গ্রামাঞ্চল
গ্রামাঞ্চলে অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা সংসদ সদস্যের
অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের কারণে নতুন প্রজন্ম পঙ্গু হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও ইএনটি বিশেষজ্ঞ ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
শনিবার (২২ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
সরকার রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অ্যাপ তৈরি করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার নিষ্ক্রিয় করতে পারে কি না, সে বিষয়ে পরামর্শ দেন কুমিল্লা-৭ আসনের এই সংসদ সদস্য।
তিনি বলেন, ‘মোবাইল টাওয়ার ফ্রিল্যান্সিং ছাড়া অন্য কোনো কাজে বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের বিকল্প পথ হিসেবে কেন ব্যবহার করা হয় না- সেটিও আমাদের খতিয়ে দেখা উচিত।’
আরও পড়ুন: ৫ সদস্যের জাতীয় সংসদের প্যানেল সভাপতি মনোনীত
তা না হলে ১০ বছর বয়স থেকে শুরু করে তার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, সবাই কানে কম কথা শোনার অভিযোগ করছেন বলে জানান প্রাণ গোপাল দত্ত।
তিনি আরও বলেন, মানুষ অভিযোগ করছে যে তারা শুনতে পারছে না, তারা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারছে না। তাই এমন কিছু উদ্ভাবন করা উচিত যাতে আমাদের তরুণ প্রজন্ম রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই প্রযুক্তি থেকে দূরে থাকে।
এই সংসদ সদস্য বলেন, স্বাস্থ্য খাত সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাত যেখানে পরীক্ষা, গবেষণা, চিকিৎসা সরঞ্জামের খরচ আকাশচুম্বী।
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের উদ্ধৃতি দিয়ে দত্ত বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সরকারি খাতের হাতে থাকা উচিত।
তিনি বলেন, 'এখন এটা (শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা) সারা বিশ্বে পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেক্ষেত্রে টাকা থাকলে চিকিৎসা হবে, টাকা না থাকলে চিকিৎসা পাবেন না। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের দেখাশোনা করার কেউ নেই।’
চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়নে চিকিৎসকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গবেষণা, আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্যে বিশেষ নজরদারির আহ্বান সংসদীয় কমিটির
৬ মাস আগে
জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের অবস্থা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে যারা নিজেরাই খাদ্য উৎপাদন করে, তারা তেমন অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দাম বেড়েছে এবং এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে গ্রামে যারা নিজেদের জন্য উৎপাদন করতে পারেন, তাদের খুব একটা কষ্ট হয় না। তাই তাদের থেকে কোনো দুর্দশার খবর পাওয়া যায় না। তারপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাষ্ট্র পরিচালিত টিসিবি তাদের বিদ্যমান জনবল দিয়ে জনগণকে সেবা প্রদান করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
দেশে প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমদানিও করছি। যত টাকাই লাগুক না কেন, রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও আমরা খরচ করছি।’
জনগণের কল্যাণ তার সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
নাটোর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব সময় জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সচেষ্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 'আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, সরিষা, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশে আমদানি মূল্যস্ফীতির চাপ পড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সৃষ্ট সংঘাত বাজার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সম্প্রতি টাকার বিনিময় হারের দর কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে শিগগিরই ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা গ্রহণ করা হবে।’
এই পদ্ধতি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক ওঠানামা রোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
৭ মাস আগে
গ্রামাঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হবে: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী
নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
তিনি বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় সাপেক্ষে গ্রামাঞ্চলের আবাসন ব্যবস্থায়ও শৃঙ্খলা আনার চেষ্টা করা হবে।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে সরকার কাজ করছে: গৃহায়ণমন্ত্রী
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন- দক্ষতা ও যোগ্যতার সবটুকু দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে সে দায়িত্ব পালনে আমি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাব।
তিনি আরও বলেন, নিজের বিচার বুদ্ধির পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদনের আলোকে আমি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা করব। সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রচলিত আইন ও জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে কাজ করব।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চাই। গণমাধ্যমের গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই গ্রহণযোগ্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তবে অপতথ্য ও মিথ্যা তথ্যের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
আরও পড়ুন: ইশতেহারের আলোকে বিমান ও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে চান মন্ত্রী
দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে যে কারও বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কার্পণ্য করা হবে না।
পোড়ামাটির ইট ব্যবহারের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট ব্যবহারের ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত জানতে চেয়ে করা এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রতিবছর এদেশের এক শতাংশ হারে কৃষিজমি নষ্ট হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ইট তৈরিতে জ্বালানি কাঠ ব্যবহারের ফলে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। পরিবেশ সুরক্ষা ও কৃষিজমি রক্ষার স্বার্থে ব্লক ইটের ব্যবহার উৎসাহিত করা হবে। প্রাপ্তি সাপেক্ষে সরকারি প্রকল্পে ব্লক ইট ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: প্রথম অফিস করছেন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
১০ মাস আগে
গ্রামাঞ্চলে ব্যাংকে আমানত কমেছে ২২.৫৬ শতাংশ: বাংলাদেশ ব্যাংক
দেশের গ্রামাঞ্চলের ব্যাংকগুলোতে আমানত কমেছে ২২ দশমিক ৫৬ শতাংশ। অপরদিকে শহরাঞ্চলে ৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ আমানত বেড়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৫ কোটি। এ সময়ে তারা তাদের অ্যাকাউন্টে ১৭ কোটি টাকার বেশি জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি আমানত রয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে প্রায় ৭ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ দেশের ব্যাংকিং খাতে মোট আমানতের ৪২ দশমিক ৩৫ শতাংশ এ ধরনের অ্যাকাউন্টধারীদের।
আরও পড়ুন: সেরা ৫২৫ করদাতা নির্বাচন করেছে এনবিআর
২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৫৯ লাখের বেশি। এসব অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ ১৬ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা।
১ কোটি টাকার বেশি আমানতসহ ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তিন মাসের ব্যবধানে ১ কোটি টাকা বা তার বেশি টাকার অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বেড়েছে ৩২টি এবং এক বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৭ হাজার ৬৬টি।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক ব্যবস্থার বিকাশ বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি ও সুযোগ নিয়ে আসে: অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন
১ বছর আগে
দেশের গ্রামাঞ্চলে কমিউনিটি স্থিতিস্থাপকতা ও জীবিকা নির্বাহের জন্য ১২০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত ও গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মৌলিক সেবা ও জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে ১২০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ চুক্তি সই করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ও বাংলাদেশ সরকার।
বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান ও এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: এডিবি'র সর্বশেষ প্রতিবেদন: ২০২৪ অর্থবছরকে বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো বছর হিসেবে পূর্বাভাস
এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ক্লাইমেট রিসাইল্যান্ট লাইভলিহুড ইমপ্রুভমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটারশেড ম্যানেজমেন্ট হন চিটাগং হিল ট্র্যাক্ট সেক্টর প্রজেক্টের অধীনে এই অঞ্চলে টেকসই ও স্থিতিস্থাপক কমিউনিটি উন্নয়নে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, সামগ্রিক ও অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতি গ্রহণ কো হবে।
এই প্রকল্পের অধীনে ২০৩১ সালের মধ্যে কমপক্ষে ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর কৃষি জমিতে ফসল উৎপাদন ৫০ শতাংশ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ ছাড়া ৫৭ হাজার পরিবারের নারীদের পানীয় জল আনতে যে সময় ব্যয় হয় তার ৫০ শতাংশ হ্রাস করবে। পাশাপাশি প্রকল্পের অধীন রাস্তায় বাস, প্রাইভেটকার ও ট্রাকের যে সময় লাগত তার থেকে ৫০ শতাংশ কম সময় লাগবে।
প্রকল্পটি তিন পার্বত্য জেলা বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিকে অন্তর্ভুক্ত করবে। এডিবির মতে, এটি গ্রামীণ সড়কের উন্নয়ন, পানি সরবরাহের উৎস, স্যানিটেশন পরিষেবা, ছাদে সৌর বিদ্যুৎ স্থাপন ও কৃষি সুবিধা স্থাপনে সহায়তা করবে।
প্রকল্পটি প্রায় ১৪০ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ককে প্রকৃতি-ভিত্তিক, জলবায়ু-সহনশীল এবং সুরক্ষিত রাখবে।
এডিবি'র এই হস্তক্ষেপের ফলে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি প্রশমনে নয়টি সাব-ওয়াটারশেডে জলাবদ্ধতা ব্যবস্থাপনা জোরদার হবে।
এর ফলে কৃষিবনায়নের মাধ্যমে জলাশয় এলাকায় সবজি চাষের উন্নয়ন, ক্ষুদ্র পরিসরে পানি সংগ্রহের অবকাঠামো নির্মাণ, জলাশয় সুরক্ষা থেকে আয়বর্ধক কার্যক্রমের প্রচার এবং জলাশয় ব্যবস্থাপনা দক্ষতায় গ্রাম বন কমিটিকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
এ ছাড়াও, প্রকল্পটি খাদ্য নিরাপত্তার জন্য টেকসই ভূমি ব্যবহার এবং জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি অনুশীলনকে সমর্থন করবে।
জলবায়ু সহনশীল ফসলের জাত পরিবর্তন এবং উচ্চমূল্যের শাকসবজি, ফলমূল, মশলা ও ওষুধি উদ্ভিদে বৈচিত্র্য আনতে কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেওয়া হবে।
তাদের প্রশিক্ষণ, সরঞ্জাম, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংযোগ দেওয়া হবে যাতে তারা তাদের পণ্য প্রক্রিয়াকরণ, বিপণন ও বিক্রয় করতে সহায়তা করে।
কাঠের কাজ, খাবার প্রক্রিয়াজাতকরণ, উদ্যোক্তা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্টের মতো বৃত্তিমূলক ও পেশাদার প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদানের মাধ্যমে দক্ষ শ্রমের চাহিদা পূরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: এশিয়া প্যাসিফিককে সহায়তা করতে আগামী দশকে ১০০ বিলিয়ন ডলারের নতুন তহবিল উন্মোচন এডিবির
বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে এডিবি
১ বছর আগে
গ্রামাঞ্চলে মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে: কৃষিসচিব
আমনের সেচের সুবিধার জন্য রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত গ্রামে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে কৃষিসচিব মো.সায়েদুল ইসলাম। মঙ্গলবার বিকালে সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি ‘আমন মৌসুমে প্রয়োজনীয় সেচ নিশ্চিতকরণে’-করণীয় বিষয়ক সভা শেষে কৃষিসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এবার আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ লাখ হেক্টর, যার মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৭ লাখ হেক্টরে আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার ৭০ শতাংশ ও সন্তোষজনক।
তিনি বলেন, বিশেষ করে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে লক্ষ্যমাত্রার ৯৮ শতাংশ অর্জিত হয়েছে। এছাড়া এ মাসের মধ্যে যাতে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করা যায় এবং রোপণের পর অন্তত ৩০ দিন যাতে সেচ নিশ্চিত করা যায়, সেলক্ষ্যেই আলোচনা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ণ করতে পারলে আমনের ক্ষতি পোষাতে পারব।
তিনি বলেন, আমরা কৃষকের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যাতে করে খাদ্য নিরাপত্তা অক্ষুন্ন রাখতে পারি। এছাড়া সেচের প্রয়োজনে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রয়োজন হলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২৪ ঘন্টার মধ্যে তা নিশ্চিত করবে।
তিনি আরও বলেন, সেচের সুবিধার্থে পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের বৃহৎ সেচ প্রকল্পগুলো চালু করেছে এবং অন্যগুলোও শিগগিরই চালু করবে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা সেচ কমিটি দ্রুত মিটিং করে সেচের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী সেচের ব্যবস্থা করা হবে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আমনে বাড়তি সেচের জন্য কৃষকদের অতিরিক্ত খরচের বিষয়ে নগদ সহায়তা প্রদানের বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয় বিবেচনা করছে। এছাড়া বৃষ্টির অভাবে যারা ধানের চারা উৎপাদন করতে পারেনি, তাদেরকে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে বিনামূল্যে চারা দেয়া হবে।
সভায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সংযুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আপাতত পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের পরিকল্পনা নেই: কৃষিসচিব
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে ২ দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে
গ্রামাঞ্চলে নিরাপদ পানি সবরাহ করতে ২০ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক
২ বছর আগে