মিলমালিক
বাগেরহাটে অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বৃদ্ধি, মিলমালিকদের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের অভিযোগ
বাগেরহাটের খুচরা বাজারে চালের দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। আর পাইকারি বাজারে ২৫ কেজির এক বস্তা চালের দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা। অস্বাভাবিক হারে চালের দাম বাড়ায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে ধাক্কা লেগেছে। মিল থেকে চাহিদা মতো চাল পাচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। চাল ব্যবসায়ীদের দাবি মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়িয়ে চলেছে। এ অবস্থায় চালের বাজার কঠোরভাবে মনিটরিংয়ের কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
সম্প্রতি বাগেরহাট শহরের চাউপট্টি এবং নাগেরবাজারে খুচরা ও পাইকারি চালের দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, চালের অস্বাভাবিক মূল্যে বৃদ্ধির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা নানা কথায় জড়াচ্ছেন। চালের মূল্য এত বেশি কেন ক্রেতাদের এমন প্রশ্নে দোকানিদের উত্তর, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে চালের দাম বেড়েছে। যে মূল্যে চাল ক্রয় করা হচ্ছে সেই হারে বিক্রি করা হচ্ছে। আমাদের কিছুই করার নেই। দোকানিদের এমন উত্তরে ক্রেতারা খুশি নয়। নিম্ন আয়ের অনেক খুচরা ক্রেতাকে প্রয়োজনের তুলনা কম পরিমাণ চাল নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে বাগেরহাটে চালের দাম বেড়েই চলেছে। প্রতি কেজি চালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এখানে খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন প্রায় ৫০ টাকা থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি হচ্ছে। এমনকি স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা মোটা চালেরও দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সুযোগ বুঝে খুচরা বিক্রেতারা ইচ্ছা মতো দাম বেঁধে চাল বিক্রি করছেন। আর একের পর এক হাত বদলে গ্রামগঞ্জের হাট-বাজারে চালের দাম আরও বাড়ানো হচ্ছে।
নাগেরবাজার এলাকার পাইকারি চাল বিক্রেতা প্রদীপ কুমার সাহা জানান, তাদের যে পরিমাণ চালের দরকার অর্ডার দিলেও তা পাচ্ছে না। ১০০ বস্তা চালের অর্ডার দিলে মোকাম থেকে মাত্র ২০ বস্তা চাল দিচ্ছে। এ অবস্থায় চালের ঘাটতি দেখা গিয়েছে।
তিনি জানান, ৬ টাকা থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কেজি বেড়ছে চালের দাম বেড়েছে। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি মিলমালিকদের সিন্ডকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে বলে ওই ব্যবসায়ী জানান।
ফলপট্টি-মসজিদ রোডের খুচরা চাল ব্যবসায়ী প্রবীর সাহা অভিযোগ করে বলেন, চালের মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি বস্তায় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে চালের দাম বাড়িয়েছে। অস্বাভাবিক হারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ক্রেতাদের কাছে তাদের হেনস্তা হতে হচ্ছে। এ অবস্থায় চালের ব্যবসা বন্ধ করে দেয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
নাগেরবাজারের পাইকারি চাল ব্যবসায়ী গোপাল সাহা জানান, দিনমজুর এবং নিম্ন আয়ের মানুষ সাধারণত যে ধরণের চাল খায় বাজারে সেই চালের বেশি সংকট। চাহিদা অনুযায়ী সেই চাল পাওয়া যাচ্ছেনা। নিম্ন আয়ের মানুষের চাহিদার চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ৬ টাকা। বাজারে চালের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী।
পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে অনাবৃষ্টিতে আমন চাষ নিয়ে শঙ্কায় কৃষক
২ বছর আগে