আশ্রয়
ফের বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ২৯ সদস্য
মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৯ সদস্য সোমবার আবারও বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বিজিবি।সোমবার (১১ মার্চ) সকালে বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশে আশ্রয় নেন বলে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম।
তিনি জানান, বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়নের (১১ বিজিবি) অধীনস্থ জামছড়ি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা দিয়ে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অংথাপায়া ক্যাম্প থেকে ২৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিজিপি, সেনা সদস্য ও ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাসহ মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ৩৩০ সদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি যুবককে ‘কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা’ করল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী
২২ দিন পর বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিল ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী
৭ মাস আগে
আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ৩৩০ জনকে ফেরত পাঠাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কাছে হস্তান্তর করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টার দিকে জাহাজে তোলা সম্পন্ন শেষে মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয় তাদের জাহাজ।
এর মধ্যে ৩০২ জন বিজিপির সদস্য, চারজন বিজিপি পরিবারের সদস্য, দুইজন সেনাসদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং চারজন বেসামরিক নাগরিক।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলার জবাবদিহি নিশ্চিত করুন: ফরটিফাই রাইটস
এদিকে, বৃহস্পতিবার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ করে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানী নৌবাহিনী জেটিঘাট থেকে তাদের জাহাজে তোলা শুরু করে। জেটি ঘাট থেকে প্রথমে বাংলাদেশের জাহাজ কর্ণফুলী এক্সপ্রেসে তোলা হয়। সেই জাহাজে করে গভীর সমুদ্রে অবস্থানকারী মিয়ানমারের জাহাজে তোলা হয়। তার আগে সকালে কঠোর নিরাপত্তায় বান্দরবান ঘুমধুম সীমান্ত ও কক্সবাজারের টেকনাফের হ্নীলা সীমান্তে আশ্রয়ে থাকা ৩৩০ জনকে ৬টি বাসে করে ইনানীস্থ নৌ বাহিনীর জেটিঘাটে আনা হয়।
হস্তান্তর শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, সাম্প্রতিককালে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যসহ ৩৩০ জন মিয়ানমারের নাগরিককে বিজিপির কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। বাংলাদেশ মানবিক সেটা আবারও প্রমাণিত হয়েছে। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জান্তা সরকারের বিভিন্ন বাহিনী ও দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। অতিসম্প্রতি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ এই সংঘর্ষের প্রভাব বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তেও এসে পড়ে।
সীমান্তে বিজিবির টহল ও জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে জানান বিজিবি মহাপরিচালক।
আরও পড়ুন: নিরাপত্তা বাহিনীকে ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল
তিনি আরও বলেন, সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে থেকে বিজিবি সীমান্তের পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে। বর্তমানে সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পরিস্থিতি যাই হোক, সীমান্ত দিয়ে আর একজন মিয়ানমারের নাগরিককেও বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সীমান্তে স্থিতিশীলতা ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবের জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে।
বাংলাদেশের প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি।
বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিজিবি মহাপরিচালক মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়ে, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, জেলা পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম।
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পুলিশ কর্নেল মায়ো থুরা নাউংয়ের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন ৫ সদস্য বিশিষ্ট বিজিপি প্রতিনিধিদল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের ৩৩০ সদস্যের হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যদের ফেরত পাঠানো হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আরাকান আর্মির সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিজেদের বাঁচাতে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মিয়ানমার।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। তারা তাদের বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে চায়। মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে, কারণ তারা (বিজিপি সদস্যরা) ফিরে যেতে চায়। উভয় দিক থেকে যোগাযোগ চলছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন হাছান মাহমুদ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষে দেশটির সীমান্ত পুলিশের আরও ৩৭ সদস্য বাংলাদেশ সীমান্তে আশ্রয় নিয়েছে।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, এ নিয়ে সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া বিজিপি সদস্যের সংখ্যা ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত ও মিয়ানমারের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিজিপি সদস্যদের ফিরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
হাছান বলেন, ‘আকাশ পথে নাকি সড়ক পথে তাদের ফেরত নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। আপনারা জানেন, মায়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এর আগে ভারতীয় ভূখণ্ডেও ঢুকেছিল, কিন্তু তাদের আকাশ পথে ফেরত পাঠানো হয়েছিল। আমরাও তাদের ফেরত পাঠাব।’
সীমান্ত সুরক্ষা ও এক্ষেত্রে জাতিসংঘের সহায়তা লাগবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্ত সুরক্ষিত আছে। প্রাণ বাঁচাতে মিয়ানমারে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছে। সকাল পর্যন্ত ৯৫ জন রেজিস্টার্ড হয়েছে। তারা তাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। ফলে তৃতীয় পক্ষ ডাকার সুযোগ নেই।’
'বাইডেনের চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই'
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের লেখা চিঠিকে বাংলাদেশ স্বাগত জানিয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে সব ধরনের প্রশ্নের উত্তর পরিষ্কার হয়েছে বলে মনে করে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, 'প্রেসিডেন্ট বাইডেনের লেখা চিঠিকে আমরা স্বাগত জানাই। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এই চিঠির মাধ্যমে আমাদের অংশীদারিত্ব আরও এগিয়ে যাবে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে আর কোনো 'অস্বস্তি' নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন।
তিনি একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বাংলাদেশের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন তার চিঠিতে বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যসমূহে সমর্থন এবং একটি অবাধ ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদার হতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, মানবিক সহায়তা বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য এবং আরও অনেক বিষয়ে তাদের কাজ অব্যাহত রাখার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষার কথা জানাতে চান তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, 'সমস্যা সমাধানে আমাদের একসঙ্গে কাজ করার দীর্ঘ ও সফল ইতিহাস রয়েছে এবং আমাদের জনগণের সঙ্গে জনগণের শক্তিশালী বন্ধনই এই সম্পর্কের ভিত্তি।'
মার্কিন দূতাবাস সম্প্রতি চিঠিটি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের সঙ্গে সংলাপ হবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
৮ মাস আগে
আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে আর কোনো মানুষকে নেয়ার মতো অবস্থায় নেই দেশ।
মঙ্গলবার ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞার মধ্যে বাড়তি বোঝা হিসেবে বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘আমাদের পক্ষে আর কোনো লোক নেয়া সম্ভব নয়’।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং গত পাঁচ বছরে একজনকেও মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন করা হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা রকম সমস্যা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থান কক্সবাজার এলাকার বন উজাড় করেছে, স্থানীয়দের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে এবং ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সংঘাতে জড়িয়ে পড়া ছাড়াও অনেক রোহিঙ্গা মাদক পাচার, অস্ত্র চোরাচালান, মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছে।
নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের বারবার আহ্বানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গাদের) নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে। ‘প্রত্যেকের (পরিস্থিতি) বুঝতে হবে।’
সাক্ষাতকারে প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর নৃশংস দমন-পীড়নের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ কীভাবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল তা তুলে ধরেন।
মিয়ানমারে তাদের বিরুদ্ধে বর্বরতার মধ্যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় দেয়ার আগে তার বোন শেখ রেহানার সঙ্গে তার কথোপকথন শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিজেদের চোখে (১৯৭১ সালের) দুর্ভোগ দেখেছি।’
বাংলাদেশ সম্প্রতি মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সমর্থন এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ চেয়েছে, যাতে এটি এই অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে এবং একইভাবে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন এড়াতে না পারে।
এছাড়া মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অভ্যন্তরে মর্টার শেল পড়া ও বিস্ফোরণের সাম্প্রতিক ঘটনা, নির্বিচারে বিমান থেকে গুলি, মানুষের প্রাণহানি এবং গুরুতর আহত, সীমান্তবর্তী এলাকার জনগণের সম্পত্তি ও জীবিকার ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আসিয়ান দূতদের কাছে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষ করেননি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
২ বছর আগে
দিল্লিতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেবে ভারত
রোহিঙ্গাদের বিষয়ে তার অবস্থান থেকে সম্পূর্ণ সরে এসে ভারত প্রতিবেশি মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে সেদেশে প্রবেশকারী মুসলিম শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বুধবার ভারতের আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই টুইটে সরকারের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘যারা দেশে আশ্রয় চেয়েছেন ভারত তাদের সবসময় স্বাগত জানিয়েছে।’
মন্ত্রী বলেছেন, ‘একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে সমস্ত #রোহিঙ্গা #শরণার্থীদের দিল্লির বক্করওয়ালা এলাকায় ইডব্লিউএস (অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল বিভাগ) ফ্ল্যাটে স্থানান্তরিত করা হবে। তাদের মৌলিক সুযোগ-সুবিধা, ইউএনএইচসিআর আইডি এবং চব্বিশ ঘন্টা @দিল্লিপুলিশ সুরক্ষা প্রদান করা হবে।’
জাতিসংঘের মতে, আনুমানিক ৪০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বর্তমানে ভারতে রয়েছে। তাদের বেশিরভাগই তাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর ২০১৭ সালে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসেছিল।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয়তাবাদী বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি’- বলে অভিহিত করেছে।
ভারত এর আগে ১৯৫১ সালের শরণার্থী কনভেনশন এবং এর ১৯৬৭ প্রোটোকলের স্বাক্ষরকারী না হওয়া সত্ত্বেও প্রতিবেশি দ্বীপ দেশ শ্রীলঙ্কার তিব্বতি শরণার্থী এবং তামিল উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: মিশেল ব্যাচেলেটের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি: মন্ত্রী ওয়াং
২ বছর আগে