বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত
যুক্তরাজ্য নির্বাচন: বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ৪ ব্রিটিশ নাগরিকের জয়
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির পক্ষে জয় পেয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত চার প্রার্থী।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এ ফল প্রকাশ করা হয়।
বিজয়ী চারজন হলেন- টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক, রুশনারা আলী, রূপা হক ও আপসানা বেগম।
আরও পড়ুন: অর্থনৈতিক-নিরাপত্তা-অভিবাসন অংশীদারিত্ব জোরদারে ঢাকায় যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী
হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিক হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেট আসন থেকে ২৩ হাজার ৪৩২ ভোট পেয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ অ্যান্ড ইউনিয়নিস্ট পার্টির ডন উইলিয়ামস পেয়েছেন মাত্র ৮ হাজার ৪৬২ ভোট এবং গ্রিন পার্টির লর্না জেন রাসেল পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৩০ ভোট।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) অনুষ্ঠিত এই সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে বেথনাল গ্রিন অ্যান্ড স্টেপনি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন রুশনারা আলী। লেবার পার্টির রুশনারা আলী পেয়েছেন ১৫ হাজার ৮৯৬ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আজমল মাসরুর পেয়েছেন ১৪ হাজার ২০৭ ভোট।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যে এমবিই সম্মাননা পাচ্ছেন জিয়াউস সামাদ চৌধুরী জেপি
লেবার পার্টির আরেক প্রার্থী ড. রূপা হক ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন থেকে এমপি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। ২২ হাজার ৩৪০ ভোট পেয়েছেন ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো এমপি নির্বাচিত রূপা হক। নিকটতম প্রার্থী কনজারভেটিভ পার্টির জেমস উইন্ডসর-ক্লাইভ পেয়েছেন ৮ হাজার ৩৪৫ ভোট। লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে অ্যালিস্টার মিটন ৬ হাজার ৫৬ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।
এছাড়াও পপলার ও লাইম হাউস আসনে ১৮ হাজার ৫৩৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আপসানা বেগম।
এদিকে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন লেবার নেতা কেয়ার স্টারমার।
'হাতের চুম্বন' অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রাজা তৃতীয় চার্লসের আশীর্বাদ নিয়ে সরকার গঠনের দায়িত্ব পেয়েছেন স্টারমার।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে অস্ত্র-জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করতে সব দেশের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইইউর
৪ মাস আগে
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে এমআইটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু মানবাধিকারের লঙ্ঘন।
মঙ্গলবার তথ্য ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রেও যে মানবাধিকারের লঙ্ঘন হয় তার প্রমাণ এই হত্যাকাণ্ড।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করেছে, তদন্ত চলছে। আমরা আশা করি যে যুক্তরাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী, তাদের বিচার হবে। কেউ যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে না পারে সেজন্য আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছি। বিশ্বের কোথাও যাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত না হয় তাও আমরা নিশ্চিত করতে চাই।’
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি-আমেরিকান হত্যা: বিচারের দাবিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে মানববন্ধন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর রিয়ার অ্যাডমিরাল আইলিন লাউবাচার বলেছেন যে বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী ও যুক্তরাষ্ট্র কাজ করবে। আমরা ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।।’
বুধবার বিএনপির দেশব্যাপী গণঅবস্থান কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি বা বিরোধী দলের যেকোনো শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার সব সময় সহযোগিতা করেছে এবং করবে। তবে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির নামে তারা সর্বদা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে এবং জনগণের জানমাল ধ্বংস করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব, আমাদের দল সতর্ক পাহারায় থাকবে যাতে তারা রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। যদি করার চেষ্টা করা হয় তাহলে জনগণ প্রতিহত করবে, আমাদের দল জনগণের সঙ্গে থাকবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের জামিনে মুক্তি প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের আদালত স্বাধীন। সরকার তাদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশের আদালত খুব স্বাধীনভাবে কাজ করে, তাই তারা মুক্তি পেয়েছে। তাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি। আশা করি সুস্থ থেকে তারা সরকারের বিরোধিতা চালিয়ে যেতে পারবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে স্ত্রী-সন্তানদের হত্যা করে স্বামীর আত্মহত্যা
যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ বাড়ি থেকে ৫ শিশুসহ ৮জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার
১ বছর আগে
পুলিৎজার জিতলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহমিদা আজিম
পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান চিত্রশিল্পী এবং লেখক ফাহমিদা আজিম। ‘ইলাস্ট্রেটেড রিপোর্টিং অ্যান্ড কমেন্টারি’র জন্য ২০২২ পুলিৎজার বিজয়ী দলের সদস্য হিসেবে ফাহমিদার নাম ঘোষণা করেছে আমেরিকান অনলাইন মিডিয়া কোম্পানি ইনসাইডার।
২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইনসাইডার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ‘হাউ আই এস্কেপড অ্যা চাইনিজ ইন্টার্নমেন্ট ক্যাম্প’ শিরোনামের একটি প্রতিবেদনের জন্য তাকে এই পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ফাহমিদা ছাড়াও বিজয়ী দলে অ্যান্থনি ডেল কোল, জোশ অ্যাডামস ও ওয়াল্ট হিকি রয়েছেন।
পুলিৎজারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এবারের পুরস্কারের কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, উইঘুরদের ওপর চীনের নিপীড়নের একটি শক্তিশালী কাহিনী বলার জন্য গ্রাফিক রিপোর্টেজ এবং কমিকস মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য দলটি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছে।
ফাহমিদাই বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম আমেরিকান যিনি সাংবাদিকতায় সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পুলিৎজার জিতেছেন।
ফাহমদিা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, এনপিআর, গ্ল্যামার, সায়েন্টিফিক আমেরিকান, দ্য ইন্টারসেপ্ট ও ভাইসসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন।
তিনি তার নিজের মুসলিম উইমেন আর এভরিথিং (হার্পারডিজাইন, ২০২০) সহ বেশ কয়েকটি বই এঁকেছেন।
পেশাগত কাজ ছাড়াও ফাহমিদা অসাধারণ জীবনযাপনকারী বাস্তব মানুষের আঁকা, কাল্পনিক মানুষদের সুন্দরভাবে সাধারণ জীবনযাপন এবং খাবার আঁকতে পছন্দ করেন। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফাহমিদা এখন ওয়াশিংটনের সিয়াটলে বসবাস করেন।
পড়ুন: মার্কিন ক্যাপিটলে হামলার সংবাদ পরিবেশন করে পুলিৎজার পেল ওয়াশিংটন পোস্ট
২ বাংলাদেশি নাগরিকের সম্মানসূচক ব্রিটিশ পুরস্কার লাভ
২ বছর আগে