অপেক্ষা
জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকবে না: বিএনপি
বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করবে না।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।’
তিনি বলেন, কিন্তু মূল সমস্যা থেকে বিচ্যুত হয়ে অন্য বিষয়ের দিকে নজর দিচ্ছেন তারা।
শুক্রবার(২৫ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে গয়েশ্বর এসব কথা বলেন।
কয়েকজন উপদেষ্টার বক্তব্যে যৌক্তিক সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপির এই নেতা।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আপনি যা কিছু করেন তার জন্য আমরা আলহামদুলিল্লাহ বলব, তবে এর একটি সময়সীমা থাকা উচিত এবং ধৈর্যের একটি সময়সীমা থাকা উচিত। নির্বাচনের দ্রুত রূপরেখা তৈরি করুন, তারপর বাকিটা করুন।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধই যথেষ্ট নয়, অস্ত্রধারীদের বিচার হতে হবে: বিএনপি
সরকার যদি সবকিছু সমাধানের চেষ্টা করে তাহলে কোনো কিছুই সফল হবে না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির এই নেতা। ‘নতুন সংস্কারের প্রয়োজন নেই, কারণ জনগণ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করবে না।’
রাষ্ট্র সংস্কারের দায়িত্ব রাজনীতিবিদদের উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কারের জন্য মাসের পর মাস সময় লাগা উচিত নয়।
গয়েশ্বর বলেন, বিএনপি ইতোমধ্যে ৩১ দফা সংস্কার রূপরেখা উপস্থাপন করেছে, যা সরকার পর্যালোচনা করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে পারে।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংস্কার হওয়া উচিত। রাজনৈতিক সমস্যা রাজনীতিবিদদের দিয়েই সমাধান করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ১/১১-এর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সময় শুরু হওয়া বিরাজনীতিকরণের চক্রান্ত এখনো চলছে। 'রাজনীতির মাধ্যমে রাজনীতির মোকাবিলা করতে হবে'
তিনি বলেন, 'আপনারা (সরকার) যদি মনে করেন শুধু ছাত্ররাই আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাহলে আপনারা ভুল করছেন, আপনারা হোঁচট খাবেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন সব শ্রেণি-পেশার মানুষের বহু বছরের আন্দোলনের চূড়ান্ত পরিণতি।’
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র চলছে, শিগগিরই নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন: বিএনপি
৩ সপ্তাহ আগে
অনির্দিষ্টকালের অপেক্ষা নয়, রোহিঙ্গা সংকটের আন্তর্জাতিক সমাধান চান ড. ইউনূস
যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত ও আন্তর্জাতিক সমাধানের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এই সমস্যার সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে, বাংলাদেশের একার হাতে নয়।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইউএনবির এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা বিষয়টি উত্থাপন অব্যাহত রাখব। মালয়েশিয়া আমাদের এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য অপেক্ষা করতে পারি না। এটি এমন একটি বিষয় যা আমাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান করতে হবে।’
ড. ইউনূস বলেন, তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন কারণ এটি মালয়েশিয়ার জন্যও একটি সমস্যা, সেখানেও স্বল্প সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী রয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। আমরা আসিয়ান, মালয়েশিয়ার সরকার এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে একসঙ্গে কাজ করি।’
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে আসিয়ানের পরবর্তী সভাপতি হতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া।
অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গা সংকটের দুটি দিক তুলে ধরেন- গত ৭ বছর ধরে ১২ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে এবং এর সংঙ্গে যুক্ত হচ্ছে প্রতি বছর গড়ে জন্ম নেওয়া ৩২ হাজার নতুন শিশু।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী; স্বাগত জানালেন অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, জন্মহার নিয়ে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন নয়, তাদের জীবনে কী ঘটছে সেটাই আসল ব্যাপার। তিনি বলেন, 'তরুণদের একটি সম্পূর্ণ নতুন প্রজন্ম বেড়ে উঠছে। এটা ক্ষুব্ধ তরুণদের একটি প্রজন্ম। তাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পুরো বিশ্বের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো এটি একটি টিকিং টাইম-বোম্ব যা যেকোনো উপায়ে বিস্ফোরিত হতে পারে।
তিনি বলেন, অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের সঙ্গে প্রতিদিন নতুন প্রবেশও ঘটছে। ‘এই উদ্বেগ আমি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছি। তিনি পুরোপুরি সমর্থন করেন এবং আমাদের অবস্থান বোঝেন।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, মালয়েশিয়া এই সমস্যার আন্তর্জাতিক সমাধানের জন্য আসিয়ান ও আন্তর্জাতিক ফোরামের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
সাত বছর আগে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
২০২৪ সালে মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশপাশের সম্প্রদায়ে বাংলাদেশিসহ ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষকে সহায়তার জন্য ৮৫ কোটি ২০ লাখ ডলারের আবেদন করে। ইউএনএইচসিআর-এর মতে, এই আবেদনটির প্রেক্ষিতে অর্থায়ন অপর্যাপ্তই রয়ে গেছে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস এবং মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের আগে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত একান্ত বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে ১৮ হাজার শ্রমিক প্রবেশের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর
১ মাস আগে
৮ দিন ধরে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ২ হাজার পণ্যবাহী ভারতীয় ট্রাক
ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর ও বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে পণ্যবোঝাই প্রায় দুই হাজার ট্রাক আটকে আছে। গত ৮ দিন ধরে এসব ট্রাক যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
মূলত, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দুই দেশের মধ্যে ভারত থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ায় এই পণ্যজট সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে ১০ চাকার ট্রাকে প্রতিদিন দেড় হাজার রুপি ও ছয় চাকার ট্রাকে প্রতিদিন ১ হাজার রুপি মাশুল গুনতে হচ্ছে। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আমদানিকারকরা।
আরও পড়ুন: পবিত্র আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
বেনাপোল ও পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সপ্তাহের সাতদিনই ২৪ ঘণ্টা পণ্য আমদানি-রপ্তানির অনুমোদন ছিল দুই দেশের সরকার। কিন্তু গত ১০ দিন ধরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে ভারতীয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ফলে ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে অন্তত ৭০০ ট্রাক এবং বনগাঁ কালীতলা পার্কিংয়ে অন্তত দেড় হাজার পণ্যবাহী ট্রাক আটকা পড়েছে।
এ বিষয়ে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক মতিয়ার রহমান বলেন, ‘বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ট্রাক পণ্য আমদানি এবং ২০০-৩০০ ট্রাক পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে আমদানি ট্রাকের সংখ্যা কমে ২০০-৩০০ ও রপ্তানি ট্রাকের সংখ্যা কমে ৫০-১০০ ট্রাকে এসে ঠেকেছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিন পর বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল কাস্টম এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান বলেন, ‘ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ও কারফিউ চলাকালে আমাদানি-রপ্তানি কমে গেছে। সেইসঙ্গে কমে গেছে বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারিও।’
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, ‘কারফিউ জারির এক সপ্তাহ আগে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর থেকে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে। এটা সরকারি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। সে দেশের বিভিন্ন সংগঠন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পেট্রাপোল বন্দরের ম্যানেজারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। যত দ্রুত সম্ভব আগের মতো পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার বিষয়টিতে ফিরতে চেষ্টা করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারত থেকে ৩৩৫-৩৭০ ট্রাক পণ্য আমদানির বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ৪০-৮০ ট্রাকপণ্য রপ্তানি হয়েছে।
৩ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রী দিল্লি থেকে এবার কী নিয়ে আসেন তা দেখার অপেক্ষায় মানুষ: ফারুক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, এবার দিল্লি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কী নিয়ে আসেন তা দেখার জন্য দেশবাসী অপেক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ও উপজেলা নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণ প্রমাণ করেছে যে তারা তারেক রহমানের পক্ষে আছে।’
শুক্রবার (২১ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন এই বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকার জনবান্ধব নয়, ব্যবসায়ীবান্ধব : বিএনপি নেতা ফারুক
বাংলাদেশের মাটিতে ভারত সরকারের রেলপথ নির্মাণের প্রতিবাদে এই সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের এই সদস্য বলেন, আবারও ভারত যাচ্ছেন 'ডামি' নির্বাচনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী হওয়া শেখ হাসিনা।
ফারুক বলেন, ‘দেখা যাক এবার তিনি কী নিয়ে আসেন। কিন্তু তিনি যদি খালি হাতে ফিরে আসেন, জনগণ তাকে ক্ষমা করবে না। তার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংসদের সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ফারুক বলেন, বন্ধু হিসেবে ভারত বাংলাদেশের সবকিছু কেড়ে নিতে পারে না এবং অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ গরিব হতে পারে, কিন্তু আমাদের আত্মসম্মান অনেক বেশি। কাজেই আমি আপনাদের (ভারত) জানাতে চাই যে, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা দিতেই হবে।’
পণ্য পরিবহনের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে রেলপথ নির্মাণ করে তাহলে দেশের জনগণ তা কখনোই মেনে নেবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন জয়নুল আবদিন ফারুক।
দিল্লির আগ্রাসন বাংলাদেশিরা মেনে নেবে না বলেও জানান তিনি। ফারুক বলেন, ‘আসুন সব ভেদাভেদ ভুলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যোগ দিই।’
রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি, অর্থনীতি ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন ফারুক। তিনি বলেন, ‘এই সরকার লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের সরকার।’
আকস্মিক বন্যায় সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে উল্লেখ করে ফারুক অভিযোগ করেন, সরকার একজন ব্যক্তিকে খুশি করার জন্য কিশোরগঞ্জ হাওর এলাকায় মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক নির্মাণ করেছে, যা আজ বন্যা ও অসংখ্য মানুষের পানিবন্দি হওয়ার কারণ।
আরও পড়ুন: সরকারের সহায়তায় দেশ ছেড়েছেন বেনজীর: ফারুক
বারবার একতরফা নির্বাচন করে নিজেদের অস্তিত্ব বিপন্ন করছে আওয়ামী লীগ: ফারুক
৫ মাস আগে
পদত্যাগ করলেন মোদি, ভারতে নতুন সরকার গঠনের অপেক্ষা
ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ বা লোকসভা ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করার পর রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (৫ জুন) মোদি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনি জনসভায় 'অনুপ্রবেশকারী' বলায় মুসলিম বিদ্বেষের অভিযোগ মোদির বিরুদ্ধে
এসময় নরেন্দ্র মোদি ও তার মন্ত্রিসভার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে নতুন সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার অনুরোধ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
দেশের পরবর্তী সরকার গঠনের আগে যে নিয়ম অনুসরণ করা হয়, মোদির পদত্যাগ তারই অংশ।
ভারতের নির্বাচন কমিশন বুধবার সকালে তাদের ওয়েবসাইটে আনুষ্ঠানিক তথ্য প্রকাশ করেছে। ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) পরবর্তী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মোদির এনডিএ জোটকে ঢাকার অভিনন্দন, দিল্লির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদী
টানা তৃতীয়বার জয়ের দাবি মোদির, তবে সরকার গঠনে লাগবে জোট শরিকদের
৫ মাস আগে
সরকারের অনুমোদনের অপেক্ষায় আরও ৩ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র
সরকারের অনুমোদন পেতে বেসরকারি খাতে আরও তিনটি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি সূত্র মতে, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ১০০ মেগাওয়াট, জামালপুরের ইসলামপুরে ৩০০ মেগাওয়াট এবং রাজবাড়ীর সদর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে।
বাঁশখালীতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে যে হংকংয়ের হুইহেং উইন্ড পাওয়ার লিমিটেড ও জুপিটার এনার্জি লিমিটেড বাংলাদেশ। ইসলামপুরের ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে এসএএল-জিটেক কনসোর্টিয়াম এবং রাজবাড়ীর ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করবে কনসোর্টিয়াম অব সানগ্রো রিনিউয়েবল এনার্জি ইনভেস্টমেন্ট পিটিই এবং থিয়ে পাওয়ার (সিঙ্গাপুর)।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য-যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত ঢাকা-থিম্পু
বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যুৎ বিভাগ ইতোমধ্যে তিনটি কনসোর্টিয়ামের প্রস্তাব সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে তিনটি পৃথক প্রস্তাব পাঠিয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, ‘সিসিজিপি প্রস্তাবগুলো অনুমোদন করলে বিদ্যুৎ বিভাগ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (বিপিডিবি) তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি করতে বলবে।’
তবে এসব কেন্দ্র থেকে সৌরবিদ্যুতের শুল্কের বিস্তারিত প্রকাশ না করলেও প্রায় ১০ মার্কিন সেন্টের শুল্কে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় বিপিডিবি এসব কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ কিনবে বলে জানান তিনি।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বিশেষ করে সৌর বিদ্যুতের অংশ বাড়ানোর ওপর জোর দিচ্ছে। এর আওতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যমান ৩ শতাংশের নিচে থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ খাতে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি জরুরি: নসরুল হামিদ
তিনি ২০ মার্চ বার্লিন এনার্জি ট্রানজিশন ডায়ালগ ২০২৪-এ 'জ্বালানি খাতে কপ২৮ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন - সুযোগ, সীমাবদ্ধতা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ: দ্য ওয়ে হেড' শীর্ষক মন্ত্রী পর্যায়ের মাল্টি-স্টেকহোল্ডার গোলটেবিল বৈঠকে দেশের লক্ষ্যমাত্রা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বর্তমানে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (স্রেডা) পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত সারাদেশে প্রায় ৯৮৯ দশমিক ৬১ মেগাওয়াট ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩৭১ দশমিক ৪৮ মেগাওয়াট অগ্রিড এবং অবশিষ্ট ৬১৮ দশমিক ১৩টি অন-গ্রিড।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াটের বেশি এবং অফ-গ্রিড বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৫ হাজার মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ বিভাগের দাপ্তরিক নথিপত্রে দেখা যায়, গত তিন বছরে সরকার ২০২৫ সালের মধ্যে ৬০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রায় ১৩টি সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।
নথিগুলোর উল্লেখ করে এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের জন্য লেটার অফ ইনটেন্ট (এলওআই) এবং মনোনয়নের বিজ্ঞপ্তি (এলওআই) জারি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে দুটি বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প (৩০+৭০) ১০০ মেগাওয়াট এবং বাকি ১১টি সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাড়ছে লোডশেডিং-তাপপ্রবাহ
৭ মাস আগে
আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া বিএনপির কিছু করার নেই: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে অগ্নিসংযোগকারী, ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি ও ১৫ আগস্টের খুনিদের উপযুক্ত জবাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত এবারও ব্যর্থ হয়েছে। বারবার নির্বাচন বর্জন করার পর এখন বিএনপির পাঁচ বছর অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। বিএনপি এখন যেসব অভিযোগ এনেছে তা অবাস্তব ও ভিত্তিহীন।’
আরও পড়ুন: ভোট বর্জনকারীদের বর্জন করেছেন ভোটাররা: কাদের
সোমবার (৮ জানুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে সত্য মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করব: ফেরদৌস
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'আমরা নির্বাচনি ইশতেহারে যেসব অঙ্গীকার করেছি তা বাস্তবায়ন করব এবং ভবিষ্যতে একটি স্মার্ট ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলব। এই নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।’
আগামী ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জনসভা করবে আওয়ামী লীগ।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ও প্রযোজক সাজু মুনতাসিরের বিশেষ দিন
১০ মাস আগে
নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে একটি হোটেলে সদ্য প্রকাশিত ‘দৈনিক বাংলা পত্রিকা’র প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদে করা ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’-এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আসলে বিএনপি দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে ভণ্ডুল করতে চায়। ২০১৪ সালে তারা এটি করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছিল। এবার চেষ্টা করলে জনগণ তা দমন করবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকবো না।
নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য দাঁড়াবে না জানিয়ে হাসান বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পা দানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল।
তিনি বলেন, আমরা আশা করব এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের কোন নেতা কি বলল তাতে কিছু যায় আসে না। জনগণ নির্বাচনে অংশ নিল কি না সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই এটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক বাংলা পত্রিকা, এর সকল সদস্য ও পাঠকের জন্য শুভকামনা জানান তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী।
তিনি কেক কাটায় অংশ নেন এবং পত্রিকার সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাতের ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার জীবনের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তার হাতে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন।
আরও পড়ুন: বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পাটকল চালুর অপেক্ষায় খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকেরা
খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত ৯টি পাটকল বন্ধের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। ভালো নেই চাকরিহারা প্রায় অর্ধলাখ শ্রমিক। পরিবার নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তাদের।
তবুও পাটকল চালু হবে সাইরেন বাজবে, সেই অপেক্ষায় রয়েছেন শ্রমিকেরা।
মিল বন্ধ থাকায় অযত্নে নষ্ট হচ্ছে ৯টি পাটকলের ৫ হাজার ৮৩টি তাঁত ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি। ফলে আবার এসব যন্ত্রপাতি দিয়ে মিলগুলো উৎপাদনে যেতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
শ্রমিকরা জানান, লোকসানের কারণ দেখিয়ে ২০২০ সালের ২ জুলাই রাষ্ট্রায়ত্ত ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, ইস্টার্ন, আলিম, যশোরের জেজেআই ও কার্পেটিং জুট মিল বন্ধ করে দেয় সরকার।
লিজের মাধ্যমে আধুনিকায়ন করে তিন মাসের মধ্যে মিলগুলো আবার চালুর ঘোষণা দিয়েছিল বিজেএমসি।
শ্রমিকরা জানান, কিন্তু এখনও চালু হয়নি। তাদের কেউ কেউ অন্য পেশায় ঢুকলেও অনেকেই বেকার। খালিশপুর, দিঘলিয়া ও আটরা শিল্প এলাকার পাটকল বন্ধ হওয়ায় ওই এলাকার মানুষের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে।
শ্রমিকরা আরও জানান, অনেকে এলাকা ছেড়ে নিজ জেলায় সপরিবারে ফিরে গেছেন। বন্ধ হয়ে গেছে মিল কারখানাকেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও দোকানপাট। নিষ্প্রাণ হয়ে গেছে শিল্প এলাকা।
প্লাটিনাম জুটমিলের শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, মিল বন্ধের সময় বলা হয়েছিল তিন মাসের মধ্যে চালু করা হবে। কিন্তু আজ তিনটি বছর পার হয়েছে। এখনও মিল চালু হয়নি। বেকার হয়ে কষ্টে দিন কাটছে। মাঝে ঢাকা একটি শো-রুমে চাকরি করেছি। পরে সেখান থেকে চলে আসতে হয়েছে।
তিনি জানান, পরিবারে তিন ছেলে-মেয়ে, স্ত্রী ও আমিসহ ৫ জন। সংসারের খরচ, লেখাপড়া, চিকিৎসা খরচসহ ঊর্ধ্বগতির বাজারে ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে কাজ পেলে করি, না হলে বেকার বসে থাকতে হয়।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করছি।
খালিশপুর প্লাটিনাম জুট মিলের মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্টের শ্রমিক ছিলেন আব্দুল জলিল। ১৯৯৬ সালে চাকরিতে যোগদান করেন। ২০২০ সালের জুলাইয়ের শুরুতেই মিলের উৎপাদন বন্ধ করে দেয় সরকার। এরপর বেকার হন জলিল।
তিনি অবসায়নের অর্ধেক টাকা পেলেও পাননি সঞ্চয়পত্রের টাকা। সঞ্চয়পত্রের টাকার জন্য তিন বছর ধরে ঘুরছেন মেইল দপ্তরে। বর্তমানে প্লাটিনাম জুট মিলের সামনেই একটি দোকা ভাড়া নিয়ে চা, বিস্কুট, রুটি, কলা বিক্রি করে কোনোরকম দিন পার করছেন।
এছাড়া অসুস্থ সন্তানের চিকিৎসা, বাড়ি ভাড়া, লেখাপড়াসহ সংসারের ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
একই মিলের আরেক শ্রমিক মোহাম্মদ আলী বলেন, মিল বন্ধের তিন বছর অতিবাহিত হয়েছে। এখনো পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রের টাকা পাইনি। মিলের কাছে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার টাকা পাওনা ছিল। যার মধ্যে নগদে অর্ধেক পেয়েছি। বাকি ৮ লাখ ৩২ হাজার টাকা সঞ্চয়পত্রে পাওনা রয়েছে এখনও।
তিরি বলেন, গত তিন বছর সংসারের হানি টানতে টানতে নগদ অর্থ সবই শেষ। নিজের কোনো কাজ নেই। তবুও ছয় সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। এক ছেলে, এক মেয়ে, নাতি-নাতনি ও স্ত্রীকে নিয়ে হাউজিং বাজার এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করি। অনেক কষ্টে আছি, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: বিটিএমসির পাটকল ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩,১৬৮ কোটি টাকা লোকসান করেছে: পাটমন্ত্রী
তিনি বলেন, গেল তিন বছর দ্বারে দ্বারে ঘুরেছি, তবুও সঞ্চয়পত্র পাইনি। মিল বন্ধ করে আমাদের পথে বসিয়েছে। এই বয়সে কোথাও কাজ করার সুযোগ নেই। এক ছেলে পরিবহনে কাজ করে। তার আয় দিয়ে সংসার চলে না। মেয়ে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের লেখাপড়া করে। চিকিৎসাও করাতে পারি না। এখন দেনা হয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, ঘর ভাড়া, বাজার-ঘাট, লেখাপড়ার খরচ মেটাতে পারি না। এখন আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকেছে। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি।
এছাড়া দ্রুত পাওনা পরিশোধ এবং মিল চালুর দাবি জানান তিনি।
ক্রিসেন্ট জুট মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সোহরাব হোসেন বলেন, মিল বন্ধের আগে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ এবং দ্রুত মিল চালু করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আজ তিনটি বছর পার হতে চলেছে। এখনও অনেক শ্রমিকের সঞ্চয়পত্রের টাকা পাওনা রয়েছে।
তিনি বলেন, মিল চালুর ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত এখনও আমরা জানতে পারিনি। ২৬টি মিল বন্ধের পর শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ে। অনেকে দিনমজুর, রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাচ্ছে। অনেকেই কর্ম হারিয়ে নিজ গ্রামের বাড়িতে চলে গেছে। শ্রমিকরা অনেক কষ্টে রয়েছে। আমাদের দাবি শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হোক। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় মিলটি চালু করা হোক।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান বলেন, পাটকল বন্ধের পর থেকে শ্রমিকরা কষ্টে আছে। মিল চালুর প্রতিশ্রুতি থাকলেও অগ্রগতি নেই।
তিনি বলেন, বিআইডিসি সড়কের আলমনগর মোড় থেকে নতুন রাস্তা মোড় পর্যন্ত অর্ধেক দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে।
বিজেএমসি সূত্র জানায়, মিলগুলোর কাছে ২১৪ শ্রমিকের নগদ ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা এবং ১ হাজার ৩১৫ শ্রমিকের ৭৭ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র পাওনা রয়েছে।
বিজেএমসির খুলনা আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মো. গোলাম রব্বানী বলেন, মাসখানেক আগে যশোরের জেজেআই জুট মিল আকিজ গ্রুপকে লিজ দেওয়া হয়েছে। তারা শিগগিরই মিলটি চালুর চেষ্টা করছে। খুলনার প্লাটিনাম জুট মিল ফরচুন গ্রুপকে লিজ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি বলেন, অন্য ছয়টি পাটকল লিজ দেওয়ার জন্য জুনের মাঝামাঝি তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। আর আলিম জুট মিলের মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব থাকায় এটি লিজ দেওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়নি।
তিনি বলেন, অধিকাংশ শ্রমিকের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিছু সংখ্যক শ্রমিকের বিরুদ্ধে মামলা, নামের ভুলসহ বিভিন্ন প্রকার জটিলতা থাকায় তারা এখনও সব টাকা পাননি। সেগুলোও পর্যায়ক্রমে পরিশোধের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, যন্ত্রপাতিগুলো মাঝেমধ্যে মেইনটেন্যান্স ও চালু করে দেখা হচ্ছে। কিন্তু যেভাবে মেইনটেন্যান্স করা দরকার, তা অর্থাভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খুলনার বেসরকারি ১৭ পাটকল বন্ধ হওয়ার উপক্রম
১ বছর আগে
কেসিসি নির্বাচন: নবনির্বাচিতদের দায়িত্ব গ্রহণে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৪ মাস
খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ের পর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের বন্যায় ভাসছেন পুননির্বাচিত মেয়র ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলরা। তবে নির্বাচনে জয়ী হলেও এখনই দায়িত্ব বুঝে পাচ্ছেন না তারা।
তাই স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী আরও ৪ মাস অপেক্ষা করতে হবে নবনির্বাচিতদের।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: প্রস্তুত ইসি, বিজিবি মোতায়েন
আর ততদিন অর্থাৎ চলতি বছরের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বর্তমান কাউন্সিলররাই নিজ পদে থাকবেন। কাউন্সিলরদের মধ্যে যারা পরাজিত হয়েছেন এবং নির্বাচনে অংশ নেননি এমন ১৮ জন কাউন্সিলরও নিজ পদে থাকবেন ১০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১১ অক্টোবর নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরা দায়িত্ব বুঝে নেবেন।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন আইন -২০০৯) এর প্রথম অধ্যায়ের সিটি কর্পোরেশনের মেয়াদ সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘কর্পোরেশনের মেয়াদ উহা গঠিত হইবার পর উহার প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হইবার তারিখ হইতে পাঁচ বৎসর হইবে’।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তালুকদার আবদুল খালেকের নেতৃত্বাধীন কেসিসির বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করে ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর।
বর্তমান পরিষদের প্রথম সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ১১ অক্টোবর। অর্থাৎ চলতি পরিষদের মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ১০ অক্টোবর।
মেয়াদ শেষের পরই নতুন পরিষদ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
আরও পড়ুন: কেসিসি নির্বাচন: এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশে বাধা দেওয়া হচ্ছে, জাপা মেয়র প্রার্থীর অভিযোগ
কেসিসি নির্বাচন: অধিকাংশ কেন্দ্র ফাঁকা, ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ ১১%
১ বছর আগে