খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)
স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
সময়ের চাহিদা অনুযায়ী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার অভিলক্ষ্যে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)।
এবার আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট কার্ডের আওতায় আসছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের চেষ্টায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যও সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুতই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর এ কার্ড সিস্টেম চালু হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ইতোমধ্যে কার্ড তৈরির জন্য সকল ডিসিপ্লিন, আবাসিক হল ও দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩১-এ পদার্পণ, নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন
বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক মো. সারওয়ার জাহান বলেন, এই স্মার্ট কার্ড তৈরির কাজ এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এটি ব্যবহার করে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ লাইব্রেরিতে চেক ইন, চেক আউট, সেলফ বুক ইস্যু, সেলফ বুক রিটার্ন, অটো গেট পাশ, বুক হোল্ডিং ইত্যাদি সুবিধা পাবেন।
আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. কাজী মাসুদুল আলম বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটলাইজেশনের জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশন, ডি-নথির বাস্তবায়ন, আবাসিক হলের সিট বুকিং, অ্যাপ ব্যবহার করে ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজের রুম বুকিং, অনলাইনে চাকরির আবেদন, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত স্মার্ট ক্লাস রুম, প্রশিক্ষণ কক্ষ, ল্যাব উল্লেখযোগ্য। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এ উদ্যোগ বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিলাইজেশনের ক্ষেত্রে আরও এগিয়ে যাবে।
ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার যে অভিলক্ষ্যে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন, তা বাস্তবায়নে সকল পর্যায় থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশকে সব দিক থেকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার মূল চাবিকাঠি হলো ডিজিটাল সংযোগ।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে ডিজিটালাইজেশনের জন্য স্মার্ট কার্ডের আওতায় আনার এই উদ্যোগ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে দেশকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল খুলছে ১৮ অক্টোবর
১ বছর আগে
দাবি পূরণের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করলো খুবির শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি পূরণের আশ্বাসে মঙ্গলবার রাতে প্রায় চার ঘণ্টা পর আন্দোলন প্রত্যাহার করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকালে অপরাজিতা হলের এক ছাত্রী বটি দিয়ে গলা আত্মহত্যার চেষ্টা করলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইলেকট্রনিক ডিভাইস, রাইস কুকার ও ছুরিসহ সব ধরনের সরঞ্জাম জব্দ করার নোটিশ জারি করে।
ঘোষণার পর পরই হলের শিক্ষার্থীরা হলের ভেতরের তালা ভেঙে আন্দোলন শুরু করে এবং রাত ১০টার পর তাদের দাবির পক্ষে ছাত্রাবাসের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয়।
এই সময় আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরা হাদী চত্বরে জড়ো হতে শুরু করে এবং রাত ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস না দেয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখে।
আরও পড়ুন: আন্দোলনের মুখে আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগ
পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের ১০ দফা দাবি পেশ করে।
প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে ছিল-রান্নায় রাইস কুকার ও অন্যান্য পাত্র ব্যবহারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সোশ্যাল মিডিয়ায় যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা শিক্ষার্থীদের হয়রানির জন্য ক্ষমা চাওয়া, অভিভাবক ও নারী আত্মীয়দের হলে থাকার অনুমতি দেয়া, যেকোনো পরিস্থিতিতে হলের সিট বাতিলের হুমকি দেয়া বন্ধ করা এবং হলগুলোতে খাবারের মান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা উন্নত করে একটি উন্নত জীবন নিশ্চিত করা।
যত দ্রুত সম্ভব দাবি পূরণ না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি’র পদত্যাগ দাবি
অপরাজিতা হলের প্রভোস্ট রহিমা রিম্মি বলেন, তাদের সকল দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। কারণ আমরা চাইনা সন্তানেরা কষ্ট পাক। তাদের হল, তারা যেভাবে চাইবে আমরা সেভাবে চালাবো। শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী কখনও পতিপক্ষ হতে পারে না। এটা আমরা বিশ্বাস করি না।
২ বছর আগে