মার্শাল কমান্ডার এম আবু সাঈদ বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী ও বিস্ফোরক আইনে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা করেন। ২২ মাস পর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাহেন্দ্রচালক হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
গত বছরের নভেম্বরে এ মামলায় জেএমবির পাঁচ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করার পর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
উক্ত মামলার আসামি বাবলু রহমানকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর ঝিনাইদহ থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। অন্য মামলায় কারাগারে থাকা আবদুল গাফফারকে পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখান। অপর আসামি নৌবাহিনীর সাবেক সদস্য এম সাখাওয়াত হোসেন ঘটনার পরপরই পালিয়ে যান।
২ বছর আগে